মাইকে ঘোষণা
ফরিদপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫০
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ৬ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের সময় বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর করা হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: আনন্দ মোহন কলেজে বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১০
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামবাসীর সঙ্গে নগরকান্দা পৌরসভার মিরাকান্দা গ্রামবাসীর সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সলিথা মাদরাসায় শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মিরাকান্দা ও সলিথা গ্রামবাসীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় ঘটনা ঘটে।
৩২১ দিন আগে
মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৩ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
সিলেটে কোম্পানীগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত থেকে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
জানা যায়, শনিবার বিকালে উপজেলার বর্ণি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া নিয়ে কাঠাঁলবাড়ি গ্রামের এক ব্যক্তির তর্কাতর্কি হয়। এ ঘটনায় এক পক্ষের লোকজন বর্ণি এলাকায় সড়কে গাড়ি আটক করে। পরে উপজেলা সদরে কোম্পানীগঞ্জ, বর্ণি ও কাঁঠালবাড়ি- তিন গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংষর্ঘে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকাল থেকে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে উপজেলার বর্ণি ও কাঠালবাড়ি গ্রামের লোকজন। এ সময় তারা অটেরিকশায় মাইক বেঁধে গ্রামের লোকজনকে সংঘর্ষের জন্য বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। এতে করে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান, দালাল আটক
এরপর বেলা ১১টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন থানা বাজার পয়েন্টে এসে সংঘর্ষে জড়ায়। দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পরে উপজেলার বাসিন্দারা বড় সংঘাত ঠেকাতে ফেসবুক লাইভে এসে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইতে থাকেন। এরপর বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি দেখে সব পক্ষই সরে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় বেশকিছু দোকান ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জে এখন পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
৩৫৫ দিন আগে