কর্মী
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী হতে হবে। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে অতিরিক্ত মাত্রায় মূল্য না দিয়ে পেশাগত ও কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে। পাশাপাশি সফট স্কিলে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক দক্ষতানির্ভর কাজের সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু সেই দক্ষতা অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, দক্ষতার জায়গায় আমরা যাতে বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠতে পারি সেই চেষ্টা করতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেশন নিলে দেশে ও বাইরে কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে। আত্মকর্মসংস্থানের জন্য আগে জানতে হবে। জানা ও পারা থাকতে হবে। জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দক্ষতাগুলো আয়ত্ব করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের শিক্ষিত গ্রাজুয়েটরা কর্ম উপযোগী হতে না পারলে বিদেশিরা আমাদের দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে নিয়ে যাবে। কী কারণে তারা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো করছে, তা দেখতে হবে। গ্রাজুয়েটদের ভাষা দক্ষতা, প্রেজেন্টেশন স্কিল বাড়াতে হবে। তাদের উপস্থাপন ও যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনো বয়সে দক্ষতা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। পোস্ট গ্রাজুয়েট হলেও আপনাকে জ্ঞানের জগতে নিজেকে ক্ষুদ্র ভাবতে হবে। লাইফলং লার্নার হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে রাজবন্দি নেই, যারা আছেন তারা বিএনপির কর্মী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব দেশে রাজবন্দি বলতে এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে যারা বন্দি আছেন তারা বিএনপির কর্মী।
শনিবার (৯ মার্চ) পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা পুলিশ-আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। যেটা পুলিশ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও বিএনপি একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতা-কর্মীদেরও তিনি ভালো চান না। দিন দিন এই দল জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে অধিক সংখ্যক কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির চেষ্টার কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের সেবা প্রদানে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। দেশাত্মবোধ ও সেবকের মনোভাব নিয়ে প্রবাসীদের সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে অভিবাসন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সবার সহযোগিতায় প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে যাতে কোনো অপশক্তি প্রভাবিত না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের স্মার্ট মানসিকতা লালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নতুন প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এছাড়াও তিনি নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ইউনূসের: নির্বাচন পরবর্তী সভায় প্রধানমন্ত্রী
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমা করা তার কাজ নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে বিজয় উদযাপনের সময় ড. ইউনূসকে ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে এখানে তার কিছু করার নেই।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং নিজের কর্মচারীদের বঞ্চিত করেছেন। সেসব কর্মচারীরাই শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ‘এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। তিনি যাদের বঞ্চিত করেছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’
কোনো বিরোধী দল ছাড়াই বাংলাদেশকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন কি না- বিবিসির এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
ওই সাংবাদিক আরও উল্লেখ করেন, রবিবারের নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নির্দিষ্ট দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, 'জনগণ অংশ নিয়েছে কি না- তা বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, 'দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং তারা জনগণকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়। এটা ছাড়া গণতন্ত্রের অন্য কোনো সংজ্ঞা আছে কি না তা জানেন না।
সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক দলকে সংজ্ঞায়িত করেন। তিনি বলেন, 'তারা একটি সন্ত্রাসী দল।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী, গোল্ডা মেইর, মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের মতো মহান নারী নেতাদের সঙ্গে তার তুলনা হোক তা তিনি চান না।
তিনি বলেন, 'তারা মহান নারী ছিলেন। আমি একজন সহজ-সরল মানুষ।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করার সময় তিনি নিজেকে নারী বা পুরুষ মনে করেন না।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা এক মার্কিন নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশের সঙ্গে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সুতরাং, আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। এটা এখন আপনার এবং আপনার সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’, তাই বাংলাদেশের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতকে বাংলাদেশের মহান বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ (২০২৬ সাল থেকে) হিসেবে উন্নীত করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা, দারিদ্র্য বিমোচন, চরম দারিদ্র্য বিমোচন, দেশকে গৃহহীনমুক্ত করা। সর্বোপরি দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা এবং দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য।’
বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য সরকার ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকদের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সাজা দিচ্ছে।
রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় আকস্মিক সমাবেশে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারারুদ্ধ করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন
করতে সরকার ক্যাঙ্গারু কোর্ট স্থাপন করেছে। সেখানে দিন-রাত চলছে কাল্পনিক মামলার বিচার। পুলিশ কাল্পনিক মামলা দায়ের করছে এবং তারা সাক্ষ্যও দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কিছু ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারক আইন উপেক্ষা করে প্রহসনমূলক বিচারের নামে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক রায় দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, এই অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশিত রায় ও সাজা দিয়ে টিকে থাকতে পারবে না।
রিজভী বলেন, বিভিন্ন ‘মিথ্যা’ মামলায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনী মাঠ থেকে নির্মূল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারাই (ক্ষমতাসীন দল) শুধু মাঠে আছে। এক সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। এরপর আপিল করে বাতিল হওয়া সব মনোনয়নপত্র বৈধ করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন- সরকার ও নির্বাচন কমিশন অনেক স্বতন্ত্র ও ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের নামে খেলা করছে।
তিনি বলেন, ‘এসব করে কোনো লাভ হবে না, কারণ জনগণ সরকারের সব নীল নকশা ধরে ফেলেছে। মানুষ জেগে উঠেছে এবং রাস্তায় নেমে এসেছে। দেশের জনগণ সরকারের আসন ভাগাভাগির নির্বাচন প্রতিহত করবে।’
বিরোধী দলের ৩৬ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে সকাল ৭টার দিকে যুবদল ও ছাত্রদলের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মীকে নিয়ে বাংলামোটর এলাকায় আকস্মিক মিছিল বের করেন রিজভী।
তারা অবরোধের পক্ষে এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের তফসিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি, তেজগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, বনানী, ঝিগাতলা, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, আরামবাগ, মগবাজার, সেগুনবাগ, সেন্ট্রাল রোড, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আকস্মিক মিছিল বের করে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৩৬ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করেছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা এটি ছিল ১১তম অবরোধ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চালের ট্রাকে আগুন দেওয়ার মামলার এজহারভুক্ত আসামিসহ বিএনপির ছয় নেতা-কর্মীকে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ. লতিফ, তার ছেলে এইচ এম বিজয়, আ. আজিজ, মুক্তার আলী মুসল্লি, মো. সাইদুল ইসলাম ও বাবুল খাঁ। তারা সকলে গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব চন্দ্র কর।
তিনি বলেন, গত ২৬ নভেম্বর গুইমারার হাফছড়িতে ট্রাকে আগুনের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ।
তিনি বলেন, ট্রাকে আগুন বা নাশকতার কোনো কাজে জড়িত নয় গ্রেপ্তারেরা। মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানিমূলকভাবে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে দলটি। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হরতালের সমর্থনে নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকায় পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড মহিলাদলের মিছিল করার সময় ওয়ার্ড মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক কহিনুর আকতার, সখিনা বেগম ও আনিকা মনিকে আটক করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
এছাড়া, বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থেকে দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আবদুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক হাসান রুবেল, প্রচার সম্পাদক মো. হেলাল, বিএনপি নেতা মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. রুবেলকে আটক করেছে হালিশহর থানা পুলিশ।
অন্যদিকে, বুধবার রাতে চকবাজার থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সেলিমকে বহদ্দারহাট থেকে চান্দগাঁ থানা ও বক্সির হাট ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. বেলালকে শাহ আমানত সংযোগ সড়ক থেকে আটক করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
তবে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আফতাফ আহমেদ জানিয়েছেন, আজ বাকলিয়া এলাকায় বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী আটক নেই।
এদিকে, হরতালের সমর্থনে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হালিম শাহ আলম ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম স্বপনের নেতৃত্বে জামাল খান মোড় থেকে গণি বেকারি ও চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
সিলেটে ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেট নগরীর বালুচরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফ নগরীর টিবি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে এবং ছাত্রলীগ সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরীর বালুচরে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আরিফকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে নিহত আরিফকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত আরিফ সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগে আরিফের উপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সোমবার বিকালে আরিফ হামলার ঘটনায় নগরীর শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। সেখান থেকে ফেরার সময় তার উপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ কর্মসূচি দেবে বলে জানান নাজমুল ইসলাম।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, নগরের বালুচর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজন রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
