পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি নির্বাচন করা হবে যেভাবে
পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামীকাল বুধবার। তবে নতুন পোপ নির্বাচন সম্পন্ন করতে অনুসরণ করা হবে কয়েক শতাব্দীর পুরোনো একটি জটিল ও দীর্ঘ আনুষ্ঠানিকতাকে। সেই আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলে অনুষ্ঠিত হবে কনক্লেভ (পোপ সম্মেলন)। সেখানেই কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন করা হবে নতুন পোপ।
কারা করবেন পোপ নির্বাচন?
ক্যথলিক চার্চসমূহের শীর্ষ ধর্মযাজকরা ‘কলেজ অব কার্ডিনালস নামে’ পরিচিত। এসব কার্ডিনালসদের সকলেই পুরুষ এবং সরাসরি পোপ কর্তৃক নিযুক্ত হন। মূলত তারাই ভোটাভুটি করে নতুন পোপ নির্বাচন করেন। তবে, নতুন ভোটে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন বেঁধে দেওয়া আছে। কার্ডিনালদের বয়স ৮০ বছরের বেশি হলে তারা সরাসরি ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তাই, বর্তমানে সারাবিশ্বে মোট ২৫২ জন ক্যাথলিক কার্ডিনাল থাকলেও্র নতুন পোপ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন ১৩৫ জন। বাকি কার্ডিনালরা নতুন পোপ হিসেবে কাকে নির্বাচিত করা উচিত, সেই বিতর্কে অংশ নিয়ে তারা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন।
আরো পড়ুন: নতুন পোপ নির্বাচন শুরু ৭ মে
তবে, ভ্যাটিকান সূত্র মতে, ৮০ বছর অনূর্ধ ১৩৫ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ২ জন কার্ডিনাল স্বাস্থ্যজনিত কারণে নাম প্রত্যাহার করেছেন বলে জানা যায়। ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের কনক্লেভে অংশ নিবেন ৭১টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের ১৩৩ জন কার্ডিনাল, ফলে এটি হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে ভৌগোলিকভাবে বৈচিত্র্যময় পোপ নির্বাচনী সম্মেলন।
এবার, এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপ থেকে আসা ধর্মযাজকদের মধ্যে থেকেই পরবর্তী পোপ নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি। পোপ নির্বাচিত হতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ কার্ডিনালসদের ভোট পেতে হয়। ফলে এবারের কনক্লেভে পোপ নির্বাচিত হতে হলে ৮৯টি ভোট পেতে হবে।
এবারের কনক্লেভে ইতালি থেকে সবোর্চ্চ সংখ্যক (১৭ জন) কার্ডিনাল অংশ নেবেন। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০ জন, ব্রাজিলের ৭ জন, ফ্যান্স ও স্পেন থেকে ৫ জন করে এবং আর্জন্টিনা, কানাডা, ভারত, পোলান্ড এবং পর্তুগাল থেকে ৪ জন করে ভোটার অংশ নেবেন।
মহাদেশভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী ইউরোপের কার্ডিনালসদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এবারের কনক্লেভে ইউরোপ মহাদেশ থেকে ৫৩ জন কার্ডিনাল অংশ নেবেন। এছাড়া, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ২৩ জন, আফ্রিকা থেকে ১৮ জন, মধ্য আমেরিকা থেকে ৪ জন, দক্ষিণ আমেরিকা ও উত্তর আমেরিকা থেকে যথাক্রমে ১৭ ও ১৬ জন এবং ওশেনিয়া মহাদেশ থেকে ৪ জন কার্ডিনাল কনক্লেভে অংশ নিয়ে নতুন ক্যাথলিক ধর্মগুরু নির্বাচন করবেন।
আরো পড়ুন: ব্যর্থ প্রেমিক থেকে যেভাবে পোপ ফ্রান্সিস হয়ে ওঠেন হোর্গে বারগোগ্লিও
এই নির্বাচন প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন ৯ জন কার্ডিনাল। তবে ঐতিহ্যগতভাবে পোপ নির্বাচনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে এই শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভোটের কার্যক্রম কয়েক পর্বে অব্যাহত থাকে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি পর্বে ব্যালট কেমিক্যাল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এসময় কালো বা সাদা ধোঁয়া তৈরি হয়। যেটি মূলত ফলাফলের সংকেত দেয় বিশ্ববাসীকে। এরমধ্যে কালো ধোঁয়া সংকেত দেয় যে সিদ্ধান্ত হয়নি। আর সাদা ধোঁয়া সংকেত দেয় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর একজন শীর্ষ কার্ডিনাল সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে নতুন পোপের নাম ঘোষণা করবেন।
এবারের পোপ নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে ভ্যাটিকান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পোপ কনক্লেভ শুরু উপলক্ষে স্থানীয় সময় বুধবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভ্যাটিকানে সকল প্রকার মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই সময়ে কার্ডিনালসরা যাতে বাইরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারেন। অথবা বাইরে থেকে পোপ নির্বাচনকে যাতে কেউ প্রভাবিত করতে না পারেন- মূলত সেজন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
২১২ দিন আগে
নতুন পোপ নির্বাচন শুরু ৭ মে
পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ৭ মে থেকে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ক্যাথলিকরা নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য কার্ডিনাল সম্মেলন (পোপ কনক্লেভ) শুরুর এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের পর প্রথম দিনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে কার্ডিনালরা ৫ মে নির্ধারণ করলেও পরে তা দুদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। যাতে গোপন ভোট দেওয়ার আগে একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ পান এবং প্রার্থীর বিষয়ে ঐকমত্য খুঁজে পেতে সহায়ক হয়। আর এই পদক্ষেপটির কারণ হলো সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া ক্যাথলিক কার্ডিনালদের সিস্টিন চ্যাপেলে সীমিত করার পর তাদের আর সেই সুযোগটি থাকবে না।
তবে পোপ সম্মেলনটি ৫ মে’র আগেই শুরু করা যেত। অশীতিপর কার্ডিনালরা অনানুষ্ঠানিক অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নিতে এই সময় বাড়িয়েছেন। তারা মঙ্গলবার আবারও মিলিত হবেন।
পোপ হিসেবে ১২ বছর দায়িত্ব পালনের পর মৃত্যু হয় ফ্রান্সিসের। ক্যাথলিক চার্চের নতুন নেতা কে হবেন, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ১৩৯ কোটি ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এই পোপ।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
কে হচ্ছেন পরবর্তী পোপ?
এখনো উত্তরসূরি নির্বাচন হয়নি। পোপ নির্বাচনের জন্য কলেজ অফ কার্ডিনালস রয়েছে। এতে জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক পাদ্রিদের অনেককেই নিযুক্ত করেছেন সম্প্রতি মারা যাওয়া পোপ ফ্রান্সিস নিজেই। যারাই মূলত পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবেন।
তবে পোপ হওয়ার জন্যও পূরণ করতে হবে কিছু শর্ত। এর মধ্যে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই হতে হবে ব্যাপ্টিস্ট ও রোমান পুরুষ ক্যাথলিক। যদিও এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে কার্ডিনালরা শতাব্দী ধরে তাদের পদ থেকে এককভাবে কাউকে নির্বাচিত করে আসছেন।
সারা বিশ্বে বর্তমানে ২৪০ জনেরও বেশি কার্ডিনাল রয়েছেন। তারা সাধারণত আজীবন এই পদবি ধারণ করে থাকেন।
কিভাবে নতুন পোপ নির্বাচন হবে?
রীতি অনুযায়ী পোপের মৃত্যু হলে বা পদত্যাগ করলে ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা পোপ সম্মেলনে ভোট দেন। বাইরের প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পোপদের সম্মেলনটি সিস্টিন চ্যাপেলে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। যেখানে সম্ভাব্য পরবর্তী পোপের বিষয়ে আলোচনা করেন কার্ডিনালরা।
পোপ নির্বাচনের জন্য সাধারণত ভোটার সংখ্যা ১২০ জনে সীমাবদ্ধতা থাকলে বর্তমানে যোগ্য ভোটার হিসেবে রয়েছেন ১৩৮ জন। ভোটাররা গোপন ব্যালটে পোপ নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। আর এই নির্বাচন প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন ৯ জন কার্ডিনাল। তবে ঐতিহ্যগতভাবে পোপ নির্বাচনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে এই শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভোটের কার্যক্রম কয়েক পর্বে অব্যাহত থাকে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি পর্বে ব্যালট কেমিক্যাল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এসময় কালো বা সাদা ধোঁয়া তৈরি হয়। যেটি মূলত ফলাফলের সংকেত দেয় বিশ্ববাসীকে। এরমধ্যে কালো ধোঁয়া সংকেত দেয় যে সিদ্ধান্ত হয়নি। আর সাদা ধোঁয়া সংকেত দেয় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর একজন শীর্ষ কার্ডিনাল সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে নতুন পোপের নাম ঘোষণা করেন।
কত সময় লাগে নতুন পোপ নির্বাচনে?
নতুন পোপ নির্বাচনে কতটা সময় লাগবে তা নির্ভর করে কার্ডিনালদের বিভক্তির ওপর। এই প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করতে একদিন বা এক সপ্তাহ এমনকি তারও বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিদিন সম্মেলনে পোপ নির্বাচনের জন্য চার দফা ভোট দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন কার্ডিনালরা। ৩৩টি পর্বে ভোটগ্রহণেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থী দ্বিতীয় দফার ভোটে মুখোমুখি হবেন।
সর্বশেষ তিনটি পোপ নির্বাচনে তুলনামূলক কম সময় লেগেছে। এই নির্বাচনগুলোতে মাত্র কয়েক দিন লেগেছে। তবে পোপ নির্বাচনে দীর্ঘ সময় লাগারও ইতিহাস রয়েছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ১২৭১ সালে পোপ গ্রেগরি দশমকে নির্বাচন করতে সময় লেগেছিল তিন বছর।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভ্যাটিকানের সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল। যাকে বলা হয় ক্যামারলেঙ্গো। ক্যামারলেঙ্গো মূলত পোপ মারা যাওয়ার পর কিংবা পদত্যাগের পর নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কালে ভ্যাটিকানের দায়িত্ব পালন করাকে বোঝায়। চার্চের মতবাদ বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এই ক্যামারলেঙ্গোর থাকে না।
বর্তমান ক্যামারলেঙ্গো হলেন আয়ারল্যান্ডের বংশোদ্ভুত কার্ডিনাল কেভিন ফারেল। তিনি ভ্যাটিকানের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
২২০ দিন আগে
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সদ্যপ্রয়াত ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের বাসিলিকা গির্জার সামনের চত্বরে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিসহ বিশ্বনেতারা যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন অধ্যাপক ইউনূসের কাজের একজন বড় ভক্ত। তিনি বারবার ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
বিশেষ করে, অধ্যাপক ইউনূসের ‘তিন শূন্য’ নীতি, যেখানে পৃথিবীতে কোনো দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ থাকবে না, তা পোপ ফ্রান্সিস গভীরভাবে সমর্থন করতেন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ড. ইউনূসের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাটিকানে ‘তিন শূন্য উদ্যোগ’ চালু করেন পোপ।
আরও পড়ুন: রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
এর আগে, পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এবং তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল (শুক্রবার) ইতালির রোম পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোমে পৌঁছায়। সেখানে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
এরপর গতকালই বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন ক্যাথলিক ধর্মানুসারী থেকে শুরু করে শোকাহত হাজারো মানুষ।
ভ্যাটিকানের তথ্য অনুসারে, সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের চারপাশে প্রায় ২ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অন্তত ১৬২টি প্রতিনিধি দল উপস্থিত রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৫০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও ১০ জন ক্ষমতাসীন রাজা রয়েছেন। আরও উপস্থিত রয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি কার্ডিনাল এবং প্রায় ৪ হাজার ধর্মযাজক।
বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার (২১ এপ্রিল) ৮৮ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে তার মরদেহ সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় আনা হয়। ভক্তরা যাতে এই ধর্মগুরুকে শেষবারের মতো দেখতে পারেন, সে লক্ষ্যে ওইদিন সারা রাত খোলা রাখা হয়েছিল বাসিলিকা।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন শেষ হয়। এই তিন দিনে আড়াই লাখের বেশি মানুষ পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভ্যাটিকান।
এদিকে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান শেষে আগামীকাল (রবিবার) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) ড. ইউনূস রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। এরপর সোমবার ভোরে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপ-প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: ব্যর্থ প্রেমিক থেকে যেভাবে পোপ ফ্রান্সিস হয়ে ওঠেন হোর্গে বারগোগ্লিও
২২২ দিন আগে
রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ও তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ (শুক্রবার) ইতালির রোম পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোমে পৌঁছায়। সেখানে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার প্রধান উপদেষ্টার রোমে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগামীকাল শনিবার ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আজ দোহা থেকে সরাসরি রোমে যান ড. ইউনূস।
কাতারের চিফ অব প্রটোকল ইব্রাহিম বিন ইউসিফ আবদুল্লাহ ফাখরু দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে বিদায় জানান।
ইতালিতে পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পর শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি।
ভ্যাটিকান সিটির ভিকার জেনারেল, পরম শ্রদ্ধেয় কার্ডিনাল মাউরো গাম্বেত্তি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানাবেন।
এরপর শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন ড. ইউনূস।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) তিনি রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন এবং সোমবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যর্থ প্রেমিক থেকে যেভাবে পোপ ফ্রান্সিস হয়ে ওঠেন হোর্গে বারগোগ্লিও
২২৩ দিন আগে
পোপের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ভ্যাটিকানের উদ্দেশে কাতার ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এবং তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ (শুক্রবার) ভ্যাটিকানের উদ্দেশে কাতার ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট) ভ্যাটিকান শহরের উদ্দেশে তিনি কাতার ত্যাগ করেন। কাতারের চিফ অব প্রটোকল ইব্রাহিম বিন ইউসিফ আবদুল্লাহ ফাখরু দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে বিদায় জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা দুপুর ২টা ১৫মিনিটে (ইতালি সময়) রোমে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ভ্যাটিকান সিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাকে স্বাগত জানাবেন।
ইতালিতে পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পর প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে যাবেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
ভ্যাটিকান সিটির ভিকার জেনারেল, পরম শ্রদ্ধেয় কার্ডিনাল মাউরো গাম্বেত্তি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানাবেন।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) তিনি রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন এবং সোমবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২২৩ দিন আগে
সাদা ধোঁয়ায় কার নাম ভাসবে ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে?
পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হচ্ছেন তা নিয়ে এখন বেশ আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামও আসছে সামনে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শীর্ষ এই ধর্মীয় গুরু নির্বাচন করা হবে। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২১ এপ্রিল) ৮৮ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিস মারা যাওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করে ভ্যাটিকান। এরপর বিশ্বব্যাপী পরবর্তী পোপ নির্বাচন নিয়ে চলছে আলোচনা।
পোপ হিসেবে ১২ বছর দায়িত্ব পালনের পর মৃত্যু হয় ফ্রান্সিসের। ক্যাথলিক চার্চের নতুন নেতা কে হবেন, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ১৩৯ কোটি ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এই পোপ।
কে হচ্ছেন পরবর্তী পোপ?
এখনো উত্তরসূরি নির্বাচন হয়নি। পোপ নির্বাচনের জন্য কলেজ অফ কার্ডিনালস রয়েছে। এতে জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক পাদ্রিদের অনেককেই নিযুক্ত করেছেন সম্প্রতি মারা যাওয়া পোপ ফ্রান্সিস নিজেই। যারাই মূলত পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবেন।
তবে পোপ হওয়ার জন্যও পূরণ করতে হবে কিছু শর্ত। এর মধ্যে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই হতে হবে ব্যাপ্টিস্ট ও রোমান পুরুষ ক্যাথলিক। যদিও এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে কার্ডিনালরা শতাব্দী ধরে তাদের পদ থেকে এককভাবে কাউকে নির্বাচিত করে আসছেন।
সারা বিশ্বে বর্তমানে ২৪০ জনেরও বেশি কার্ডিনাল রয়েছেন। তারা সাধারণত আজীবন এই পদবি ধারণ করে থাকেন।
কিভাবে নতুন পোপ নির্বাচন হবে?
রীতি অনুযায়ী পোপের মৃত্যু হলে বা পদত্যাগ করলে ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা পোপ সম্মেলনে ভোট দেন। বাইরের প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পোপদের সম্মেলনটি সিস্টিন চ্যাপেলে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। যেখানে সম্ভাব্য পরবর্তী পোপের বিষয়ে আলোচনা করেন কার্ডিনালরা।
আরও পড়ুন: প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যেভাবে ধর্মের পথে পা বাড়ান পোপ ফ্রান্সিস
পোপ নির্বাচনের জন্য সাধারণত ভোটার সংখ্যা ১২০ জনে সীমাবদ্ধতা থাকলে বর্তমানে যোগ্য ভোটার হিসেবে রয়েছেন ১৩৮ জন। ভোটাররা গোপন ব্যালটে পোপ নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। আর এই নির্বাচন প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন ৯ জন কার্ডিনাল। তবে ঐতিহ্যগতভাবে পোপ নির্বাচনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে এই শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভোটের কার্যক্রম কয়েক পর্বে অব্যাহত থাকে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি পর্বে ব্যালট কেমিক্যাল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এসময় কালো বা সাদা ধোঁয়া তৈরি হয়। যেটি মূলত ফলাফলের সংকেত দেয় বিশ্ববাসীকে। এরমধ্যে কালো ধোঁয়া সংকেত দেয় যে সিদ্ধান্ত হয়নি। আর সাদা ধোঁয়া সংকেত দেয় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর একজন শীর্ষ কার্ডিনাল সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে নতুন পোপের নাম ঘোষণা করেন।
কখন শুরু হবে পোপ নির্বাচনের সম্মেলন?
পোপের মৃত্যু বা পদত্যাগের দুই বা তিন সপ্তাহ পর সাধারণত পোপ নির্বাচনের সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পোপের মৃত্যুর পর নয়দিন শোক পালন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে থাকা কার্ডিনালরা ভ্যাটিকানে আসেন।
২০১৩ সালের পোপ সম্মেলনে ফ্রান্সিসকে পোপ নির্বাচন করা হয়। তিনি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ। ষোড়শ পোপ বেনেডিক্টের পদত্যাগের মাত্র ১২ দিন পর তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কত সময় লাগে নতুন পোপ নির্বাচনে?
নতুন পোপ নির্বাচনে কতটা সময় লাগবে তা নির্ভর করে কার্ডিনালদের বিভক্তির ওপর। এই প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করতে একদিন বা এক সপ্তাহ এমনকি তারও বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থার অবনতি
প্রতিদিন সম্মেলনে পোপ নির্বাচনের জন্য চার দফা ভোট দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন কার্ডিনালরা। ৩৩টি পর্বে ভোটগ্রহণেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থী দ্বিতীয় দফার ভোটে মুখোমুখি হবেন।
সর্বশেষ তিনটি পোপ নির্বাচনে তুলনামূলক কম সময় লেগেছে। এই নির্বাচনগুলোতে মাত্র কয়েক দিন লেগেছে। তবে পোপ নির্বাচনে দীর্ঘ সময় লাগারও ইতিহাস রয়েছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ১২৭১ সালে পোপ গ্রেগরি দশমকে নির্বাচন করতে সময় লেগেছিল তিন বছর।
পরবর্তী পোপ নির্বাচনের জন্য শীর্ষ প্রার্থী যারা
প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস পরবর্তী পোপ নির্বাচনের জন্য পোপ নির্বাচন পরিষদের ১৩৮ সদস্যের মধ্যে ১১০ জন কার্ডিনালকে মনোনীত করেছেন। এসব কার্ডিনাল ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় অবস্থান করছেন, যা আগের নির্বাচকদের তুলনায় বেশি বৈচিত্র্যময়।
সারা বিশ্ব থেকে কার্ডিনাল মনোনয়ন পোপ ফ্রান্সিসের বিশ্বব্যাপী চার্চের সম্প্রসারণ নীতিকে তুলে ধরে। সবচেয়ে কম বয়সী কার্ডিনালের বয়স ৪৫ বছর, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী একজন ইউক্রেনীয় ধর্মযাজক।
