মো. শাহাব উদ্দিন
কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালনে এবারের কপ-২৮ সম্মেলনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিষ্পত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল কপ সম্মেলনে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আলোচনায় বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কপ-২৮ সম্মেলনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিষ্পত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
সেগুলো হলো:
# প্রথম গ্লোবাল স্টকটেক অবশ্যই ১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন, ভবিষ্যৎ উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও কংক্রিট মাইলফলকসহ সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।
# অধিক বিপদাপন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ অ্যাড্রেস করার লক্ষ্যে কপ-২৮ সম্মেলনে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড অপারেশনালাইজ’ করা এবং এর ‘ডিটেইল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ ঠিক করা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
# অভিযোজনসংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য ‘গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপ্টেশন’-এর কাঠামো তৈরি বা প্রণয়ন; সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই ১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য তাদের এনডিসিতে বর্ণিত ২০৩০ প্রশমন লক্ষ্যমাত্রাকে শক্তিশালীকরণ এবং এনডিসি বাস্তবায়নের জন্য এলডিসি দেশগুলোর অর্থায়ন বাড়ানো।
# উন্নত দেশগুলোকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া নিশ্চিত করা; জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করা।
# অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করা; জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ২০২৫ পরবর্তী সময়ে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য ‘নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোল অন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, কপ সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান যথাযথভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মতামত নিয়ে একটি অবস্থানপত্র প্রণীত হয়েছে।
বিগত কপসমূহের মতো এবারও কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশ ১৫২ বর্গমিটার আয়তনের একটি প্যাভিলিয়ন তৈরি করেছে এবং এখানে বিভিন্ন সাইড ইভেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বরাবরের মতো এবারের কপ-২৮ সম্মেলনেও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এসব বিষয়ে কার্যকর ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণলয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ১৩টি সেমিনারসহ ২৪টি সাইড লাইন প্রোগ্রাম আয়োজন করবে। সেখানে শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নয়নশীল দেশের লিডার হিসেবে অন্যান্য দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব তুলে ধরবে বাংলাদেশ। এছাড়াও প্রতি বছরের মতো কপ-২৮ সম্মেলনের রিজিউমড হাই-লেভেল সেগমেন্টের আগে সম্মেলনের ভেন্যুতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে অফশোর হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনা স্থগিত
৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে ১২ ডিসেম্ব পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ২৮তম বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ-২৮ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে ১ থেকে ২ ডিসেম্বর সম্মেলনের হাই-লেভেল সেগমেন্ট ‘ওয়ার্ড ক্লাইমেট সামিট’, ৮ থেকে ৯ ডিসেম্বর রিজিউমড হাই-লেভেল সেগমেন্ট, ৩০ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেকনিক্যাল নেগোসিয়েশন এবং ১২ ডিসেম্বর তারিখে সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণালয় জানায়, সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী। তার সঙ্গে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দেশের বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার নির্বাচিত পরিচালক সায়মা ওয়াজেদেরও সম্মেলনে অংশে নেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেসরকারি খাতের উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান অর্থ বকেয়া বিদ্যুৎখাতের অন্যতম বাধা
১০ মাস আগে
যেখানে সেখানে হর্ন বাজানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
যেখানে সেখানে হর্ন বাজানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বিদেশে বা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় যাই তখন শব্দদূষণ করি না। ক্যান্টনমেন্টের বাইরে গেলে আবার হর্ন বাজাই। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।'
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) মৌলভীবাজার জেলা স্কাউট ভবনের সম্প্রসারণের উদ্বোধন শেষে মতবিনিমিয় ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আগামী ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টায় রাজধানীতে এক মিনিট নীরবতা পালন করবো, শব্দদূষণমুক্ত রাখবো। এক মিনিট শব্দদূষণমুক্ত থাকবে ঢাকা।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলে মিলেই দেশটাকে শব্দদূষণমুক্ত করতে হবে। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে স্কাউটস কাজ করতে পারে। স্মার্ট দেশে প্রয়োজনে স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে স্কাউট অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।’
