ইরানে ইসরায়েলি হামলা
ট্রাম্পের আশঙ্কা ও সতর্কতার পরই ইরানে হামলা ইসরায়েলের
গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্যে ‘বড় সংঘাতের সম্ভাবনা’র বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মন্তব্যের পর রাত না পেরোতেই ইরানে হামলা করল ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা অত্যন্ত সম্ভাব্য একটি বিষয়।
তবে এই সংঘাত এড়াতে চান উল্লেখ করে তিনি ইসরায়েলের প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনায় তেহরান যদি আপস করে, তাহলে সমঝোতায় পৌঁছানোর অনেকটাই কাছাকাছি রয়েছে বলে নিজের ধারণার কথা জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চাই। আমরা চুক্তির বেশ কাছাকাছি চলে এসেছি...আমি বরং একটি চুক্তি চাই। এই চুক্তিকেই আমি বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।’
‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমি মনে করি যে চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে, ততক্ষণ আমি চাই না যে তারা (ইসরায়েল) আগ বাড়িয়ে (ইরানে) ঢুকে পড়ুক। কারণ এর ফলে চুক্তিটি ভেস্তে যেতে পারে। যদিও এতে উপকারও কিছু হতে পারে, তবে পুরো বিষয়টিই নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও আছে।’
আরও পড়ুন: পাল্টা জবাবে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান
সবকিছুর উপরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই হাঁটার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইরানের কাছে কোনোভাবেই পরমাণু অস্ত্র থাকা চলবে না। তাছাড়া আমি চাই যে, তারা (আলোচনায়) সফল হোক। আমরা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করব, প্রয়োজনীয় সবকিছুই করব।’
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানে হামলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তবে এ ধরনের হামলা ‘বৃহৎ সংঘাতের’ জন্ম দিতে পারে বলেও সতর্ক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি এটিকে “অতি আসন্ন” বলতে চাই না, কিন্তু এটি ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।’
নিজেকে ‘শান্তির পক্ষের মানুষ’ হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি সংঘাত এড়িয়ে যেতে চাই। ইরানকে আরও কঠোরভাবে আলোচনায় আসতে হবে। অর্থাৎ, এখন যে কয়েকটি বিষয়ে তারা একমত নয়, সেগুলোতে রাজি হতে হবে।’
পরে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প আবারও ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানান। তিনি লেখেন, ‘আমার পুরো প্রশাসনকে ইরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
‘ইরান একটি মহান দেশ হতে পারে, তবে আগে তাদের পরমাণু অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়: ট্রাম্প প্রশাসন
এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইসরায়েল খুব শিগগিরই ইরানে হামলার পরিকল্পনা করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের দূতাবাস ও সামরিক ঘাঁটি থেকে বেশকিছু কর্মী ও কূটনীতিককে সরিয়ে নিয়েছে। সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় তারা দূতাবাসগুলোতেও সতর্কতা জারি করেছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ওই অঞ্চলে অনেক মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। তারা যেন সরে যান, সে বিষয়ে আমি (দায়িত্বপ্রাপ্তদের) বলে দিয়েছি। কারণ, খুব শিগগিরই কিছু একটা ঘটতে পারে। আমি এমন একজন হতে চাই না, যিনি কোনো ধরনের সতর্কবার্তা না দিয়ে বসে থাকেন, তারপর ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে তাদের ভবনে আঘাত হানে। এটার সম্ভাবনা আছে কিন্তু!’
তবে ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের মধ্যেই ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি ইসরায়েলি গণমাধ্যম ওয়াইনেটকে বলেন, হোয়াইট হাউসের সম্মতি ছাড়া ইসরায়েলের ইরানে হামলা চালানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
কিন্তু তার এই ধারণা আপাদমস্তক উল্টে দিয়ে শুক্রবার ভোরেই হামলা চালায় ইসরায়েল। পাঁচ দফায় ইরানের শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে চালানো হয়েছে এই হামলা।
১৭৫ দিন আগে
পাল্টা জবাবে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান
ইসরায়েলের হামলার জবাবে এবার পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন জানিয়েছেন, গত এক ঘণ্টায় ইসরায়েল অভিমুখে অন্তত ১০০টি ইউএভি (ড্রোন) ছোড়া হয়েছে, যেগুলো আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।
ডেফরিনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যেগুলো দেশটির ভেতরে প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
পাশাপাশি, ইসরায়েলের হামলায় ইরানি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি এবং দেশটির জরুরি কমান্ড ইউনিটের প্রধান জেনারেল গোলাম আলি রশিদ নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরেও তাদের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি নিহত
শুক্রবার ভোরে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা নাতানজসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে দেশটির আরও কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, ‘জায়নবাদী এ হামলার জবাব অবশ্যই দেবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে তার হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
হামলার পর ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কঠোর বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিহত আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি কে ছিলেন?
১৭৫ দিন আগে
নিহত আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি কে ছিলেন?
