৩ কর্মকর্তা
বন বিভাগের ৩ কর্মকর্তা-স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত চলমান থাকায় বাগেরহাটের তিন বন কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপসহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী মিসেস আকলিমা আহমেদ, আরেক কর্মকর্তা হরিদাস মধু এবং তার স্ত্রী দুলালী মধুর নামে থাকা পাঁচটি ব্যাংক হিসাব ও ১৩টি সঞ্চয় পত্র অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্ট সংসদে থাকার দাবি পলকের, শাজাহানের বক্তব্যে আদালতে হট্টগোল
জানা যায়, চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডলের নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাবে আছে। এসব হিসাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা জমা রয়েছে। জিএম রফিকের নামে আছে ছয়টি সঞ্চয়পত্র। তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদের নামে আছে তিনটি, দুলালী মধুর নামে আছে দুইটি, হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে একটি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয়পত্রে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে।
দুদকের অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত অন্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, হরিদাস মানু এবং দুলালী মধুর নামের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং ৩৫ জনের নামে মোট ১৩টি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হয়েছে। তারা ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। তাই ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তা রাষ্ট্রের অনূকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এ কারণে তাদের হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
২২০ দিন আগে