অনুমোদন
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল সংশোধনীর খসড়ায় উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ২৮তম সভায় আইন প্রণয়ন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যাচাই-বাছাই শেষে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া, ‘জুলাই বিপ্লব অধ্যাদেশে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদনও নীতিগতভাবে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।
‘জুলাই বিপ্লব অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়াটি পর্যালোচনা করার জন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে রয়েছে- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
উপদেষ্টা পরিষদ খসড়া ড্রেজিং এবং ড্রেজিং উপকরণ ব্যবস্থাপনা নীতি ২০২৪-এ অনুমোদন দিয়েছে। এর লক্ষ্য সুসমন্বিত ও পরিকল্পিত ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ড্রেজিং উপকরণের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দীর্ঘদিনের পুরাতন হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে প্রদত্ত ইজারাধীন বালুমহালের ক্ষেত্রে নূতন করে ইজারা কার্যক্রম গ্রহণের পূর্বে পুনরায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সম্পন্ন করে ইজারা কার্যক্রম গ্রহণ করা; সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নিলামে বিক্রয় না করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজে ব্যবহার করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’-এর আওতায় জারিকৃত ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
এছাড়াও, উপদেষ্টা পরিষদ ‘জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৪’-প্রণয়ন সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে জাতীয় জীন ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা যথাযথভাবে নিরূপণ না করে সাভারে উক্ত প্রতিষ্ঠান ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতীত জাতীয় জীন ব্যাংকের ভবন ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর যথোপযুক্ত ব্যবহারের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব সারসংক্ষেপসহ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাবৃন্দের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক জাতীয় নগর নীতি ২০২৫ খসড়াও অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশলের’ আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্যের নেতৃত্বে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি প্রস্তাবিত ‘জাতীয় নগর নীতি ২০২৫’ পুনর্গঠন করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
উপদেষ্টা পরিষদ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুত স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন কাঠামো (এলএলএএফ) খসড়াটিও অনুমোদন করেছে।
এই কাঠামোর লক্ষ্য সারা দেশে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন উদ্যোগ পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে স্থানীয় অগ্রাধিকার ও সক্ষমতা একীভূত করা।
ইউএনবি/জেএ
২০৩ দিন আগে
সিঙ্গাপুর-যুক্তরাজ্য থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দরপত্রের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।
এরমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মর্চ) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (১৪-১৫ এপ্রিল ২০২৫ সময়ে ১৫তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
সূত্রটি জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ১১২ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ০৮ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, মসুর ডাল আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (১৪-১৫ এপ্রিল ২০২৫ সময়ে ১৬তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৯১ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ২৮৮ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৭ মার্কিন ডলার।
২৫২ দিন আগে
একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো-
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণ (প্রথমম সংশোধিত)’ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প ‘আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ’ প্রকল্প ও ‘কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কর্তন, পুনঃবাগান সৃজন ও রাবার প্রক্রিয়াকরণ আধুনিকায়ন’ প্রকল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প ‘ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য ৬০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেস প্লান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন’ প্রকল্প, ‘রশিদপুর-১১ নম্বর কুপ (অনুসন্ধান কুপ) খনন’ প্রকল্প ও ‘২ডি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ অ্যান্ড ৯’ প্রকল্প, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন’ প্রকল্প এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (চতুর্থ সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প। এছাড়া পরিকল্পনা উপদেষ্টার অনুমোদিত ৬টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেকের সদস্যদের অবহিত করা হয়।
তাছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পটি বাতিলের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং প্রকল্পটি বাতিল করা হয়।
একনেক সভা শেষে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব তথ্য জানান।
অর্থ এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একনেক সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীর ওপর ১১৫৬০ কোটি টাকার রেল-সড়ক সেতুর অনুমোদন একনেকে
৩৪৬ দিন আগে
বাংলাদেশের জন্য এডিবির ৬০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সংস্কারের জন্য ৬০ কোটি ডলারের নীতি-ভিত্তিক ঋণের (পিবিএল) অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই অর্থ দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও রাষ্ট্র-সংস্কারের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের মতো কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন-পরবর্তী উন্নয়ন তহবিলের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এডিবি এই ঋণের আবেদনে দ্রুত সাড়া দিয়েছে। এই সংস্কারগুলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়।’
এডিবির এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। দেশের কর ও মোট দেশজ উৎপাদনের অনুপাত মাত্র ৭.৪ শতাংশ যা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণ বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়াতে এবং একইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কার্যকর করতে সাহায্য করবে। এই কর্মসূচিতে ডিজিটালাইজেশন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও অব্যাহতির যুক্তিসংগতকরণ এবং করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই ঋণ বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক পরিবেশ সহজ করা এবং সমতাভিত্তিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করছে।
এদিকে, বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সহজ করতে একটি অনলাইন একীভূত প্ল্যাটফর্মে ১৩০টিরও বেশি সেবা চালু করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সুশাসন ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণের উন্নয়ন এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
৩৫৮ দিন আগে
কর্ণফুলীর ওপর ১১৫৬০ কোটি টাকার রেল-সড়ক সেতুর অনুমোদন একনেকে
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কর্ণফুলী নদীর ওপর ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রেল-সড়ক সেতু নির্মাণের উল্লেখযোগ্য অবকাঠামো প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
কালুরঘাট এলাকায় অবস্থিত সেতুটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন সহজতর করবে এবং এই অঞ্চলের যানবাহন ও রেল যোগাযোগ উভয়ই উন্নত করবে।
সম্প্রতি সংস্থাটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় অনুমোদিত চারটি প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। এটির সম্মিলিতভাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
পুরনো কালুরঘাট সেতুর অতি প্রয়োজনীয় প্রতিস্থাপন
সভা শেষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ পুরাতন কালুরঘাট সেতুটি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বর্তমান সেতুটি খারাপ অবস্থায় রয়েছে, ট্রেনের গতি প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন এই সেতু কেবল স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাই উন্নত করবে না, বরং কক্সবাজারকে একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন আরও জোর দিয়েছিলেন যে নতুন সেতুটি মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং পারিপার্শ্বিক অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে। ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ) থেকে জোগান দেওয়া হবে।
আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, নতুন সেতুটি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সঙ্গে একটি দক্ষ সংযোগ তৈরি করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে, যা চীন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
প্রকল্পের আওতায় ৭০০ মিটার সেতু, ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক ভায়াডাক্ট, ৪ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ এবং ১১ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হবে।
নতুন সেতুটি চট্টগ্রামের শিল্পগুলোকেও উপকৃত করবে। যা দেশের ৭০ শতাংশ আমদানি ও রপ্তানি পরিচালনা করে। উন্নত পরিবহন সংযোগ চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন সহজতর করার পাশাপাশি এই অঞ্চলের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে সমর্থন করবে।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প
রেল-সড়ক সেতু ছাড়াও ৬ হাজার ৫৭৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৭৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ (এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেন আপগ্রেডেশন) এর দ্বিতীয় সংশোধনী প্রকল্প এবং ৫ হাজার ৯০১ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইইউটিডিপি)।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, সবুজায়নও বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা
সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
৪২৩ দিন আগে
এলএনজি-সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিশন
এলএনজি ও সার আমদানিসহ মোট ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি (এসিসিজিপি)।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সার ও গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে সারের সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। এছাড়া সরকার এলএনজি আমদানির মাধ্যমে গ্যাসের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করছে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত সম্পন্ন, পরিষেবা পেতে লাগবে ২০ দিন
এর মধ্যে প্রথম কার্গোতে ৩৩লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন এমএমবিটিইউ রয়েছে। এর দাম পড়বে ৬৪০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দর ১৩ দশমিক ৫৭ ডলার। সম পরিমাণের দ্বিতীয় কার্গোর দাম পড়বে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ৭৭ ডলার।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস, ২০০৮ এর অধীনে কোটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরবরাহকারী নির্বাচন করে পেট্রোবাংলা।
সার আমদানির জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০,০০০ মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করবে বিসিআইসি। এর খরচ হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৪৬.৩৩ ডলার। একইসঙ্গে, ৩০,০০০ মেট্রিক টন ব্যাগ গ্রানুলার ইউরিয়া কার্নফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় আমদানি করা হবে; যেখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৩৫.৫০ ডলার।
নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহে ২টি বাফার গোডাউন নির্মাণের দরপত্র বাতিলের জন্য বিসিআইসির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।
সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে।প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪১৫ ডলার।
এছাড়া সৌদি আরবের মা'দেন থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৫৮১ মার্কিন ডলার দরে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানি থেকে উন্মুক্ত দরপত্রে এলএনজি কিনবে সরকার
সেপ্টেম্বরের আগে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা নেই
৪২৮ দিন আগে
অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নে ১০ সদস্যের প্যানেল অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি প্যানেল গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্যানেলের নির্দিষ্ট সদস্যদের নাম প্রকাশ না করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সচিবালয়ের একটি সূত্র।
এসডিজি বিষয়ক নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন এই প্যানেলকে ৯০ দিনের মধ্যে শ্বেতপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: উপদেষ্টা
এই নথিটিতে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সময় বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে তা মোকাবিলার লক্ষ্যে কৌশলগত সুপারিশগুলোর রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
শ্বেতপত্রটি বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্ব দেবে
সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনা: অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, বিনিয়োগ এবং ভর্তুকিসহ সরকারি ব্যয় এবং বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন পরীক্ষা করা।
মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা: উৎপাদন, সরকারি সংগ্রহ এবং খাদ্য বিতরণ প্রক্রিয়া মূল্যায়ন।
বাহ্যিক ভারসাম্য: রপ্তানি ও আমদানি গতিশীলতা, রেমিট্যান্স প্রবাহ, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বৈদেশিক ঋণের মতো বিষয়গুলোর মূল্যায়ন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: জ্বালানি খাতে চাহিদা, সরবরাহ, মূল্য, ব্যয় এবং ক্রয় চুক্তি বিশ্লেষণ।
বেসরকারি খাত: ঋণ, বিদ্যুৎ, সংযোগ এবং সরবরাহের সুযোগ পর্যালোচনা করা।
কর্মসংস্থান: আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মজুরি কাঠামো এবং যুব কর্মসংস্থান সমস্যাসহ দেশীয় এবং বিদেশে উভয় কর্মসংস্থানের শর্তগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা।
কমিটি সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সাচিবিক সহায়তা নিয়ে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: বানভাসিদের সহায়তার আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখরা এগিয়ে এসেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে যে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
৪৬৪ দিন আগে
নতুন করে ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা
নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটাগুলোর ক্ষেত্রে ইটভাটার মৌসুম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাচ্ছি না। তার আগেই চেষ্টা করছি এগুলো বন্ধ করতে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব ইটভাটার লাইসেন্স বা ছাড়পত্র নেই সেগুলো বন্ধ করে দেব। এগুলো তো বন্ধ করতে হবে, এগুলোর তো কোনো অনুমোদন নেই।’