শুক্রবার তেহরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এই হামলায় সালামিসহ আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হয়েছেন বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, তেহরানে আইআরজিসির সদর দপ্তরেও হামলা হয়েছে।
গত ২০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ও অস্থিরতার মাঝে একাধিক সংকটে পড়ে গেছে তেহরান। এরই মধ্যে দেশটির অন্যতম ক্ষমতাধর বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা সালামির এই মৃত্যু ইরানের নেতৃত্বে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
হোসেইন সালামিকে ইরানের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার জন্ম ১৯৬০ সালে, ইরানের গোলপায়েগান শহরে।
কলেজে পড়াকালীন ১৯৮০ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় তিনি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীতে (আইআরজিসি) যোগ দেন। পরে বাহিনীর বিমান শাখার নেতৃত্ব দেন তিনি।
সামরিক বাহিনীতে থাকাকালেই ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে একপর্যায়ে আইআরজিসির উপপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের জন্য তিনি দেশে-বিদেশে পরিচিতি লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের আশঙ্কা ও সতর্কতার পরই ইরানে হামলা ইসরায়েলের
২০১৬ সালে এক ভাষণে সালামি বলেছিলেন, ‘ইহুদিবাদী শাসন নিষ্ক্রিয়, পতন এবং ধ্বংস করতে উর্বর ক্ষেত্র প্রস্তুত।’ সে সময় যুক্তরাষ্ট্রকেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
এরপর ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জাফারিকে সরিয়ে সালামির কাঁধে আইআরজিসির ভার দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
এমন এক সময়ে তিনি আইআরজিসির নেতৃত্বে আসেন, যখন প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকাকালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার করে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে আইআরজিসিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবেও তালিকাভুক্ত করে ট্রাম্প প্রশাসন।
২০২০ সালে বাগদাদের বিমানবন্দরের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আইআরজিসির কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর সালামি হুঁশিয়ারি দেন, ‘মার্কিন ও ইসরায়েলি কমান্ডারদের পাল্টা হামলার লক্ষ্য বানানো হবে। আমাদের কমান্ডারদের হুমকি দিলে, শত্রুদের কোনো কমান্ডারই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাবে না।’
সে সময় দুটি ইরাকি ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়ে ইরান, যাতে কেউ নিহত না হলেও আহত হন অনেকেই।
১৭৫ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি নিহত
শুক্রবার তেহরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী—আইআরজিসির প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এই হামলায় সালামিসহ আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনী—আইআরজিসির প্রধান হোসেইন সালামি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। তেহরানে আইআরজিসির সদরদপ্তরেও আঘাত হেনেছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকায় হামলায় বেসামরিক নাগরিকের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শিশুও নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুসারে, দেশটির প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা নাতানজসহ বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
আইআরজিসির সদরদপ্তরও হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। খবরে বলা হয়েছে, ওই স্থাপনা থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি শাখা এবং দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত।
দুই বিজ্ঞানী নিহতের তথ্য প্রকাশ
অপারেশন রাইজিং লায়ন নামের এই হামলায় ইরানের দুই জ্যেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফিরেদুন আব্বাসি এবং তেহরানের ইসলামি আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ মেহদি তেরাঞ্চি এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিহত আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি কে ছিলেন?
দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোর দেখভাল করে থাকে পরমাণু শক্তি সংস্থা (এইওআই)। আব্বাসিকে এর আগেও একবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০১০ সালের ওই হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ১৫ বছর পর এসে আরেক হামলায় প্রাণ হারাতে হলো এই বিজ্ঞানীকে।
এদিকে, ইসরায়েলের এই হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে বলে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্তত ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে এমন দাবি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নাতানজ পরমাণু স্থাপনার একটি অংশ ভূ-উপরিভাগে এবং বাকিটা ভূগর্ভে অবস্থিত। পারমাণবিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেখানে ইউরেনিয়াম গ্যাস ঘূর্ণায়নের জন্য একাধিক সেন্ট্রিফিউজ হলঘর রয়েছে।
ইরানীয় কমান্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাকে হামলার নিশানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া পরমাণু বোমা, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও নাতানজ পরমাণু সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় কাজ করা বিজ্ঞানীদেরও হামলার নিশানা বানানো হয়েছে।
এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন রাইজিং লায়ন।
ইরানের হুঁশিয়ারি ও পাল্টা ব্যবস্থা
এদিকে পাল্টা হামলার আশঙ্কা থেকে ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
একটি ধারণকৃত ভিডিওবার্তায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসের এক চূড়ান্ত মুহূর্তে রয়েছি।’
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলা
নাতানজ থেকে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, তেহরানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে। দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সতর্ক।
ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশটির শীর্ষ নেতারা একটি নিরাপত্তা বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।’
১৭৫ দিন আগে
ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলা
ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ করতে দেশটির পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দেশটির প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা নাতানজসহ বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এ হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে দাবি করা হয়েছে।
নাতানজ পরমাণু স্থাপনার একটি অংশ ভূ-উপরিভাগে এবং বাকিটা ভূগর্ভে অবস্থিত বলে বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে। পারমাণবিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেখানে ইউরেনিয়াম গ্যাস ঘূর্ণনের জন্য একাধিক সেন্ট্রিফিউজ হল রয়েছে।
ইরানীয় কমান্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাকেও হামলার নিশানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাইজিং লায়ন’ বা জেগে ওঠা সিংহ।
এদিকে পাল্টা হামলার আশঙ্কা থেকে ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
একটি ধারণকৃত ভিডিওবার্তায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসের এক চূড়ান্ত মুহূর্তে রয়েছি।’
পরমাণু বোমা, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও নাতানজ পরমাণু সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় কাজ করা বিজ্ঞানীদেরও হামলার নিশানা বানিয়েছে ইসরায়েল।
নাতানজ থেকে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, তেহরানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে। দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সতর্ক।
ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশটির শীর্ষ নেতারা একটি নিরাপত্তা বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।’
১৭৫ দিন আগে