ডিবি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ আইনজীবী গ্রেপ্তার: ডিবি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (এসসিবিএ) নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কাজী বশির আহমেদ, তুষার, তরিকুল ইসলাম, সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন। শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের পর ছায়া তদন্ত করে বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।’
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নাশকতার ঘটনায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ডিবি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে কোন গ্রুপের লোক জড়িত ছিল তা বিবেচ্য নয়। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার রাতে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আর ২০-৩০ জন অজ্ঞাত আসামি করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিক সাইফ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক পদে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী এবং বিএনপিপন্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুসের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।
আদম তমিজি হককে আটক করেছে ডিবি
হক গ্রুপের চেয়ারম্যান আদম তমিজি হককে শনিবার সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিবির গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
ডিবির আরেকটি সূত্র জানায়, ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে আদম তমিজী হকের বাসায় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
অভিযানে অংশ নেওয়া নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, তমিজি হক তাকে গ্রেপ্তার করা হলে আত্মহত্যার হুমকি দেন।
ফেসবুক পোস্ট সরানোর কারণ জানালেন তিশা
অভিনেত্রী তানজিন তিশা সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে যান। সেখানে সাইবার বুলিংয়ের জন্য সহযোগিতা চান এই তারকা।
ডিবি ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তানজিন তিশা। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন প্রসঙ্গের মধ্যে সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষমা চাওয়ার স্ট্যাটাস সরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তিশা বলেন, 'স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতি ক্ষমা চেয়েছিলাম। আমার ভুল স্বীকার করেছিলাম। কিন্তু সেখানেও আমাকে বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। তাই পোস্ট সরিয়ে নিই।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আত্মহত্যার চেষ্টা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় তিশাকে নিয়ে। সেই সঙ্গে গুঞ্জন উঠে অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।
এরপর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নেতিবাচক ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন তিশা। যদিও এ নিয়ে পরবর্তীতে ক্ষমা চান এই তারকা।
আরও পড়ুন: সহযোগিতার জন্য আমার ডিবি কার্যালয়ে আসা: তানজিন তিশা
সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তানজিন তিশা
আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে মিডিয়ার কিছু মানুষ: তানজিন তিশা
বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল।
ডিবির একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমীর খসরু মাহমুদের আটকের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন ও কাকরাইল এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার পর রবিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালালেও সেখানে তাদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গুলশানের একটি হোটেল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক
ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান রবিবার (২৯ অক্টোবর) বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাকে (ফখরুল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য (তার বাসা থেকে) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে কিছু পেলে পরে আমরা (গণমাধ্যমকে) জানাব।’
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের নামাজে জানাজা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি প্রধান এ মন্তব্য করেন।
শনিবার রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় হামলায় আমিরুল নিহত হন।
হাবিবুর রহমান বলেন, শনিবার সহিংসতায় পুলিশের ১১৩ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। আমরা কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি যে আরেক পুলিশ সদস্যের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন কী ঘটেছে, তা আপনারা সরাসরি দেখেছেন। এই জিনিসগুলো (হামলা) একটি আনুষ্ঠানিক সমাবেশ থেকে করা হয়েছিল।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার সঙ্গে অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। ‘সুতরাং, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেক লোককে খুঁজছি।’
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশের জন্য ডিএমপির অনুমতি চেয়েছে বিএনপি
তিনি বলেন, সহিংসতার বিষয়ে তাদের তদন্ত চলছে। ‘তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা আরও লোককে গ্রেপ্তার করব।’
এর আগে ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির হরতালের মধ্যেই ফখরুলের গুলশান-২-এর বাসায় গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তাকে আটক করে।
পরে তাকে ডিবির মিন্টো রোড কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশে সহিংসতার প্রতিবাদে বিরোধী দল বিএনপি রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছিল বলে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত দুইজন নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হওয়ার পর হঠাৎ সমাবেশ স্থগিত করে ফখরুল হরতাল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার
অনুমতি ছাড়া ঢাকায় সমাবেশ করা যাবে না: ডিএমপির নতুন কমিশনার
রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, রাজধানীর কাকরাইলে জাজেস রেসিডেন্স কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) কাকরাইল চার্চের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিবি প্রধান বলেন, বিএনপির কয়েকজন কাকরাইলে আইডিবি ভবনের সামনে হামলা, ভাঙচুর ও কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বর্তমানে কাকরাইল চার্চ ক্রসিংয়ে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের কাছে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
হারুন-অর-রশীদ বলেন, 'আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
সহিংসতায় জড়িত বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাকরাইল এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে যাত্রা শুরু করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে।
পরে পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়েছে দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার কোনো হুমকি নেই: ডিবি প্রধান
আদালতের পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, যত বড় নেতাই হোন না কেন, কোনো মামলার পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (১১ অক্টোবর) নগরীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।
তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব পথে চলবে এবং কোনো প্রভাব কাজ করবে না।
ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে তার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানার বিষয়ে বারবার জানানো হলেও তিনি আদালত থেকে জামিন নেননি। লক্ষ্মীপুরে তার বিরুদ্ধে দুটি পরোয়ানা জারি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অনুরোধে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলারও আসামি তিনি।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ দুটি কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলেও তিনি আদালতে হাজির হননি এবং জামিনও নেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কোনো মামলায় তিনি আদালতে হাজির হননি। পরোয়ানা থাকায় বিএনপি নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ডিবি প্রধান।
ধানমন্ডির বাসা থেকে বুধবার ভোরে অ্যানিকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
ডিবি অফিসে খাবার খাওয়ার ব্যাখা দিলেন গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শনিবার আটকের সময় পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
রবিবার (৩০ জুলাই) নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ডিবি কার্যালয়ে তার দুপুরের খাবারের ভিডিও ও ছবি জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিম্ন রুচির পরিচায়ক এবং একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কাজ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও জানান, সোনারগাঁও হোটেল থেকে ডিবি অফিসের আনা খাবার খান নি তিনি; তার পরিবর্তে ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদের বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খান তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা এটা করেছে (ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে) তারা তাদের নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে। এটি এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক এবং আমি জানি না কে এর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন।’
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
শনিবার ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বর দুপুরের খাবার খাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধোলাইখাল থেকে ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, রক্তচাপ কমে যাওয়ায় ডিবি কর্মকর্তারা তাকে খেতে অনুরোধ করেন।
প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘তারা বলল, স্যার আপনি সারাদিন কিছু খাননি। আমরা শুনেছি আপনি পানিও পান করেননি। আপনাকে স্যালাইন দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হবে। কিছু না খেয়ে স্যালাইন নেবেন? আমাদের যা আছে তা একটু খান। আমরা আপনাকে না খাইয়ে রাখতে পারি না। কারণ আমরা আপনাকে গ্রেপ্তার না করলেও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাইনিং রুমে ঢুকে দেখলাম খাবারের বিশাল আয়োজন…আমি বললাম সোনারগাঁও বা অন্য কোন হোটেলের খাবার আমি খাই না। আমি ৯০ভাগ নিরামিষাশী এবং আমি এক বা দুটি আইটেমের বেশি খাই না। আমি দেখেছি যে তারা ছবি তুলছে এবং আমি তাদের বলেছিলাম যে খাবারের সময় ছবি তোলা কোনও ভদ্রলোকের কাজ নয়।’
পরে তিনি বলেন, ডিবি প্রধান তার (হারুনের) বাড়ি থেকে আনা খাবার নিয়ে আসতে বলেছেন তার কর্মীদের।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (হারুন) টিফিন ক্যারিয়ার থেকে আমাকে দুই চামচ সাদা ভাত দিয়েছিলেন। আমি তাকে শুধু তার সবজি দিতে বললাম। তারপর তিনি বললেন, স্যার এক টুকরো রুই মাছ নিন, এটা কিশোরগঞ্জ থেকে আনা হয়েছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, এর আগেও অনেকবার ডিবি অফিসে গিয়েয়েন তিনি। সেসময় আশেপাশের হোটেল থেকে খাবার দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করা হত। কিন্তু সোনারগাঁ থেকে এবার খাবার কেনার তহবিল দিল কে? তাদের কি এটা করার নিয়ম আছে? যাদের তারা হেফাজতে নেয় তারা কি তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে? তাই বোঝা যায়, তারা লোক দেখানো নাটক মঞ্চস্থ করেছে। এটি একটি নিম্ন রুচির পরিচয়। বাংলাদেশের মানুষ এতটা বোকা নয় যে সাজানো ছবি ও ভিডিও দেখে বিপথগামী হবে।
গয়েশ্বর বলেন, গয়েশ্বর রায়ের মাথা কেনার মতো এত টাকা রাষ্ট্রের নেই। ‘রাষ্ট্রের ক্ষমতা আছে আমাকে এক গুলিতে মেরে ফেলার এবং ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো আমাকে গুম করার ক্ষমতা আছে... কিন্তু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজনকে কেনার ক্ষমতা সরকারের নেই।’
রাজধানীর ধোলাইখালে দলটির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গয়েশ্বরকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে মাথা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আটক করে প্রথমে ওয়ারী থানায় ও পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। তারপরে তাকে তার কার্যালয়ের সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তার ওপর হামলার বর্ণনা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ধোলাইখালে রাজধানীর প্রবেশপথে তাদের দলের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে, যার ফলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘আপনারা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছেন যে কীভাবে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছিল... তারা আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই এবং তারপরও তারা আমাকে মারধর করে। দেখে মনে হচ্ছে তারা একটি সাপকে মারছে।’
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে তার কার্যালয়ে গয়েশ্বরকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন।
শনিবার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সহিংসতা-অগ্নিসংযোগ
এর আগে পুলিশ তুলে নিয়ে গেলে আমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান হাসপাতালে বিএনপি নেতা আমানকে দেখতে যান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময় হাফিজুর প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার, এক ঝুড়ি ফল ও জুস গ্রহণের প্রস্তাব দেন এই বিএনপি নেতার কাছে।
তিনি আরও বলেন, আমান দেশের অন্য কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলে তার ব্যবস্থাও করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাফিজুর আরও বলেন, বিএনপি নেতা উপহার গ্রহণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে তার সদয় আচরণ এবং তার রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় ২ বাসে আগুন
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ পুলিশ আহত, আটক ৯০: ডিএমপি
সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
বহুল আলোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে শনিবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এদিন দুপুরে রাজারবাগে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, প্রতারণার অভিযোগে গায়ক নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতারণার অভিযোগে গায়ক নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের কথা বলে সে টাকা হাতিয়েছে। ডিবি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা হয়।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গায়ক নোবেলকে আইনি নোটিশ
জানা যায়, গত ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গত ১৭ মে আদালত এই মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় কথা চূড়ান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেসহ সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নোবেলের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্ত করবে সিআইডি
কলকাতায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাংলাদেশি শিল্পী নোবেল!