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশ সফর শুরু হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার ক্ষেত্রে কোনো সহানুভূতি দেখাব না। সেগুলো বন্ধ হলে উন্নয়নে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। নীতিগত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আমরা আর কোনো নতুন ইটভাটার লাইসেন্স দেব না। আমাদের কাজ হবে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেগুলোর বিকল্প কী হতে পারে সেটি বের করা। এছাড়া যারা ব্লক ইটে যেতে চান তাদের কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায় সেটি দেখা হবে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে কিছু কিছু প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। তাদের প্রত্যাশাটা কী, তা জেনে দ্রুত পূরণ করতে পারলে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাজেট সহায়তা দিতে তাদের সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি বাংলাদেশে আইন-কানুন, নীতি ভালো আছে। এগুলোকে আরও ভালো করা যায়। কিন্তু সক্ষমতা না বাড়ালে এগুলো বাস্তবায়নে নানা রকম সমস্যা দেখা দেবে। মানুষের প্রত্যাশার জায়গাটা পূরণ হবে না। আইন-কানুন, নীতি আমরা আরও সময়োপযোগী করব, আরও শক্ত করব।’
উপদেষ্টা বলেন, কিছু কিছু নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে তাদের (বিশ্বব্যাংক) কাছে প্লাস্টিক, পলিথিন, শব্দ দুষণ ও কয়েকটা নদীতে দূষণ নিয়ে কথা বলেছি।
বিশ্বব্যাংক কী ধরনের সহায়তা দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে সবচেয়ে দূষিত নদী ও দূষণকারীদের তালিকা করতে। সেগুলো যখন আমরা পাব তখন একটি মনিটরিং প্ল্যান করতে পারব। ফলে বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি হয়নি। তবে একটি রূপরেখা তো আছেই, সেখানে নতুন নতুন কম্পোনেন্ট যদি যুক্ত করতে পারি সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করবেন।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ একদিনে সমাধান হবে না, কিন্তু এই শীতের আগে যেন বায়ুদূষণের কয়েকটি উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সেজন্য বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করছি। বায়ুদূষণ প্রশমনের পরিকল্পনা ও বাজেট না দেখালে নতুন করে নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হবে না। নির্মাণকাজ হবে, কিন্তু বায়ুদূষণ করে নয়। স্বল্প ব্যয়েই এটি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪৭০ দিন আগে
চীনে রপ্তানির অনুমোদন পেল বাংলাদেশি আম
বাংলাদেশি আম চীনে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস।
বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির ক্ষেত্রে ফাইটোস্যানিটারি প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে শুক্রবার (২৬ জুলাই) চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস এ ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকার ১৪টি বিদেশি মিশনের চিঠি
এর আগে, গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ ও চীনের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে ‘প্রটোকল অব ফাইটোস্যানিটারি রিকোয়ারমেন্টস ফর এক্সপোর্টিং অব ফ্রেশ ম্যাঙ্গো ফ্রম বাংলাদেশ টু চায়না’ নামের একটি চুক্তি সই হয়।
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানায়, এই ঘোষণাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের ফলাফল বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলাদেশের ভালো মানের আমের জন্য চীনে এটি বিশাল এক ভোক্তা বাজার সৃষ্টি করবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণ লক্ষ্য অর্জনেও এটি সহায়তা করবে।
দূতাবাস বলেছে, এটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার পারস্পরিক লাভজনক ও উপকারী ফলাফলের প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৪৯৩ দিন আগে
এলএনজি কার্গো ও মসুর ডাল আমদানির অনুমোদন মন্ত্রিসভা ক্রয় কমিটির
সিঙ্গাপুর থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) কার্গো আমদানি করবে সরকার।
সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৬০১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এলএনজি আমদানির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি)।
আরও পড়ুন: এলএনজি, সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার
মঙ্গলবার (৪ জুন ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয় সিসিজিপি।
মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুযায়ী ২০১০ সালের দ্রুত বাড়তি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে।
প্রতি মিলিয়ন ঘটফুট এলএনজির দাম পড়বে ১২ দশমিক ৯৭ ডলার, যা আগে ছিল ১০ দশমিক ৩ ডলার।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে স্থানীয় সরবরাহকারীর মাধ্যমে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
রায় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস প্রতি কেজি ১০০ টাকা ৭৯ পয়সা দরে ৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাল্ক মসুর ডাল সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
‘বাংলাদেশে তেল ও এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করবে আইটিএফসি’
৫৪৮ দিন আগে