সিভিল সার্জন
বোরকা পরে পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়লেন ভুয়া চিকিৎসক
রংপুরে দিন দিন ভুয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সিভিল সার্জনের অভিযানে বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুর মহানগরীর ধাপ এলাকায় ইউনাইটেড নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘটেছে এমনই এক চ্যাঞ্চল্যকর ঘটনা।
সরেজমিনে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটারে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন চলছে। ঠিক সেই সময়ে হাসপাতালে হাজির হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখা মিলল এক যুবকের। রোগীকে সেলাই দিতে ব্যস্ত ওই যুবক প্রথমে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। পরে জানা গেল, তিনি ডাক্তার তো দূরে থাক, অষ্টম শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়েছেন মাত্র।
অভিযানে যাওয়া সিভিল সার্জনের উপস্থিতি টের পেয়ে বোরকা পরে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা পাননি প্রশান্ত নামের ওই ভুয়া চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ভুয়া চিকিৎসকের জরিমানা, অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালটির পাঁচ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন নেই। পরিবেশ ছাড়পত্রসহ নেই বৈধ কোনো কাগজপত্র। তবুও ওই হাসপাতালে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা চলছে সমান তালে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল (বুধবার) রাতে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের সময় অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে অষ্টম শ্রেণি পাস প্রশান্তকে হাতেনাতে ধরেন রংপুর সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা। এ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। পরে দুই ঘণ্টা টয়লেটে বোরকা পরে লুকিয়ে থাকার পর পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তারপরও শেষ রক্ষা পাননি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আটক করে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক সামসুদ তিবরীজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান মিশু। তাৎক্ষণিক হাসপাতাল মালিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করে জেল খাটার হাত থেকে রক্ষা পান।
জানা গেছে, গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের ময়না বেগমের (২৬) সন্তান প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার বিকেলে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর রাতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়।
এদিকে, অভিযান প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা বলেন, ‘অভিযানে ওই বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে এক প্রসূতি নারীকে পাওয়া যায়। তখন সিজার করে তার সন্তান বের করা হয়েছিল; সেলাই দিচ্ছিলেন এক যুবক।’
‘তিনি প্রথমে নিজেকে ডাক্তার দাবি করেন। পরে বলেন, আমি ডাক্তার নই, এইট পাস করেছি মাত্র। এরপর তিনি বোরকা পরে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটির মালিক দাবি করছিলেন, ওই নারীর সিজার করিয়েছেন রংপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির চিকিৎসক রিফাত আরা। তবে রিফাতকে ওই সময়ে পাওয়া যায়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ‘ওই বেসরকারি হাসপাতালের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। লাইসেন্সের মেয়াদও পাঁচ বছর আগে শেষ হয়েছে। নবায়নের জন্য আর আবেদনও করেনি। এ ধরনের হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করা হচ্ছে।’
সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রংপুরে প্রায় ৫০টিরও বেশি ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই। থাকলেও তা নবায়ন করা হয়নি। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এসব ক্লিনিকে চালানো হচ্ছে অপারেশন। আর এজন্যই সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে , যা অব্যাহত থাকবে।
৯১ দিন আগে
পিরোজপুরে সিভিল সার্জনসহ ৪ ডাক্তার ও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পৌনে দুই কোটি টাকার ওষুধ ও এমএসআর (চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসাসামগ্রী) গরমিলে সত্যতা পাওয়ায় চার চিকিৎসক, স্টোরকিপার ও চার সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় এ মামলা করেছেন বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ শেখ। শনিবার দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: ড. আতিউর-বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার আসামিরা হলেন— হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান, হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট (গাইনি) ও সার্ভে কমিটির সভাপতি ডা. ফরাহানা রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নিজাম উদ্দিন, জুনিয়র কন্সালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সুরঞ্জিত কুমার সাহা, হাসপাতালের স্টোরকিপার মো. আলামীন গাজী এবং ওষুধ সরবরাহকারী এস এম সামসুল আরেফীন (নাজিরপুর), মো. হানিফুল ইসলাম (ঢাকা), মো. জহিরুল ইসলাম (মাগুরা) ও মো. রাশেদুজ্জামান এরশাদ (মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওষুধ ও এমএসআর সরবরাহকারী চারটি প্রতিষ্ঠান পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের অনুকূলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওষুধ ও এমএসআর সরবারাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এ সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত চারটি প্রতিষ্ঠান ও সামগ্রী সরবরাহ হয়েছে মর্মে সভাপতিসহ দুই সদস্যকে ১ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৭ টাকার ওষুধ ও সামগ্রী বুঝে নিয়ে উল্লিখিত অর্থ পরিশোধ করে হাসপাতালের সার্ভে কমিটি। কিন্তু দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনাকালে হাসপাতালের স্টক রেজিস্ট্রার ও ওষুধ এবং এমএসআর সামগ্রীর বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করা হয়। নিরীক্ষাকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উল্লিখিত ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রী স্টক রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তা স্টোরে পাওয়া যায়নি। গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের অভিযানে এ তথ্যপ্রাপ্তির পর গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই ঘাটতি পূরণের জন্য আসামিরা তা সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলকভাবে একটি ট্রাকে ওষুধ এনে তা স্টোরে মজুতের অপচেষ্টা করেন। সে সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ট্রাকটি জব্দ করে দুদক।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পরে এসব অপরাধের অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি করে। এছাড়া পরবর্তী তদন্তে এজাহারে বর্ণিত অপরাধের সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও মামলায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা.মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না। তবে এ বিষয়ে তদন্ত হলে আসল বিষয়টি উঠে আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
২৮৫ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
সম্ভাব্য প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। চালু করা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, চট্টগ্রামে সর্বমোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী, কালীন এবং পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
সিভল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, ১৫টি উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নের ২০০টি মেডিকেল টিম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে ৭৫টি টিম, ৯টি আরবান ডিসপেনসারিতে ৯টি মেডিকেল টিম, স্কুল হেলথ ক্লিনিকে ১টি মেডিকেল টিম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫টি মেডিকেল টিমসহ ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বা তথ্য জানার জন্য আমাদের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুল চালু আছে। যেটা সারা বছর থাকে। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতিতে উপজেলাসহ আমাদের মোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
৭৭২ দিন আগে
দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
করোনা পরীক্ষার ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান এই চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- খুলনার সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুজাত আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, সাময়িক বরখাস্ত থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী এবং ক্যাশিয়ার তপতী সরকার।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে গালমন্দ করে ওএসডি হলেন টেকনাফের ইউএনও
দুদক কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন শুধু প্রকাশ কুমার দাস।
মামলার তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই ছয়জন পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে হাসপাতালের বুথে ডুপ্লিকেট রশিদ বই ব্যবহার করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে নমুনার সংখ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে বসিয়ে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠান। সে অনুযায়ী ফলাফল পেয়ে তা প্রকাশ ও রোগীদের সরবরাহ করেন।
পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে সে অনুযায়ী ইউজার ফি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেন। প্রকৃত আদায় করা ইউজার ফির টাকা জমা প্রদান না করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোডিড-১৯ রোগীদের ইউজার ফি বাবদ আদায় করা মোট ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। অবশিষ্ট ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা জমা প্রদান না করে আত্মসাৎ করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসককে জরিমানা করে ওএসডি হলেন সাতকানিয়া ইউএনও
৮৬০ দিন আগে
বরিশালের সিভিল সার্জনের পোষা ৪ বিড়াল ছানার মৃত্যু, রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্ত
বরিশাল জেলার সিভিল সার্জনের পোষা দুই মাস বয়সী চারটি বিড়াল ছানার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যাওয়ায় কারণ জানতে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ছানাগুলোর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে।
বুধবার সকালে বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসানের সরকারি বাংলোতে এই ঘটনা ঘটে।
ডা. মারিয়া হাসান জানান, জন্মের পর থেকে গত দুই মাস ছানাগুলো ভালোই ছিল। বুধবার সকালে হঠাৎ করেই প্রথমে একটি ছানা মারা যায়। এর দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে আরও তিনটি ছানা এক সঙ্গে মারা যায়। এটা আমার কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়েছে। এ কারণে বিষয়টি প্রাণিসম্পদ বিভাগকে অবগত করি।
