ই-রিটার্ন
প্রথম ১০ দিনেই প্রায় এক লাখ করদাতার ই-রিটার্ন দাখিল
২০২৫-২৬ করর্ষের প্রথম ১০ দিনেই প্রায় ১ লাখ করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ই-রিটার্ন কার্যক্রম উদ্বোধনের পর থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ৯৬ হাজার ৯৪৫ জন করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, গত বছর একই সময়ের তুলনায় এ বছর অনলাইন রিটার্ন দাখিলের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রথম ১০ দিনে ই-রিটার্ন জমা পড়েছিল মাত্র ২০ হাজার ৫২৩টি। এ হিসেবে এবার দৈনিক গড় জমা সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ।
আরও পড়ুন: জিরো রিটার্ন’ দাখিল বেআইনি, শাস্তি সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড
এনবিআর গত ৩ আগস্ট এক বিশেষ আদেশে জানায়, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী প্রবীণ, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা এবং মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি ব্যতীত সব ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরবর্তীতে ১১ আগস্টের সংশোধিত আদেশে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের এ বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এনবিআর জানায়, ই-রিটার্ন নিবন্ধনে সমস্যা হলে করদাতারা যৌক্তিক কারণসহ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। অনুমোদন পেলে তারা পেপার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সেবার মাধ্যমে কর পরিশোধ করে তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তির রশিদ ও কর সনদ প্রিন্ট করতে পারছেন।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত সহায়তার জন্য এনবিআর কল সেন্টার (০৯৬৪৩-৭১ ৭১ ৭১) চালু করেছে। এ ছাড়া www.etaxnbr.gov.bd-এর eTax Service অপশনে লিখিতভাবে সমস্যার সমাধান নেওয়া যাবে।
করদাতাদের যথাসময়ে www.etaxnbr.gov.bd পোর্টাল ব্যবহার করে প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় উল্লেখপূর্বক রিটার্ন জমা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এনবিআর।
১১২ দিন আগে
প্রথম দিনেই ই-রিটার্ন দাখিলে রেকর্ড
চলতি অর্থবছরে স্বাভাবিক ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন (ই-রিটার্ন) দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই রেকর্ডসংখ্যক ১০ হাজার ২০২ জন করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন।
গতকাল (৪ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, এবারের প্রথম দিনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে।
২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ই-রিটার্ন কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রথম দিন রিটার্ন দাখিল হয়েছিল ২ হাজার ৩৪৪টি।
এরর আগে রবিবার (৩ আগস্ট) এক বিশেষ আদেশে ২০২৫–২৬ করবর্ষের জন্য এ বিধান কার্যকর করা হয়। ওই আদেশের একটি বিশেষ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এসেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা এবং মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি—এই চার শ্রেণির করদাতা বাদে সব ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে ই-রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
সব করদাতা ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন www.etaxnbr.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।
তবে যদি কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা যদি অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে অক্ষম হন, তাহলে তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যথাযথ কারণ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। পরে অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে, ওই করদাতা কাগজে (পেপার রিটার্ন) রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর বিবরণী দেওয়া বাধ্যতামূলক করল এনবিআর
গত বছর আংশিকভাবে ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার পর ১৭ লাখের বেশি ব্যক্তি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন।
চলতি বছর উন্নত সেবার আওতায় করদাতারা বাসা থেকেই ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড অথবা বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে পারবেন।
রিটার্ন জমা দেওয়ার পরপরই আয়কর রিটার্ন দাখিলের রসিদ ও আয়কর সনদ অনলাইনে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য রাজস্ব বোর্ডের কর্মীরা কল সেন্টার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১২২ দিন আগে
ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
বিগত করবর্ষের ন্যায় এবারও যথারীতি অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের সুবিধা থাকছে। দেশের যেসকল নাগরিকের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) নম্বর আছে, তারা এই সুযোগটি নিতে পারবেন। সুতরাং নথিকরণ, ভিড় এবং সময় ক্ষেপণের বিড়ম্বনা এড়িয়ে এবারও ঘরে বসেই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। সদ্য টিনপ্রাপ্ত থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন যাবত আয়কর প্রদানকারী সব পেশার মানুষকে একটি নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্মের আওতাভুক্ত করেছে এই ইলেক্ট্রনিক পরিষেবা। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য পৃথক অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইলের ব্যবস্থা থাকায় প্রতিবার বিগত বছরের হিসেব নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না। চলুন, এই পরিষেবাটি ব্যবহারের পূর্বশর্ত এবং পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ই-রিটার্ন দাখিলের জন্য কি কি প্রয়োজন
এনবিআর (ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভেনিউ)-এর ইলেক্ট্রনিক ট্যাক্স রিটার্ন সিস্টেমটি ব্যবহারের জন্য দরকার হবে একটি বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার এবং ই-টিন নম্বর। এখানে মূলত মোবাইল নাম্বারটি জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা তা যাচাই করা হয়।
বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য মোবাইল থেকে *১৬০০১# নাম্বারে ডায়াল করতে হবে। এরপরের কাজ হলো এনআইডির সর্বশেষ চারটি সংখ্যা উল্লেখ করে সেন্ড করা। এর কিছুক্ষণ পরেই মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে উল্লেখিত এনআইডি নাম্বারের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নাম্বারগুলোর তালিকা পাঠানো হবে। এই নাম্বারগুলো প্রত্যেকটি বায়োমেট্রিক করা। অন্যথায় এই তালিকা সম্বলিত ম্যাসেজটি আসবে না।
আরো পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
ই-রিটার্নের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে আলাদা করে কোনো কাগজপত্র দিতে হয় না। কেবল প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি নির্ভুলভাবে দিতে হয়। তবে তথ্যের ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সঙ্গে থাকা আবশ্যক। তাছাড়া কর অফিস থেকে যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি তথ্য-প্রমাণ যেন দেখানো যায় তার জন্যও কাগজপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা বাঞ্ছনীয়।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পদ্ধতি
.
ই-ট্যাক্স এনবিআর সাইটে নিবন্ধন
প্রথমেই সরাসরি চলে যেতে হবে এনবিআর-এর ই-রিটার্ন ওয়েবসাইটে (https://etaxnbr.gov.bd/)। এখানে প্রদত্ত পরিষেবাগুলো থেকে ‘ই-রিটার্ন’ অপশনে গেলে একটি নতুন উইন্ডো আসবে, যেখানে সাইটটিতে নিবন্ধন করা আছে কিনা- তা জানতে চাওয়া হবে।
এখানে ‘আই অ্যাম নট ইয়েট রেজিস্টার্ড’ বাটনে ক্লিক করা হলে নিবন্ধন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
এই সাইনআপ পেজে ১২ সংখ্যার টিন নাম্বার,বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার এবং ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করে ‘ভেরিফাই’তে ক্লিক করতে হবে।
এরপর উল্লেখিত ফোন নাম্বারে ম্যাসেজের মাধ্যমে ছয় অংকের একটি ওটিপি কোড আসবে। এটি সাইনআপ পেজের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে পরপর দুইবার একটি নতুন পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে,পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই আলফানিউমেরিক তথা অঙ্ক,অক্ষর ও বিভিন্ন চিহ্ন সম্বলিত হতে হবে। সহজ বা ছোট পাসওয়ার্ড গ্রহণযোগ্য নয়। বিধায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সামনের দিকে অগ্রসর হবে না। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গেই ই-রিটার্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
এখানে মনে রাখতে হবে যে,ই-টিন যেহেতু এনআইডি দিয়ে করা হয় তাই এই সিস্টেমে দেওয়া নাম এবং মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে বায়োমেট্রিক করা ব্যক্তির নাম একই হতে হবে। অর্থাৎ একজ ন ব্যক্তি তার নিজের বায়োমেট্রিক ভেরিফাই করা ফোন নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তা থেকে অন্যজনের রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না।
নিবন্ধনের পর এবার সেই টিন নাম্বার,পাসওয়ার্ড ও নতুন ক্যাপচা পূরণ করে সাইন ইন করলে ই-রিটার্ন ড্যাশবোর্ডটি দেখা যাবে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
রিটার্ন জমার ক্যাটাগরি নির্বাচন
