ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি খুঁজতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন
জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতকরণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য একটি কার্যকর কাঠামো নির্ধারণের লক্ষ্যে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন (এনসিসি)।
রবিবার (১০ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কমিশনের সর্বশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় কমিশন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন— অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি এম এ মতিন, বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন ও ইমরান সিদ্দিক।
পড়ুন: দেশের জ্বালানি খাতে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ ও কমিশনের সদস্যরা বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বাদিউল আলম মজুমদার, সাফর রাজ হোসেন ও ড. মোঃ আয়ুব মিয়া এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
১১৬ দিন আগে
দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় পারষ্পরিক অবস্থান জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনার ক্ষেত্রে মতভিন্নতার কারণেই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে৷ প্রথম পর্বের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো পৃথক পৃথকভাবে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে পারষ্পরিক আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে দলগুলো নিজেদের অবস্থানের পাশাপাশি অন্যদের অবস্থান সম্পর্কেও জানতে পারছে৷
তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সকল রাজনৈতিক দলগুলো মতামতও দিচ্ছেন আবার মতবিনিময়ও করছেন, যা কমিশনকে অগ্রসর হতে সাহায্য করছে।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার তৃতীয় দিন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
পড়ুন: সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের নিয়ম সমর্থন করি না: নাহিদ
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা রাজনৈতিক দলগুলো অনুভব করে৷ দুয়েকটি দলের মধ্যে এ ব্যাপারে নীতিগত মত পার্থক্য থাকলেও একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থার বিষয়ে সকলে মত দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দুটি প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়েও পুনর্বার আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
পড়ুন: ঐকমত্য কমিশন: প্রথম দিনের বৈঠক বর্জন ছিল জামায়াতের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। আগামীকাল সকাল ১১টায় আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন। এতে আজকের অসমাপ্ত আলোচনাসহ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধানের মূলনীতি, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে৷
১৬৯ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশন: প্রথম দিনের বৈঠক বর্জন ছিল জামায়াতের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের প্রথম দিন কেন অংশ নেয়নি জামায়াতে ইসলামী, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ।’
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়। এর আগে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াতে ইসলামী।
গতকালের বৈঠকে কেন অংশ নেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরের কিছু কিছু বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়ে ও প্রশ্ন করে আমরা একটি বিবৃতি দিয়েছি। সেটি হচ্ছে তার লন্ডন সফরের বিষয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। এটা আমাদের সংগঠনের সর্বোচ্চ নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন গিয়েছিলেন পুরস্কার আনতে ও পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে। পাশাপাশি, বিএনপির ভারপ্রাপ্তপ্রধানের (তারেক রহমান) সঙ্গে লন্ডনে তার বৈঠক হয়েছে। সেটিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনি যে কথা বলেছিলেন, সে বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কারণ আমরা ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
জামায়াতের আপত্তির কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যে শর্তসাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির কথা বলা হয়েছে, সেটাও আমাদের প্রস্তাবের মধ্যে আছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো—প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিয়েছেন, সেখানে তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। এখানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো পরিবর্তন হয়, সেটা হতে পারে। বিএনপির দাবি ছিল—আলোচনা করে যদি মনে করেন, নির্বাচন তারিখ পরিবর্তন হতে পারে, সেটা নিয়ে আপত্তি নেই। যেহেতু তিনি টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে অঙ্গীকার করেছেন, বাংলাদেশে এসে আবার কথাবার্তা বলে পুনর্বিবেচনা করতে পারতেন। কিন্তু সেটা তিনি করেননি।’
‘একটি দলের প্রতিনিধির সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন—যেটা আমাদের অবাক করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটির আর কোনো উদহারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন দেশে প্রধান বিরোধী দল কিংবা পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করা বিভিন্ন দলের সাথে বৈঠক হয়। কারণ, তারা তখন একটা স্ট্যাটাস পায়। বাংলাদেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল আছে। এখন প্রধান উপদেষ্টা যার সঙ্গে কথা বলবেন, তার সঙ্গে কী একটি যৌথ বিবৃতি দেবেন? এটা বাংলাদেশে নজিরবিহীন। এটা সঠিক ছিল না। এতে বাকি সব দল যেমন বিব্রত হয়েছে, আমরাও তেমনটি অনুভব করছি।’
যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতিতে আপত্তি জামায়াতের
