নির্বাচন বিলম্বিত ও বানচালের ষড়যন্ত্র
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বিলম্বিত ও বানচালের ষড়যন্ত্র দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা হবে: অন্তর্বর্তী সরকার
আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ়ভাবে পুর্নব্যক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের প্রতি এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একনিষ্ঠ অঙ্গীকার। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার জন্য সকল ষড়যন্ত্র, বাধা অথবা প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার এবং আমাদের গণতন্ত্রপ্রেমী দেশপ্রেমিক জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছা জয়ী হবে, কোনো অশুভ শক্তিকে গণতন্ত্রের পথে আমাদের(সরকারের) অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেওয়া হবে না।’
এতে আরও বলা হয়, এই সংকটকালীন সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আহ্বান জানায়। ‘আমাদের সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করতে, জনবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রে আমাদের সফল উত্তরণ নিশ্চিত করতে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য।’
পড়ুন: চিকিৎসাধীন নুরকে ড. ইউনূসের ফোন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করবে সরকার
এর আগে বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানসহ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন বলে জানান শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অধ্যাপক ইউনূস বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে আগামী রবিবার বৈঠক করবেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির সঙ্গে বিকাল ৩টায়, জামায়াত এবং এনসিপির সাথে যথাক্রমে বিকাল সাড়ে ৪টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আলম বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান থেকে সরকারকে কোনো ষড়যন্ত্র থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানানো হয়েছে যে নির্বাচন যথাসময়ে, রমজানের আগে অনুষ্ঠিত হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
৯৭ দিন আগে