আরও পড়ুন: বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে বিড়ালের মধ্যে নাকি নতুন একটি ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এটার কারণেই সুস্থ বিড়াল হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছে। মৃত বিড়াল ছানাগুলো ময়নাতদন্তের জন্য তারা এসে নিয়ে গেছে।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বলেন, সিভিল সার্জনের পোষা বিড়ালগুলো কেন মারা গেলো তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বুধবারই রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হত্যার রহস্য উদঘাটন করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
৯৮৮ দিন আগে
খেজুরের রস কাঁচা না খাওয়ার পরামর্শ খুলনার সিভিল সার্জনের
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেছেন, বাদুড়ের মাধ্যমেই নিপা ভাইরাস ছড়ায়। বাদুড় খেজুরের রস খায়।
তিনি বলেন, খাওয়ার সময় তার লালা ও প্রসাবের সঙ্গে এই ভাইরাস রসের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: খেজুরের রস পানে সতর্ক থাকার পরামর্শ
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে খেলে নিপা ভাইরাস ছড়াতে পারে না।
সে কারণে খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
এছাড়া করোনাভাইরাস এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা উপজেলা কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খুলনা জেলায় করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মোট ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার ৯১৯ ডোজ করোনা টিকা প্রদান করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পেইনে ৪৩ হাজার ৪৭৮ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। জেলায় প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে সর্তক থাকতে হবে।
এ পর্যন্ত ২৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা শেষে ২৪৫ জন রোগী বাড়ি ফিরেছেন এবং আটজন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন: খেজুরের রস ছাড়াই চিনি ও চুন দিয়ে গুড় তৈরি, ৩ জনকে জরিমানা
১০৮৮ দিন আগে
১ ঘণ্টার সিভিল সার্জন ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিরা!
ফরিদপুরে এক ঘণ্টার সিভিল সার্জন হয়ে প্রতীকী দায়িত্ব পালন করল দশম শ্রেণির ছাত্রী মনিরা আক্তার (১৬)। মঙ্গলবার ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) ফরিদপুরের আয়োজনে সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমানের দায়িত্ব মনিরা এক ঘণ্টার জন্য পালন করে।
মনিরা ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর এলাকার আনিছ খানের মেয়ে। সে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ফরিদপুর ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টাস্ক ফোর্সের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ তুষার আব্দুল্লাহ জানান, কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ন্যশনাল চিল্ড্রেন টাস্কফোর্স এই আয়োজন করে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০টি জেলায় এ কার্যক্রম চলছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর মনিরা আক্তার বলেন, আমি নিজেই একজন শিশু, কিন্তু আমি এত বড় একটি দায়িত্ব পাওয়ায় গর্ববোধ করছি। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে জেলার হাসপাতালগুলোতে নারী ও শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মনিরা।
এছাড়া দিনটি তার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও জানায় এই শিক্ষার্থী।
সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিশুদের সুন্দর জীবন গঠনের জন্য সুস্বাস্থ্য অতি জরুরি। মনিরা আক্তারের সব সুপারিশ আমি আমলে নিয়ে বাস্তবায়ন করবো। ভবিষ্যতেও আমি এনসিটিএফ থেকে এরকম কার্যক্রম আশা করি।
১১৫০ দিন আগে
দুদকের মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে
চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ ডা. বেগম জেবুননেছার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী সিভিল সার্জন থাকাকালে একটি এমআরআই মেশিনের বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা হলেও চট্টগ্রাম জেনালের হাসপাতাল সেটি কিনে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায়। একইভাবে চারটি কালার ডপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এই মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
তিনি জানান, এভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি দাম দেখিয়ে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এ দুর্নীতি হয়েছিল বলে মামলার এজাহারে লেখা রয়েছে। ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পাশাপাশি ওই সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
২৩ লাখ টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার কারাগারে
১১৯৪ দিন আগে
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমছে, তবে আটকে পড়া বর্জ্যে দুর্ভোগ
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পচা বর্জ্যের দুর্গন্ধে পৌর এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী।
সরজমিনে উত্তর আরপিন নগর, সাহেব বাড়ি ঘাট, মোদ্দো বাজার, সুরমা মার্কেট, আলফাত স্কয়ার পয়েন্ট, কালিবাড়ি, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, জামাই পাড়া, হাজির পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানিতে জমে থাকা বর্জ্য দেখা গেছে।
