জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদ থেকে বাদ পড়া প্রার্থী অমর্ত্য রায় জন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এই রিটটি দায়ের করেন।
অমর্ত্য রায় জন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে অন্যায়ভাবে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে জাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো অনিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার হতে পারে না।
এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা ফিরে পেতে জাবির ভিসি, রেজিস্ট্রার ও জাকসু নির্বাচনের প্রধান কমিশনারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের বিপরীতে ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ৭টি প্যানেল ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
এর মধ্যে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’, বামপন্থি সংগঠনগুলোর ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ এবং ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া, বামপন্থি সংগঠনগুলোর অপর অংশের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ নামে ৫ সদস্যের আংশিক প্যানেল ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের মুখপাত্র মাহফুজ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ নামে আরেকটি আংশিক প্যানেল রয়েছে। স্বতন্ত্র হিসেবেও অনেক প্রার্থী লড়ছেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে সেদিনই হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে শুনানির পর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ফলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) পূর্বনির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন।
৮৮ দিন আগে
প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: জাকসুর ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দরজায় কড়া নাড়ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের তৎপরতা যেন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাচ্ছেন ভোট।
এসব প্রতিশ্রুতি, প্যানেল গঠন ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী (ছাত্রদল), আরিফুজ্জামান উজ্জল (বাগছাস), আরিফ উল্লাহ (ছাত্রশিবির)। তিনজন প্রার্থীকে নিয়ে তিন পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
শেখ সাদীর বাবার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক এবং মা শেফালী বেগম। তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ হরিরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাকাইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নাকাইহাট কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। শেখ সাদী হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তিনি অন্যতম অগ্রনায়ক হিসাবে কাজ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন শেখ সাদী। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সম্মানের শিখরে নিয়ে যেতে চান বলে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি নয়, বরং তারা পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী হিসাবে মনোনীত সাদী বলেন, এবারের জাকসু নির্বাচনে আমরা ভালো ফলাফল আশা করছি। বিগত দিনগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে ছাত্রদল। সেইসঙ্গে নব্বইয়ের গৌরব ধরে রাখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
দলীয় প্যানেল নির্বাচনে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে একটি পদের জন্য একাধিক করে যোগ্য প্রার্থী ছিল। ফলে আমরা সময় নিয়ে অভ্যন্তরীণ ভোটাভোটির মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে যারা সব সময় সোচ্চার ছিলো এবং সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে।’
নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য দলীয় কোনো উৎস থেকে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা এ নির্বাচনের জন্য কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনের প্রণীত নীতিমালায় যে অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে, সে অনুযায়ী নিজেরাই নির্বাচনী ব্যয় বহন করছি।’
সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন তাদের ভোট দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাদী বলেন, আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো কাজ করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু খুনি হাসিনার পতন পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো— আমরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রায় ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের ফ্রী ‘হেপাটাইটিস বি’ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের আওতায় এনেছি।
এই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা সরকারের করা উচিত থাকলেও সেটি জাবি ছাত্রদল একক সংগঠন হিসেবে করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য মেয়েদের নাইট টুর্নামেন্ট আয়োজন, দুর্ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে গতিসীমা বিলবোর্ড লাগানোসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার্থে গাছে গাছ পাখিদের আবাসস্থল স্থাপন করেছেন বলে জানান সাদী।
এর বাইরেও বিভিন্ন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকার দাবি করেন। এ বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সমর্থন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের সাড়া পাওয়া নিয়ে তিনি জানান, আমরা নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে যখন শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছি, তখন তাদের কাছ থেকে আমরা অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সবর উপস্থিতি থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই আমাদের জানেন, এমনকি আমাদের ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
