পিআর পদ্ধতি
বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশটাকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পিআর আমি নিজেই বুঝি না। জনগণ বুঝবে কী! গণভোট হতে হবে বা পিআর হতে হবে, না হলে ভোট হবে না— এইগুলো বাদ দেন। দেশের মানুষ একটি নির্বাচন চায়। পিআর দেশের মানুষ বোঝে না। পিআরটা আবার কি? আগে ভোট হোক, তারপর কার কী দাবি আছে সেটা সংসদে গিয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আপনারা দেশটাকে বাঁচান, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুল মাঠে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যে সব মতে দলগুলো একমত সেগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে, বাকি মতের জন্য গণভোট হবে। দয়া করে নির্বাচনটা দিয়ে এসব অস্থিরতা কাটান। আর হিংসার রাজনীতি চাই না, হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ চাই না; সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অতীতে সরকারে ছিলাম, কীভাবে পরিচালনা করতে হয় জানি। বিএনপি নির্বাচিত হলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যকটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষকদের দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি নির্বাচিত হবেন। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশটার ক্ষতি করবেন না। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মধ্যে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো মনে হয় না। আপনাদের দাবিদাওয়াগুলো আপাতত বন্ধ রাখুন। আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। পিআর নিয়ে মিছিল-মিটিং বন্ধ করুন। দয়া করে নির্বাচনটা হতে দিন। বাংলাদেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের অস্থিরতা কাটুক। আপনাদের কাছে অনুরোধ, সঠিক সিন্ধান্ত নিন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী ১৭ অক্টোবর সংস্কার সনদে সই হবে। কিসের সংস্কার? সংস্কার কাকে বলে? কী কঠিন কঠিন শব্দ! তারপরও আমরা করছি। কারণ সংস্কার হলো ঘরের টিন বদলানোর মতো। ঘরের দরজা বা টিন যেমন কয়েক বছর পরপর বদলাতে হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ও ছাত্ররা মনে করেছে দেশটাকে ঠিক করতে হলে সংস্কার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসা ও বিভেদের রাজনীতি চাই না। আমরা চাই একটি শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার সবাই মিলে সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমি ১১ বার কারাগারে গেছি। শেখ হাসিনা আমাকে ভয় করত, যে কারণে কারাগারে পাঠাত। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমাদের অনেক ছেলে প্রাণ দিয়েছে। তাই আসুন সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করি।’
এ সময় গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমতভক্তিবিনয় স্বামী মহারাজ, লসকরা গৌড়ীয় মঠ এর ধর্মীয় গুরু স্বামী ভক্তিকেতন মহারাজ, বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গড়েয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম রেদো।
৫১ দিন আগে
জনমতের পুরোপুরি প্রতিফলনে নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই: বিচারপতি আব্দুর রহমান
দেশের প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনে জনমতের পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটাতে পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ‘জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুর রবের সভাপতিত্বে ও পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএসপিএস’র নির্বাহী পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান।
বিচারপতি আব্দুর রহমান বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত হয়েছে প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয়। এ পদ্ধতি জনমতের পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটে না। এমনকি এ পদ্ধতিতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করাও সম্ভব নয়। কারণ, প্রার্থীরা নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য পেশীশক্তি ও অবৈধ শক্তির প্রভাব প্রদর্শনের সুযোগ পান।
পড়ুন: জুলাই সনদ: আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো এবং প্রার্থীরা মনোনয়ন বাণিজ্যে মেতে ওঠেন। অল্পের জন্য হেরে গেলে সেসব ভোটের মূল্যায়ন হয় না। ফলে ভোটারদের ভোটের যথাযথ মূল্যায়নের সুযোগ থাকে না। আর প্রচলিত পদ্ধতিতে ক্ষমতাসীনদের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে। তাই আগামী দিনে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হলে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের কোনে বিকল্প নেই। তিনি নতুন এ পদ্ধতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের আহবান জানান।প্রধান বক্তা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের জাতীয় জীবনের বড় অর্জন। তাই এ ঐতিহাসিক অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে জুলাই বিপ্লবীদের অবশ্যই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভিষিক্ত করে জাতীয় বীর হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা এবং এটিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
মূল প্রবন্ধে ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, জুলাই সনদকে অবশ্যই সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্ক সৃষ্টি হবে। এ সনদকে শুধুই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। একই সঙ্গে নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও পেশীশক্তিমুক্ত করতে হলে পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আব্দুর রব বলেন, পিআর পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই রয়েছে। আর এ পদ্ধতি অধিকতর গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। তাই আগামীতে সকল নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক। তাই এ পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি।
এতে আরও বক্তব্য দেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, মেজর (অব.) ড. মোহাম্মদ ইউনুস আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক মুহাম্মাদ রুহুল আমিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান কাবুল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) আবু ইউসুফ যোবায়ের উল্লাহ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম জিয়াউল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবিদ হাসান সিদ্দিক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ হাসান নাসির, সাবেক সচীব শেখ এ কে মোতাহার হোসেন ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।
১০০ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: মুফতি রেজাউল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিগত দিনে যারা দেশ পরিচালনা করেছে, তাদের শাসন আমরা দেখেছি। আমরা আমাদের সন্তানের লাশ দেখতে চাই না। ইতোমধ্যে সামনে কী হবে, তা আমরা অনুমান করতে পারছি। চাঁদার জন্য পাথর মেরে মানুষ হত্যা, লাশের ওপর নৃত্য করতে দেখেছি। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মারামারি করতেও দেখেছি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। সুতরাং পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানো যাবে না।
পড়ুন: আইন পরিবর্তন হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে: সিইসি
শরীয়তপুর জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ তারেক জামিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আবরারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজিজুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি এস এম আহসান হাবিব।
১০০ দিন আগে
আইন পরিবর্তন হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার কথা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
‘প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে।’
কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এ বিতর্ক নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে।’
তিনি বলেন, ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।’