পানি কমতে শুরু করলেও এলাকার বাসিন্দারা নিত্যকাজে বাড়ির বাইরে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
উত্তর আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, এলাকায় এত দুর্গন্ধ যে সকাল থেকেই বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি।
নতুন পাড়া এলাকার অসীম রায় বলেন, বন্যার পানি কমেছে কিন্তু এই পচা বর্জ্যের কারণে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
তবে সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, পানি সরে যাওয়ার পরপরই কর্তৃপক্ষ শহর পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ হোসেন জানিয়েছেন, পানিবাহিত রোগে এখনো কেউ অসুস্থ হয়নি। তবে ১২৩ টি মেডিকেল টিম সেবা দিতে প্রস্তুত আছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ
১২৫৯ দিন আগে
বন্যা শেষে সিলেটে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির পর সিলেট ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ডায়রিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।
সিভিল সার্জন সিলেট অফিস সূত্র জানায়, সিলেটে ১৭ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত সিলেটে ৪০০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চর্মরোগ ও শ্বাসতন্ত্র জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। দিন দিন পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
সূত্র জানায়, কয়েকদিনে সিলেটে ডায়রিয়ার প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। গত ১৭ মে থেকে ২২ মে রবিবার পর্যন্ত ১১৪ জন ডায়রিয়ার রোগী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ৩ দিনে তা ৫৫০ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলায় ১৪০টি এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে সর্বোচ্চ ১৬টি করে মেডিকেল টিম রয়েছে। এছাড়া কানাইঘাটে ১২, জৈন্তাপুরে ১১, বিশ্বনাথে ১১, গোয়াইনঘাটে, জকিগঞ্জে, সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জে ১০টি করে, ওসমানীনগরে ৯, দক্ষিণ সুরমায় ৮, বালাগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জে ৭টি করে টিম কাজ করছে। এর বাইরে জেলা শহরের জন্য তিনটি টিম রাখা হয়েছে।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মে জয় শংকর দত্ত বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে জেলায় ৪৫০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি চর্মরোগসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চর্মরোগ নিয়ে অনেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। তবে ডায়রিয়া ছাড়া অন্যান্য রোগের রিপোর্টিং এখনো পুরোপুরিভাবে নেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রিপোর্টিং করা হচ্ছে। সিলেটে বন্যাপরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তেমন অবনতি ঘটছে না। আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের তিনটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়াও ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা প্রতিদিন ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন করবো। যা আগামী ১৫ দিন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নগরীর বন্যা কবলিত প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি আর বস্তি এলাকার মানুষ বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নগরীতে এক লাখ ৬০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিনই যে এলাকায় যাচ্ছে পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট বিতরণ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, সিলেটে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগী বাড়ছে। তবে আতঙ্কজনক পর্যায়ে নয়। গ্রামীণ জনপদ নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। তবে সিটি করপোরেশন নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। কারণ নগরীর যেসব এলাকা পানিতে তলিয়েছে এর একটা বিশাল জনগোষ্টী বস্তিবাসী। এই নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ১৮৩ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের রিপোর্টে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১ জনে। হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর কোন চাপ নেই। ওসমানী হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত কিছু রোগী থাকলেও তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। নগরীর শাহী ঈদগাহের সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালেও ডায়রিয়া রোগীর কোন চাপ নেই। সব মিলিয়ে সিলেটের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুব একটা খারাপ বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া: শয্যা সংকট, মানিকগঞ্জে মেঝেতে চলছে চিকিৎসা
ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিশুদ্ধ পানি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে চারটি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে একটি, মোট পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন বর্তমানে কাজ করছে। ইতোমধ্যে নগরীতে দুটি মেশিন বিশুদ্ধ পানি দিতে কাজ করছে। একটি মেশিন ঘণ্টায় ৫০০ লিটার পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারে। আর একটি মেশিন সুনামগঞ্জে রাখা হয়েছে। অপর দুটি মেশিন সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কাজ করছে।
১২৮৭ দিন আগে