প্রচারণা চালাতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না এর জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। আমাদের অনুষদ ও বিভাগগুলোতে নিয়ম করে প্রচারণা চালাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি, সবাই সবার জায়গা থেকে আমাদের সহযোগিতা করছেন। আমাদের সিনিয়ররাও সাধ্যমতো সহযোগিতা করছেন। আশা করি আমরা শেষ পর্যন্ত এমন একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ পাবো এবং প্রশাসন একটা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবেন এমনটাই বিশ্বাস রাখি।’
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই দিক থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা। এখানে কোনো ঝামেলা নেই। এখানে আমরা সব দলের প্রার্থীরা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছি। আর নির্দিষ্ট একটা গন্ডির মধ্যে হওয়ায় বহিরাগত প্রবেশের সুযোগও কম। তবে ছুটির দিনগুলোতে কিছু লোক ঘুরতে আসে, এই ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’
নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কি কি কাজ করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সবার আগে আমি তিনটি কাজ করব। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যা (খাবারের মান, স্বাস্থ্য সেবা, যাতায়াতসহ এ ধরণের সকল সমস্যা) সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও গবেষণায় কাঠামোগত মান উন্নয়ন। তৃতীয়ত, অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করা।
সাদী আরও বলেন, ‘জাকসুর ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য জাকসু সেল ও শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য আলাদা শিক্ষার্থী সেল গঠন করব। এমনকি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার শেষের দিকে ক্যারিয়ার কেন্দ্রীক বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করব, যাতে তারা হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার।
৮৮ দিন আগে
জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত ‘সাদি-বৈশাখী-সাজ্জাদ-ইকরা’ প্যানেল শিক্ষা, গবেষণা ও নিরাপদ ক্যাম্পাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অদম্য ২৪’ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান।
ছাত্রদলের ঘোষিত ৮ দফা ইশতেহার:
১. আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা।
২. শিক্ষাবান্ধব, নিরাপদ, মুক্ত ও বৈচিত্র্যময় ক্যাম্পাস।
৩. পরিকল্পিত আবাসন ও খাবারের মান উন্নয়ন।
৪. নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
৫. মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
৬. সুসমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা।
৭. ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উন্নয়ন।
৮. পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাণীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরি।
শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী ও স্বাধীন চেতনার প্রতীক। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এখান থেকে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আমরা এই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদলই একমাত্র সংগঠন যারা ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লড়াই করেছে। আজ আমরা ৮টি মূল অঙ্গীকার ঘোষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাচ্ছি।’
জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে পরিবহন সংকট নিরসনে নিয়ন্ত্রিত অটোরিকশা ও ইলেকট্রিক কার বৃদ্ধি করা হবে। বাস রুট পর্যালোচনা, সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন রুট চালু হবে। প্রতিটি বাসে জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন করে মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। এছাড়া বাইসাইকেল-মোটরসাইকেল রাখার ব্যবস্থা, ফুটপাত ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কার এবং পরিবেশবান্ধব যাতায়াতকে উৎসাহিত করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট শেখ সাদী হাসানকে (ভিপি), তানজিলা হোসেন বৈশাখীকে (জিএস), মোঃ সাজ্জাদুল ইসলামকে (এজিএস-পুরুষ), আঞ্জুমান আরা ইকরাকে (এজিএস-নারী) প্রার্থী করে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা।
৮৯ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ নামে ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ নামে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশ।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন সংসপ্তকের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসাবে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সাবেক সভাপতি অমর্ত্য রায় (প্রত্নতত্ত্ব, ২০১৭-১৮ সেশন), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসাবে জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি শরণ এহসান, (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব, ২০১৭-১৮ সেশন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) হিসাবে ফারিয়া জামান নিকি (নৃবিজ্ঞান ২০১৮-১৯ সেশন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) হিসাবে নূর এ তামীম স্রোত (নৃবিজ্ঞান, ২০১৯-২০ সেশন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ ছাড়াও প্যানেলে শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক হিসাবে সুকান্ত বর্মণ, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সোমা ডুমরী, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আতিকুর রহমান জনি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোছাম্মাৎ রাহাতুল ফেরদৌস রাত্রি, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মায়মুনা বিনতে সাইফুল, নাট্য সম্পাদক ইগিমি চাকমা, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) হিসাবে প্রত্যাশা ত্রিপুরা, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) হিসাবে রেং থ্রী ম্রো, তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. মাহফুজ আহমেদ, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আবরার হক বিন সাজেদ, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী) হিসাবে মায়িশা মনি, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ) পদে মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদে লাবিবা মুবাশশিরা ইশাদি, পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে সীমান্ত বর্ধন মনোনীত হয়েছেন।
