মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন শিক্ষিকা ফারজানা
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াসমিনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
বুধবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ফারজানা ইয়াসমিনের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো দুজন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন।’
তিনি জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে বিমান দুর্ঘটনায় আহত ৩২ জন রোগী এখনো ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জনই শিশু। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং সাতজনকে গুরুতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিরা সাধারণ ওয়ার্ড ও কেবিনে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ঝরে গেল আরও এক শিক্ষার্থীর প্রাণ
ডা. নাসির বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত আইসিইউতে তিনজন রোগী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১৫৮টি ছোট-বড় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ও অনেকের একাধিকবার অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হয়েছে। তাছাড়া গত তিন দিন ধরে কোনো নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বুধবারের পর থেকে আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রতিদিনের চিকিৎসা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
১২৭ দিন আগে
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ঝরে গেল আরও এক শিক্ষার্থীর প্রাণ
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এতে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।
রবিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহিল ফারাভি আয়ান (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
বিমান দুর্ঘটনায় তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, রবিবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়ান মারা যায়।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আরও দুজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৫
এর আগে রবিবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সংশোধন করে ৩৩ জন বলে জানায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৩ জন এবং ৪৬ জন এখনও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৩ জন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই শিশু।
১৩০ দিন আগে
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: শিক্ষার্থী মাকিনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৩
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মাকিন (১৭) নামের ওই শিশুটি ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেল।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন জানান, চিকিৎসাধীন ৪২ জনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মাকিন মারা যাওয়ার পর এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আরও ৪০ জনকে।
পড়ুন: মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: শিশু আইমানের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩২
১৩৩ দিন আগে
মাইলস্টোনের নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে লন্ডনে অবস্থিত একাধিক বিদেশি মিশন
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বহু শিশুর প্রাণহানির ঘটনায় লন্ডনে অবস্থিত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে ২৩ ও ২৪ জুলাই বাংলাদেশ হাইকমিশনে একটি শোকবই খোলা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, যেসব দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শোকবার্তা পাঠিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, মাল্টা, হন্ডুরাস, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, গুয়েতেমালা, গ্রিস, মেক্সিকো, আজারবাইজান, কলম্বিয়া, ঘানা, বাহরাইন, মালদ্বীপ, টোগো এবং আলজেরিয়া।
এ ছাড়া কমনওয়েলথের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপও শোক প্রকাশ করেছে।
দূতাবাসগুলো নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।
এই গভীর শোকের সময়ে যেসব দেশ ও সংস্থা তাদের সমবেদনা ও সহায়তা জানিয়েছে, তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
১৩৩ দিন আগে
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: শিশু আইমানের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩২
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আইমান (১০) নামের ওই শিশুটি ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা ৩২ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেল।
আইমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার নারায়ণপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন জানান, চিকিৎসাধীন ৪২ জনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আইমান মারা যাওয়ার পর এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৪১ জন।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে আজ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ৩২ জন মারা গেছে। এখনও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫১ জন।
১৩৩ দিন আগে
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: নানাবাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত তাসনিম
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত আরেক শিক্ষার্থী মাহিয়া তাসনিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাসনিম স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার নানাবাড়ি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামে তার লাশ নেওয়া হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: চলে গেল ৯ বছরের নাফিস
তাসনিম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের প্রয়াত প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
এর আগে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তাসনিম।
তার নানা নজরুল ইসলাম জানান, আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
১৩৩ দিন আগে
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: চলে গেল ৯ বছরের নাফিস
