জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদ একটি সামাজিক চুক্তি, কোনো পক্ষ এটি ভাঙবে না: সালাহউদ্দিন
ঢাকা, ৩০ জুলাই (ইউএনবি): জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ একটি মহান বাধ্যতামূলক সামাজিক চুক্তি হিসাবে বর্ণনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কোনো দল এটি অমান্য করার সাহস করবে না, কারণ এটি একটি স্বচ্ছ জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
বুধবার (৩০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (এনসিসি) আয়োজিত দ্বিতীয় দফা সংলাপের ২২তম অধিবেশনে চা বিরতির সময় সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল কি এটি ভঙ্গ করার সাহস করবে? কোনো দল কি সেই ঝুঁকি নেবে? আমি মনে করি না এর চেয়ে বড় ঐকমত্য, সমঝোতা স্মারক বা সামাজিক যোগাযোগ বা চুক্তি হতে পারে। এটি জাতি, জনগণ, রাজনৈতিক দল এবং সকল অংশীদারদের মধ্যে একটি চুক্তি। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এটি বাস্তবায়নের একমাত্র স্থান হলো জাতীয় সংসদ।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সনদের তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য একটি আইনি কাঠামোর দাবির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন এটি একটি আইনি দলিল হওয়া উচিত। কিন্তু আমি বলব এই পুরো প্রক্রিয়াটি—দীর্ঘ, স্বচ্ছ, সরাসরি সম্প্রচারিত আলোচনায় অনেক রাজনৈতিক দলকে জড়িত করা—একটি উন্মুক্ত আদালতের বিচারের মতো। জাতি দেখেছে কে কী বলেছে। এখন যখন প্রধান উপদেষ্টা, সংস্কার কমিশনের প্রধান, এনসিসির সদস্য, জাতীয় নেতা এবং সকল দলের প্রতিনিধিদের সই নিয়ে একটি সনদ প্রস্তুত করা হয়—এবং এটি অনলাইনে এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়—তখন কি কোনো দল এটি লঙ্ঘনের সাহস করতে পারে? আমি তা মনে করি না।’
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র অভ্যুত্থানের পর সনদ জাতির সম্মিলিত চেতনাকে প্রতিফলিত করে। ‘কোনো রাজনৈতিক দল কি জাতির আকাঙ্ক্ষা এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করতে পারে... আমি বিশ্বাস করি না যে এটি সম্ভব,’ বলেন তিনি।
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে ভুল পদক্ষেপ, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্তের বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
সালাউদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন করা উচিত সে বিষয়ে এনসিসির প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জাতীয় সংসদই এই সনদ বাস্তবায়নের একমাত্র স্থান।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সনদের একটি ধারা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে সম্মত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে। ‘আমরা সেই অনুভূতি এবং প্রস্তাবের সাথে শতভাগ একমত।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, সনদ সই হওয়ার আগেই অধ্যাদেশ এবং উপদেষ্টা পর্যায়ের পদক্ষেপের মাধ্যমে অনেক সংস্কার বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে।
বিএনপি সংস্কার গ্রহণ করে না এমন অভিযোগের বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনের মোট ৮২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে আমরা মাত্র ৫১টির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছি। এত বিশাল ঐকমত্য গঠনের প্রক্রিয়ার পরে কেউ কীভাবে বলতে পারে যে বিএনপি সংস্কারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়?’
