জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
জুলাই জাতীয় সনদ সই আজ, শেষ মুহূর্তেও রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতা
বহুল প্রতীক্ষিত জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান আজ শুক্রবার। এ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। তবে শেষ সময়েও নানা শর্ত ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। সনদ সই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিএনপি জুলাই সনদে সই করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা (বিএনপি) অবশ্যই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব; তবে যে কথাগুলো আমরা বলছি, সেগুলো যদি লিপিবদ্ধ করা হয়। যেগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছি, সেগুলো যদি লিপিবদ্ধ করা হয়।’
জামায়াত বলেছে, তারা সরকারের সম্মানে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে, কিন্তু স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত পরে জানাবে।
তবে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে ফেসবুকে এনসিপির মিডিয়া গ্রুপে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অংশগ্রহণ করবে না। এনসিপি মনে করে, এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোনো আইনি ভিত্তি অর্জিত হবে না। এটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এনসিপি বহুবার স্পষ্টভাবে আইনি ভিত্তির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে।’
অবশ্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে এনসিপি। দাবি পূরণ হলে পরবর্তীতে দলটি স্বাক্ষর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে বলে বার্তায় জানানো হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংশোধিত খসড়া না পেলে সনদে সই করবে না বলে আগেই জানিয়েছে বাম ধারার চারটি দল— বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।
দলগুলো কেন জুলাই সনদে সই করবে না, তার কারণ ব্যাখ্যা করে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানায়, জুলাই সনদের প্রথম অংশে পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি, বারবার সংশোধনী দিলেও সেগুলো সন্নিবেশিত করা হয়নি।
অন্যদিকে, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, ‘আমরা সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। এটাও চাচ্ছি যে, স্বাক্ষরের বিষয়টি শেষ হয়ে যাক। তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, জুলাই যোদ্ধাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।’
তবে আজ (শুক্রবার) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খোলা আকাশের নিচে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এরপরও সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সব দলের স্বাক্ষর নেওয়া গেলে ভালো। তবে যদি কোনো দল পরবর্তীতে স্বাক্ষরের কথা বলে, তারা তো সনদ প্রক্রিয়ার অংশীদার—শরিক হিসেবে সেটা করতে পারবে।’
তারপরও সবাই একসঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে সই করবে বলে কমিশনের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া ও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না থাকায়’ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে সই করবে না— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘এনসিপির বক্তব্য কমিশন গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছে। তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অগ্রগামী শক্তি ছিল এবং সনদ প্রক্রিয়ায়ও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। কমিশনও মনে করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া জরুরি, এবং মেয়াদ থাকা অবস্থায় আমরা এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ দেব।’
বাম দলগুলো সনদে সই না করার ঘোষণা দিলেও তারাও আলোচনার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, আজকের (শুক্রবার) অনুষ্ঠানে জুলাই সনদ প্রণয়নের প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে ভিডিও প্রদর্শন করা হবে, এবং আগামী দুই মাস এ বিষয়ে আরও কাজ চলবে।
৪৯ দিন আগে
১৫ নয়, জুলাই জাতীয় সনদ সই অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর
জুলাই জাতীয় সনদ সই অনুষ্ঠান ১৫ অক্টোবরের (বুধবার) পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠক শেষে কমিশন সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ সই অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এর আগে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে।
আরও পড়ুন: ১৫-১৬ অক্টোবর জুলাই সনদে সই হবে: আশা আলী রীয়াজের
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জুলাই জাতীয় সনদ সই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে এতে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
৫৪ দিন আগে
১৫-১৬ অক্টোবর জুলাই সনদে সই হবে: আশা আলী রীয়াজের
আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ ও ১৬ অক্টোবরের মধ্যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে সই করবে বলে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পঞ্চম দিনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা জানান তিনি।
আলী রিয়াজ বলেন, “সব দল একভাবে সম্মতি না দিলেও জনগণের চূড়ান্ত মত নেওয়ার সময় এসব আপত্তির বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। জুলাই জাতীয় সনদে যে বিষয়গুলো আছে সেখানে যেহেতু কিছু ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে, সেটাকে আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
“সবগুলো বিষয় একভাবে বিবেচনা করা যাবে তা আমরা মনে করছি না। কারণ যেসব রাজনৈতিক দল ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন তারা তাদের অবস্থানের দিক থেকে দিয়েছেন, তাদের শুধুমাত্র দলীয় অবস্থান নয়, আমরা আশা করি যে তারা অন্যান্য বিবেচনা থেকেও দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, ‘জনগণের সম্মতি নিশ্চিত করার সময় এসব ভিন্নমত যেন যথাযথভাবে জানানো হয়, সেটিই হবে গণভোটের মূল উদ্দেশ্য। আমাদের দেখতে হবে জনগণের যে সম্মতি, সে সম্মতির ক্ষেত্রে যেন তারা এটা জেনেশুনেই সম্মতি নিতে পারেন যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দলের এ বিষয়ে আপত্তি আছে।’
কমিশন সব দলের মতামত ও আপত্তির পর্যালোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব তৈরি করে সরকারকে তা সুপারিশ করতে চায় বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের পক্ষ থেকে যদি সুনির্দিষ্ট সুস্পষ্ট একটি জায়গায় একটি প্রস্তাব আসে, কমিশন সরকারকে সেটাই উপস্থাপন করবে এবং কমিশন চাইবে যে সেটাই বাস্তবায়িত হোক।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে এবং কমিশন এখন চূড়ান্ত কাঠামো নির্ধারণে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রচেষ্টায় অনেকদূর অগ্রগতি হয়েছে এই অর্থে যে গণভোটের ক্ষেত্রে আমরা সকলেই একমত জায়গায় আসতে পেরেছি।’
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘১০ অক্টোবরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলো আমরা সরকারের কাছে দিতে চাই। আমরা আগামী ১৫-১৬ অক্টোবরের মধ্যে সইয়ের আয়োজনটা শেষ করতে চাই।
বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বাংলাদেশ (এলডিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
৫৭ দিন আগে
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি, ফলাফলও সবার মেনে নেওয়া উচিত: মৌনির সাতৌরি
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং এর ফলাফল সবাইকে সম্মান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতৌরি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ সফর শেষ করার আগে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সাতৌরি বলেন, ‘অবশ্যই আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে হতে হবে এবং নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। বাংলাদেশে নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতার জন্য এই শর্ত অপরিহার্য।’
‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচন কেবল একটি ধাপ মাত্র। সব রাজনৈতিক অংশীদাররা যেন ঐকমত্য তৈরি হওয়া সংস্কারগুলোকে সমর্থন করে। সেইসঙ্গে সেগুলোর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইসাবেল উইসেলার-লিমা (ইপিপি, লুক্সেমবার্গ), আরকাদিউস মুলারচিক (ইসিআর, পোল্যান্ড), উরমাস পায়েত (রিনিউ ইউরোপ, এস্তোনিয়া) এবং ক্যাটারিনা ভিয়েরা (গ্রিনস/ইএফএ, নেদারল্যান্ডস)।
৭৬ দিন আগে
আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতবিরোধে সমাধানে আশাবাদী প্রেস সচিব
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান আলোচনা শান্তিপূর্ণ ও সামগ্রিক সমাধান এনে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রেস সচিব ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
ব্রিফিংয়ের সময় উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদও উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমেই সবকিছুর সমাধান হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেবেন। তিনি স্পষ্ট করেন, এই সফর বাংলাদেশের নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো মধ্যস্থতা বা আলোচনার জন্য নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে।
তিনি আারও বলেন, ‘তারা সরকারের অংশীদার হিসেবে এ ধরনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিচ্ছেন।’
ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে গত ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত কমিশনটি এখন ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এ কমিশনের দায়িত্ব হলো সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ পর্যালোচনা ও গ্রহণ করা। এর অংশ হিসেবে তারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তারা।
৭৭ দিন আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়লো এক মাস
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার।সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বিবেচনা ও গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই কমিশনকে।
কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি খুঁজতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় শেষ হচ্ছিল আগামী ১৫ আগস্ট।
কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য কাজ করছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে কমিশন।
কমিশনের সচিবালয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে।
১১৪ দিন আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের: আলী রীয়াজ
জুলাই সনদের বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের (এনসিসি) সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এনসিসি ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের সংলাপের ২৩তম দিনের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রধান এবং মৌলিক দায়িত্বটা রাজনৈতিক নেতাদের। আমরা বিশ্বাস করি, যেসব বিষয়ে আপনারা একমত হয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়নের পথ আপনারা তৈরি করতে পারবেন। সেখানে কমিশন আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুঘটকের কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে সনদের বাস্তবায়ন কাঠামো নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বসবে এনসিসি।
আলী রীয়াজ জানান,প্রথম পর্বের সংলাপে বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছে এবং সে অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মত বিষয়গুলোর একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা’ নিয়ে সংস্কার সংলাপ চলছে
আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শেষ হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘আজকের আলোচনায় অনেকগুলো বিষয় আছে, যেগুলো মূলত সিদ্ধান্তের বিষয়। বিশেষ করে যে দায়িত্বগুলো আপনারা আমাদের ওপর অর্পণ করেছেন, তার মধ্যে যেগুলোতে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়েছে- সেগুলো আমরা আপনাদের অবহিত করব। এছাড়া কিছু অনালোচিত বিষয় রয়েছে, যেগুলোর ব্যাপারে আমরা ফ্লোর থেকে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’
আজকের আলোচনার বিষয় সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল বিধান নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ আগের আলোচিত বিষয়গুলো।