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গতরাত পৌনে ২টার দিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে নাফিস নামের ৯ বছর বয়সী একটি শিশু মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যায়। শরীরের ৯৫ শতাংশ পোড়ার ক্ষত নিয়ে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে বিধ্বস্ত হয়। পরে জানা যায়, স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হওয়া ওই বিমানটি ছিল বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে যার বেশিরভাগই শিশু। যারা এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাদের অধিকাংশের শরীরও মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নিহতদের কবরের স্থান নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান গতকাল দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, যারা চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে ১০ জনকে ‘শঙ্কামুক্ত’ বলে মনে করা হচ্ছে।
তার কথায়, ‘৩০ জন একটা অস্পষ্ট জায়গায় আছে, যার মধ্যে ১০ জনকে মনে করছি এখনও শঙ্কার মধ্যে আছে। বাকিদের অবস্থা মাঝামাঝি জায়গায়।’
নাফিসের মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের সংখ্যা কমে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৩ জন, ঢাকা সিএমএইচে ২১ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ১ জন, শহিদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন ভর্তি আছে।
এর আগে, গতকাল দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিহতের সংখ্যা ৩১ ও আহতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১৬৫ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইএসপিআরের পক্ষ থেকে দুই ধরনের তথ্য দেওয়ায় জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৮, আর বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন ৬৮ জন।
তিনি আরও জানান, আইএসপিআর পরিচালকের সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যই সঠিক।
আরও পড়ুন: ‘চোখের সামনেই মারা গেল আমার বন্ধু’
এদিকে, নিহতদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে রাখা ছয়টি অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্তে স্বজনদের খুঁজছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত মর্গে রাখা ছয়টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ডিএনএ বিশ্লেষণের (প্রোফাইলিং) জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধায়নে লাশগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই সিআইডির ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে।
সায়েদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের নাম আহত ও নিহতদের প্রকাশিত তালিকায় নেই, তাদের মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে গিয়ে ডিএনএ নমুনা প্রদান করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত মাত্র একটি পরিবারের পক্ষ থেকে নমুনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের নমুনা পাওয়া গেলে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কাম্য।
১৩৫ দিন আগে
নিহতদের কবরের স্থান নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের কবরের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের কবরস্থানের জন্য মাইলস্টোন স্কুল সন্নিকটস্থ উত্তরা ১২ নম্বরের সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ৩১
পরবর্তীতে এই কবরস্থান তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে সংরক্ষণ করা হবে বলেও ওই বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, গতকালের এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ১৬৫ জন।
১৩৬ দিন আগে
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ৩১
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৬৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ জন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রয়েছে ১০ জন। এ ছাড়া উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন করে নিহত রয়েছে।
আহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৬০ জন। এর পরে রয়েছে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৬ জন ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৮ জন।
এর আগে, আজ সকালে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে প্রেস ব্রিফিং করে এই দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে আপডেট দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান।
আরও পড়ুন:মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আরও ৮ জনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন ৭৮
সে সময় তিনি জানান, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিক্ষার্থী বলে জানান তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি স্কুল ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে এই খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
পরে জানা যায়, বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান স্কুলটির চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন।
১৩৬ দিন আগে
‘চোখের সামনেই মারা গেল আমার বন্ধু’
পরীক্ষা শেষে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান হাসান। এর মধ্যে স্কুলটির একটি ভবনে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে যাওয়া বিমানটি। আর এ ঘটনায় ঝরে যায় ২৭টি প্রাণ, যার প্রায় সবাই শিক্ষার্থী।
ফারহান বলে, ‘আগুন ধরা প্লেনটা আমার চোখের সামনেই বিল্ডিংয়ে আঘাত করছে। আমার একটা বেস্ট ফ্রেন্ড, যে পরীক্ষার হলে আমার সঙ্গেই ছিল। আমার চোখের সামনেই ও মারা গেছে।’
এ দুর্ঘটনায় ১৭১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ওই ঘটনার কিছু ভিডিওতেও স্কুলটির একটি দোতলা ভবনের নীচতলায় বিধ্বস্ত বিমাটিতে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। সেইসঙ্গে চলতে থাকে উদ্ধার তৎপরতা।
বিবিসিকে প্রত্যক্ষদর্শী ফারহান বলে, ‘স্কুল গেটের ভেতরে অনেকগুলো গার্ডিয়ান দাঁড়ায়ে ছিল, আর ছোটরা বের হচ্ছিল ছুটির টাইমে। তখন গার্ডিয়ানদেরসহ প্লেনটা নিয়ে গেছে।’
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল ছুটি হবে হবে—এমন সময় বিমানটা সরাসরি জুনিয়র সেকশনের বিল্ডিংয়ে আঘাত করে।’
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আরও ৮ জনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন ৭৮
আরেক শিক্ষক মাসুদ তারিক বলেন, ‘আমি বিস্ফোরণের শব্দ শুনে যখন পিছনে ঘুরে তাকালাম, কেবল আগুন আর ধোঁয়া দেখছিলাম… সেখানে অনেক গার্ডিয়ান ও শিশুরা ছিল।’
দুর্ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ সেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন।
এক নারী বিবিসিকে বলেন, তার ছেলে স্কুলের ভেতরেই ছিল। তবে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে তিনি আর তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে জানানো হয়েছে, শিশুসহ প্রায় ৫০ জনের বেশি মানুষকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১৩৬ দিন আগে