ভাই
বোনের প্রেমিকাকে হত্যা: ভাইসহ দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় বোনের প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে ভাইসহ দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিঞার ছেলে মো. শামীম মিয়া এবং একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সাল রাজনগর এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ফয়সালের সঙ্গে শামীম মিয়ার বোনের প্রেমের সম্পর্কের জেরে ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সালকে হত্যা করে লাশটি বিদ্যালয়ের মাঠে মাটিতে পুঁতে রাখে শামীম। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শামীম মিয়া ও দুলাল মিয়াকে আটক করে। আসামিদের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে মো. শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম সরকার জানান, মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে আসামি শামীম মিয়া ও তার মামাতো ভাই দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে পাঠান। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামি শামীম মিয়া ও দুলাল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে এবং রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মো. নূরুল ইসলাম।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এই রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট। এছাড়া রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বোনকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হলো না ভাইয়ের
খুলনায় মোটরসাইকেলে বোনকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকচাপায় মান্নান মন্ডল নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলে থাকা তার বোন ইতি রাণী।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগডোব ডিমজাওন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাকচাপায় নারীসহ নিহত ৩
মান্নান মন্ডল নিয়ামতপুর উপজেলার জিনপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে এবং খুলনার একটি এনজিওতে ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন।
নওগাঁর মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন জানান, মান্নান মন্ডল মোটরসাইকেল করে বোন ইতিকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকচাপায় মান্নানের মৃত্যূ হয়।
অপরদিকে বোন ইতি রাণী সামান্য আহত হন। আর ভাইয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না ইতি রানী।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর পরই ট্রাক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ট্রাকটি ও চালক-সহযোগীকে আটক করতে পুলিশের টিম কাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মান্নান মন্ডলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য মান্নান মন্ডলের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু
যশোরে ভাই ও মা-বাবার মারধরে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
যশোরের চৌগাছায় ছোট ভাই ও মা-বাবার মারধরে রেজাউল ইসলাম সাইমন নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার নিজ বাড়িতে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তাকে পাশ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
নিহত রেজাউল ইসলাম ওরফে সাইমন উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর ঢাকাপাড়া গ্রামের আয়তাল হকের ছেলে।
নিহতের দেড় বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা আয়তাল হক এবং মা সালেহা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া ছোট ভাই ইসরাফিল পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় আইনজীবীর মৃত্যু
ভাইকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, মায়ের অভিযোগে তিন ভাই আটক
বগুড়ার শিবগঞ্জে বসতবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বড় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তেঘরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের মা জামিলা বেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- নির্যাতনের শিকার মিলন, ওই এলাকার জাহিদুল ইসলাম ও মিনহাজুল ইসলাম। তারা তেঘরী এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার তেঘরী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর থেকে বসত বাড়ির ২৭ শতক জায়গা নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধের জেরে সোমবার সকালে ছোট ভাই মিলন বাঁশের বেড়া দিয়ে তার সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে অপর সহদর ভাই জাহিদুল ইসলাম ও মিনহাজুল ইসলাম তাকে বাধা প্রদান করে ও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে ছোট ভাই মিলনকে আম গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মা জামিলা বেওয়া ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মা জামিলা বেওয়া বলেন, বাড়ির পার্শ্বে ফাঁকা জায়গায় মিলন বেড়া দিতে গেলে আমার বড় দুই ছেলে তাকে বাধা দিয়ে ও ছোট ছেলেকে আম গাছের সঙ্গে হাত পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করে।
এ ব্যাপারে বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাই মিলন একজন মাদক সেবনকারী। সে যেকোনো সময় মারধরসহ খুন জখমের ঘটনা ঘটাতে পারে। সেজন্য তাকে আম গাছের সঙ্গে হাত, পা বেঁধে রাখা হয়েছিল।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে তিন ভাইকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বাঘায় স্ত্রীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীর বাঘায় গাছ কাটার বিরোধে মখলেসুর রহমান (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
মখলেসুর রহমান বাঘা পৌরসভার গাওপাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত হায়দার আলীর ছেলে। ভগ্নিপ্রতি কামাল হোসেন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, বাঘা পৌরসভার গাওপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত হায়দার আলীর মেয়েকে বিয়ে করে একই গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে কামাল হোসেন। স্ত্রীর জমির অংশ নিয়ে কামালের সঙ্গে মখলেসুর রহমানের দ্বন্দ্ব চলছিল। কামালের স্ত্রীর অংশের জমিতে দুইটি কদম গাছ ছিল। এই গাছ কাটতে যায় কামাল হোসেন।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবির্তক শুরু হয়। এক পর্যায়ে কামাল হোসেন উত্তেজিত হয়ে ইট ও গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাকিব আহম্মেদ তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
এ বিষয়ে নিহত মখলেসুর রহমানের ছেলে সাগর হোসেন বলেন, বাড়ির পাশে দুটি কদম গাছ ছিল। এরমধ্যে একটি গাছ কেটে নিতে বলা হয়। সে দুইটি গাছই কাটবে এ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
ফরিদপুরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
ফরিদপুরের নগরকান্দায় একসঙ্গে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই চাচাতো ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা চরযশরদী ইউনিয়নের আলগাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই ভাই-বোন হলো- আবু বক্কর (৫) আলগাদিয়া গ্রামের মো. জাফর শেখের একমাত্র ছেলে এবং নাহিদা আক্তার (৪) শফিকুল ইসলামের মেয়ে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৭ মাসের শিশুসহ প্রাণ গেল ২ জনের
আলগাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসরাইল হোসেন জানান, বুধবার দুপুর দিকে শিশু আবু বক্কর ও নাহিদা একসঙ্গে খেলতে বের হয়। তারা খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে একটি পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজন ওই দুই শিশুকে অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করে। বাড়ির আশপাশে তাদের খোঁজ না পেয়ে পুকুরে নেমে সন্ধান করে। একপর্যায় পুকুরের পানির ভেতর থেকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, জাফর শেখ বিয়ের ১২ বছর পর সন্তানের বাবা হন। তাই একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার পরিবার পাগলের মতো হয়ে গেছে।
চরযশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফকির দুই শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই শিশুর এমন মৃতুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমরা শোকাহত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে আটকে ২ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে লক্ষাধিক মেট্রিক টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেয়াল চাপায় ভাই-বোনের মৃত্যু, আহত-৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় ঘুমন্ত অবস্থায় ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- মিশু (১০) ও তার ভাই রাফিন (১২)। তারা উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মো. মন্নাফ মিয়ার সন্তান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা খুন
এ ঘটনায় পিতা মন্নাফ (৪২) তার আরেক মেয়ে ইসু (১০) ও স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩৫) আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে খাওয়ার পর দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ স্ত্রী নিয়ে মন্নাফ মিয়া ঘুমাতে যান। রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় মাটির দেয়াল ভিজে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ভোরে হঠাৎ পাশের আরেকটি পরিত্যক্ত মাটির ঘরের দেয়াল ধসে তাদের ঘরের উপর পড়ে।
মাটির দেয়াল চাপায় ঘরে থাকা ৫ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিশু ও রাফিনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গুরুত্বর আহত অবস্থায় ইসুকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ভাই শফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সাদিকুল ইসলাম শ্রীরামপুর গ্রামের আফসার আলী ওরফে পাঠানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে বাসচালকের সহকারী খুন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড় ভাই শফিকুল ইসলাম ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। এই টাকা চাওয়া নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বড় ভাই শফিকুল ধারাল অস্ত্র দিয়ে ছোট ভাইকে আঘাত করেন। এরপর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা সাদিকুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে সাদিকুল ইসলাম মারা যান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, রাতেই সদর উপজেলার পলশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বড় ভাই শফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে ইউপি সদস্য খুনের অভিযোগ
হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০
খাগড়াছড়িতে পানিতে ডুবে ২ ভাই-বোনের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ক্যামেরুন পাড়ার ঝিরিতে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত অপু বিশ্বা ত্রিপুরা (৭) ও চনে রঞ্জন ত্রিপুরা (৫) গুইমারার ক্যামেরুন পাড়ার নজ মহন ত্রিপুরার সন্তান।
পুলিশ জানায়, রবিবার গুইমারার ক্যামেরুন নামক স্থানে দুই শিশু ঝিরির পানিতে খেলতে গিয়ে গভীর পানিতে পড়ে যায়। শেষ বিকালে তাদের বাবা-মা জুমের কাজ সেরে ঘরে সন্তানদের না দেখে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ঝিরির পানিতে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কর বলেন, মৃত দুই শিশুর সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
নাটোরে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের আক্তারুজ্জামান হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
এসময় আসামি আল আমিন ও এনামুল হক ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের তিন ছেলে আসাদ মিয়া, আবুল কাশেম, ফালান মিয়া ও একই এলাকার রফিকের ছেলে আল-আমিন, এনামুল হক, সুমন মিয়া ও মাসুদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আল-আমিন ও এনামুল হক ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান কাওনা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় বাড়ির কাছে পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আশরাফুন্নেছা বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর ৭ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালকে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন