খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ব্যক্তির মৃত্যু
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুর্বৃত্তের গুলিতে স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার বোয়ালখালি (সদর) ইউনিয়নের পোমাংপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা (৪৫) ত্রিপুরা পোমাংপাড়া গ্রামের মৃত বদন কুমার ত্রিপুরার ছেলে। তিনি ওই এলাকায় নামকরা বাবুর্চি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাকারিয়া জানান, মধ্যরাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। ভোরে খবর পেয়ে নিহতের বাড়ির কাছে পোমাংপাড়া থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে যে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধের জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
৬ দিন আগে
খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় ৬১টি মণ্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। জেলার ৯টি উপজেলায় এবার ৬১টি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরইমধ্যে শেষ হয়ে অধিকাংশ মন্দিরের প্রতিমার রঙের কাজ।
প্রশাসন ও সবার সহযোগিতায় নিরাপদ ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবেন আশা করছেন খাগড়াছড়ির সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থাকবে মোবাইল টিম এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপরও নজর রাখা হবে।
পূজা আয়োজকরা জানান, এরইমধ্যে তারা পূজার প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কয়েকটি প্রতিমা বাদে অধিকাংশ প্রতিমার রঙের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে ডেকোরেশনের কাজ।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ১০২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ,খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি অশোক মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক তমাল দাশ লিটন জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবার নতুন বাংলাদেশে মায়ের আগমনের অপেক্ষায় আছেন। এবার সবার মঙ্গল কামনায় সবাই যেন সুন্দর ও ভালোভাবে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন এই চাওয়া থাকবে মায়ের কাছে।
আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি অশোক মজুমদার।
পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে পূজা আয়োজনে সব রকমের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সভা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। কাজ করছে মনিটরিং টিম।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ৬১টি পূজা মণ্ডপে ৩১ টন খাদ্য শস্য, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোন থেকে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে নানা জাতিগোষ্ঠীর নানা সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাই প্রত্যেক ধর্মের উৎসব পালন হয় সম্প্রীতির পরিবেশে। বিশেষ করে বড় ধর্মীয় উৎসবগুলোতে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন-মেলা হয়। এই উৎসবে মহানন্দে শামিল হন এখানকার পাহাড়ি-বাঙালি হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই। গ্রাম-শহর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এই উৎসবের আড়ম্বর আমেজ।
এবারও দুর্গাপূজায় প্রচুর লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: সেনাপ্রধান
২ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হওয়া সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দীঘিনালায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত লারমা স্কয়ার বাজার পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর নেতৃত্বে পরিদর্শনে ছিলেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. তফিকুল আলম, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে পাহাড়ি ও বাঙালি নেতা ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
এসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করার অনুরোধ জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দীঘিনালায় যুবকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, নিরাপত্তা জোরদার
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, সুধীজনের মতামত, ঘটনার ভিডিও ও পত্রপত্রিকার রিপোর্ট দেখে ঘটনার কারণ উদঘাটন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে চুরির অভিযোগে এক যুবককে হত্যাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে।
এছাড়াও পুড়ে গেছে অনেক দোকানপাট, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকের ঘর-বাড়ি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সহায়তার আশ্বাস তথ্য উপদেষ্টার
৩ সপ্তাহ আগে
দীঘিনালায় যুবকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, নিরাপত্তা জোরদার
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ‘লারমা স্কয়ার’ এলাকায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আশপাশের অর্ধ-শতাধিক দোকানপাট পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা কলেজ এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বের করে। বিক্ষোভটি লারমা স্কয়ার অতিক্রম করার সময় কিছু পাহাড়ি ছাত্রদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। তাদের দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে একদল উত্তেজিত জনতা লারমা স্কয়ার এলাকার বাজারে আগুন দেয়। এতে ৫০টির বেশি দোকানপাট পুড়ে যায়।
বর্তমানে এই ঘটনায় দীঘিনালায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে বলে বাঙ্গালি সংগঠনগুলোর দাবি।
১ মাস আগে
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকাগুলো।
গঞ্জপাড়া, অপর্ণা চৌধুরী পাড়া, রাজ্যমনি পাড়া, কালাডেবা, বটতলী, ফুটবিল এলাকার নিচু এলাকায় পানি উঠেছে।
ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে মানুষ।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর প্রায় তিন শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে খাগড়াছড়ির সঙ্গে দীঘিনালা এবং রাঙ্গামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।
এই নিয়ে গত দুই মাসে ৪ বার বন্যা কবলিত হলো এই পার্বত্য জেলা।
১ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক জুনেল চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৭ জুলাই) ভোরে কবাখালী ইউনিয়নের শান্তি বিকাশ কার্বারি টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় জুনেল কাঙারীমা ছড়ায় মাস্টার ললিত চাকমার বাড়িতে ছিলেন।
নিহত জুনেল চাকমা (৩১) দীঘিনালা সদরের আমতলী গ্রামের তপ্ত কাঞ্চন চাকমার ছেলে। তিনি ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের তারাবুনিয়া এলাকার সংগঠক ছিলেন। সম্প্রতি গণতান্ত্রিক যুবফোরাম থেকে ইউপিডিএফ’র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
ইউপিডিএফ’র জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপ নব্য মুখোশধারীদেরকে দায়ী করে হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক জানান, হত্যার খবর শুনে লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে আনার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
২ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রসীত বিকাশ খীসা পন্থী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ৪ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পানছড়ির ৯নং ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা আরো ২ জনকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ইউপিডিএফ ঘটনার দাবি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
খাগড়াছড়ি পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
নিহতরা হলেন- প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা।
এছাড়াও ইউপিডিএফ নেতা হরি কমল ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমা নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপিডিএফ জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্যই তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে জেলার পানছড়ি উপজেলার পুজগাং এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলির ঘটনায় ঐ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
১০ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চালের ট্রাকে আগুন দেওয়ার মামলার এজহারভুক্ত আসামিসহ বিএনপির ছয় নেতা-কর্মীকে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ. লতিফ, তার ছেলে এইচ এম বিজয়, আ. আজিজ, মুক্তার আলী মুসল্লি, মো. সাইদুল ইসলাম ও বাবুল খাঁ। তারা সকলে গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব চন্দ্র কর।
তিনি বলেন, গত ২৬ নভেম্বর গুইমারার হাফছড়িতে ট্রাকে আগুনের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ।
তিনি বলেন, ট্রাকে আগুন বা নাশকতার কোনো কাজে জড়িত নয় গ্রেপ্তারেরা। মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানিমূলকভাবে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
১০ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরার সাজে দেবী দুর্গা
সারাদেশের সঙ্গে তাল না মিলিয়ে এবার ভিন্ন সাজে দেবী দুর্গাকে নিজস্ব পোশাকে সাজিয়েছে খাগড়াছড়ির সনাতন ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন। দেবী দুর্গাকে শাড়ি না পরিয়ে তারা পরিয়েছে তাদের ঐতিহ্যবাহী রিনাই-রিসা, চন্দ্রাহারসহ বিভিন্ন অলংকার।
খাগড়াছড়ির খাগড়াপুর এলাকার অষন্ড মণ্ডলি মন্দিরের আয়োজনে এই চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন নিজস্ব সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে। এদিকে দেবী দুর্গাকে নিজেদের পোশাকে সাজানো দেখে খুশি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা ২০২৩: সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে পুলিশ সদর দপ্তারের পরামর্শ
দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে শিশু-কিশোর, কিশোরীরাও উল্লসিত। উৎসবের আমেজ ছোট-বড় সবার মধ্যে। অন্যসব দুর্গা পূজা মণ্ডপের দেবী দুর্গার সাজের সঙ্গে ত্রিপুরা পল্লিতে সাজে ভিন্নতা রযেছে।
মণ্ডপে দেখা যায়, দেবীর ডান পাশে লক্ষ্মী ও কার্তিক, বাম পাশে সরস্বতী ও গণেশ। তাদের পরনেও ঐতিহ্যবাহী পোশাক আর অলংকার। দেখেই মনে হবে যেন স্বয়ং দেবী দুর্গা এসে বসে আছেন সন্তানদের নিয়ে। প্রতিমার সঙ্গে মিলিয়ে মঞ্চ সজ্জা আর মণ্ডপে প্রবেশ পর্যন্ত সবকিছুই পাহাড়ের ত্রিপুরাদের সংস্কৃতির আদলে সাজিয়েছেন শিল্পীরা।
দেবীর গলায় মালা হিসেবে পরানো হয়েছে রূপার চন্দ্রাহার আর টাকার মালা (যা পয়সা দিয়ে তৈরি বিশেষ মালা), খোঁপায় পরানো হয়েছে কালসি, সুরাম, কানে পরানো হয়েছে ‘য়াংকুং’, হাতে বাংগ্রী এবং পায়ে পরানো হয়েছে 'বেংকি'। দেবী দুর্গা ছাড়াও একই সাজে সাজানো হয়েছে লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে শুক্রবার
১ বছর আগে
খাগড়াছড়িতে পানিতে ডুবে ২ ভাই-বোনের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ক্যামেরুন পাড়ার ঝিরিতে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত অপু বিশ্বা ত্রিপুরা (৭) ও চনে রঞ্জন ত্রিপুরা (৫) গুইমারার ক্যামেরুন পাড়ার নজ মহন ত্রিপুরার সন্তান।
পুলিশ জানায়, রবিবার গুইমারার ক্যামেরুন নামক স্থানে দুই শিশু ঝিরির পানিতে খেলতে গিয়ে গভীর পানিতে পড়ে যায়। শেষ বিকালে তাদের বাবা-মা জুমের কাজ সেরে ঘরে সন্তানদের না দেখে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ঝিরির পানিতে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কর বলেন, মৃত দুই শিশুর সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
নাটোরে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
১ বছর আগে