বগুড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৬ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এ ছাড়া, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তিদের কেন তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আল ইমরান হোসেন, সরকারি আজিজুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাদেকুল ইসলাম শুভ, জোবায়ের সরদার সিহাব ও মোহন সরদার।
গত বৃহস্পতিবার অবরোধবিরোধী মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে ওই ছয় নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে চতুর্মুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
বহিষ্কার প্রসঙ্গে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ বলেন, ‘কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে সঠিক তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ইতিবাচক বার্তা আসত।’
অপর নেতা মাহফুজার রহমান বলেন, ‘আমি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেব।’
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রশ্রয় দেয় না। সংগঠন করতে হলে সংগঠনের চেইন অব কমান্ড মেনেই করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সজীব সাহাকে সভাপতি ও আল মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটির সহসভাপতি করা হয় তৌহিদুর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহফুজার রহমানকে।
তখন থেকেই তৌহিদ ও মাহফুজার কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল ছাত্রলীগ ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরপর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জেরে তাদের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘সরকারি আজিজুল হক কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
নেতারা আত্মগোপনে থেকে কর্মীদের দিয়ে গাড়ি পোড়ানোই বিএনপির অবরোধ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা নিজেরা আত্মগোপনে থেকে কর্মী ও সন্ত্রাসীদের টাকা দিয়ে গাড়ি পোড়ানো, মানুষের উপর হামলা চালানোই বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ না, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাজ।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের ধরতে সরকার বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি জনগণকেও আহবান জানাব এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।’
আরও পড়ুন: শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে অনলাইন নিউজপোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রবিবার থেকে বিএনপির ডাকা চতুর্থ দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দুনিয়ার অন্য কোথাও কেউ হরতাল-অবরোধের নামে গাড়ি পোড়ায় না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, কখনো গাড়ি পোড়াইনি, বড়জোর রিকশার চাকার হাওয়া ছেড়ে দিতাম। তবে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হয়েছে। মানুষ অবরোধ পালন করছে না, বরং ভয়ের ভাবটাও কেটে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধির পরও বহিরাগতদের চক্রান্ত
এ সময় পোশাকশ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে মাসিক ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার পরও বহিরাগতদের দিয়ে এই খাতে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে উল্লেখ মন্ত্রী বলেন, “২৮ অক্টোবর দেশে চূড়ান্ত অস্থিরতা তৈরি করতে না পেরে সেই একই মহল এখন গার্মেন্টসে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা শ্রমিক নয়, কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে না, যাদের গাড়ি-ঘোড়া আছে, বড় ব্যাংক ব্যালান্স আছে, ঢাকায় সুন্দর ফ্ল্যাট আছে, তারাই ‘শ্রমিক নেতা’ এবং অস্থিরতার পাঁয়তারার হোতা।”
তিনি বলেন, ‘এদের কেউ কেউ শ্রমিকদের বেতন ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে সরকারি বা ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরিতে ঢুকে তারাও ২০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়। অর্থাৎ বাস্তবতার নিরিখে এই দাবি আসলে গ্রহণযোগ্য নয়।’
গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিকেও তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে, নাহলে বেতন কোথা থেকে দেবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সে কারণে মালিক, শ্রমিক সবপক্ষের বসার পর প্রধানমন্ত্রী ১২,৫০০ টাকা এবং প্রতি বছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এরপর বেশিরভাগ শ্রমিকই সন্তুষ্ট হয়ে কাজে ফিরে গেছেন। কিন্তু কিছুকিছু জায়গায় বাইরের লোক গিয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করছে। সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাই, শ্রমিকের বাইরে যারা আছে তাদের নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার জন্য, কারণ এই বহিরাগতদের নাশকতারও পরিকল্পনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
মূলধারার গণমাধ্যমকে গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান
এর আগে ‘ওনাব’ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় নিবন্ধিত অনলাইনসহ মূলধারার গণমাধ্যমকে গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে। এ কারণেই আমাদের সরকারের সময় গণমাধ্যমের অভূতপূর্ব বিকাশ বা ‘এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ’ হয়েছে।
দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে কিন্তু গণমাধ্যমের কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশ থেকে পরিচালিত কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনই এখন গুজব ছড়ানোর মাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু তৈরির সময়, রামু ও নাসিরনগরের ঘটনাতেও তাই দেখা গেছে। মূলধারার গণমাধ্যমের অংশ হিসেবে নিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর দায়িত্ব গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা।
‘ওনাব’ সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, সহসভাপতি সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক অপু উকিল, নজরুল ইসলাম মিঠু, অয়ন আহমেদ মতবিনিময়ে অংশ নেন। তারা ‘অনলাইন বিজ্ঞাপন নীতিমালা’ প্রণয়নের দাবি উত্থাপন করলে মন্ত্রী হাছান সেটি সুবিবেচনার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী