কৃষি
বন্যায় কুড়িগ্রামে কৃষিতে শত কোটি টাকার ক্ষতি
কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি কৃষক।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা এলাকার কৃষক কোবাদ আলী বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনও বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের
একই এলাকার কৃষক আব্বাস বলেন, ‘বন্যার পানিতে এখনও সব জমি তলিয়ে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের এলাকার কৃষক কিভাবে আবাদ করবে সেই দুশ্চিন্তায় আছে সবাই।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে সেই পরামর্শ দিচ্ছি।
অন্যদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে এসব সড়ক ও ঘরবাড়ির ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে: এফএফডব্লিউসি
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এই ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপণ ও ধান কাটায় প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল তোলা সম্ভব। কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনোটা বিনামূল্যে কোনোটা ভর্তুকি মূল্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের আশে-পাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এটার গুরুত্ব আছে।’
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে কিন্তু ধানের দাম দুই টাকা বাড়িয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’
ট্রানজিট নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের চুক্তি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা গোলামি চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে চান তিনি। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’
পোরশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে গাছের চারা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক এবং অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষিতে ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে ডিএই
কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
এসময় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১৬ জন কৃষককে ‘কৃষক পুরস্কার’ দেওয়ার পাশাপাশি ১৬ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ১৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে।
কৃষকদের আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ময়মনসিংহের ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো. এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী।
মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাপ প্রোটোকল অনুসরণে উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিকে আধুনিক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা।’
আরও পড়ুন: পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারদের সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের কৃষিখাতকে ঝুঁকিমুক্ত, স্থিতিশীল, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা।
ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ অঙ্গীকার করা হয়।
বৈশ্বিক কৃষি-প্রযুক্তি সেক্টরগুলো বাংলাদেশে সম্ভাব্য সুযোগগুলো কীভাবে কাজে লাগাতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয় গোলিটেবিল বৈঠকে।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে: সিমিন হোসেন
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৩০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক এ আলোচনায় অংশ নেন।
গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস), কানাডা যৌথ আয়োজক হিসেবে অংশ নেয়।
শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ছয়টি উপস্থাপনা বাংলাদেশের চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপর আলোকপাত করে: দ্রুত ফসলের ফলন বৃদ্ধি; স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থা প্রণয়ন, খামার যান্ত্রিকীকরণ বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি।
বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে তাদের অব্যাহত সহায়তা বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) এবং বিশ্বব্যাংক।
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার কৃষির রূপান্তরের বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন।
কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা সহায়তা বৃদ্ধি করতে সম্মত হন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, নেদারল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষি খাত অগ্রাধিকার পাবে। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন কৃষক থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছি। আমার জীবনের সাত দশক ধরে আমি দেখেছি কীভাবে আমাদের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা আমাদের বদ্বীপে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন।
আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়; যার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে পাইলট উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়িত হবে।
নেদারল্যান্ডস বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষি-খাদ্য রপ্তানিকারক। তাদের কৃষি রপ্তানির পরিমাণ ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০২২)। এখন পর্যন্ত, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের কৃষি-বাণিজ্য সম্ভাবনার উপর ৭টি মার্কেট স্ক্যান করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে এই উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে, বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের কৃষি ভবিষ্যতের সম্ভাবনা, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে প্রথমবারের মতো একটি আলোচনার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ: কৃষি মন্ত্রণালয়
বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আলোচনা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার
বার্ষিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৬ অর্থবছরে কৃষিতে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে কৃষি খাতের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তিন বছরে কৃষি উন্নয়নে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
'মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' অনুসারে, এই বিনিয়োগ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়।
জিডিপিতে একটি হ্রাস প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও এটি বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে কৃষিনির্ভর সংখ্যাগরিষ্ঠদের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের গৃহীত কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, যান্ত্রিকীকরণ-সেচ সম্প্রসারণ এবং বীজ ও সারের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের উপকরণের প্রাপ্যতা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
নীতি নথিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির উপর সেচের জন্য ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা এবং ফসল পরিচর্যার জন্য রিমোট সেন্সিং নিয়োগ করা।
সরকার একটি টেকসই ও স্বনির্ভর কৃষি কাঠামো গড়ে তুলতে ভর্তুকি, আর্থিক প্রণোদনা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই খাতকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উপখাত থেকেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এটি কেবল জিডিপি যথাক্রমে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৯১ শতাংশই বৃদ্ধি করে না, বরং জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে এবং জীবিকার সংস্থান করে। এই ক্ষেত্রগুলোর অর্জনসমূহের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস এবং ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য এসব খাত অত্যাবশ্যক।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় জিরা চাষে সফলতা, জহুরুল ইসলামের দৃষ্টান্ত
ভবিষ্যতে এসব খাতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য বিশেষ করে ছোট ইলিশ মাছের ('জাটকা') জন্য উন্নয়ন প্রকল্প চালু করতে প্রস্তুত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
টেকসই কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা আরেকটি মৌলিক ক্ষেত্র। আন্তঃসীমান্ত নদী থেকে ন্যায়সঙ্গত পানির হিস্যা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জলাশয় খনন ও উপকূলীয় বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির হুমকির মধ্যে - ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সরকার এই প্রভাবগুলো হ্রাস করার বিস্তৃত কৌশলগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাটি জলবায়ু সম্পর্কিত বাধাগুলোর বিরুদ্ধে সহনশীলতা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাত এবং সম্প্রদায়গুলোকে সরঞ্জাম দিয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই বহুমুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের কৃষি ঐতিহ্যকে কেবল সুরক্ষাই নয়, বরং এগিয়ে নিতেও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ১৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষি ক্ষেত্রেও।
তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। কনকনে ঠান্ডায় যবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীত কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখিরাও।
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।
সরেজমিনে এসব চিত্র দেখতে পান ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।
গত ১ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
দ্বিপক্ষীয় কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য প্রথমবারের মতো সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
চুক্তিতে আগেই সই করেছিলেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা। তার পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুই দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, যুগ্ম সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিশ্বের আরেকটি প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলে আমরা যেতে পারব। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আর্জেন্টিনা খুবই সম্পদশালী দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। ফুটবলের মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে, সেই সম্পর্ক কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনা কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত। আমরা আর্জেন্টিনা থেকে গম, সয়াবিনসহ গবাদিপশুর বিভিন্ন খাবার আমদানি করি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের উপরে। সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে আর্জেন্টিনা থেকে ভালো দামে গম ও সয়াবিন আনতে পারব। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসা হবে। আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি। অনেক কৃষিপণ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের শিল্প স্থাপনে আমরা আর্জেন্টিনার সহযোগিতা পাব। ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা আর্জেন্টিনার সহায়তা পাব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আম, আনারস রপ্তানি করতে পারে আর্জেন্টিনায়। আলুসহ চিপস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আর্জেন্টিনায় রপ্তানি করা যাবে। এছাড়া, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজির ক্ষেত্রে দেশটির সহায়তা নেওয়া যাবে।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক সুযোগ রযেছে। সমঝোতা স্মারকের মধ্যেদিয়ে সেসব খাতে কাজ করার সুযোগ আরও বাড়ল।
সমঝোতা স্মারকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হলো- জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি, মাটি ব্যবস্থাপনা, প্রিসিসন কৃষি, সেচ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় রোধ, উত্তম কৃষি চর্চা বা গ্যাপ, কৃষিপণ্যের বিপণন ও ভ্যালু চেইন উন্নয়নসহ প্রভৃতি বিষয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও এলসি নিয়ে আলোচনা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা বুধবার রাতে এক নৈশভোজে রপ্তানি সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেছেন, নৈশভোজের সময় রাষ্ট্রদূত লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) সুরক্ষাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন।
মুখপাত্র বলেছেন, ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ গ্রেনস (একটি আমেরিকান কোম্পানি) আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত, মার্কিন দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্টাফ সদস্য। সেখানে তারা প্রধান বেসরকারি খাতের কৃষি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের কৃষি পণ্য রপ্তানি করেছে।
দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি ব্যবসাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবান অংশীদার। কারণ দেশটি সয়াবিন, গম, তুলা ও পশুসম্পদ উন্নয়ন থেকে তৈরি পোশাক খাত পর্যন্ত অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করতে চায়। যেগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সসহ অন্যান্য দেশের বেশ কয়েকজন কূটনীতিক নৈশভোজে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আলু আমদানির পরিকল্পনার বিরোধিতা করে মতামত দিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের আলু আমদানির অনুমতি দিতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার (৭ অক্টোবর) ইউএনবিকে জানান, আগামী দুই মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য দেশীয় ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আলু মজুদ রয়েছে। তাই আলু আমদানির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ফের রাশিয়ায় আলু সরবরাহ করবে বাংলাদেশ
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে নতুন জাতের আলু বাজারে আসতে শুরু করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি এলাকায় আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসব জেলা থেকে আগাম জাতের আলু পুরোদমে বাজারে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দেশে কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে আলুসহ অন্যান্য কিছু কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
আরও পড়ুন: আলুর সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: কৃষিমন্ত্রী
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি
কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
কৃষি জমি বাঁচাতে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোমবার সংসদ ভবনে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এতে ফসলি ও চরের জমিতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ নিশ্চিত করতে জমিতে নির্মিত সোলার প্যানেলের উচ্চতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিগত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে চরাঞ্চলে ভুট্টা, সূর্যমুখী ও সয়াবিনের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোসলেম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, আনোয়ারুল আবেদীন খান, উম্মে কুলসুম, হোসনে আরা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার