গণজমায়েত
আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে বাড়ছে গণজমায়েত
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার (১০ মে) বিকালে শাহবাগে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে। এদিন শাহবাগ মোড় ও জাতীয় জাদুঘরের আশপাশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হতে থাকেন।
এর ফলে বাংলামোটর, আজিজ সুপার মার্কেট এবং মৎস্য ভবন মোড়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (৯ মে) বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ শনিবার আরও জোরদার হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দিতে এবং প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি— আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের দলগত বিচার অন্তর্ভুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানিক হোসেন নামে একজন বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা এত মানুষ মেরেছে, তাদের ব্যান করা উচিত। এই আন্দোলনকে সমর্থন করতেই আমি এখানে এসেছি।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেট-শরীয়তপুরে বিক্ষোভ
পল্টন থেকে আগত রিফাত নামে আরেকজন বলেন, ‘এই আন্দোলন এখন শুধু ছাত্রদের নয়, আমাদের সবার।’ রাস্তা অবরোধে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো কিছু পেতে হলে কিছু ত্যাগ করতে হয়।’
এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চল শাখার প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তাদের তিন দফা দাবির পক্ষে গণসমাবেশের ঘোষণা দেন।
শুক্রবার বিকাল ৪টা ৪০মিনিটে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন এবং জানান, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
২০৯ দিন আগে
আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবি: শাহবাগে অবরোধ চলছে, তিনটায় জমায়েত
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবার শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি চলেছে। দাবি আদায়ের এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল ৩টায় সেখানে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে শাহবাগের সঙ্গে যুক্ত সড়কগুলো বন্ধ থাকলেও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন চলাচলের সুযোগ দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
গাজীপুর থেকে এসে আন্দোলনে অংশ নেওয় কাওসার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অবরোধ কর্মসূচি চলছে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলবে।’
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: শেখ মুজিবের কালো আইনেই আ.লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল
সেদিন রাত ১০টায় যমুনার সামনে উপস্থিত হন হাসনাত। এরপর থেকেই গণহত্যাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
পরে গতকাল (শুক্রবার) এই কর্মসূচি শাহবাগে সরে আসে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর তিন দফা দাবিতে গণজমায়েতের ঘোষণা দেন হাসনাত।
শুক্রবার (৯ মে) রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি শনিবার বিকাল ৩টা থেকে শাহবাগে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।
তাদের দাবিগুলো হলো— আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা ও নিষিদ্ধ করা, জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিচারের জন্য আইনে প্রয়োজনীয় বিধান যোগ করা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এনসিপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী, ইনকিলাব মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এই আন্দোলনে ইতোমধ্যে সংহতি প্রকাশ করেছে।
২০৯ দিন আগে