ড্যাশবোর্ডে বাম পাশের মেনু বারে ‘সাবমিশন’ মেনুতে রয়েছে দুই ধরনের রিটার্ন পেজ। একটি সিঙ্গেল পেজ ও অপরটি রেগুলার রিটার্ন পেজ।
সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন
প্রধানত ৭টি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এক পেজ-এ রিটার্ন জমা দেওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো:
• বার্ষিক করযোগ্য আয় অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা
• সঞ্চিত সম্পদের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকার কম
• গণকর্মচারী নন
• মোটরগাড়ির মালিকানা নেই
• সিটি করপোরেশনে কোনো বাড়ির মালিকানা নেই
• বিদেশে কোনো পরিসম্পদ নেই
• কোনো কোম্পানির শেয়ার নেই
এই মাধ্যমে এক পেজের মধ্যেই রিটার্নের যাবতীয় তথ্যাদির খসড়া করা যায়। এর মধ্যে থাকে আয়ের উৎস,মোট আয়,জীবনযাপন ব্যয়,সামগ্রিক পরিসম্পদ,আরোপযোগ্য কর,কর রেয়াত,উৎসে কর্তিত কর, প্রদেয় কর এবং রিটার্নের সঙ্গে দেওয়া কর।
সব তথ্য প্রদান শেষে পেজটি ড্রাফট হিসেবে রাখা যায়,আবার ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইন জমা সম্পন্ন করা যায়।
আরো পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
রেগুলার ই- রিটার্ন
উপরোক্ত ৭ শর্তের বাইরে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই এই বিস্তারিত রিটার্ন পদ্ধতিতে অগ্রসর হতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় কর যাচাই, আয়-ব্যয়,বিনিয়োগ,সম্পদ,ঋণ এবং কর রেয়াতের মতো সনাতন পদ্ধতির বিষয়গুলো বিস্তারিত তথ্যের জন্য পৃথক স্ক্রিনে দেখানো হবে।
কর যাচাইয়ের তথ্য
এ অংশে প্রথমেই রিটার্ন স্কিম ঘরে সেল্ফ,এসেস্মেন্ট বর্ষ ও ইনকাম বর্ষের ঘরে সাল ও তারিখ পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। আয় করমুক্ত হলে আয়ের পরিমাণের পাশাপাশি ‘রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস’ উল্লেখ করে দিতে হবে।
ডানপাশের হেডস অব ইনকামের নিচে যে অপশনগুলো রিটার্নদাতার জন্য প্রযোজ্য শুধুমাত্র সেগুলোতেই তিনি টিক দেবেন। এই হেডগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তির আয়ের উৎস বা খাত নির্ধারিত হয় এবং সে অনুসারে পরের স্ক্রিণগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে।
পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য একদম নিচের দিকে রয়েছে ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ বাটন।
আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
অতিরিক্ত তথ্য
পূর্বের স্ক্রিণে প্রদত্ত তথ্যে জের ধরে এখানে যাচাইকরণের জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়। যেমন- কাজের স্থান,মুক্তিযোদ্ধা বা প্রতিবন্ধী কিংবা অন্য প্রতিবন্ধীর আইনি অভিভাবক কিনা, বিনিয়োগের জন্য কর রেয়াত,কোনো কোম্পানির শেয়ার আছে কিনা,মোটরগাড়ি বা সিটি করপোরেশনে নিজস্ব বাড়ি ইত্যাদি।
আইটি১০বি
এই সেকশনটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে আইটি১০বি। যাবতীয় সম্পদের পরিমাণ যদি ৪০ লাখ টাকা বা তার বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই হেডটিতে টিক মার্ক দিতে হবে। প্রদত্ত পরিমাণ সম্পদ না থাকলে আর এই অপশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিবারের বার্ষিক খরচের হিসেব অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
এরপর ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ দিয়ে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পর একে একে এসেস্মেন্ট,ইনকাম,এক্সপেনডিচার,এসেট্স অ্যান্ড লায়াবিলিটিস এবং ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট ট্যাবগুলোর ভিন্ন ভিন্ন পেজগুলো আসবে।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
আয়ের বিস্তারিত বিবরণ
এখানে রয়েছে বৈদেশিক আয় বা কর-অব্যাহতি এবং বেতন বা করযোগ্য বিনিয়োগ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয়।
‘এনি আদার ইনকাম’ অপশনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্যসহ অন্যান্য আয়ের উৎস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের হিসেব যুক্ত হবে। এই তথ্যগুলো নেট আয়ের হিসাবে যুক্ত হবে।
ব্যয়ের খাত
এই বিভাগটিতে সারা কর বছরে মোট আয়ের বিপরীতে প্রতিটি ব্যয়কে একত্রিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গৃহস্থালি ও ইউটিলিটিসহ বাসস্থান, খাদ্য, পোশাক, পরিবহন, বাচ্চাদের স্কুল খরচ এবং অন্যান্য বিবিধ ব্যয়।
সম্পদ, ঋণ ও বিনিয়োগ খাত
এখানে যুক্ত হবে বিমা, ডিপোজিট প্রিমিয়াম সার্ভিস, সঞ্চয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং স্টক বা শেয়ারসহ যাবতীয় বিনিয়োগগুলো। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অপশনের সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে রয়েছে স্পষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য প্রদানের জায়গা।
কর ও পরিশোধ
সামগ্রিক রিটার্নে কোনো করযোগ্য আয় বা বকেয়া অথবা অগ্রিম কর থাকলে তার স্বয়ংক্রিয় হিসাব হবে এই অংশে। উৎসে কর্তনকৃত কর এবং অগ্রিম কর প্রদান করা হলে তা নেট হিসেবে বাদ যাবে। আয়ের উপর কোনো কর বকেয়া বা ধার্য না হলে প্রদেয় করের পরিমাণ শূন্য হবে আর এভাবে প্রদান করা রিটার্ন ‘শূন্য রিটার্ন’ নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
যাবতীয় ডেটা সরবরাহের পর ট্যাক্স পেমেন্ট স্ট্যাটাসে ক্লিক করলে কর হিসাবের একটি সারাংশ দেখানো হবে। অতঃপর কোনো করযোগ্য পরিমাণ উল্লেখ থাকলে এবার তা পরিশোধের পালা।
এর জন্য ‘পে নাউ’ বাটনে ক্লিক করলে অর্থপ্রদানের জন্য কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং-এই তিনটি অপশন প্রদর্শিত হবে। এগুলোর যেকোনোটি নির্বাচন করে অনায়াসে নেট করটি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা যাবে।
ই-রিটার্ন সনদ সংগ্রহ
রিটার্ন জমা দেওয়ার পর কর প্রদানের রশিদ ও রিটার্ন সনদসহ প্রত্যেকটি ট্যাক্স রেকর্ড সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো যেকোনো সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে এখান থেকে ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে কাজে লাগানো যাবে।
এতক্ষণ ধরে যে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তার সবগুলো সহ পুরো রিটার্নটি অ্যাকাউন্টে নিরাপদে সংরক্ষিত অবস্থায় থেকে যায়। এতে করে পরের বছরে নতুন করে পুরোনো হিসাব নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় না।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
শেষাংশ
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের এই পদ্ধতি পুরোনো নথিকরণ এবং জটিল হিসেব-নিকেশের বিড়ম্বনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। তবে ই-ট্যাক্স এনবিআর সাইটে তথ্য প্রদানের পূর্বে অবশ্যই রিটার্নের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি কাগজপত্র যোগাড় করে রাখা উচিত। ই-রিটার্নের সঙ্গে কোনো কাগজ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তথ্য পূরণে ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেগুলো সঙ্গে রাখা জরুরি। অ্যাকাউন্ট খোলা এবং তা যেকোনো সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্রদান করা প্রতিটি তথ্য এই অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত থাকে ফলে পরের বছরে জমা দেওয়ার সময় রিটার্নের তথ্যে সামঞ্জস্যতা রাখা যায়।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
৩৭২ দিন আগে
অনলাইনে আয়কর পরিশোধের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
অনলাইনে ই-রিটার্ন ও আয়কর প্রদানে উৎসাহিত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনগণের দেওয়া করই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আপনার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার অভিজ্ঞতা এখন থেকে মসৃণ ও ঝামেলা মুক্ত হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা অনলাইনে কীভাবে আয়কর জমা দিতে পারেন তা তাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবদের দেখানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
কর প্রদানে জনগণকে নানা ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয় স্বীকার করে তিনি সবাইকে ই-রিটার্ন দাখিল ও অনলাইনে আয়কর প্রদানের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, 'আমি তরুণদের অনুরোধ করছি, করদাতাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করুন। ভবিষ্যতের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি এখান থেকেই শুরু করা যেতে পারে। আমরা পর্যায়ক্রমে অনলাইনে সব কর আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে আয়কর দিতে ব্যাংকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না বা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে কর অফিসে যেতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে আয়কর রিটার্ন জমা দিন। এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এখন থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর মহানগরীর সব সরকারি কর্মকর্তা এবং সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর ও বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস দেশের অন্যদের অনলাইনে ই-রিটার্ন জমা এবং আয়কর প্রদানের আহ্বান জানান।
তিনি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের জন্য জেলা ও শহর পর্যায়ে কর্মকর্তাদের ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার বিষয়ে উৎসাহ দেন।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নিহন হিদানকিওতে অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
