কুয়াকাটা
উদ্বোধনের আগেই সমুদ্রে বিলীন কুয়াকাটার ‘মেরিন ড্রাইভ’
নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হলেও উদ্বোধনের আগেই জোয়ারের তোড়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুয়াকাটার মেরিন ড্রাইভের আদলে নির্মিত সড়কের বড় অংশ ধসে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া জোয়ারের তাণ্ডবে জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্বদিকে নির্মাণাধীন দুই কিলোমিটার সড়কের একাধিক অংশ ধসে পড়ে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ বক্স, সরদার মার্কেট, ফুচকা মার্কেটসহ একাধিক স্থাপনা সাগরের ঢেউয়ে বিলীন হয়েছে। মাইকিং করে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।
তবে মেরিন ড্রাইভ সড়কের এই বেহাল দশার জন্য নিম্নমানের কাজ ও পর্যাপ্ত তদারকির অভাবকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি নির্মাণকালে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের তদারকির ঘাটতি ছিল।
দ্রুত মেরিন ড্রাইভ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তাদের আশঙ্কা, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে পুরো প্রকল্পটি ধ্বংস হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নদীভাঙন ও তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে দিশেহারা কুড়িগ্রামবাসী
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বশার বলেন, ‘সামনে বর্ষাকাল আসছে, সমুদ্র তখন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। সেই সময় মেরিন ড্রাইভের বেহাল দশা আরও বাড়বে।’
১৮৯ দিন আগে
কুয়াকাটায় উত্যক্তকারীর মাথা ন্যাড়া করে দিলেন জনতা
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার ইভটিজিংয়ের দায়ে রেজাউল গাজী (৪০) নামের এক অটোচালকের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের এতিমখানা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এরই মধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইভটিজিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত রেজাউলের বাড়ি টিয়াখালী ইউনিয়নে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ৪ লাখ পিস ইয়াবাসহ ১৬ জন গ্রেপ্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল কলাপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী শিশু থেকে শুরু করে অনেক নারীকে উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি সঙ্গে অশালীন অঙ্গ ভঙ্গি প্রদর্শন করে আসছেন। পরে আজ সন্ধ্যায় একই আচরণ করলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর শেষে মাথা ন্যাড়া করে দেয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬৫ দিন আগে
কুয়াকাটায় আবেদ আলীর কথিত ‘হোটেল সান মেরিনা’ টক অব দ্য টাউন
'হেটেল সান মেরিনা' পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থিত। এ হোটেলটির নির্মাণ কাজ এখনো শুরুই হয়নি। তবুও এখন হোটেলটি টক অব দ্য টাউন। নিজের মালিকানা উল্লেখ করে সামাজিক মাধ্যমে সৈয়দ আবেদ আলী একটি পোস্ট দেওয়ার পরই আলোচনায় এসেছে হোটেলটি।
সৈয়দ আবেদ আলী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ( বিসিএস) পরীক্ষাসহ অন্তত ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত। তিনি পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক।
সোমবার(৮ জুলাই) দুপুর থেকে এ হোটেলটি নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়ে নানা রকমের পোষ্ট দিয়েছেন কুয়াকাটাসহ সারাদেশের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবেদ আলীর বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায়। তার বাবার নাম আবদুর রহমান মীর। ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি ইতোমধ্যে এলাকায় পোস্টার-ব্যানার টানিয়েছেন।
গত ১৮ মে আবেদ আলী তার ফেসবুক পেজে এ হোটেল নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। তবে গত দু'দিন ধরে এ বিষয়টি কলাপাড়া-কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষের চোখে পড়ে। সান মেরিনা হোটেল নিয়ে আবেদ আলী তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন হোটেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। সমুদ্রকণ্যার পাড়ে আজীবন নিজের জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা ও একই সঙ্গে একটা হোটেলের মালিকানা অর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার কিনতে যোগাযোগ করুন।’
সান মেরিনা হোটেলটি এখনও নির্মিত হয়নি। নির্ধারিত জায়গাটিও খালি পড়ে আছে। সামনের অংশে ৭ থেকে আটটি টিনশেড দিয়ে তৈরি রুম আছে। এ ছাড়া হোটেলটি কোন ডিজাইনে হবে তার ছবি দিয়ে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো রয়েছে হোটেলের নির্ধারিত জায়গার সামনের অংশে।
২০১০ সালে এ হোটেলের মূল মালিক দাবিদার মো. মোশারফ হোসেন আবাসিক হোটেল নির্মাণ করার জন্য কুয়াকাটা পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়ায় ৪০ শতাংশ জমি কেনেন।
সান মেরিনা হোটেলটির বিস্তারিত তথ্যের অনুসন্ধান করে জানা যায়, এ হোটেলটির মালিক মো. মোশাররফ হোসেন। তিনি লিবার্টি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই গ্রুপটি পিডিবি (পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), রুরাল ইলেট্রিফিকেশন বোর্ড (আরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ঠিকাদার হিসেবে সাবস্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইনের নিয়মিত কাজ করে থাকে।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেলেই রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল: পিএসসি চেয়ারম্যান
সান মেরিনা হোটেলে কর্মরত মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমি মোশাররফ স্যারের অধীনে অদ্যাবধি ৮ বছর যাবৎ চাকরি করছি। সৈয়দ আবেদ আলী নামে কাউকে আমি দেখিনি। তবে তিনি কয়েকমাস আগে এখানে এসে হোটেলের শেয়ার নেওয়ার জন্য আলোচনা করেছেন। তখন আমি তাকে মোশাররফ স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছি। তখন একটা ছবি তুলতে দেখছি আমাদের হোটেলের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে।
সান মেরিনা হোটেলের মালিক মোশাররফ হোসেন বলেন, গত দুই-তিন মাস আগে সৈয়দ আবেদ আলী আমার হোটেলটির সামনে অপর একটি হোটেলে এসে উঠেন। পরদিন সকালবেলা আমার হোটেলের জায়গায় গিয়ে শেয়ার ক্রয় করবেন বলে জানায়। তখন সে আমার লোকের কাছ থেকে শেয়ার ক্রয়ের বিস্তারিত জেনে যায়। এ পর্যন্তই। আসলে আমি কখনও তাকে দেখিনি এবং চিনিও না।
তিনি আরও বলেন, আবেদ আলীকে একজন টাউট প্রকৃতির লোক বলে মনে হয়েছে। আমি এ জন্য ঢাকার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব।
আরও পড়ুন: গাড়িচালক থেকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও দানশীল আবেদ আলী, যা বলছেন গ্রামবাসী
৫১৪ দিন আগে
কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় এ হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সাব্বির হোসেন নামের এক পর্যটক মহিপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে চালককে খুন করে ইজিবাইক ছিনতাই
গ্রেপ্তারেরা হলেন-মহিপুরের আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাইজিদ ও ফোরকান দফাদারের ছেলে তানভির ওরফে শান্ত।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা পৌর শহরের আনন্দবাড়ি গেস্ট হাউজের সামনে কয়েকজন নারী ও পুরুষ পর্যটকের পথরোধ করে তাদের মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা ১৩ হাজার সাতশ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ ওই গ্রুপের সদস্যদের বয়স ১৭ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা বিষয়টি মুঠোফোনে ট্যুরিস্ট পুলিশের অভিযোগ কক্ষে জানালে তাৎক্ষণিক তারা অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানায় সোপর্দ করেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার আবুল খায়ের বলেন, দুইজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার (৬ মে) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ চক্রের পলাতক অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই আহত
রাজশাহীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
৯৪৩ দিন আগে
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘হোটেল ঝিলিক’ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে শনিবার সকালে অজান্তা বেগম নামের এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বামী পরিচয় দেয়া সুজন (৩২) পটুয়াখালীর বাউফল সদরের রফেজ সিকদার ও আমেনা বেগমের ছেলে বলে হোটেলের রেজিস্ট্রারে উল্লেখ রয়েছে।
হোটেল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সুজন ও অজান্তা বেগম নামের দুজন পর্যটক হোটেল ঝিলিকের ২০৪ নাম্বার রুম ভাড়া নেয়। পরে গতকালকে সারাদিন তারা হোটেলে অবস্থানসহ বাইরেও ঘোরাঘুরি করে বলে জানায় তারা। শনিবার সকালে নিহত নারীর অবস্থানকৃত রুম চেক আউটের জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ওই পর্যটককে হোটেলের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে আবাসিক হোটেল থেকে জাহাজ শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হোটেল ঝিলিকের মালিক লিয়াকত আলী জানান, আজকে সকাল ১০টায় হোটেল চেক আউটের সময় হলে তাদেরকে ফোন দেয়া হয়। ফোনে না পেয়ে রুমে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ পওয়া যায়নি। রুমের ভেতর থেকে তালা লাগানো থাকায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেই, পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। তবে স্বামী পরিচয় দেয়া সুজনকে পাওয়া যায়নি। ওইরুম থেকে আলামত হিসাবে একটি স্মার্ট ফোন, একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। হোটেল রেজিস্ট্রিকৃত নাম পরিচয় নিয়ে আমরা তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, লাশটিকে ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফাঁকা বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফুলবাড়ীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১০৮৪ দিন আগে
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সহপাঠীর অকাল মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের এ অবরোধের কারণে এরই মধ্যে মহাসড়কের দুইপ্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৬ নভেম্বর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গার মাধবপুরে সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
শিক্ষার্থী আবু মাসুম বলেন, কুয়াকাটা-বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিন্তু আইনগত কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তারা প্রতিবারই পার পেয়ে যায়। এ অবস্থায় আমরা ঘাতক চালকসহ পরিবহন সংশ্লিষ্ট যাদের গাফিলতিতে এ দুর্ঘটনা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন: বরিশালে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
১১২২ দিন আগে
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়াকাটায় খাবার হোটেল বন্ধ
কুয়াকাটায় বারবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাবারের হোটেল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতি। মঙ্গলবার রাতে মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মুন্সি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক খাবার হেটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কিন্তু একই হোটেলে একাধিকবার জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্টের নামে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাই সকল হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: কর্মচারীদের ১২ দিনের খাবার দিয়ে হোটেল বন্ধ করলেন মালিক
সেলিম বলেন, গত ১১ আগস্ট আল-মদিনা নামের একটি হোটেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তখন ওই হোটেল মালিক তার সমস্যা সমাধানের জন্য ১৫ দিন সময় চেয়ে নিন কিন্তু আজকে ১৬ আগস্ট আবার ওই হোটেলেই ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হোটেল মালিক জরিমানা না দিতে পারায় তাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়।
সভাপতি সেলিম মুন্সি জানান, খাবার হোটেল বন্ধে পর্যটকরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আশা করবো প্রশাসন আমাদের বিষয়টি সহজ করে দেখলে আমরা হোটেল খুলে দেবো।
১২০৬ দিন আগে
পুনর্বাসনে কুয়াকাটার ২২ জেলে পরিবারের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বিনা নোটিশে পুনর্বাসন ছাড়াই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ ও পুর্নবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুয়াকাটার ২২ জেলে পরিবার। তারা পুনর্বাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। শনিবার সকাল ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের গঙ্গামতি খালগোড়া এলাকার ভুক্তভোগী জেলে পরিবারের সদস্য মো. সালাম মুসুল্লীর পক্ষে মো. শহিদুল ইসলাম শাহীন।
লিখিত বক্তব্যে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘর ভাংচুর, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: পল্লী এলাকার সড়ক পুনর্বাসনে বড় ধরনের প্রকল্প নিল সরকার
প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, বিগত প্রায় ৪০ বছর বসবাসকারী জেলে পরিবারদের স্থায়ী বসবাসের কাগজপত্র তৈরি করে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে মনগড়া সিদ্ধান্তে বাৎসরিক ৫০০ টাকা কখনও এক হাজার আবার দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ করেন কুয়াকাটা গঙ্গামতি বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিগত ১০ বছর ধরে বছরে দুই হাজার টাকা করে দিয়ে আসলেও এবছর ১০ হাজার টাকা দাবি করা নিয়ে বিট অফিসার মো. মোশারেফ হোসেনের সাথে ঝামেলা হয়।
