শুল্ক আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার শর্তবলি প্রকাশযোগ্য নয়: অর্থ উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনার শর্তাবলি জনসম্মুখে প্রকাশযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু বিষয় আছে যেগুলো প্রকাশ করা যায় না। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলব না।’
তিনি বলেন, ‘এটা বহুপাক্ষিক আলোচনা নয়, এটা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বা জাতিসংঘ নয়, যেখানে একটি প্রস্তাব গৃহীত হলে সবাই জানতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘হারটা আরেকটু কমলে ভালো লাগত। এখনকার হার যথাযথ না হলেও সহনীয়। ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামানো হয়েছে, এটা খুব একটা খারাপ নয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের অবস্থান খারাপ বলা যাবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, দেশের নিট পোশাক (নিটওয়্যার) কারখানাগুলো দ্রুত এই শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে—তবে ওভেন কারখানাগুলোর জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ তাদের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ব্যবস্থা দুর্বল।
তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি এখনো সই হয়নি। কোথায় আরও শুল্ক কমানো যায় তা আমরা পর্যালোচনা করব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচিত সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার আর্থিক খাতে কিছু স্বল্পমেয়াদি সংস্কার এনেছে, তবে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সময় লাগবে।
পড়ুন: জুলাই ঘোষণাপত্র অসম্পন্ন, গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই: জামায়াত
তিনি জানান, ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছেবাংলাদেশ ব্যাংক। যেটি বাস্তবায়নে সময় লাগবে। পুঁজিবাজারেও কিছু সংস্কারের চেষ্টা চলছে, কিছু অগ্রগতি আশা করা যায়।
এছাড়া এনবিআর অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে এনবিআরকে দুটি বিভাগে ভাগ করার পরিকল্পনার কথা জানান উপদেষ্টা—একটি রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং অন্যটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
সরকার যেসব প্রকল্প নিয়েছে তা সময়োপযোগী ও দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য কিনা সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই সরকার যেহেতু সীমিত সময়ের জন্য, তাই এমন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে—যা বাস্তবায়নযোগ্য।
গত এক বছরে সরকারের সাফল্য সম্পর্কে এক প্রশ্নে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অর্থনীতি এক সময় ধ্বংসের মুখে ছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
অর্থনীতিতে তখন অস্থির অবস্থা ছিল, যা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন তা কিছুটা স্বস্তিকর জায়গায় এসেছে, বলেন তিনি।
মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন তা তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হতে আরও সময় লাগবে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি এখনও একটি চ্যালেঞ্জ।
১২১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করছে সরকার: শফিকুল আলম
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বাড়তি শুল্ক হ্রাসে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে তৃতীয় দফার আলোচনায় বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ শুল্ক আলোচনা, সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগ, নির্বাচন প্রস্তুতি এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান প্রেস সচিব।
তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শুরু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আজ রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে।
পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা
শফিকুল জানান, আলোচনার ইতিবাচক ফলাফলের ব্যাপারে সরকার আশাবাদী।
তিনি বলেন, সরকারের এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি ব্যবসায়ী দলও যুক্ত থাকছে, যদিও তারা সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবে না।বৈঠকে জঙ্গিবিরোধী লড়াইকে প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
শফিকুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তার সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। কোনো অবস্থাতেই জঙ্গিবাদ বা উগ্রপন্থাকে বরদাস্ত করা হবে না।’
প্রেস সচিব আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে এই তৃতীয় দফার আলোচনা ২৯ ও ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এবং ১ আগস্টের আগে একটি ইতিবাচক সমঝোতায় পৌঁছানোর আশা করছে সরকার।
১২৯ দিন আগে
শুল্ক নিয়ে আলোচনায় সোমবার যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
নতুন করে আরোপিত শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুবুর রহমান রবিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্য সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক হার কমানোর লক্ষ্যে তৃতীয় দফা আলোচনার জন্য সোমবার বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। ওয়াশিংটনে ২৯ ও ৩০ জুলাই দুপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে এটি তৃতীয় আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর: বাণিজ্য উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আগের দুই দফার আলোচনা ইতিবাচক ছিল বলে আমরা মনে করি। এবার ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) সঙ্গে মূল বৈঠক হবে। আশা করছি, এবারের আলোচনাতেও ভালো কিছু হবে।
১ আগস্টের আগেই ইতিবাচক কোনো ঘোষণা পাওয়া যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং কেনার একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যা ধাপে ধাপে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি গম কেনার চুক্তিও হয়েছে। সয়াবিন ও তুলা কেনার বিষয়েও আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়লেও দেশের বাজারে ভোক্তাদের ওপর এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
১৩১ দিন আগে
শুল্ক আলোচনা: আগস্টের আগেই ইতিবাচক ফলের আশাবাদ ঢাকার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনদিনব্যাপী দ্বিতীয় দফা শুল্ক আলোচনা শেষে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হওয়ায় বাংলাদেশের আশা, ১ আগস্টের নির্ধারিত সময়ের আগেই একটি ইতিবাচক ফল অর্জন সম্ভব হবে।
শনিবার (১২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘কিছু বিষয় এখনও অমীমাংসিত থাকলেও আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে।’
আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব বাংলাদেশি পণ্যে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি জানান, উভয় পক্ষই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলবে এবং দুই দেশের প্রতিনিধিরা আবারও বৈঠকে বসবেন। আলোচনা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি— উভয় মাধ্যমেই হতে পারে। তারিখ ও সময় শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে।
প্রয়োজনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব ও অতিরিক্ত সচিব আবারও যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলে জানান আজাদ।
তিনদিনের আলোচনা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটি ইতিবাচক সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমাদ তায়েব ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুল্ক আলোচনা: বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও অগ্রগতির দেখা নেই
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও কপিরাইট সংক্রান্ত সংস্থার কর্মকর্তারাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূতাবাস। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয় (ইউএসটিআর) ৯–১১ জুলাই পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়।
গত ৭ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৪টি দেশের নেতাদের চিঠি পাঠান, যেখানে বাংলাদেশ অন্যতম।
তিনি চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেন, ‘আপনার দেশের বাজার আমাদের জন্য উন্মুক্ত করলে এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা তুলে নিলে, আমরা এই চিঠিতে উল্লিখিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক হার পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে ঘোষিত এই শুল্কহার বৃদ্ধি বা হ্রাস— উভয়ই হতে পারে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনোই আপনাকে হতাশ করবে না।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে ৩৫ শতাংশ হার এখনও যথেষ্ট নয়। তবে আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন করেন, তাহলে কোনো শুল্কই থাকবে না। বরং দ্রুত অনুমোদন পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’
১৪৬ দিন আগে
শুল্ক আলোচনা: বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও অগ্রগতির দেখা নেই
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত শুল্ক আলোচনায়ও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাণিজ্য, শুল্ক ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারে কোনো আশার আলো দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে কথার সৌজন্য প্রকাশ করা হলেও বৃহস্পতিবারের আলোচনার মূল সারাংশ হলো— আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং তা যে শিগগিরই হবে, এমন সম্ভাবনাও নেই।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার ভোরে বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) অফিসে রাষ্ট্রদূত জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনা শেষে উভয়পক্ষই ‘পারস্পরিক কল্যাণে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি’ পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার ছিল তিন দিনের শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দিন। বৈঠক শেষে আজাদ বলেন, ‘আলোচনাটি ছিল বিস্তৃত, যা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিককে ছুঁয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে অন্তর্বতী সরকারকে আহ্বান ফখরুলের
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
ঢাকায় অবস্থান করেও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি ও টেলিকম বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও আলোচনায় অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কৃষি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও কপিরাইট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সিনিয়র প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনের আলোচনার শেষ পর্বটি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে যে শুল্ক হার ঘোষণা করেছিলেন, তা কমানোর সম্ভাবনা এখন প্রায় নেই বললেই চলে।
১৪৭ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফলের আশা অর্থ উপদেষ্টার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৪টি দেশের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত শুল্কহার নির্ধারিত হবে ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে। এ কারণেই আমাদের তাদের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। এখনও শুল্কহার চূড়ান্ত হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী ৮ জুলাই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা দুর্বল হতে পারে—এমন শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিয়েতনামের বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১২৫ বিলিয়ন ডলার, আর আমাদের মাত্র ৫ বিলিয়ন। এজন্য ভিয়েতনাম বেশি ছাড় পেয়েছে শুল্ক হারে।”
তিনি জানান, বাণিজ্য উপদেষ্টা ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন এবং তিন দিন আগে যাওয়ার পর থেকেই তিনি এ বিষয়ে কাজ করছেন। ৮ জুলাইয়ের বৈঠকের পর বিষয়টি বোঝা যাবে, যা বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ৯ জুলাই ভোরে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ফলাফল যাই হোক, সরকার তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত আমাদের যেসব বৈঠক হয়েছে, সবই ইতিবাচক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার ভোরে (বাংলাদেশ সময়) তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক চিঠিতে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন—যা তিন মাস আগে প্রস্তাবিত ৩৭ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ কম।
তবে এটি এখনো ভিয়েতনামের নতুন ২০ শতাংশ শুল্কহারের তুলনায় অনেক বেশি। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম তাদের দেশে আমদানি হওয়া সব মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ তহবিল ব্যবহারে সরকার প্রস্তুত: অর্থ উপদেষ্টা
ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিগুলোতে ১৪টি দেশের নেতাদের উদ্দেশে আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ ছাড়াও নতুন শুল্কহার আরোপ হয়েছে—মিয়ানমার ও লাওসের জন্য ৪০ শতাংশ, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের জন্য ৩৬ শতাংশ, সার্বিয়ার জন্য ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার জন্য ৩২ শতাংশ, এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া ও তিউনিসিয়ার জন্য ২৫ শতাংশ।
চিঠিগুলোতে ট্রাম্প সতর্ক করেন, কোনো দেশ পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তাদের আমদানি শুল্ক বাড়ালে, তার প্রশাসন আরও বেশি হারে শুল্ক আরোপ করবে।
১৫০ দিন আগে