এর ফলে এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে যে, এবার শতাব্দীর পর প্রথমবারের মতো পরবর্তী পোপ আফ্রিকা, এশিয়া অথবা অন্য কোনো অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হতে পারে, নিতে পারে গির্জার নেতৃত্ব।
পিটার তুর্কসন (ঘানা)
তুর্কসন আফ্রিকার প্রভাবশালী কার্ডিনালদের মধ্যে শীর্ষ একজন। তিনি জাস্টিস অ্যান্ড পিসের পন্টিফিকাল কাউন্সিলের সাবেক প্রধান। এছাড়া তিনি কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ফ্রিডোলিন অ্যাম্বোঙ্গো, কিনশাসার আর্চবিশপ। অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার, পরিবেশগত সমস্যা এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। জাতিসংঘে আফ্রিকান জনগণের অধিকার নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
লুইস আন্তোনিও ট্যাগলে (ফিলিপাইন)
আরেকজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হলেন ফিলিপাইনের প্রাক্তন আর্চবিশপ ট্যাগলে পোপ। যিনি ফ্রান্সিসের বিশেষ পরামর্শদাতা ছিলেন। লাতিন আমেরিকার ক্যাথলিকদের জন্য তার ভূমিকার জন্য পরিচিত তিনি। তিনি ধর্মীয় অসাম্প্রদায়িকতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দরিদ্রদের প্রতি যত্ন নেওয়ার ওপর জোর দেন।
পিটার এর্দো (হাঙ্গেরি)
শীর্ষস্থানীয় রক্ষণশীল প্রার্থী হিসেবে দেখা হয় হাঙ্গেরীয় কার্ডিনাল পিটার এর্দোকে। তিনি পূর্ব খ্রিষ্টানদের মধ্যে সম্পর্কের সেতু হিসেবে কাজ করতে পারেন। তিনি আইন এবং ধর্মীয় তত্ত্বে বিশেষজ্ঞ এবং পোপ ফ্রান্সিসের একজন ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা ছিলেন।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন
তিনি একটি আধুনিক গির্জার পক্ষে কাজ করছেন এবং সমকামীদের বিরুদ্ধে পোপের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেছেন। এসটারগম-বুদাপেস্টের আর্চবিশপ এরদো ঐতিহ্যবাদী অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের কাছে পৌঁছানোর পক্ষে ছিলেন এবং গির্জার মধ্যে ঐক্যের ‘ব্যাপক প্রয়োজনের’ ওপর জোর দিয়েছিলেন।
পিয়েত্রো প্যারোলিন (ইতালি)
এই তালিকায় রয়েছেন দীর্ঘ সময় ধরে ভ্যাটিকান সরকারের প্রধান হিসাবে কাজে নিযুক্ত পিয়েত্রো প্যারোলিন। পোপ ফ্রান্সিসের সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন ইতালির এই কার্ডিনাল। শীর্ষ কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য তিনি সকল কার্ডিনালের কাছে পরিচিত। তিনি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং ভ্যাটিকানের কূটনৈতিক কার্যক্রমে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন।
তার কূটনৈতিক দক্ষতার কারণে ২০১৩ সালে পোপ ফ্রান্সিস তাকে এই পদে নিযুক্ত করেন। কূটনীতি, প্রশাসন এবং বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে গভীর অভিজ্ঞতা তাকে পোপ হওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী প্রার্থী করে তুলেছে।
ম্যাটেও মারিয়া জুপ্পি (ইতালি)
পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইতালির কার্ডিনাল বোলোগনার আর্চবিশপ ম্যাটেও মারিয়া জুপ্পি। ক্যাথলিক সমাজে একটি প্রগতিশীল কণ্ঠস্বর, বিশ্ব শান্তির জন্য পোপ ফ্রান্সিসের বিশেষ শান্তির দূত হিসেবে ইউক্রেনে নিযুক্ত হয়েছেন এই কার্ডিনাল। তিনি বিশেষত সেন্ট’ইজিডিও রোমান সম্প্রদায়ের সদস্য এবং অভিবাসী ও সমকামী ক্যাথলিকদের জন্য তার ভূমিকার জন্য সুপরিচিত। গত কয়েক বছরে ইউরোপীয় শান্তি ও মানবাধিকার বিষয়ে তার দৃঢ় অবস্থান রয়েছে।
এছাড়াও বিশপদের সিনডের মহাসচিব ও মাল্টার কার্ডিনাল মারিও গ্রেচ শীর্ষ প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন। পোপ নির্বাচনের সময় ভ্যাটিকানের কী হবে?
নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভ্যাটিকানের সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল। যাকে বলা হয় ক্যামারলেঙ্গো। ক্যামারলেঙ্গো মূলত পোপ মারা যাওয়ার পর কিংবা পদত্যাগের পর নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কালে ভ্যাটিকানের দায়িত্ব পালন করাকে বোঝায়। চার্চের মতবাদ বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এই ক্যামারলেঙ্গোর থাকে না।
বর্তমান ক্যামারলেঙ্গো হলেন আয়ারল্যান্ডের বংশোদ্ভুত কার্ডিনাল কেভিন ফারেল। তিনি ভ্যাটিকানের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
২২৬ দিন আগে
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক প্রকাশ
খ্রিস্টান ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২১ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন এক মহান আত্মা—যিনি সহানুভূতি, বিনয় এবং শান্তি ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘মানব মর্যাদা রক্ষায় তার নৈতিক স্পষ্টতা ও অটল অঙ্গীকার তাকে বিশ্বের সব ধর্ম ও জাতির মানুষের কাছে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।’
বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে পোপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি ক্যাথলিক সম্প্রদায়সহ বিশ্বের সব শোকাহত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যেভাবে ধর্মের পথে পা বাড়ান পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিসের জীবন ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
উল্লেখ্য, বহু বিষয়ে সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত পোপ ফ্রান্সিস সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। ধর্মগুরুর দায়িত্ব পালনকালে কিছু ঐতিহাসিক সমস্যার সমাধানে তার চেষ্টাকে মূল্যায়ন করা হলেও, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অতীতের নানা বিতর্কিত বিষয় কাটিয়ে ওঠার লড়াই তিনি পুরোপুরি জয় করতে পারেননি। তবুও তিনি বিশ্বের নানা ধর্মের মানুষের কাছে ছিলেন শান্তি ও মানবিকতার প্রতীক।
২২৭ দিন আগে
ব্যর্থ প্রেমিক থেকে যেভাবে পোপ ফ্রান্সিস হয়ে ওঠেন হোর্গে বারগোগ্লিও
ইউরোপেীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটা আর বাংলাদেশ সময় দুপুর থেকেই সারা বিশ্বের প্রধান খবর হয়ে গেছেন পোপ ফ্রান্সিস। এর আগেও একাধিকবার তিনি বিশ্ব গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তবে এবারের শিরোনামটি সবচেয়ে ব্যথিত—মারা গেছেন নন্দিত এই ধর্মীয় নেতা।
দারুণ দারুণ সব উদ্যোগ নিয়ে আর খবরের শিরোনাম হতে হবে না তাকে। ৮৮ বছরেই জীবনযাত্রা শেষ হলো এই ধর্মযাজকের। তবে শুরুতে কিন্তু ধর্মের আশপাশেও ছিলেন না তিনি। ছিলেন রসায়ন প্রযুক্তির শিক্ষার্থী। নামও ছিল ভিন্ন—হোর্গে মারিও বারগোগ্লিও।
১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসের ফ্লোরেসে জন্মগ্রহণ করেন হোর্গে মারিও বারগোগ্লিও। রেলের কর্মী বাবা হোসে মারিও বারগোগ্লিও এবং গৃহিণী মা রেগিনা মারিয়া সিভোরির পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছিলেন হোর্গে।
পরিবারটি ছিল ইতালীয় অভিবাসী, মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী শাসনামলে পালিয়ে তারা আর্জেন্টিনায় আশ্রয় নেন।
শৈশব ও প্রাথমিক জীবন
শৈশবে খুবই সাধারণ পারিবারিক আবহে বড় হয়ে ওঠেন হোর্গে, যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সচেতনতার প্রভাব তার ব্যক্তিত্ব গঠন করে।
বুয়েনস এইরেসের রামোস মেহিয়া শহরে অবস্থিত উইলফ্রেদ বারন দে লস সানতোস আনহেলেস স্কুলে শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক পাঠ নেন তিনি। পরবর্তীতে এসকেলা তেকনিকা নাসিওনাল (ন্যাশনাল টেকনিকাল স্কুল) থেকে রসায়ন প্রযুক্তিবিদ হিসেবে ডিপ্লোমা অর্জন করেন।
২২৭ দিন আগে
পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এমন খবর দিয়েছে। ল্যাটিন আমেরিকান ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম কোনো পোপ। এরআগে মহাদেশটি থেকে কোনো পোপ নির্বাচিত হননি। যাপিত জীবনে বিনয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত ছিলেন তিনি। দরিদ্রদের নিয়ে তার উদ্বেগ ও পুঁজিবাদের সমালোচনায় মুখর ছিলেন তিনি। এছাড়া বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও তাকে সরব থাকতে দেখা গেছে।
কার্ডিনাল কেভিন ফেরেল তার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর রোমের গির্জাগুলোতে ঘণ্টাধ্বনি বাজানো হয়েছে। কেভিন ফেরেল বলেন, ‘আজ (রবিবার) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে স্বর্গে গমন করেছেন রোমের বিশপ। প্রভু ও তার গির্জার জন্য নিজের পুরো জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থার অবনতি
শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেওয়ায় অসুস্থ হয়ে গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস রোগে আক্রান্ত ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তরুণ বয়সে তার ফুসফুসের একটি অংশ কেটে ফেলতে হয়েছিল।
১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ৩৮ দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এই ধর্মীয় গুরুকে। তার গেল এক যুগের পোপজীবনে এটা ছিল সবচেয়ে বেশি সময়ে হাসপাতালে থাকা।
কিন্তু মৃত্যুর আগের দিন রবিবার ইস্টার সানডেতে জড়ো হওয়া কয়েক হাজার লোককে আশীর্বাদ জানাতে তিনি সেন্ট পিটার্স চত্বরে আসেন। পোপমোবাইলে—পোপের জন্য বানানো বিশেষ গাড়ি—চড়ে হাজির হলে লোকজন তাকে দেখে উল্লাশ প্রকাশ করেন।
২০১৩ সালের ১৩ মার্চের এক বৃষ্টিভেজা রাতে দুই হাজার বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠানে এসে নতুন বাতাসে শ্বাস নেন আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া জর্জ মারিও বার্গোগ্লিও। এমন এক সময়ে তিনি পোপ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন প্রতিষ্ঠানটির প্রভাব ছিল অনেকটা কমতির দিকে।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আকস্মিক পদত্যাগ করেন পোপ এ্যামিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্ট। ১৪১৫ সালে ত্রয়োদশ গ্রেগরির পর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি মৃত্যুর আগেই পোপের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। এরপর নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছিলেন ফ্রান্সিস। কিন্তু তার নেওয়া কিছু প্রগতিশীল পদক্ষেপে রক্ষণশীলদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিস-অধ্যাপক ইউনূসের নামে যৌথ উদ্যোগ চালু করল ভ্যাটিকান
তাকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় ২০১৮ সালে। তখন চিলিতে ধর্মযাজকের যৌন হয়রানির ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে তিনি ঘটনাটি জোড়াতালি দিয়ে সুরাহা করার চেষ্টা করেন। এতে যারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন, তারা ব্যথিত হন এবং পোপের সমালোচনা করেন।
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এ সময় তিনি ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করে সবার পক্ষ থেকে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
২২৭ দিন আগে
পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থার অবনতি
রোমান ক্যাথলিকদের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। স্থানীয় সময় রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোপের অবস্থা গতকাল শনিবারের চেয়ে অবনতি হয়েছে।’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়, নিউমোনিয়া ও ফুসফুস সংক্রমণের কারণে নাজুক শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন পোপ। তিনি অ্যাজমা সংক্রান্ত শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন। তবে ৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরুর হুঁশ আছে।
তাকে শ্বাপ-প্রশ্বাস চালিয়ে নেওয়ার জন্য উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। শরীরে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। এছাড়িাও তার ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি শ্বাসনালির প্রদাহে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে রোমের জেমেল্লি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রিন্স আগা খান চতুর্থ আর নেই
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পবিত্র পিতার অবস্থা এখনো গুরুতর। পোপ এখনো বিপদমুক্ত নন।’ গত শুক্রবার তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরে এই প্রথম ‘গুরুতর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের চিকিৎসক ডা. সার্জিও আলফেরি জানান, পোপ জানেন তার শারীরিক অস্থা ভালো নয়। তিনি চান তার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোলাখুলি তথ্য দেওয়া হোক। এ কারণে ভ্যাটিকান থেকে প্রতিদিন তার শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২১ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের ফুসফুসের একটি অংশ অপসারণ করতে হয়েছিল। পরে তার ফুসফুসের চারপাশে এক ধরনের প্রদাহ তৈরি হয়। সে কারণে তিনি ফুসফুস সংক্রমণের ঝুঁকিতে ছিলেন।
গত ১২ বছরে এই পোপকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের মার্চ ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ৩ রাত হাসপাতালে ছিলেন।
২৮৪ দিন আগে