জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস
জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবসে ড্রোন প্রদর্শনীতে মুগ্ধ জনতা
বিরুপ আবহাওয়া কারণে দীর্ঘ বিলম্বের পর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ড্রোন শো ‘ডু ইউ মিস মি?’।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই এই প্রদর্শনী হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে একাধিকবার পিছিয়ে অবশেষে রাত ১১টায় শুরু হয়। মানিক মিয়া এভিনিউতে এক হাজার একশ ড্রোনের সমন্বয়ে ১২ মিনিট ধরে চলে এই প্রদর্শনী।
দিনব্যাপী চলা সংগীত উৎসবের পর বৃষ্টিভেজা পরিবেশ ও সময়সূচির বারবার পরিবর্তন সত্ত্বেও হাজারো দর্শক সেই রাতে অপেক্ষায় ছিলেন এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য।
মূলত সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা একাধিকবার পেছাতে হয়। রাত গভীর হওয়ায় অনেক দর্শকই তখন ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ভিজে অবস্থায় অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। তবে যারা থেকে গিয়েছিলেন, তারা এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সাক্ষী হন যেখানে প্রযুক্তি ও রাজনৈতিক বার্তা মিশে যায় এক অভিনব কল্পনায়।
আরও পড়ুন: ‘জুলাই সনদ’ একটি ঐতিহাসিক অর্জন, এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে: অধ্যাপক ইউনূস
১২০ দিন আগে
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
জুলাই অভ্যত্থানের এক বছরপূর্তির দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এতে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৫টায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জুলাই আন্দোলন নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণসংহিত আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।
১২১ দিন আগে
৪ আগস্ট রাতে যেভাবে গুজব রুখে দিয়েছিল একটি ছবি
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল প্রথমে কোটা সংস্কারের আন্দোলন। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ধাপে ধাপে এ আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। দেশের কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের অভিন্ন আন্দোলনে পরিণত হয় এটি।
তবে এই আন্দোলন রুখতে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের চেষ্টার কমতি ছিল না। শুধু তা-ই নয়, আন্দোলন যতটা খাটো করে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপন করা যায়, তার প্রচেষ্টাও ছিল অবিরত। একটা পর্যায় থেকে তো ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
আন্দোলনের সেই সময়টায় ছাত্রজনতাকে বিভ্রান্ত করতে তৎকালীন সরকারপক্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল গুজব। ৫ আগস্ট আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেওয়ার আগের রাতে, অর্থাৎ ৪ আগস্ট রাতে তেমনভাবেই আরও একবার গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে একটি ছবি সেই সময় গুজবের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।
সেদিন রাতে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধু মিলে তোলা একটি ছবি তাই আজ হয়ে গিয়েছে ইতিহাসের অংশ।
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাংবাদিক টিএসসির অতিথি কক্ষে অবস্থান নিয়ে সারা দেশে মানুষের কাছে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় ব্রতী ছিলাম।
এর মাঝে ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে আমাদের ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। পরের দিন ৪ আগস্ট সারা দিনের প্রোগ্রাম কভার করে রাতে ক্লান্ত শরীরে গিয়েছিলাম বিশ্রাম নিতে। এ সময় ফেসবুক স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি, আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গুজবমূলক পোস্টে সয়লাব ফেসবুকের ফিড।
সেসবের মধ্যে অন্যতম ছিল— সারা দেশ থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্য, টিএসসি ও শাহবাগে অবস্থান নিয়ে পুরো এলাকার দখল নিয়েছে। ওই দাবির সত্যতা প্রমাণে পুরনো একটি ভিডিও শেয়ার করে তারা, যার শিরোনাম ছিল, ‘৭ মিনিটে টিএসসি-শাহবাগ দখল।’
এসব ভিডিও দেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিচিত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ফোন দিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে চান। দীর্ঘ সময় ধরে স্বৈরাচারের শাসনে অতিষ্ট এসব মানুষের মনে মুক্তির যে সম্ভাবনার কুঁড়ি পাপড়ি মেলতে শুরু করেছিল, তা বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়েই একের পর এক ফোন দিচ্ছিলেন নানাজন।