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, প্রধান জাতীয় স্কাউটস কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, পুলিশ সুপার মনজুর রহমান এবং মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পরিপূর্ণ ডেটাবেইস প্রস্তুতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
৩ বছরে ২৪৩২২ একর দখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধার করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে 'মাল্টিসেক্টোরাল অ্যাকশন প্লান ফর সাসটেইন্যাবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, বেসরকারি খাত, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল-মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন নিশ্চিতকরা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, এক্সেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি বাস্তবায়নে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলে একসঙ্গে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস-এর বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন
১ বছর আগে
পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। পুনঃব্যবহার সম্ভব না হলে বর্জন করার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে স্কাউটদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ স্কাউটসের সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড বিতরণ এবং প্লাস্টিক টাইড টার্নার ব্যাজ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন জানান, স্কাউট ও রোভার স্কাউটদের ভালো কাজের স্বীকৃতির স্বীকৃতি হিসেবে ‘প্লাস্টিক টাইড টার্নারস চ্যালেঞ্জ ব্যাজ’ প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, স্কাউটদের অনুকরণে সবাই প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো ও পুনঃব্যবহার বিষয়ে কাজ করলে দেশে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস এই মৌসুমে ৫০ লাখ গাছের চারা রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। স্কাউটদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। স্কাউট আগামী বছর ১ কোটি চারা রোপণ করবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ রোধ করে ও জলবায়ুর পরিবর্তনের রাশ টেনে ধরতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) কাজী নাজমূল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. শাহ কামাল এবং প্লাস্টিক টাইড টার্নার প্রোগ্রামের সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন সিকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী ২৪১ জনকে সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড দেন। এ ছাড়াও, সারাদেশে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করা ‘প্লাস্টিক টাইড টার্নারস চ্যালেঞ্জ ব্যাজ’ অর্জনকারী ৫ হাজার ৬৪২ জনের মধ্যে ২৪ জনকে ব্যাজ পরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন চায়: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমাজের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিধিমালা যুগোপযোগীকরণ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অহেতুক বেশি ও উচ্চশব্দের শব্দযন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া অযথা হর্ন বাজানো, হাইড্রোলিক হর্ন পরিহার করতে গাড়িচালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক ও ব্যবহারকারীরা এটি নিশ্চিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বিত ও অংশীদারীত্বমূলক প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পরিবেশমন্ত্রী এসময় ইমাম ও পুরোহিত সহ সকল ধর্মীয় নেতাকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা জনগণকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল সংকট আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা চাই। হাইড্রোলিক হর্নের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিআরটিএ ও পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া যানবাহনের ফিটনেস সনদ প্রদানের সময় হাইড্রোলিক হর্ন ও অধিক মাত্রার হর্ন ব্যবহারকারী যানবাহনকে অনুমতি প্রদান না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
পরিবেশমন্ত্রী এসময় হাইড্রোলিক হর্ন ও শব্দদূষণের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য মাঠ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, অধিক পরিমাণে সবুজ বৃক্ষ থাকলে শব্দদূষণ কমে আসে তাই আমাদের অধিক পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আমরা কেনো পারবো না। আগামী প্রজন্মের জন্য শব্দদূষণ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা চাই। মানুষের সুস্থতার স্বার্থেই আমাদেরকে শব্দদূষণ রোধে সবাইকে কাজ করতে হবে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জ পুলিশের এর অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. ইকবাল, খুলনার জেলার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা শব্দদূষণ রোধে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে শব্দদূষণ হতে রক্ষা পেতে ইয়ারপ্লাগ ও এর বিষয়ে সচেতন করতে স্টিকার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা ও পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার প্রণীত টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা অ্যাকশন প্ল্যান অনুসরণ করে ২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
এছাড়াও, ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা এবং এই সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি ৩০ শতাংশে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।সরকার উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পরিবেশবান্ধব ও জৈব-পচনশীল বস্তুর ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও এ আয়োজিত ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দিবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ২০২১ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। চিকিৎসা বর্জ্য বিধিমালা হালনাগাদকরণের কাজ চলছে। সরকারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যাশনাল ৩আর পলিসির লক্ষ্য হলো উন্মুক্ত জমি, নদী, নালা, খাল এবং সমভূমিতে বর্জ্য নিষ্পত্তি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা এবং উৎসে বর্জ্যের বাধ্যতামূলক পৃথকীকরণের মাধ্যমে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা। এছাড়া এর পাশাপাশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যগুলোর জন্য একটি বাজার তৈরি করা।
মন্ত্রী বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
জনগণের সহযোগিতায় অদূর ভবিষ্যতে কঠিন বর্জ্য সংক্রান্ত সমস্যার টেকসই সমাধান অর্জন করতে সক্ষম হওয়া সম্ভব বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড ফারহিনা আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিবেশ সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা এবং বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
১ বছর আগে
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরিসহ ভাতা বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এ সব সুযোগ-সুবিধা বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলার জুড়ী উপজেলা প্রশাসন এ আয়োজন করে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। এছাড়া দেশকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী চিন্তা করেন বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন ও দেশের উন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই বলে জানান।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন–উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, ভাইস-চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা এবং সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুলেশ চন্দ্র চন্দ প্রমুখ।
এরপর মন্ত্রী পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের হাজী মাহমুদ আলী দাখিল ও হাফিজিয়া মাদরাসা পরিদর্শন এবং সুধী সমাবেশে যোগদান করেন, নয়াবাজারে গ্রান্ড শাপলা কনভেনশন হল উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি জুড়ী উপজেলা ওয়েল ফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে এবং আদর্শ দরিদ্র তহবিল নয়াবাজারের যৌথ উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দিবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি বিবেচনা করে তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হবে।
রবিবার ধানমণ্ডির ঢাকা আহছানিয়া মিশন মিলনায়তনে আয়োজিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
তামাক চাষের বিকল্প কৃষিপণ্য চাষের জন্য তামাক চাষীদের প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ তামাক চাষ বন্ধে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এছাড়া বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজে তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, তামাকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী ঘোষণা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনী পাসে তার মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রী বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবসায়ীগণ যাতে অবৈধভাবে বৃক্ষনিধন না করতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। ধূমপানের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। দেশকে ধূমপানমুক্ত করতে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশের আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য সবাইকে একযোগে ও আরর সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম এবং ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। আলোচনা সভায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
সরকারিভাবে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রামের মেডিকেল সাব-ডিপো থেকে সাফল্যজনকভাবে ৫০০ টন ডিডিটি অপসারণ এবং বিশ্ব জীববৈচিত্র সম্মেলনে অর্জন উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৯৮৫ সালে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৫০০ টন ডিডিটি পেস্টিসাইড আমদানি করেছিল। নিম্নমান বিবেচনায় আমদানি করা অব্যবহৃত বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক পেস্টিসাইড ডিডিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের মেডিকেল সাব-ডিপোতে মজুত রাখা হয়।
উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গ্লোবাল এনভাইরনমেন্ট ফেসিলিটির অর্থায়ন এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় পেস্টিসাইড রিস্ক ‘রিডাকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ১০ ডিসেম্বর এ বিষাক্ত পদার্থ সম্পূর্ণভাবে ফ্রান্সে রপ্তানি করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী এ সময় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই রপ্তানির ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব হয়েছে। স্টকহোম কনভেনশন কর্তৃক নিষিদ্ধ পণ্য ডিডিটি রপ্তানির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূর্ণ হলো।
সংবাদ সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ৭-১৯ ডিসেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলনের অর্জন বিষয়ে আলোকপাত করে মন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলনের মধ্যে হাই-লেভেল সেগমেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রদত্ত বক্তব্যে ২০২০ পরবর্তী গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নে উন্নত বিশ্বকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সহায়তা বাড়ানো এবং বিশ্বের মোট জিডিপির অন্তত এক ভাগ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ব্যয় করতে আহ্বান জানানো হয়।
তিনি জানান, এবারের সম্মেলনে ২০৫০ সালের মধ্যে ‘লিভিং হারমোনি উইথ নেচার’ রূপকল্প এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জীববৈচিত্র্য এবং ইকোসিস্টেমের ক্ষতিসাধন রোধ ও রক্ষার অভিলক্ষ্য নিয়ে ‘কুনমিং-মনট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ গৃহীত হয়। ওই ফ্রেমওয়ার্কে চারটি অভীষ্টের আওতায় ২৩টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হলো–পৃথিবীব্যাপী ৩০ ভাগ স্থল এবং জলজ পরিবেশকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সব উৎস থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থায়ন নিশ্চিত করা; উন্নত বিশ্ব থেকে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত বিশ্বে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর কমপক্ষে ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন নিশ্চিত করা।
ওই ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় দেশের ‘ন্যাশনাল বায়োডাইভার্সিটি স্ট্রাটেজি অ্যান্ড একশন প্ল্যান’ আপডেট করা হবে।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
মন্ত্রী জানান, সম্মেলনে সাসটেইনেবল ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেট, নেচার অ্যান্ড কালচার, কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন বায়োডার্ভিসিটি, বায়োডার্ভিসিটি অ্যান্ড এগ্রিকালচার, বায়োডাইভার্সিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ, ইনভেসিভ এলিয়েন স্পেসিজ, সিন্থেটিক বায়োলজি ইত্যাদি শিরোনামে আরও কয়েকটি ডকুমেন্টস গৃহীত হয়।
ওই ডকুমেন্টস নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে সভা করে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
এছাড়া উন্নত বিশ্ব যাতে পর্যাপ্ত আর্থিক, কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে পারে, সে লক্ষ্যে এগিয়ে আসে সেজন্য বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সম্মেলনে আহ্বান করেছে।
সে প্রেক্ষাপটে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে এ মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি কর্তৃক ২০২৩ সালের মধ্যে গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক তহবিল (জিবিএফ ফান্ড) প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মন্ত্রী জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জিবিএফ বাস্তবায়নে তথা জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণের জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন মর্মে অঙ্গীকার করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আব্দুল হামিদ ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বোরোর উৎপাদন বাড়াতে ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত
সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কপ-২৭ সম্মেলন থেকে প্রত্যাশা ও বাস্তবতাসহ বেশ কিছু বিষয় যেমন- সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গড়ে ওঠা হোটেল, মোটেল, রিসোর্টের মালিকদের তালিকা এবং বন অধিদপ্তরে নিয়োগ, পদোন্নতি, অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, ব্লু ইকোনমি ও পোভার্টি এনভায়রনমেন্ট নেক্সাসসহ সিস্টেম অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যাকাউন্টিং (এসইইএ) বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
কমিটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট গড়ে তোলার মালিকদের নাম উপস্থাপন এবং ব্যক্তিগতভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারীদের মাতৃত্বকালীন ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ম্যানগ্রোভ বন নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শেখ রাসেল ইকোপার্ক বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের জন্য খুলনার জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
কমিটি মন্ত্রণালয়কে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন পরবর্তী জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনে, কপ-২৮ এর জন্য বাংলাদেশ থেকে একজন কো-চেয়ারম্যান নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে ও এ বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে বলেছে।
এসইইএ প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতার জন্য তথ্য ও উপাত্ত প্রদানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সহায়তা করার জন্য একটি সুপারিশও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি বন্ধের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
দেবোত্তর সম্পত্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আত্মঘাতী: ঐক্য পরিষদ
১ বছর আগে