জনপ্রশাসন সংস্কার
মেয়াদ বেড়েছে ৬ সংস্কার কমিশনের
সরকার পতনের পর প্রথম দফায় গঠিত ৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক ৬টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ কাঁচের ঘরে রিমান্ডের সুপারিশ পুলিশ সংস্কার কমিশনের
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ জন্য মোট ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
৩১৯ দিন আগে
‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত’
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পদে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারদের ৫০ শতাংশ কোটা ইস্যুতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা অনেকেই জানেন চাঁদপুরের একটি ঘটনা। সেখানে বালুখেকো একটি গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সেখানকার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মৎস্য বিভাগের এক কর্মকর্তা আমাদের এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের একজনকে ওএসডি এবং বাকি দুইজনকে পানিশমেন্ট (শাস্তি) পোস্টিং দিয়েছিলেন। এভাবেই রাজনৈতিক নেতারা প্রশাসনের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেই চলছে।’
তিনি বলেন, ‘কোটা প্রথার জন্য এতো আন্দোলন হলো, এতোগুলো জীবন চলে গেল। অথচ সেই কোটা প্রথা রয়ে গেল। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, কোটা প্রথা থাকা উচিৎ নয়। প্রশাসনের ভেতরে দ্বন্দ্ব যাতে না থাকে সেই উদ্যোগ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের সঙ্গে হট্টগোল
এ সময় কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশন হয়ে গেছে। কমিশনগুলো কালক্ষেপণের পায়তারা হচ্ছে।’
‘প্রশাসনকে কি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে পেরেছেন? একটি আন্ডার গ্রাজুয়েট ছাত্রকে এতো বড় একটি স্থানে কেন নেওয়া হলো? এটা নাকি সরকারের পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি চাপিয়েই দেওয়া হয়, তাহলে মুয়ীদ সাহেব সেটা অস্বীকার করতে পারতেন, কিন্তু তিনি সেটি করেননি।’
এর আগে, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমাতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মকর্তাদের যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
৩৪৫ দিন আগে
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের সঙ্গে হট্টগোল
সচিবালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি এবং কমিশন প্রধানের বক্তব্য ঘিরে হট্টগোল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে কমিশনের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়ের একপর্যায়ে কমিশন প্রধান ছাত্র প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসানকে বক্তব্য দিতে বলেন।
এ সময়ে মেহেদী হাসান বলেন, ‘এই কমিশনের সদস্য হিসেবে আমি এক-দেড় মাস ধরে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের কথা শুনেছি, জনগণের কথা শুনেছি। এতে আমার একটি উপলব্ধি এসেছে যে, জীবনে আর যাই করি, বিসিএস দেব না। একজন উপসচিব, যুগ্ম-সচিব ও ডিসি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে আচরণটা করে... তাদের যে আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট বলি, তারা আসলে পাবলিক সার্ভেন্ট না, তারা হচ্ছেন তাদের সিনিয়রদের সার্ভেন্ট। তারা এতটা হীনম্মন্যতায় ভোগেন যে তারা কাজ করবে কী, আমি জানি না। এই হীনম্মন্যতা দেখে আমার বিসিএস দেওয়ার ইচ্ছা চলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ে খুব আশাহত হয়েছি যে, আপনারা (সাংবাদিক) অনেক কষ্ট করেছেন, অনেক জায়গা থেকে কথা বলেছেন, অনেক ভালো কথা বলেছেন। আপনারা যখন কথা বলছেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তখন জনপ্রশাসন সম্পর্কে আপনাদের কিছু বিষয় একটু চিন্তা-ভাবনা করে পড়াশোনা করে আসার দরকার ছিল। সেই জায়গায় একটু ঘাটতি দেখা গেছে।’
আরও পড়ুন: লাল-সবুজে সাজলো পোল্যান্ডের স্লাসকো দাবড়োভস্কিয়েগো সেতু
তখন সাংবাদিকরা জানতে চান, ‘কি ঘাটতে মনে হয়েছে আপনার?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করার দরকার ছিল, তা হলো- এই ৫০ বছরে স্যাররা বললেন যে ২৩টি সংস্কার কমিশন হয়েছে, সেই কমিশনগুলো কেন ইফিশিয়েন্টলি কাজ করতে পারেনি?’
তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, ‘এগুলোর বিষয়ে একাধিকবার বলা হয়েছে। তখন অনেক সাংবাদিক দাঁড়িয়ে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে থাকেন। তখন মেহেদী হাসান বলতে থাকেন, প্লিজ আমার কথা শুনুন; আমার বাক্য আমাকে শেষ করতে দিন।’
কিন্তু হট্টগোলের মধ্যে তিনি আর কোনো কথা বলতে পারেননি। তাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে সাংবাদিকরা দাবি জানাতে থাকেন।
এরপর কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এমন একজন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করছেন, যিনি এখনও ছাত্র। তার সার্বিক পরিস্থিতি জানা সম্ভব নয়। সে জেল খেটেছে, জেল থেকে বের হয়ে এসেছে এবং এই আন্দোলন করেছে। আন্দোলন তো আপনারা-আমরা করিনি।’
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকরা একযোগে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তারা বলেন, ‘এ কথা আপনি বলতে পারেন না। আমরা আন্দোলন করেছি। আমাদের সহকর্মীরা আহত-নিহত হয়েছেন। আমরা কেউ কেউ বাসায় ঘুমাতে পারিনি। অনেকে জেল খেটেছেন।’
বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের হল্লা ছাপিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলেও মুয়ীদ চৌধুরী অনেকক্ষণ তা বলতে পারেননি।
পরে কমিশন প্রধান বলেন, ‘আপনারা আন্দোলন কভার করতে গিয়েছিলেন এবং সেজন্য আপনারা পুলিশের গুলির সামনে ছিলেন; আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন।’
এরপর আবারও সাংবাদিকরা উত্তেজিত হয়ে যান। তারা বলেন, ‘আপনার এই কথারও প্রতিবাদ জানাই। কভারের বাইরেও আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম।’
এ সময় একজন সাংবাদিক বলেন, ‘সাংবাদিকরা যদি কিছু নাই করে থাকেন, তবে সারা বিশ্ব কীভাবে এই আন্দোলনের কথা জানল? অভ্যুত্থানের পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে এগিয়ে, কিন্তু এ আন্দোলনে তাদের কী ভূমিকা ছিল? শেষের দিকে আপনারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা আমরা নিতে পারছি না।’
এরপর আবার মেহেদী হাসান কথা বলতে গেলে সাংবাদিকরা বলেন, ‘আপনি ক্ষমা চান, তারপর কথা বলবেন। তখন মেহেদী হাসান বলেন, আমার শব্দ চয়নে আপনারা যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখিত।’
এরপর তিনি বলেন, ‘৮০ বছরে আমাদের চারটি বড় বড় বিপ্লব হয়েছে। এই চারটি বিপ্লব পরিবর্তনের জন্য হয়েছে, কিন্তু পরিবর্তনটা হয়নি। ২০২৪-এ আন্দোলনের মাধ্যমে যে পরিবর্তনটা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলো হয়েছে, এই কমিশনগুলো কেন এক্সক্লুসিভ এবং আরও বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে, এই কমিশনটা কেন আগের ২৩টি কমিশনের মত নয়- আমার প্রশ্নটি ছিল ওই জায়গায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সমসাময়িক মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া- এ দেশগুলো প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বাংলাদেশ কেন ওই জায়গাটা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না- ওই জায়গাটায় প্রশ্ন করা হয়নি, আমি সেটা বলতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে দেখাই প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্ন’
৩৫৩ দিন আগে
জনপ্রশাসন সংস্কারে বিএনপির প্রস্তাব
দেশের জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে বিএনপি। এতে কার্যকারিতা ও নিরপেক্ষতা বাড়াতে প্রশাসনিক কাঠামোর ব্যাপক পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও দলের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমানের কাছে এ প্রস্তাব জমা দেন।
ইসমাইল জবিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুরো প্রশাসনিক কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। আমরা প্রস্তাব করছি, প্রতিটি নির্বাচনের তিন মাস আগে প্রশাসনের সর্বস্তরে পরিবর্তন আনতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে জেলা প্রশাসকের ফিট লিস্ট তৈরির প্রক্রিয়া সংশোধন।’
আরও পড়ুন: বিএনপির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়া: তারেক রহমান
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে একই পদে থাকার কারণে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এ কারণে বেশকিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়, সেগুলো সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রস্তাবগুলোতে এই জাতীয় ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক স্থানান্তরের বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আগের সরকারের আমলে বেশ কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত করতে, তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তুলে ধরেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
৩৫৫ দিন আগে