ভারতীয় মিডিয়া
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ‘ভুল সংবাদ’ প্রচারে প্রেস উইংয়ের নিন্দা
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল আজ তাক বাংলায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদেরকে প্রধান উপদেষ্টার পদক প্রদানের ছবিকে গোপন ছবি বলে প্রচার করা হয়েছে।
রবিবার (৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনাকে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ ও চরম নিন্দনীয় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে পুলিশের ইউনিফর্মকে পাকিস্তানের জেনারেলের পোশাকের সঙ্গে মিল রয়েছে রয়েছে এমন দাবি করে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন এমন প্রশ্ন তোলা হয়।
মূলত গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ লাইন্সে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ৬২ জন সদস্যকে পদক প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের অবস্থার পরিবর্তন না হলে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
তাদের মধ্যে এই ছবিতে রয়েছেন, তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও ছিবগাত উল্লাহ এবং উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক কাজী ফজলুল করিম। তারা প্রত্যেকেই নিজ দায়িত্বে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক পেয়েছেন।
এটি কোন গোপন ছবি নয়। এই ছবিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছিলো। আজ তাক বাংলার এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জড়িয়েও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে।
এগুলো সবই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ এবং চরম নিন্দনীয়।
২১৫ দিন আগে
ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু অসুস্থতাজনিত, শূন্যে নেমেছিল রক্তচাপ: পুলিশ
দিনাজপুরের বিরলে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু অসুস্থতাজনিত কারণে হয়েছে, তার ব্লাড প্রেশার শূন্যে নেমে গিয়েছিল— প্রাথমিক তদন্ত শেষে এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) তিনি মারা যান।
মৃত ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৫) বিরল উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত তারক চন্দ্র রায়ের ছেলে।
এর আগে ভবেশ চন্দ্রকে বাসা থেকে তুলে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
এছাড়া এই মৃত্যু নিয়ে একাধিক ভারতীয় মিডিয়ায় হত্যা সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে এই মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ভারতের এই বিবৃতি প্রত্যাখান করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এরপর শনিবার( ১৯ এপ্রিল) ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সঙ্গীদের ডাকে বাড়ি থেকে বের হন ভবেশ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পথিমধ্যে মৃত্যু কোলে ঢুলে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে শিবিরের সাবেক নেতার উপর দুর্বৃত্তের হামলা
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে প্রতিবেশী রতন, আক্তারুল ইসলাম, রুবেল ইসলাম এবং মুন্না ইসলামের সঙ্গে দুইটি মোটরসাইকেলে নাড়াবাড়ী হাটে গিয়েছিলেন ভবেশ। বয়সের ব্যবধান থাকলেও তারা নিয়মিত আড্ডাবাজিসহ একসঙ্গে চলাচল করতেন।’
‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা একত্রে চা-সিগারেট ও পান খাওয়ার পর কিছুটা অসুস্থবোধ করেন ভবেশ। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক লিটন ও আরেক পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহমানের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় তাকে। তার ব্লাড প্রেশার শুন্যে নেমে গিয়েছিল।’
পুলিশ সুপার জানান, বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন একমাত্র ছেলে স্বপন চন্দ্র রায়। সেখানে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওইদিন মধ্যরাতেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পুলিশ। পরে লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার সৎকার করেছে পরিবার।
ভবেশের মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ অথবা মামলা করা হয়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তাছাড়া ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হবে।
২২৯ দিন আগে
ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে আ.লীগের পাশাপাশি ভারতীয় মিডিয়াও: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জঙ্গি নেতা হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে শেখ হাসিনার ‘অলিগার্ক গোষ্ঠীর’ পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেছেন, ‘তারা একটা নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাচ্ছে। বিশ্বকে বোঝাতে চাইছে, তোমরা যে এটাকে গণঅভ্যুত্থান বলছ, সেটা আসলে তা না।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে দ্রোহের গ্রাফিতির প্রকাশনা উৎসবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও পতিত স্বৈরাচার, চোরতন্ত্রের জননী, গুমের জননী; তারা চাইছেন বাংলাদেশের যে ন্যারেটিভ, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করতে।’
‘ওদের বার্তাগুলো খেয়াল করেন— তিন হাজার পুলিশ মারা গেছে; ড. ইউনূস জঙ্গি লিডার; ইউনূসকে জঙ্গিরা ঘিরে আছে। এগুলো কেন বলছে জানেন? এটা সুপরিকল্পিত প্রচারাভিযান। এতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও জড়িত। এর পেছনে মিলিয়ন ডলার খরচ করছেন হাসিনার অলিগার্করা।’
আরও পড়ুন: ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আ.লীগকে বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
তিনি বলেন, ‘এটা বড় রকমের একটা চক্রান্ত। বিদেশিদের তারা বোঝাতে চাইছে, আমাদের দেশে যেটা হয়েছে, সেটা আসলে গ্লোবাল অর্ডারের বাইরের একটা কিছু।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘ড. ইউনূস ছয় দশক ধরে জনজীবনে আছেন এবং সবাই তাকে চেনেন। তাকে তারা এমনভাবে উপস্থাপন করছে, বাংলাদেশের যে অনন্য ইতিহাস, নতুন বাংলাদেশের ইতিহাস, এটা উল্টে দিতে চায়।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে অনেকেই ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টায় লিপ্ত আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। অথচ ড. ইউনূস কিন্তু ছয় দশক ধরে পাবলিকলি আছেন একটা স্বচ্ছ ইমেজ নিয়ে। আমাদের অপপ্রচার যারা করে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে কী ভয়াবহ ১৫টা বছর ছিল—সেটা গবেষণার মাধ্যমে সবাইকে জানানো। প্রত্যেক ক্যাম্পাসে সেমিনার করব, দেওয়ালে দেওয়ালে অন্যায়-অবিচারের কথা লিখে রাখব, যেন বাংলাদেশে এই পতিত স্বৈরাচার ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা ফিরতে না পারে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের একটি মহৎ-মহান বিপ্লব হলো, একটি মুক্তিযুদ্ধ করলাম, ভয়ঙ্কর রকমের একটি মিলিটারির বিরুদ্ধে, কিন্তু এটার ডকুমেন্টেশন নেই। খুবই দুর্বল ডকুমেন্টেশন।’
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবের প্রথম কয়েকটা মাসে একটা ভঙ্গুর অর্থনীতির মাঝে ছিলাম। আরেকটা হচ্ছে, তার বাজে রকমের অর্থনৈতিক পলিসি, এটাকে আমি সুইসাইডাল বলব। সেটা বাংলাদেশকে আরও গরিবীর দিকে নিয়ে গেছে।’
‘মানুষ তখন বাঁচার যন্ত্রণায় ছিল, গ্রাফিতি কী করবে আর! ফলে ১০-১৫ বছর পর দেখা গেল, ১৯৭১ সালের পরে জন্ম নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে, এমনকি ডাকাত হয়ে গেছে মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রীও হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কল্যাণেই ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও স্বাস্থ্যকর জায়াগায় নিতে হবে: প্রেস সচিব
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাংবাদিক কাজী রওনাক হোসেন ও ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান’ বইয়ের লেখক জি এম রাজীব হোসেন।
৩০০ দিন আগে