পড়ুন: জাবি জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা
এর পাশাপাশি এই প্যানেল থেকে ৪ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী কার্যকরী সদস্য পদের জন্য লড়বেন।
কার্যকরী সদস্য (নারী) প্রার্থীরা হলেন— আরিফা জান্নাত মুক্তা, আনিকা তাবাসসুম ফারাবী, আদৃতা রায় এবং কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে লড়বেন নিহ্লা অং মারমা, সৈকত কুমার কানু, চুই থুই প্রু মারমা এবং মো. এরফানুল ইসলাম ইফতু মনোনীত হয়েছেন।
দীর্ঘ ৩৩ বছরের অচলাবস্থা ভেঙে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
৯৭ দিন আগে
জাবি জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ অদম্য এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবু আহসান মোহাম্মদ ইয়া হিয়া।
ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন শেখ সাদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে তানজিলা হোসাইন বৈশাখী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন নারী প্রতিনিধি আঞ্জুমান আরা ইকরা। ২৫ সদস্যের এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা ‘২৪ অদম্য’ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তা, প্রার্থিতায় অনাগ্রহ নারীদের
এদিকে আজ ছিল জাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ পর্যন্ত প্রায় আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে জানা গেছে। বিকেল ৪টায় চূড়ান্ত তথ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল ইসলাম।
৯৮ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তা, প্রার্থিতায় অনাগ্রহ নারীদের
আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বর্তমান নানা বাস্তবতায় নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ভোটারদের মধ্যে অর্ধেক নারী। তবুও সাইবার বুলিং, সামাজিক হেনস্তা, চরিত্রহনন, ব্যক্তিগত আক্রমণ, ছবি বিকৃতির ভয়, পরিবার-সমাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা, সমান সুযোগ সুবিধার অভাব, পুরুষ-প্রধান রাজনীতির সংস্কৃতি ও অনুকূল পরিবেশের অভাবকে দায়ী করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন জাকসু নির্বাচনে নারীদের অনাগ্রহের পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হওয়ায় অনেকের মধ্যে পরিষ্কার ধারণা নেই। আবার সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণের কারণে অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখছে। তাই অনেকেই প্রার্থী হতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
তারা জানান, নির্বাচনে প্রার্থিতায় অনীহার বড় একটি কারণ হলো সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তা। চরিত্রহনন, গুজব, প্রপাগাণ্ডা, ছবি বিকৃতির ভয় নারীদের নির্বাচন থেকে দূরে রেখেছে। এছাড়াও পরিবার বা আত্মীয় স্বজনদের থেকে অনাগ্রহ, আপত্তি ও নিরুৎসাহিত করা, নির্বাচনে অনুকূল পরিবেশের অভাব এবং সমান সুযোগ-সুবিধার অভাব তাদের নির্বাচনবিমুখ করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নারী শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ বলছেন, বিগত জুলাই আন্দোলনের পর থেকে দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে একাধিক নারী নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারাও সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তার শিকার হওয়া থেকে দূরে থাকতে পারেননি। সেই জায়গায় জাকসু নির্বাচনে নির্দিষ্ট কোনো প্যানেলে যুক্ত হয়ে নির্বাচন করা তাদের জন্য দুরূহ ব্যাপার বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।
পড়ুন: ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: ভোটার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রদর্শন বন্ধ থাকছে
আসন্ন জাকসু নির্বাচনে 'শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম' প্যানেল থেকে এজিএস (ছাত্রী) প্রার্থী মালিহা নামলাহ বলেন, ‘নারীদের প্রার্থী না হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হলো সাইবার বুলিং ও হেনস্তা। সবক্ষেত্রে সমান সুযোগ সুবিধা না পাওয়াও প্রধান কারণ। ব্যক্তিগত আক্রমণ, প্রপাগাণ্ডা, চরিত্রহননের ভয় তো থাকেই। এছাড়াও ছাত্ররাজনীতি নিয়ে অনীহা এবং পরিবার বা আত্মীয় স্বজন থেকে অনীহা এবং আপত্তির কারণেও নারীরা ফ্রন্ট লাইনে আসতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় এবং বিভিন্ন সেমিনার বা ক্যাম্পেইন আয়োজন করা যায় তাহলে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে। এছাড়াও সাইবার বুলিংকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে এবং সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করলে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।’
'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেল থেকে এজিএস (ছাত্রী) প্রার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা বলেন, ‘‘নারীদের নেতৃত্বে না আসার প্রধান কারণ আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। কোনো নারী যখন নেতৃত্বে আসতে চায়, তখন সাইবার বুলিং, ট্যাগিং, ব্যাশিংয়ের শিকার হয়। চরিত্র তুলে কথা বলা হয়। ইসলামী মতাদর্শের হলে 'ছাত্রীসংস্থার' বলা হয় আর মুক্তমনা হলে 'শাহাবাগী গোসল কর' বলা হয়৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন নারী যখন নেতৃত্বে আসতে চান, তখন তার পরিবার চিন্তা করে তার মেয়ের সঙ্গে নোংরামো হবে। এই একটি মাত্র ভয়ে মেয়েরা ইচ্ছা এবং যোগ্যতা থাকার পরেও পরিবারের বাধার কারণে সামনে আসতে পারে না।’
