৯ দফা দাবি
গাজীপুরে ৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
নয় দফা দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন কাদের সিনথেটিক ফাইবার্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান করেন। কর্তৃপক্ষের কাছে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করার পরও কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা।ি
আরও পড়ুন: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একমাত্র বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ সমাবেশ
শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো
• বেতন ৭-১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে;
• মেডিকেল ছুটি পাস করালে হাজিরা বোনাস থাকতে হবে। এই ছুটি কোনো অফিসের কর্মকর্তা পাস করাতে পারবেন না;
• মেডিকেলে সব ধরনের ওষুধ থাকতে হবে;
• নাইট বিল সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা দিতে হবে;
• বার্ষিক ছুটির টাকা জানুয়ারি মাসে দিতে হবে;
• শ্রমিকের নিরাপত্তার জন্য ছোট বাটন ফোন সঙ্গে আনার অনুমতি দিতে হবে;
• যারা চাকরি ছাড়বেন তাদের সঙ্গে সঙ্গে টাকা পরিশোধ করতে হবে;
• বিনা কারণে কোনো শ্রমিককে বের করা যাবে না; এবং
• যদি কোনো কারণে শ্রমিককে বের করা হয়, তাহলে রানিং মাসের বেতন এবং তিন মাস ১৩ দিনের বেতনসহ রিজাইনের টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ-অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
এ বিষয়ে জানতে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা অওরঙ্গজেব খান গণমাধ্যমকে বলেন, গত মাসের বেতন ১৬ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে পরিশোধ করা হবে। অন্যান্য যে দাবি-দাওয়া আছে তা পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ জামান জানান, শ্রমিকরা ৯ দফা দাবিতে কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
৫৩ দিন আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ওলামা-মাশায়েখদের ৯ দফা দাবি ঘোষণা
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আলেমদের বিরুদ্ধে সব ধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা-মাশায়েখদের ইসলামিক সম্মেলন শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বর) সম্মেলনে বাংলাদেশে কওমি মাদরাসা, তাবলিগ জামাত ও ইসলামকে রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্ট আলেম ও নেতারা।
লাখো মানুষের উপস্থিতির এই সম্মেলন থেকে আলেমরা সরকারের কাছে তাদের নয় দফা দাবি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে গ্লোবাল সাউথ মিডিয়া সামিটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এনায়েতউল্লাহ খান
বক্তারা সম্প্রতি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সাদ কান্ধলভির সমর্থকদের বিচার এবং স্বঘোষিত আমির সাদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনে যোগ দিতে আলেমসহ হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকেন এবং ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ উপস্থিত হয়। সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত চলে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন হাটহাজারীর খলিল আহমদ কাসেমী, মধুপুরের আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শেখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান, ফরিদাবাদের আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী,মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানী, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করিম, ও মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।
সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শত শত আলেমও সম্মেলনে যোগ দিলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, যা সকাল থেকে শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র সার্টিফিকেশন সফটওয়্যার উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা
৩৯৫ দিন আগে