আরও পড়ুন: আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: সিইসি
বিগত সরকার আমলে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছে। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের কোথায় পাঠাব? তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিগত নির্বাচনে অনিয়ম করেছিল, সেইসব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাখা হবে না’
সরকারের কোনো চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো চাপ দেয়নি। যদি চাপ দেয়, আমি পদত্যাগ করব, চেয়ারে থাকব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।’
সিইসি বলেন, ‘ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে। যারা বাক্স দখল করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে।’
‘যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব। ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে।’
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভায় রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেন।
১০৪ দিন আগে
বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে: ফখরুল
বিএনপি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, আমরা কখনই পিআর সিস্টেম মেনে নেব না, কারণ এ দেশের মানুষ এর সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। তারাও এটি জানে না বা বোঝে না।’
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিছু সময় ব্যবহারের পর বাতিল করা হয়েছে এবং পিআর সিস্টেম সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা নেই। ‘তাই, এটি গ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না।’
পড়ুন: উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্য নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে, সিদ্ধান্ত এনসিসির
ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতি ভোটারদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে বাধা দেয়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। কারণ এটিই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায়।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল প্রচলিত ব্যালট পদ্ধতিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় আছে।
ফখরুল বলেন, পিআর ব্যবস্থায় ভোটাররা জানেন না যে তারা কাকে ভোট দিচ্ছেন। ‘এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা আশা করেন সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, চোখের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ১৩ আগস্ট ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান।
গত ১৩ মে চোখের জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব।
১০৭ দিন আগে
উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্য নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে, সিদ্ধান্ত এনসিসির
দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদের ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষের সদস্যরা ভোটের শতাংশের ভিত্তিতে (পিআর) নির্বাচিত হবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে(এনসিসি)।
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি সমমনা দলের বিরোধিতার মধ্যেও বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এনসিসির সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বিকালে নগরীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এনসিসি ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফা সংলাপের ২৩তম অধিবেশনে (শেষ দিন) এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এনসিসির প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে, অর্থবিল ছাড়া অন্যান্য সমস্ত বিল নিম্নকক্ষ এবং উচ্চকক্ষে উত্থাপন করতে হবে।
উচ্চকক্ষকে কোনো বিল স্থায়ীভাবে মুলতবি রাখার ক্ষমতা থাকবে না। যদি কোনো বিল এক মাসের বেশি সময় ধরে মুলতবি থাকে—তবে তা উচ্চকক্ষে অনুমোদিত বলে ধরে নেওয়া হবে।
পড়ুন: নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে, একদিনও দেরি হবে না: শফিকুল আলম
নিম্নকক্ষে পাস হওয়া বিলগুলো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে উচ্চকক্ষ এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলো অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।
বিলটি অনুমোদিত হলে এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে সম্মতির জন্য পাঠানো হবে। আর যদি প্রত্যাখ্যান হয়—তাহলে উচ্চকক্ষের সুপারিশকৃত সংশোধনীসহ এটি নিম্নকক্ষে ফেরত পাঠাবে। পরে নিম্নকক্ষ সেটির সম্পূর্ণ, আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করতে পারে।
উচ্চকক্ষের জন্য কমপক্ষে ১০ শতাংশ নারী প্রার্থীর নাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি ঘোষণা করা হবে।
আজ মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে বিএনপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২-দলীয় জোট এবং জাতীয়তাবাদী জোট পিআর পদ্ধতির অধীনে উচ্চকক্ষের বিরোধিতা করেছিল।
বিরতির পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ১০০ জন উচ্চকক্ষ সদস্য নির্বাচনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি দল এবং জোট পিআর পদ্ধতির এবং উচ্চকক্ষের প্রস্তাবিত ক্ষমতা উভয়ের সঙ্গেই একমত হয়নি। আমাদের ভিন্নমত আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড না করা পর্যন্ত আমরা এটিকে সমর্থন করব না।’
সিপিবি, বাসদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং আম জনতা দলসহ কিছু বামপন্থী ও ইসলামপন্থী দল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার কথা উল্লেখ করে উচ্চকক্ষ গঠনের ধারণারই বিরোধিতা করেছিল।
কয়েক দিন ধরে দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি কমিশনের উপর ন্যস্ত করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার কমিশন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
১২৭ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি ও স্থানীয় নির্বাচনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদম্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, যারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলছেন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন—আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে তাদের।
তিনি বলেন, ‘যারা আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্য আছে। যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান তাদেরও উদ্দেশ্য আছে। হয় তারা চান নির্বাচন বিলম্বিত হোক, অথবা তারা চান না যে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হোক। এটি তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে।’
শনিবার (২৮ জুন) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণসভা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ গবেষণা বিশ্লেষণ ও তথ্য নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) আয়োজিত একটি সংরক্ষণাগার উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবিতে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এ দেশের গণতন্ত্রকামী সকল মানুষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করেনি। আমরা ১৭ বছর ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অসংখ্য প্রাণ হারিয়েছি।’
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদদের আত্মত্যাগ এ দেশে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আমরা অবশ্যই সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার পর রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব করা হয়েছে, যা একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি তখনই কার্যকর হবে—যখন প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে বার্তা এবং নির্দেশনা পৌঁছে দেবেন। যখন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন, অথবা উভয়ই একসঙ্গে জাতিকে এ বিষয়ে জানাবে—তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে নিশ্চিত হব যে, নির্বাচন সেই সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।’
পড়ুন: রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
১৫৯ দিন আগে