নির্বাচনী ষড়যন্ত্র
নির্বাচনী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপিকে সতর্ক থাকার আহ্বান তারেকের
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের ব্যালটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে এই বার্তা দিতে চাই যে, বাংলাদেশে প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ভোটার যাতে ব্যালটের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের সুযোগ পান—তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে—যাতে কেউ এটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’
বুধবার (২ জুলাই) লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আমরা প্রায়শই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে গুজব এবং কানাঘুষা শুনতে পাই। ‘জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার অনুসারী হিসেবে, বাংলাদেশ জুড়ে আমাদের সকল নেতাকর্মীকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অনেক নেতা-কর্মী নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, পঙ্গু হয়েছেন, নিহত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং জুলুমের শিকার হয়েছেন। ‘সুতরাং, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে—যাতে কেউ এই অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি শিগগিরই বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের মাটিতে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এমন কোনো কাজ না করার আহ্বান জানান।
দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষা এবং জনসমর্থন ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি সতর্ক বার্তা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনার কোনো কাজ বা আচরণ যদি জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, তার প্রভাব শুধু আপনার ওপর নয়—পুরো দলের ওপর পড়বে। তাই দেশের ৬৪ জেলার প্রতিটি নেতাকর্মীকে বলছি—এমন কিছু করবেন না, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।’
তিনি দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের তাদের ভালো কাজ এবং ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে জনসাধারণের আস্থা অর্জনের নির্দেশ দেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের কোনো সহকর্মী কেন এমন কিছু করবেন, যা দলের ক্ষতি করতে পারে? আপনি যদি দেখেন, কোনো সহকর্মীর আচরণ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বা জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করতে পারে—তাহলে তা রোধ করা আপনার দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সদস্য বা নেতা হিসেবে প্রত্যেকেরই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করা উচিত এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা উচিত।
তারেক বলেন, বিএনপির প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব কেবল গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করাই নয়, বরং দলের সুনাম নষ্ট করে এমন কোনো কিছু যাতে তারা বা তাদের কোনো সহকর্মী না করেন—তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, ‘সকলকে এটা মনে রাখতে হবে। আজ, আমি দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে এই পবিত্র দায়িত্ব দিচ্ছি। যেকোনো মূল্যে দলের সুনাম রক্ষা করা সকলের কর্তব্য। যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, তাদের কোনো প্রকার প্রশ্রয় বা সুরক্ষা দেওয়া যাবে না।’
পড়ুন: পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দেশকে বিভক্ত করবে, সতর্ক করে ঐক্যের আহ্বান তারেকের
১৫৫ দিন আগে
নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: তারেক রহমান
জাতীয় ঐক্য ও নির্বাচনি পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে বিএনপির বর্ধিত সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক বলেন, 'রক্তাক্ত রাজপথ ও নির্বাচনী পরিবেশকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
সারাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার নেতার অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদের এলডি হল প্রাঙ্গণে বেলা ১১টায় এ সভা শুরু হয়।
অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, 'আপনাদের মাধ্যমে কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ, আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ (ইসলামী পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক নেতা) এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গণতান্ত্রিক শক্তির বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু, যারা বাংলাদেশকে পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল তারা তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে প্রতারণা করেছে বিগত সরকার: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংস্কার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো ইস্যুকে ব্যবহার করে জনগণের সামনে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে।’
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সমাপনী অধিবেশনেও তিনি নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বর্ধিত সভা বাস্তবায়ন গণমাধ্যম উপকমিটির নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ' প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া তাৎপর্যপূর্ণ এই আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা বিএনপি পরিবার ইতোমধ্যে 'আস্থা' নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে।
উদ্বোধনের পরে, একটি রুদ্ধদ্বার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে তৃণমূল নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরবেন।
তারেক রহমানের নীতিনির্ধারণী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বর্ধিত সভা শেষ হবে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। চারদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বর্ধিত সভায় তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত ছয়টি সাংগঠনিক পর্যায় থেকে সাড়ে তিন হাজার নেতা অংশ নিচ্ছেন।
সভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সব মহানগর, জেলা, উপজেলা-থানা ও পৌর ইউনিট কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বিলম্বিত হলে কারা সুবিধা পাবে, তা দেখার বিষয়: তারেক রহমান
বৈঠকে বিএনপির ১১টি ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্য সম্পাদকসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এমনকি দল থেকে যারা প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন তারাও বর্ধিত সভায় রয়েছেন।
এই বর্ধিত বৈঠকের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে বিএনপির যাত্রা ও নির্বাচনমুখী কর্মসূচি শুরু হবে।
২৮১ দিন আগে