কমিশনের বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি, তা হচ্ছে প্রায় ১৩টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোথাও নোট অব ডিসেন্টের সুযোগ ছিল এবং তা এখনো আছে। আজকের আলোচনায়ও কোনো ভিন্নমত থাকলে, তা রেজিস্টার করার সুযোগ থাকবে।’
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘সনদের টেক্সট নিয়ে ইতোমধ্যে আপনাদের পরিবর্তন, সংশোধন বিষয়ক মতামতগুলো আমরা পেয়েছি এবং তা প্রতিফলনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত টেক্সট তৈরি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজকের মধ্যেই নিষ্পত্তির জায়গায় পৌঁছাতে চাই। আজকের আলোচনার পরেই আমরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে আপনাদের জানাব এবং আশা করি, সবাই তাতে স্বাক্ষর করবেন। এটাই আমাদের আজকের উদ্দেশ্য, আর সেই উদ্দেশ্য পূরণেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
গত ২ জুন দ্বিতীয় দফা সংলাপের উদ্বোধন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা থেকে বিএনপির ওয়াকআউট
২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ইস্যুগুলোতে একটি সমন্বিত জাতীয় অবস্থান গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম দফার সংলাপে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন।
১২৬ দিন আগে
সংস্কার ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (এনসিসি) দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার ইস্যুগুলোতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবারের (৩১ জুলাই) মধ্যে এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনারা আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটি বড় দায়িত্ব। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এটি চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্তগুলো জানাতে পারব।’
এই পর্যায়ের আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি, উচ্চকক্ষ গঠন ও তার সদস্যদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া, সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা দপ্তর এবং তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘সাংসদ হিসেবে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কাছে তুলে ধরা হয়েছে।’
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে ভুল পদক্ষেপ, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্তের বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
তিনি জানান, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ সংক্রান্ত আলাদা একটি প্রস্তাবও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এ নিয়ে সকল দল মৌলিকভাবে একমত হলেও সংবিধানে এটি কীভাবে প্রতিফলিত হবে—তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের মধ্যে আমরা যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি, তার একটি তালিকা দলগুলোকে দেব। আশা করছি, আগামীকাল একটি সমন্বিত এবং গ্রহণযোগ্য খসড়া সনদ সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারব।
১২৭ দিন আগে
বৈঠক চলাকালে ফায়ার এলার্মের ঘটনার তদন্ত চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপ চলাকালে অপ্রত্যাশিত ফায়ার এলার্মের ঘটনার তদন্ত চেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (এনসিসি)।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে একাডেমির মূল ভবনের শাপলা হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০তম দিনের আলোচনা চলাকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনার পর ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আহ্বান জানান।এদিন দুপুরের বিরতির পর তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। লিখিত ও মৌখিকভাবে আমাদের অনুরোধ জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় সংলাপ শুরু হওয়ার কিছু সময় পর, দুপুর সোয়া ১২টায় আচমকা ফায়ার এলার্ম বেজে ওঠে। এতে আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে এবং কমিশনের পক্ষ থেকে সাময়িকভাবে সংলাপ স্থগিত করা হয়।
পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা
‘এখানে ফায়ার এলার্ম বাজছে, আমাদের কিছু সময়ের জন্য বাইরে যেতে হবে,’ বলেই দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সভা মুলতবি ঘোষণা করেন আলী রীয়াজ। এরপর সবাই কনফারেন্স কক্ষ ত্যাগ করেন এবং ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে এলার্মটি থেমে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে আবারও সংলাপ শুরু হয়।
ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল। সবাই দেখেছেন। জনগণের জানার অধিকার রয়েছে যে আসলে কী ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে নিরাপত্তা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা বর্তমান কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম যদি ব্যাহত হয়, তবে কেন তা হয়েছে, তা জানার অধিকার আমাদের আছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে অনুরোধ করেছি।
১২৯ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা থেকে বিএনপির ওয়াকআউট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রণ এবং ন্যায়পাল নিয়োগ প্রক্রিয়ার আলোচনায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিনের আলোচনার শুরুতে ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত জানায় দলটি।
বেলা সাড়ে ১১টার পরে বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, তাদের দল এ আলোচনায় অংশ নেবে না।
আরও পড়ুন: ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংলাপ শেষ করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা উপস্থিত থাকবেন কিন্তু আলোচনায় অংশ নেবেন না। একটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ না নিলে পুরো সংলাপ বন্ধ করা সম্ভব নয়।
অবশ্য কিছু সময় পর বিএনপি আবার আলোচনায় যোগ দেয়।
তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, একটি বড় দল আলোচনায় অংশ না নিলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আলোচনায় অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়।
১২৯ দিন আগে