শেষ করার আহ্বান
অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণকাজ জুনের মধ্যে শেষ করার আহ্বান
আগামী জুন মাসের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেছেন, চলচ্চিত্র নির্মাণে সম্পূর্ণ আর্থিক সহযোগিতা দেবে সরকার। এক্ষেত্রে চলচ্চিত্রগুলোর খরচ পরিচালক ও সার্চ কমিটি ঠিক করবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভ্যুলেশন’ এর আওতায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উপদেষ্টা এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, পরিচালকদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দেখছি যে উনারা ৫০টি কাজ করেছেন কি না। এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরিচালকরা একটি কাজ করেছে কি না, যেটিকে আমি উল্লেখ করতে পারি। এছাড়া আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তাদের মধ্যে আগুনটি আছে কিনা।
এদিকে, ৮টি বিভাগে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের কনটেন্ট বা ফিল্ম নির্মাণে ওয়ার্কশপ পরিচালনায় ৮ জন চলচ্চিত্র পরিচালককে নির্বাচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ আনতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, এই ৮ জনই জানেন তাদের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে। তারা যে কাজটি করবেন, সেই কাজের দিকেই সবাই তাকিয়ে আছেন। তারা এটার ওজন জানেন এবং তারা সেটি রক্ষা করবেন। তারা কী নির্মাণ করবেন, সে বিষয়ে আমরা তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। এটি যেন আর একটা সরকারি কাজ হয়ে ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয়। আমরা চাই এই ৮টি ছবি এনগেজিং হোক। ছবিগুলো আগামী দিনের চলচ্চিত্রের পথ দেখাবে। সেই বিষয়গুলো নিশ্চয়ই তাদের গল্পের মধ্যে থাকবে।
সচিবালয়ে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্য সুমন রহমান পরিচালকদের নাম ঘোষণা করেন।
তারা হলেন— অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল আলম রবি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ ও মো. তাওকীর ইসলাম।
সুমন বলেন, ‘সার্চ কমিটির লক্ষ্য ৮ জন চলচ্চিত্রকার নির্বাচন করা, যারা ২০২৫ সালে দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র-বিষয়ক কর্মশালা করে পরিচালনা করবেন ও প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে ৮টি চলচ্চিত্র তৈরি করবেন।’
এছাড়া, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে বলে জানান সার্চ কমিটির এই সদস্য। তার একটি হচ্ছে, শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকা ও এর বাইরের আগ্রহী তরুণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ তৈরি করা এবং তাদের কর্মদক্ষতা তৈরি ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষকদের সঙ্গেই চলচ্চিত্র নির্মাণে অংশগ্রহণ করা।
সুমন বলেন, ‘এসব কর্মশালা ও চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কোনো ছক বেঁধে দেওয়া হয়নি। এতে করে শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে সমর্থ হবেন এবং শৈল্পিক, রাজনীতিমনস্ক, বৈপ্লবিক ও তারুণ্যমণ্ডিত শিল্পভাষা তৈরি করতে আরও স্বাচ্ছন্দ্য হবেন।’
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সহযোগিতা করবে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে যে দীর্ঘ দুঃসময় আর রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব পার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস ফেলছে, তার একটি শৈল্পিক ভাষ্য এসব চলচ্চিত্রে দেখতে পাব।’
‘এসব কর্মশালা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ঢাকার বাইরের একটি বিরাট জনগোষ্ঠীকে এর সঙ্গে যুক্ত করবে। এই বিপ্লবোত্তর সময়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্পসংস্কৃতির একটি নতুন ভাষ্যের সন্ধান দেবে।’
তিনি জানান, প্রতিটি বিভাগে কর্মশালার জন্য একটি গুগল ফর্ম তৈরি করা হবে, সেটির মাধ্যমে আবেদনকারীদের আবেদন করতে বলা হবে। নির্দিষ্ট বিভাগের পরিচালকরা প্রার্থীদের নির্বাচন করবেন।
৩৩২ দিন আগে