আনিসুল
আদালত প্রাঙ্গণে আনিসুলকে চড়-থাপ্পড়, দৌড়ে রক্ষা
নারায়ণগঞ্জ আদালতে হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তাকে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে সাবেক এই আইনমন্ত্রীর মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি আহত হননি।
এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসাছাত্র সোলাইমান হত্যা মামলায় আনিসুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নেওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে চারদিনের রিমান্ড দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত থেকে নেওয়ার পথে আনিসুল হকের ওপর হামলা করেন আইনজীবীরা। পুলিশের বেষ্টনীর মধ্যেই তার মাথার হেলমেটের ওপর চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন।
এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আনিসুল হককে নিয়ে দৌড়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠান। এর আগে আইনজীবীরাসহ সাধারণ জনগণ আদালতপাড়ায় আনিসুল হকের ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: ২ কিশোরীকে কক্সবাজারে হোটেলে আটকে নির্যাতন, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘শুনানি শেষে আনিসুল হককে আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে নেওয়ার পথে মারধর করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ থাকায় সুযোগ পায়নি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা বিএনপির আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেছি। কিন্তু আইনজীবীদের কেউ মারধর করে নাই। সাধারণ মানুষজন তার প্রতি ক্ষুব্ধ। তারা হামলা করতে পারে। হামলার বিষয়ে আমি বলতে পারছি না।’
২২০ দিন আগে
ফের রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল ও দীপু মনি
সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের আবার বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন। জাসদ সভাপতি ইনু ছাড়া অন্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার আমলে তারা দাপুটে মন্ত্রী ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা অনেক মামলায় নাম রয়েছে তাদের। এর আগেও কয়েক দফায় তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
ইনু, মেনন, দীপু মণির চার দিন করে রিমান্ড
আরও পড়ুন: সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও তার ছেলের চার দিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীপু মণিকে চার দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আওয়ামী লীগ সরকারে মন্ত্রিত্ব ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এই তিন নেতার সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানির সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের আর্জি জানিয়ে শুনানি করেন। রিমান্ড বাতিল চেয়ে পিটিশন জমা দেন আসামিদের আইনজীবীরা।
তবে আইনজীবীরা শুনানি করেননি। পরে আদালত তাদের প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়।
এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওবায়দুলের স্বজন মো. আলী।
আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে হেফাজতে নিয়ে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত সংস্থা অ্যান্ট্রি টেররিজম ইউনিট তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। এদিন শুনানির সময় আনিসুল হককে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বাড়ি দখল করা কথিত সেই নারী সমন্বয়ক ৪ দিনের রিমান্ডে
সাদেক খানেরও তিন দিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহত হওয়ার মালায় এই নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানির সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তবে সাদেক খানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আইনজীবী না থাকায় সাদেক খান নিজে কিছু বলবেন কি না, তার কাছে সেটি জানতে চান আদালত। তখন সাদেক খান বলেন, ‘আমি ওইখানে ছিলাম না। আর গুলি পাব কোথায়?’
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
এসময় তাকে থামিয়ে দেন এক আইনজীবী। তখন তিনি বলেন, ‘আমাকে তো আদালত বলতে বলেছেন।’
পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত বছরের ১৯ জুলাই অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
২৬১ দিন আগে
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল ৫ দিনের রিমান্ডে
ঢাকার উত্তরায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহিন (১৬) হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় মামলা: রিমান্ডে ফারুক খান, ইনু ও মেনন
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ডিপ্লোমা প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাহিন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে আন্দোলনে অংশ নেন। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহিন।
এ ঘটনায় মাহিনের বাবা জামিল হোসেন সোহেল ২১ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
২৮৮ দিন আগে
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান ও আনিসুলসহ ৫ জন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চার থানায় দায়ের হওয়া পৃথক পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত
এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন- সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেপ্তার দেখানো মামলার মধ্যে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা ও উত্তরা পূর্ব থানার একটি হত্যা মামলায় আনিসুল হককে এবং মিরপুর থানার একই মামলায় সালমান এফ রহমান ও কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ব্যারিস্টার সুমনকে খিলগাঁও থানার হত্যা মামলায় এবং লালবাগ থানার হত্যা মামলায় জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুনানিকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। গ্রেপ্তার দেখানোর পর সবাইকে আবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
পৃথক মামলায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো হাজী সেলিমকে
৩৯৩ দিন আগে