৪০২ দিন আগে
ই-রিটার্ন ব্যবস্থার প্রচারের নির্দেশ এনবিআর চেয়ারম্যানের
ই-রিটার্ন পদ্ধতি সহজ, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব উল্লেখ করে এর প্রচারণার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে নতুন ই-রিটার্ন সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,‘এতে সময় ও খরচ কমাচ্ছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান করদাতাদের সুবিধার্থে অনলাইনে ফাইল করতে উৎসাহিত করেন।
নতুন চালু হওয়া ই-রিটার্ন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে করদাতারা কর অফিসে না গিয়েও টিআইএন সার্টিফিকেট প্রিন্ট না করেই পরিষেবা নিতে পারবেন।
এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক পদ্ধতি উল্লেখ করে রহমান বলেন, বিস্ময়কর হলো যে সেবাটি ২০২১ সালে চালু হলেও বিগত ৪ বছরে এক কোটিতেও পোঁছায়নি।
২০২১ সালে সেবা চালুর পর চার বছরে ই-রিটার্নের সংখ্যা এক কোটিতে না পৌঁছায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটি একটি ব্যবহার উপযোগী পদ্ধতি।
তিনি বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের প্রচেষ্টায় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সকল স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, 'আমরা বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ ক্ষেত্রে এনবিআর অবদান রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
বাংলাদেশে ইইউ ডেলিগেশনের হেড অব কোঅপারেশন মাইকেল ক্রেজার সঙ্গে নিয়ে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন আব্দুর রহমান।
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাইলে রহমান স্বীকার করেন যে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। বলেন, 'আমরা ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিকঠাক করছি।’
যেসব করদাতা অপ্রদর্শিত অর্থ বাতিলের বিধান বাতিলের আগে বৈধ করেছেন, তাদের আইনের আওতায় সুরক্ষিত করা হবে বেলে আশ্বাস দেন রহমান। তিনি বলেন, 'যতদিন আইন বলবৎ ছিল, ততদিন এই সুবিধা বৈধ ছিল।’
তিনি করদাতাদের মোবাইল ফোনের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন এবং আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ১ দশমিক ০৪ কোটি করদাতার মধ্যে প্রায় ৪৪ লাখ নিয়মিত রিটার্ন জমা দেন। তিনি বলেন,‘আমরা এই সংখ্যা বাড়াতে চাই এবং অনলাইনে ফাইল করা তাদের জন্য এটি আরও সহজ করে তুলবে।’
আরও পড়ুন: এনবিআরের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি
তিনি করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করেন তারা যেন যেকোনো সমস্যা অনলাইন ব্যবস্থায় তুলে ধরতে ধরেন, যাতে এনবিআর দ্রুত এর সমাধান করতে পারে।
কর ফাঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, এনবিআর সেসব ঘটনার ওপর গুরুত্ব দেয়, যেখানে তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য বা গোয়েন্দা তথ্য পায়। ‘একবারে সবকিছু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে ঘটনাগুলোকে অগ্রাধিকার দিই এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি, বিশেষ করে কর্পোরেট করদাতাদের সঙ্গে।’
ট্যাক্স ফাইল অডিট নিয়ে এনবিআরের ইমেজ সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে এবং মানুষের হস্তক্ষেপ কমাতে বাছাই প্রক্রিয়াটি ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তিনি বলেন, 'আমরা প্রায়ই করদাতাদের কাছ থেকে এই প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি পাই। আমরা যেকোনো উদ্বেগ এড়াতে একটি ডিজিটালাইজড সিস্টেমের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
এনবিআর বিভিন্ন পণ্যের শুল্কও পর্যালোচনা করছে, যা বাজেট প্রক্রিয়া চলাকালীন সমাধান করা হবে। রহমান জোর দিয়েছিলেন যে রাজস্ব খাতের সংস্কারগুলো একবারে বাস্তবায়নের পরিবর্তে ধীরে ধীরে করা হবে।
বিদ্যমান করমুক্ত আয়সীমা সম্পর্কে রহমান সতর্ক করে বলেন, এটি বাড়ানো হলে করদাতাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নেট থেকে সরে যাবে। ভারতে যেখানে ২৩ শতাংশ মানুষ কর দেন, আর বাংলাদেশে মাত্র ৫ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ কর দেন। এই সংখ্যা আরও কমাতে পারলে কর আদায় কমে যাবে।
হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চ গঠন এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) উদ্যোগের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে কর সংক্রান্ত মামলার জট কমাতে সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: শহীদ আবু সাঈদকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' বললেন এনবিআর চেয়ারম্যান
৪৩৭ দিন আগে