এ ব্যাপারে বিট অফিসার মো. মোশারেফ হোসেন জেলেদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বনের অভ্যন্তরে ঘরবাড়ি উচ্ছেদে কোন আগাম নোটিশের প্রয়োজন নেই। তবে টাকা নেয়ার বিষয় নিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
গঙ্গামতি গোড়াখালে বসবাসরত জেলে পরিবারের পুনর্বাসন, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ ও আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে ইতোমধ্যেই একাধিকবার মানববন্ধন করাসহ স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে সহায়তা করুন: প্রধানমন্ত্রী
জেলে পরিবারের দাবি, বন বিভাগের পাহাড়াদার হিসাবে তাদের স্থাপন করা হয়েছে সে হিসাবে তারা পুর্নবাসনের দাবি রাখে। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পুর্নবাসনের ব্যবস্থা না করে কোন নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মনগড়া ও বন বিভিগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয়।
জেলে পরিবারের দাবি, যেখানে তারা বসবাস করছেন সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় ফলদ ও বনজ গাছ রয়েছে। ওই গাছের নিচে কোন চারা রোপন করলেও বেড়ে ওঠার সুযোগ নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ২২ পরিবারের জীবন যাপন নিশ্চিত করার আশা ব্যক্ত করেন তারা।
এ বিষয়ে মহিপুর বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বনায়ন করার আদেশ রয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চলছে। জেলে পরিবারদের লিখিত নোটিশ দেয়া হয়নি তবে মৌখিকভাবে অনেকবার জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
১৪৯০ দিন আগে
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কুয়াকাটা সৈকতে আবারও ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন। শনিবার সন্ধ্যায় মৃত ডলফিনটি সৈকতে পরে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয় জেলেরা।
তারা জানান, প্রাায় ৬ থেকে ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালের আঘাতে মাছটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, ভেসে আসা ডলফিনটি গঙ্গা নদীর শুশুক প্রজাতির। এ প্রজাতির ডলফিনগুলো সাধারণত মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। ফলে জেলেদের মাছ ধরার জালে আটকে মারা যেতে পারে। আবার বয়সের কারণেও এরা অনেক সময় মারা যায়। জোয়ারের তোপে মৃত ডলফিন সমুদ্র তীরে চলে আসে।
আরও পড়ুন: হালদায় ভেসে উঠল মৃত ডলফিন
এর আগেও বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিন এবং তিমি সৈকতে ভেসে এসেছে।
১৫৮০ দিন আগে
কুয়াকাটায় ধান খেত থেকে ড্রোন উদ্ধার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ধান খেত থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির একটি ড্রোন ক্যামেরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষ্মী গ্রামের ধান খেতে সোমবার বিকালে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ড্রোনটি লক্ষ্মী গ্রামের ধান খেতে পরে থাকতে দেখতে পেয়ে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লাকে খবর দেয়। পরে তিনি সেটিকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: ড্রোন উড্ডয়ন নিয়ে ‘ভুল’ তথ্য প্রচার: ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয়
এদিকে উদ্ধারকৃত ড্রোন ক্যামেরার মালিকানা দাবি করছে পায়রা বন্দরে কর্মরত বেলজিয়ামের নাগরিক মাইকেল। তারা ড্রোনটি গভীর সমুদ্রে জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের কাজের জন্য ব্যবহার করতেন।
তিনি জানান, ড্রোনটি পরীক্ষামূলকভাবে উড়ানোর সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
উদ্ধারকৃত ড্রোনের মালিকানা দাবির জন্য যথেষ্ট প্রমাণ তার কাছে রয়েছে বলে জানা গেছে। ড্রোনটির ওজন প্রায় দুই কেজি।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়াই খেলনা ড্রোন ওড়ানো যাবে: মন্ত্রিসভা
মহিপুর থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ড্রোনটির ব্যাপারে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং এর ভিতরে থাকা মেমোরি কার্ডের সকল কিছু খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশের সাইবার এক্সপার্টদের কাছে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি কি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল সে ব্যাপারেও আমরা তদন্ত করব এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৬৯০ দিন আগে