এদিকে জাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে নারীদের অনাগ্রহের কারণে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ এবং হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী সংকট দেখা দিয়েছে। মেয়েদের অধিকাংশ হলে একাধিক পদে কোনো প্রার্থী পাওয়া যায়নি, ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
মেয়েদের হলে প্রার্থী সংকট, একাধিক পদ শূন্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২১টি আবাসিক হলে জাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি চললেও ছেলেদের ১১টি হলের প্রায় সব পদে একাধিক প্রার্থী নমিনেশন জমা দিয়েছেন।
অন্যদিকে মেয়েদের হলে চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা- কোনো হলে ৬টি, কোথাও ১০টি আবার কোনো কোনো হলে ১১টি পদে মনোনয়নপত্র বিক্রি হলেও বহু পদ শূন্য থেকে গেছে।
জাকসু নির্বাচনে এবার কেন্দ্র ও হল মিলিয়ে মোট ৮১৩টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হলেও নমিনেশন জমা পড়েছে মোট ৭৪০টি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জমা হয়েছে ২৭৩টি এবং হলভিত্তিক জমা পড়েছে মোট ৪৬৭টি মনোনয়নপত্র।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী-কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ২৯৯টি মনোনয়নপত্র দেওয়া হলেও জমা হয়েছে ২৭৩টি। অন্যদিকে হল পর্যায়ে ৫১৪টি মনোনয়ন বিতরণ করা হলেও জমা পড়েছে ৪৬৭টি।
পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: 'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট' নামে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা
জাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, মেয়েদের হলগুলোর মধ্যে জাহানারা ইমাম হলে মনোনয়ন জমা পড়েছে ১৬টি, প্রীতিলতা হলে ১৩টি এবং বেগম খালেদা জিয়া হলে ১১টি। বেগম সুফিয়া কামাল হলে জমা পড়েছে ১০টি মনোনয়নপত্র। ১৩ নম্বর ছাত্রী হল (সাবেক শেখ হাসিনা হল) ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে জমা পড়েছে সর্বনিম্ন সংখ্যক মাত্র ৬টি করে মনোনয়ন।
অন্যদিকে, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল (সাবেক বঙ্গমাতা হল), রোকেয়া হল ও বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে জমা পড়েছে ১৭টি করে মনোনয়নপত্র। আর বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলে জমা পড়েছে মোট ১৫টি মনোনয়ন।
এদুদি জাকসু নির্বাচনে পুরুষ প্রার্থীদের তুলনায় নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ায় ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের পরিবেশ নারী শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকূলে নয় এবং সাইবার বুলিং, সামাজিক হেনস্তাসহ প্রতিনিয়ত ট্যাগিং ও ব্যাশিংয়ের শিকার হচ্ছেন নারী শিক্ষার্থীরা। এতে করে ছাত্ররাজনীতি বা নির্বাচন থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
অন্যদিকে শিক্ষকরা বলছেন, কাঠামোগত পরিবর্তন, পরিবার ও সমাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা ও জাকসু নির্বাচন সম্পর্কে সম্মক ধারণা না থাকায় নারী শিক্ষার্থীরা নির্বাচনবিমুখ হতে পারেন।
সার্বিক বিষয়ে জাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কাছে নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা বা সাইবার বুলিংয়ের কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ নামে বাগছাস সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৩ বছর পরে আমরা জাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছি। এখানে সবাইকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। কাউকে হেনস্তা করা বা সাইবার বুলিং করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা কারো কাম্য নয়। এছাড়াও তিনি নির্বাচন আয়োজনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।’
১০২ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ নামে বাগছাস সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ নামে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকাল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়। সাভারের জুলাই শহীদ নাফিসা হোসেন মারওয়ার মামা হযরত আলী এই প্যানেলটি ঘোষণা করেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত এই প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে সংগঠনটির জাবি শাখার আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং জাবি শাখার সদস্য সচিব আবু তৌহিদ মো. সিয়াম, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস-ছাত্র) পদে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান এবং (এজিএস-ছাত্রী) পদে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মালিহা নামলাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
প্যানেলে অন্য পদগুলোর মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মার্জিউর রহমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাঈদ হোসেন, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা (বৈশাখী), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (ছাত্র) রিং ইয়ং মুরং, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (ছাত্রী ) সাবিকুন্নাহার (পলি), আইটি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক নকিব আল মাহমুদ অর্ণব, সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন সম্পাদক আহসান লাবীব, সহ-সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন সম্পাদক (ছাত্র) কাজী মেহবার (তুর্য), সহ সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন (ছাত্রী) সম্পাদক পদে নাদিয়া রহমান অন্বেষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক নাসিম আল তারিক, পরিবহন ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. নাহিদ হাসান (ইমন) মনোনয়ন পেয়েছেন।
পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: 'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট' নামে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা
এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে ৩ জন নারী মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হলেন– পৃষতী খান, তানজিলা তাসনীম সেতু, আফিয়া ইবনাত সামিহা এবং মনোনয়ন পাওয়া ৩ জন পুরুষ হলেন- সাদাত ইবনে ইসলাম, ত্বাসীন আহমেদ, মোহাম্মদ আলী চিশতি। এখানে নাট্য সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদ দুইটি খালি রাখা হয়েছে।
প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সচেতন নেতা, আদিবাসী প্রতিনিধি এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সমন্বিত প্যানেল গঠন করতে।’
তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করিনি। আমাদের লক্ষ্য ছিল সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে এমন একটি প্যানেল তৈরি করা, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দল, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটসাল দলের খেলোয়াড় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান কিরণের সমর্থনে নির্বাচনে আমাদের প্যানেল থেকে 'ক্রীড়া সম্পাদক' পদে আমরা কোনো প্রার্থী দিচ্ছি না এবং নাট্য সম্পাদক পদে পরবর্তীতে প্রার্থী মনোনীত করা হবে বলে জানান তিনি।
পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএস-এজিএস হিসাবে আলোচনায় যারা
১০৪ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: 'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট' নামে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে 'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট' নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঙ্গনে কাজ করা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৫টায় শেষ দিনের মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্যানেল ঘোষণা করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব।
জাবি শাখা ছাত্রশিবির ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ফার্মেসি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের সদস্য আরিফুল্লাহ আদিব, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ইংরেজি বিভাগের (৪৮তম ব্যাচ) ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) (ছাত্র) পদে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের (৪৯ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের সদস্য ফেরদৌস আল হাসান এবং এজিএস (ছাত্রী) পদে দর্শন বিভাগের (৪৮ ব্যাচ) ২০১৮-১৯ শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়া অন্যান্য পদগুলোর মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ফার্মেসি বিভাগের আবু উবায়দা উসামা, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক শাফায়েত মীর, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ইংরেজি বিভাগের জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আলী জাকি শাহরিয়ার, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের মানবাধিকার সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, নাট্য সম্পাদক হিসেবে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের রুহুল ইসলাম এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের সদস্য শফিউজ্জামান শাহীন, সহ-ক্রীড়া (ছাত্র) পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক মহাদী হাসান, সহ-ক্রীড়া (ছাত্রী )পদে গণিত বিভাগের লুবনা মনোনীত হয়েছেন।
পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিন শেষে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৩২৮ প্রার্থী
আইটি ও গ্রন্থাগার পদে ফার্মেসি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের রাশেদুল ইমন লিখন, সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন পদে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের গবেষণা সম্পাদক হাফেজ আরিফুল ইসলাম, সহ-সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক (ছাত্র) তৌহিদ ইসলাম, সহ সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন (ছাত্রী) পদে ফার্মেসি বিভাগের নিগার সুলতানা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের হুসনী মোবারক, পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের তানভীর রহমান মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়াও কার্যকরী সদস্য পদে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের সদস্য তরিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের এইচআরডি সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুহিবুল্লাহ, আবু তালহা, মহসিন, ফাবলিহা জাহান, নাবিলা বিনতে হারুন, নুসরাত জাহান মনোনীত হয়েছেন।
ঘোষিত প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তাদের নিয়ে 'সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট' নামে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
১০৫ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএস-এজিএস হিসাবে আলোচনায় যারা
সুদীর্ঘ ৩৩ বছরের অচলাবস্থা ভেঙে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অবশেষে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের প্যানেল গোছাতে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ত সময় পার করছে।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ২৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রার্থীরা। প্রার্থী হতে বয়সের কোনো বাধা না থাকলেও স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তরের নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯১৯ জন। জাকসু সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষ পদ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে থাকলেও, আগের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে থাকছে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো।
তবে এবার গঠনতন্ত্রে কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। সংযোজন করা হয়েছে নতুন কিছু পদ, বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত পদ। সেগুলো হলো— যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী)। এছাড়া কার্যকরী সদস্য হিসাবে থাকবেন তিনজন নারী।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিন শেষে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৩২৮ প্রার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার জাকসুতে পাঁচ থেকে ছয়টি প্যানেল হতে পারে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি প্যানেল আসতে পারে বলে সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিগত জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ছাত্রদল নেতা আব্দুল গাফফার জিসান এবং ২০১৮-১৯ সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সাদি ভিপি প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন।
এছাড়া জিএস পদে ২০১৯-২০ সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ সালমান, ২০১৯-২০ সেশনের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেল মিয়া এবং একই সেশনের নাটক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ইমন এজিএস প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে চমক দেখাতে পারে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। সংগঠনের জাবি শাখার আহ্বায়ক ২০১৭-১৮ সেশনের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ভিপি প্রার্থী, ২০১৯-২০ সেশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম জিএস প্রার্থী এবং ২০২০-২১ সেশনের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ান এজিএস প্রার্থী হতে পারেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের দুইটি আলাদা প্যানেল হতে পারে। ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সদ্য সাবেক সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে অনেকেই যুক্ত হতে পারেন। আমি সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের সভাপতি ফাইজা মেহেজাবিন জিএস প্রার্থী হতে পারেন।’
অন্যদিকে ছাত্র ইউনিয়নের অপর অংশের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন জানান, ‘আমরা বিভিন্ন মতের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ইনক্লুসিভ প্যানেল করব। আমাদের প্যানেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের অন্য অংশের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মেঘ ভিপি প্রার্থী, ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন জিএস প্রার্থী এবং সেক্রেটারি তানজিম ইসলাম এজিএস প্রার্থী হতে পারেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক ও নাটক ও নাট্যকলা ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া এবং দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী সজিব আহমেদ জেনিচের নেতৃত্বে আলাদা দুটি প্যানেল হতে পারে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ইসলামী ছাত্রশিবিরও এবার প্যানেল দেবে। সংগঠনের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্যানেলে ২০১৮-১৯ সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম ভিপি প্রার্থী, ২০১৯-২০ সেশনের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শাফায়াত মীর জিএস প্রার্থী এবং একই সেশনের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আল হাসান এজিএস প্রার্থী হবেন।’
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ১৬ আগস্টের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ
জাবিতে সক্রিয় গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক ২০১৭-১৮ সেশনের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু নেতৃত্বে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল হতে পারে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময়সীমা ১৮ ও ১৯ আগস্ট থাকলেও শিক্ষার্থীদের দাবিতে তা দুদিন বাড়িয়ে ২১ আগস্ট দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
জাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। যাচাই-বাছাই ২১ থেকে ২৪ আগস্ট, খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৫ আগস্ট। বৈধতা-বাতিলের আপিলের শেষ তারিখ ২৬ আগস্ট, শুনানি ও রায় ২৭ আগস্ট, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৮ আগস্ট। চূড়ান্ত তালিকা ২৯ আগস্ট প্রকাশ হবে। নির্বাচনী প্রচার ২৯ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ হবে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
১০৬ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিন শেষে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৩২৮ প্রার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩২৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পড়ুন: জাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ১৬ আগস্টের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ
তিনি জানান, দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় সংসদের বিভিন্ন পদে ৪৭ জন এবং হল সংসদের জন্য ১৫৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৪৭টি ও হল সংসদের জন্য ৮৬টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। ফলে দুই দিনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৩২৮টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মনোনয়ন সংগ্রহের সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা স্বচ্ছভাবে মনোনয়ন নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ ও ১৯ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমার সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় একদিন বৃদ্ধি করে আগামী ২১ আগষ্ট দুপুর ২টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
১০৭ দিন আগে