অথচ, সারা দিন বাইরে ঘুরে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতে হোস্টেলের কক্ষে ফেরার আগে আমি যা দেখেছি, সেই সত্যের পুরোপুরি বিপরীত ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ওইসব পোস্ট ও ভিডিও। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সেই রাতে কোনো মানুষ ছিল না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় ছিল পিনপতন নীরবতা।
ফলে এমন একটি আন্দোলন গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে তার পথ হারাবে, গতি হারাবে, তা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল ভীষণ। তাই সহকর্মী-বন্ধুদের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানাই এবং এ বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করার বিষয়টি আমাদের আলোচনায় উঠে আসে। আমরা সিদ্ধান্ত নিই, ফেসবুকের ওই গুজবকে উন্মোচন করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ষড়যন্ত্র রুখে দেব।
এরপর আজকের পত্রিকার ঢাবি প্রতিনিধি ছিদ্দিক ফারুক, দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি যোবায়ের আহমদ, দৈনিক নয়া দিগন্তের হাসান আলী, আমাদের সময়ের আশিকুল হক রিফাত, ইত্তেফাক পত্রিকার নেসার উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে আমি টিএসসিতে আসি। এরপর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি জোবায়ের হোসেনের তোলা ছবিটি আমরা নিজেদের প্রোফাইল থেকে শেয়ার করি। সেইসঙ্গে লিখে দিই, আমরা ছাড়া টিএসসিতে আর কেউ নেই। পাশাপাশি, কেউ যেন গুজবে বিভ্রান্ত না হয়, সেই আহ্বান জানাই।
মুহূর্তের মধ্যে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও প্রোফাইলে ছবি ছড়িয়ে যায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে খবর বের হয়।
আমাদের ওই ছবিটি শেয়ার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দেশের সকল স্তরের মানুষকে ভয় না পেয়ে রাস্তায় নেমে আসার ঘোষণা দেন।
ফেসবুকে এ ছবি দেওয়ার পর বিভিন্নজনের কাছ থেকে সাধুবাদ পেলেও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আমরা পাই নানা ধরনের হুমকি। ছবিটি আপলোড করার পর থেকেই গণহারে আমাদের আইডিগুলোকে রিপোর্ট করা শুরু হয়। মৃত্যুর হুমকিসহ অসংখ্য গালাগালপূর্ণ মেসেজে ভরে যায় ইনবক্স।
তবে এতকিছু করেও সত্যকে চাপা দিতে পারেনি তারা। স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারপর গণভবন অভিমুখে জনস্রোত শুরু হলে একপর্যায়ে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে।
মুক্তিকামী মানুষের মনোবল জোগাতে আমদের সেই ছবিটি যে একটি মাইলফলক ছিল, গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার অনেকেই তা স্বীকার করেন আজও। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়করা, অংশগ্রহণকারীরা দেখা হলেই ছবিটির প্রসঙ্গ তোলেন; আমাদের উপস্থিত বু্দ্ধির প্রশংসা করেন। নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার গল্প বলেন।
শুধু এই ছবিটি নয়, এমন অনেক ছবি, গল্প ও ভিডিও জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে এগিয়ে নিয়েছিল, দিয়েছিল পূর্ণতা।
তবে শহীদদের রেখে যাওয়া আমনত রক্ষা, তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়নই গণঅভ্যুত্থানের সত্যিকারের ফসল ঘরে তুলতে পারার মহৌষধ হিসেবে কাজ করবে। আজ জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমাদের চাওয়াও কেবল সেটিই।
১২১ দিন আগে
অধিকাংশ খালি আসন নিয়েই ফরিদপুর ছাড়ল স্পেশাল ট্রেন
ফরিদপুর থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকাগামী একটি বিশেষ ট্রেন ভাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে যাত্রা করে।
আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করে। তবে জেলাজুড়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জুলাইযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ এই বিশেষ ট্রেনটির অধিকাংশ বগিই ছিল ফাঁকা। ৬৭৬ আসনবিশিষ্ট এই ট্রেনটি মাত্র ১৭ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
ভাঙ্গার স্টেশন মাস্টার জিল্লুর রহমান জানান, ‘ঢাকাগামী এই স্পেশাল ট্রেনটি ১১টা ২৩ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে রওনা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে। ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা ছিল ৬৭৬। তবে অধিকাংশ বগি ফাঁকা ছিল।
১২১ দিন আগে
রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতার ভাষণটি একযোগে সম্প্রচার করবে।
১২১ দিন আগে
ছেলের স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় আবু সাঈদের মা
আজ ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বছরপূর্তি। এই দিনে সারা দেশে বিজয় উৎসব হলেও ছেলের স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখাই এখন একমাত্র ইচ্ছা বলে জানিয়েছেন জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম।
মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে যে স্বপ্ন নিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছে, সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় আছি। যেন এ দেশে আর কোনো দিন ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়। এ দেশে আর যেন বৈষম্য, হানাহানি, খুনোখুনি না থাকে।’
পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের জাফরপাড়ায় শহীদ আবু সাঈদের পৈতৃক নিবাসে ছেয়ে আছে শূন্যতা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রয়েছেন বাড়িতে, রয়েছে তার ব্যবহৃত জামা-কাপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্রও।
তবে প্রকৃতির নিয়মে সব আগের মতো চললেও বাবা-মায়ের কাছে আবু সাঈদের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
রংপুর শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের জাফরপাড়ার একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান ছিলেন আবু সাঈদ। বাড়িতে ঘরের পাশেই আবু সাঈদের কবরের সামনে নিষ্পলক দাঁড়িয়ে ছিলেন মা মনোয়ারা বেগম ও বাবা মকবুল হোসেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে: আইন উপদেষ্টা
মা মনোয়ারা বলেন, ‘আমার সন্তানের কারণে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আমার ছেলের মতো যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়—এটাই সবার কাছে আমার দাবি। সে যে চেতনা নিয়ে বুকের রক্ত দিয়েছে, সেই চেতনার বাংলাদেশ দেখে মরলে শান্তি পাব।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে এখন সবাই আসেন, জানতে চান আমার ছেলের আত্মদানের কথা। সকাল হচ্ছে, সন্ধ্যা হচ্ছে, মানুষজন আগের মতোই বাড়িতে আসেন। কিন্তু হাজার মানুষের ভিড়েও আমার বুকে এক শূন্যতা বিরাজ করে। এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত কাটে আমার। সেই শূন্যতা কে পূরণ করবে? আমি একজন মা হিসেবে আমার ছেলের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় আছি।’
বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের আত্মদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ জালিম সরকারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। দেশের মানুষ স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে।’
আন্দোলনে তার ছেলের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা পড়াশোনা করে চাকরি না পাওয়ায় আন্দোলন করেছে। এটা ছিল ন্যায্য দাবি।’
আবু সাঈদের হত্যাকারীদের ব্যাপারে মকবুল হোসেন বলেন, ‘যে পুলিশ সদস্য আমার ছেলের বুকে গুলি চালিয়েছে, সেই পুলিশসহ অন্যান্য হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
১২১ দিন আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এগুলো অবমুক্ত করেন তিনি।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবদুন নাসের খান উপস্থিত ছিলেন।
১২১ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সরকার।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শায়রুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি নেতাদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে একসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান ফখরুলের
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনকেও কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১২১ দিন আগে
৫ আগস্ট পত্রিকা অফিসে ছুটি থাকবে
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেশের সব পত্রিকা অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
তবে ওই দিন বিশেষ ব্যবস্থায় পত্রিকা প্রকাশ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৪ আগস্ট) এক ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
১২২ দিন আগে
আজ যেভাবে পাবেন ‘ফ্রি ইন্টারনেট’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) ‘ফ্রি ইন্টারনেট ডে’ পালন করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এ উপলক্ষে দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, ৩ জুলাই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা এবং ৮ জুলাই বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ৯ জুলাই মোবাইল অপারেটরদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশনায় বলা হয়, ১৮ জুলাই তারিখে দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে একবারের জন্য ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি দিতে হবে।
যেভাবে পাবেন ফ্রি ইন্টারনেট
বিটিআরসি জানিয়েছে, ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিতে গ্রাহকদের নিজ নিজ অপারেটরের নির্ধারিত কোড ডায়াল করতে হবে।
• গ্রামীণফোন: *121*1807#
• রবি: *4*1807#
• বাংলালিংক: *121*1807#
• টেলিটক: *111*1807#
এই কোড ডায়াল করলেই গ্রাহকরা নির্ধারিত ফ্রি ডেটা সংগ্রহ করতে পারবেন।
১৪০ দিন আগে