একটি দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন নিয়েই জামায়াতের আপত্তি ছিলে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘কেবল জামায়াতে ইসলামী না, বাকি সব দলও বিব্রত হয়েছে। যৌথ বিবৃতি ও যৌথ সংবাদ সম্মেলন—এখানেই আমাদের আপত্তি। বিএনপির বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’
‘এতে আমাদের মনে হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আর এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে যে সংস্কার কমিশন আছে, তাতে তারা খুব বেশি অগ্রসর হতে পারবে না। এটা অনেকটা পর্বতের মুষিক প্রসব করার মতো হবে। কার্যকারিতা হারাবে। সেখানে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে আমরা গতকাল আসিনি।’
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে জামায়াতের সাথে যোগাযোগ
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী যে মান-অভিমান করেছে, তা ভাঙাতে দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে তারা আস্বস্ত হয়ে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এসে অংশ নিয়েছেন।
এমন তথ্য দিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, ‘এরমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। গতকাল দুপুরে আমাদের আমীরে জামায়াতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা আমাদের কথা বলেছি, তিনি কিছুটা বুঝতে পেরেছেন—আশ্বস্ত করেছেন, তার সরকার নিরপেক্ষ থাকবে। কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর প্রতি তারা অনুরক্ত না। আগামীতে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা পালন করবেন ও বিষয়ে আরও যত্নবান হবেন।’
‘সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা অচলাবস্থা চাই না, সবসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু কোনো কিছুর ব্যত্যয় হলে আমাদের কথা বলতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
যেসব দল ক্ষমতায় যেতে পারছে না, নির্বাহী ক্ষমতা বিভক্ত করে তারা সরকারের হাত-পা বেঁধে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন দল ক্ষমতায় যেতে পারবে, কোন দল পারবে না; জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে সেসব দেখা উচিত না। দেশের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটা হওয়া উচিত।’
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যদি কঠোর না হয়, তাহলে আরেকটি শেখ হাসিনামার্কা নির্বাচন এ দেশকে রক্ষা করতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংযত হতে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে
‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়ে গেছে, আমরা প্রস্তুত আছি,’—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কী, সেটা তিনি (উপদেষ্টা) বোঝেননি। যিনি একটি ভবনের তালা খোলার ব্যবস্থা করতে পারেননি একমাসেও, ৩০০টি আসনের আইনশৃঙ্খলা তিনি কীভাবে রক্ষা করবেন, সেটা বিস্ময়ের বিষয়।’
‘আমি তাকে সংযতভাবে কথা বলার অনুরোধ করছি। পাশাপাশি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও বোঝার চেষ্টা করার অনুরোধ করছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে এই নায়েবে আমীর।
নারীদের জন্য ১০০ আসন নিয়ে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা সংখ্যানুপাতিক হারে হতে হবে। আগে সেটা সমাধান না করে এ বিষয়ে কথা বলার কিছু নেই।’
এনসিসি গঠনের বিষয়ে একমত
এদিকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির এই নেতা বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে বলছি, আমরা এনসিসির পক্ষে। এমন একটি সাংবিধানিক ভারসাম্যপূর্ণ কমিটি বা প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত, তারা সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
‘সেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা থাকবেন, স্পিকার ও উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের (যদি হয়) ডেপুটি স্পিকার থাকবেন। এমন একটি কাঠামোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘তাদের মূলপ্রস্তাব ছিল, সেখানে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতি থাকবেন। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা আপত্তি করেছি এই জন্য যে একজন দেশের অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন, আরেকজন বিচারবিভাগীয় প্রধান। কাজেই তাদের এই কমিটিতে নিয়ে এলে এখানে যদি কোনো বিরোধ তৈরি হয়, তাহলে সেটা মীমাংসা করার আর কোনো সংস্থা থাকে না।
‘সেকারণে আমরা বলেছি, প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতিকে বাদ রেখে একটিকে গঠন করার কথা। অনেকে এদিক-ওদিক বলেছেন। কিন্তু প্রায় দুয়েকটি দল ছাড়া বাকি সবাই এনসিসি গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছি। পাশাপাশি, তিন বাহিনীর প্রধানদেরও এটির বাইরে থাকা ভালো বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী,’ বলেন তাহের।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ।
১৭০ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতির সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল আইডিইএ পরিচালকের বৈঠক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্সের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভিত্তিক কর্মসূচির পরিচালক লীনা রিখিলা তামাং বৈঠক করেছেন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল ) ঢাকায় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার সংক্রান্ত ৫টি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানতে ইতোমধ্যে সুপারিশমালার স্প্রেডশিট আকারে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আমরা মতামত পেয়েছি এবং তার ভিত্তিতে ২০টি দলের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী দিনগুলোতেও এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াত
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় কমিশন, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করবে।
বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল আইডিইএ এর পরিচালক লীনা রিখিলা তামাং কমিশনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন৷
এ সময় ইন্টারন্যাশনাল আইডিইএ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার গ্রেইস প্রিয়েটো উপস্থিত ছিলেন।
২২০ দিন আগে
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পলায়নে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাতেই ফ্যাসিবাদী শাসক পলায়নে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এই ঐক্যের মূল চেতনাকে ধারণ করেই এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংস্কার কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে যেসব প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পুঞ্জিভূত সংকট মোকাবিলার একটি চেষ্টা।’
তবে শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়নই যথেষ্ট নয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি, গণতন্ত্রের চর্চা করা এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর এক থাকা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াত
আলী রীয়াজ বলেন, ‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়নে বাধ্য করেছে। এই ঐক্যের মূল চেতনাকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এটি শুধু আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটি আমাদের দায়।’
তিনি বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে যারা একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সংগ্রাম করেছেন, তাদের কাছেই এই অঙ্গীকার।
এ সময় কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় গণফ্রন্ট
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনসহ এ পর্যন্ত ১৮টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
২২২ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় গণফ্রন্ট
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতীয় গণফ্রন্ট। সোমবার (২১ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে এই আলোচনায় অংশ নেয় দলটি।
এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক কমরেড টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় নেয়। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, লিটু বিশ্বাস, দেবাশীষ পোদ্দার বাপি, কামরুজ্জামান ফিরোজ, কে এম দেলোয়ার হোসেন এবং তৈমুর খান অপু।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন৷
২২৭ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই সংলাপ শুরু হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া রাষ্ট্রীয় সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করছে কমিশন।
কমিশনের সঙ্গে আজকের সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা চলছে।
সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। তবে এই সময়ের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও ছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মে’র মাঝামাঝিতে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক আলোচনা শেষ হবে: আলী রীয়াজ
এখন পর্যন্ত, কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩টি রাজনৈতিক দল।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৩৪টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে।
কমিশন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করবে। একই মাসের মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করার কথা এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
২২৯ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের সাথে এবি পার্টির আলোচনা সোমবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বসতে যাচ্ছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনস্থ এল. ডি. হলে এ আলোচনা হবে।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এমন তথ্য দিয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাথে আলোচনা করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: এলডিপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার এবি পার্টির সাথে আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
২৪২ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দিল জামায়াত, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে জোর
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে জোর দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জমা দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রস্তাব পেশ করেন তারা।
এ সময় সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। আমীরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেওয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন।
আরও পড়ুন: সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়ের ব্যাপারে একটি ধারণা জাতির সামনে পেশ করা হয়েছে। আমরা তার সাথে দ্বিমত পোষণ করিনি।’
তিনি বলেন, আজকে আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। কমিশনের প্রস্তাবের সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি; আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি। আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি।’
‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি। আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করবেন,’ বলেন গোলাম পরওয়ার।
২৬০ দিন আগে
৭ রাজনৈতিক দলের মতামত পেয়েছে ঐকমত্য কমিশন
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর এখন পর্যন্ত কেবল ছয়টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ছক আকারে ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছিল। ৬ মার্চেল মধ্যে মতামত পাঠাতে তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল।
আজ পর্যন্ত ৩৭টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৭টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ১৬টি রাজনৈতিক দল পূর্ণাঙ্গ মতামতের জন্য অতিরিক্ত কয়েকদিন সময় দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন পুনরায় যোগাযোগ করছে।
২৬৬ দিন আগে