১২৭ দিন আগে
গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগগুলোর ওপর একটি চুক্তি গঠন করতে দ্বিতীয় দফার সংলাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বুধবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজকের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে— রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ), জাতীয় সংবিধান পরিষদ গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও জাতীয় সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা আজকের সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে। এ সময় প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান উপস্থাপন করেন দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু
এর আগে, গত ২ জুন দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুহাম্মদ ইউনুস।
তার আগে, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এরপর ২০ মার্চ থেকে প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে কমিশন। সেখানে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়। এই দফার সংলাপ শেষ হয় ১৯ মে।
দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শেষে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন আগামী মাসে একটি সংস্কার রূপরেখা, ও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৬৩ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে নতুন প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব দল একমত: জোনায়েদ সাকি
একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এমন একটি প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কয়টি মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ হবে দুটি। তিনি দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’
‘এখন বার ও মেয়াদ নিয়ে একটি সমস্যার জায়গা তৈরি হয়েছে। মেয়াদ বলতে পূর্ণ পাঁচ বছর কিংবা সংসদ যতদিন আছে, সেটি বোঝায়। আর দুবার বলতে বোঝায়, একই মেয়াদের মধ্যে দুবার হতে পারে। এমন একটি সমস্যার জায়গা থেকে আলোচনাটি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বছর দিয়ে ঠিক করার একটি প্রস্তাব এসেছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এই প্রস্তাব আসার পর পারস্পরিক আলোচনার জন্য সময় নেওয়ার কথা বলেছি। সেই সময় দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেটি অনুমোদন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও সেটি নিয়ে আলোচনা করেছে।’
‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে সর্বোচ্চ দশ বছর একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে তিনটি দল থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব আছে। সেইসব প্রস্তাবসহ আরও অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়াদি নিয়ে, যেমন: সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও সরাসরি নির্বাচনের প্রশ্ন, সাংবিধানিক পদগুলোতে সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন ও ক্ষমতার পরিধি, দুই কক্ষের মধ্যে ভারসাম্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য—এসব প্রশ্ন নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, এর মধ্যে কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, কিছু বিষয়ে দ্বিমত হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যথাসম্ভব একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। আগামী বুধবার এ বিষয়ে আবার বসা হবে।’
‘তবে এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা একটি অধিকতর ঐক্যের দিকে যাচ্ছি। আমরা যদি আরও ঐক্যের দিকে আসতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন যথার্থভাবে এগিয়ে যাবে।’
১৬৫ দিন আগে
দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এই রাষ্ট্র পুনর্গঠন আলোচনা: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন বা সংস্কারের আলোচনা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সঙ্গে আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন বা সংস্কারের লক্ষ্যে আলোচনা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই আকাঙ্ক্ষা উন্মুক্ত হয়েছে।’
আলোচনায় আরও অংশ নিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ইতিহাসের এমন একটা মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হয়েছি, যখন একটি গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের মাধ্যমে সব নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং সে অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করছি।’
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে, এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা কেমন হবে—তা নির্দেশ করবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্ট সরকারের পলায়নের পর এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: আলী রীয়াজ
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি - সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে আলোচনায় দলটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন এবং সহকারি সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ২৩ মার্চ সিপিবি ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার বিষয়ক তাদের প্রস্তাবনা জমা দেয়৷ সে প্রেক্ষিতে দলটির সাথে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। এরইমধ্যে সিপিবিসহ ৩২টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
২০৬ দিন আগে
বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘বরং বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ। জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়।’
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি সংস্কারেরই দল। কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন। তারা যখন সংস্কারের দন্তস্য উচ্চারণ করেননি, তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন।’
সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে শুরু হয়েছে।
গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি, এই সরকারকে সহযোগিতা করছি, সেই প্রত্যাশা নিয়েই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: ফখরুল
যদি ঐকমত্য কমিশনের কোনো সনদ না-ও হয়, বিএনপির জন্য সংস্কারের সনদ রয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সবকিছুর মূলে জনগণ এবং জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায়, তা আমরা জানি।’
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ,আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব নিরুজ্জামান খান অংশ নেন।
আজ দিনব্যাপী এই আলোচনা চলতে পারে বলে ঐক্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে। আজ আলোচনা শেষ না হলে প্রয়োজনে আগামী সপ্তাহে আবারও বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
২৩২ দিন আগে
মে’র মাঝামাঝিতে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক আলোচনা শেষ হবে: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ হলেও এই দাবি এ দেশের জনগণের বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা আগামী মে মাসের মাঝামাঝিতে শেষ করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বলৌ জানান তিনি।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনস্থ এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের আলোচনায় তিনি এমন কথা বলেন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্য গঠন হবে: আলী রীয়াজ
আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এই দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে।
‘এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত জুলাই সনদ করতে চাই: আলী রীয়াজ
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে ৭টি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন৷
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
২৩৭ দিন আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার
দেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রতিষ্ঠার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ইতোমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং শিগগিরই তারা তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করার দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সকল পক্ষের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমত এই ছয়টি কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাবার পর আগামী মাসেই জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে বলে আমি আশা করছি।’
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের শেষে বা '২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, এই নতুন কমিশনের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে সমস্ত সিদ্ধান্ত জরুরি, সে সমস্ত বিষয়ে তাড়াতাড়ি ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং সকলের সঙ্গে আলোচনা করে কোন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়, সেই ব্যাপারে পরামর্শ চূড়ান্ত করা।
ড. ইউনূস বলেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিবেচনা করে আমি এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করব। আমার সঙ্গে এই কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশন প্রয়োজন মনে করলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য এই কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে‘
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ও পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের শ্রদ্ধা
৩৫৪ দিন আগে