নদী
ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নদীতে গোসল করতে নেমে ইয়াসমিন ও তসলিমা নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার খঞ্জনা এলাকার কুলিক নদীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: আড়াইহাজারে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
নিহতরা হলো- খঞ্জনা গ্রামের ইব্রাহিমের একমাত্র মেয়ে ইয়াসমিন (১০) এবং দিনাজপুর সদর রেলস্টেশন এলাকার ইউসুফ আলীর একমাত্র মেয়ে তসলিমা (৮)।
নদীতে ডুবে দুই শিশুর মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে তারা দুইজন মিলে খেলছিল। পরে তারা দুইজন সকলের অগোচরে কুলিক নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়৷
দীর্ঘসময় তারা ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাদের খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে নদীর পানিতে দুইজনের লাশ ভেসে উঠতে দেখেন তারা।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, ২ যুবকের মৃত্যু
মেহেরপুরে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরায় ১৫ জেলের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার তাদের আটক করে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
মৎস্য বিভাগ জানায়,জাটকা সংরক্ষণসহ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর দ্বিতীয় দিনে দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করে মৎস্য বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৪টি ট্রলার ৪০ হাজার মিটার জাল ও ২০ কেজি মাছ ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পর বড় বন্দর হতে পারে ভোলা: শিল্পমন্ত্রী
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তবে আটক জেলেদের দাবি অভাবের কারণে তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন। এ নিয়ে অভিযানের প্রথম দুই দিনে জেলায় মোট ৩৪ জনকে আটক করা হয়।আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব শুধু নৌপরিবহন বা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয়, বরং প্রতিটি মানুষের। এছাড়া নদীতে সেতু তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, নদীর কথা চিন্তা করে জাহাজগুলোর হাইট নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে সমন্বয় দরকার। দেশে প্রতিনিয়ত ডেভেলপমেন্টের কারণে নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদেরকে বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ডিটারমিনেশন অব স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল, স্ট্যান্ডার্ড লো ওয়াটার লেভেল এবং রি-ক্লাসিফিকেশন অব ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ফলাফল চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথম ২০১০ সালে নদ-নদীর উপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশে একটি বিধিমালা জারি করা হয়।
তিনি বলেন, প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ওই বিধিমালায় একটি সংযোজনীও যুক্ত করা হয়। এর আগে ৪০ বছরে এরকম বিধিমালা কেন হয়নি? নদীকে খাল, খালের উপর কালভার্ট দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে। এখন কালভার্টের নিচে নালাও নাই। তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দুই-তিন বছর থেকে জলাবদ্ধতা হচ্ছে না, এটা ভালো দিক।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাল্টিমোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ঢাকার চারপাশে রেল, রোড ও নৌপথে যোগাযোগের কথা বলেছেন। যোগাযোগকে মাল্টিমোডাল করতে হবে। রেল, রোড ও নৌপথ যাতে থাকে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রথমে রেল সংযোগের বিষয় ছিল না। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনার আলোকে রেললাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রেল, সড়ক ও নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- মানুষের শিরায় শিরায় রক্তপ্রবাহ না থাকলে মানুষ মারা যায়, তেমনি নদীর নাব্যতা না থাকলে নদী মরে যাবে।
তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযান মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে। মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে। মানুষ এখন নদীতে ময়লা ফেলার আগে ডান-বামে তাকায়। এটি সফলতা। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর আগে ১৯৬৭ সালে এবং ১৯৮৯ সালে নদীর ‘হাই ও লো লেভেল’ নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল। ওই সমীক্ষা দুইটি করেছিল বিদেশি সংস্থা। এবার আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম এই সমীক্ষার কাজ করেছে। এর ফলে প্রমাণ হয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও সক্ষমতায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ নদ-নদীর উপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশে বিধিমালা (সংশোধিত) তৈরি করবে। সে বিধিমালায় যাতে কোন স্ট্রাগল তৈরি না হয়, সেটি হবে সবার জন্য ফলপ্রসূ এবং সবার জন্য সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরভাবে বাঁচতে মানুষকে নদী, জলাশয়ের সঙ্গে চলতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নদী, জলাশয় ও পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, মানুষের সুন্দরভাবে বাঁচতে নদী, জলাশয়ের ও পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে। পরিবেশের অবক্ষয় রোধে আমাদের নদীর সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে চলতে হবে। প্রকৃতির বিপরীত ধারায় গিয়ে আমরা কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারব না। টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পানি ভবনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ঢাকা ওয়াসার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সহাবস্থান করেই বাঁচতে হবে। নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়। এলক্ষ্যে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা এবং পানিসম্পদ ব্যবহারের টেকসইকরণে জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি উন্নয়ন প্রচেষ্টা একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতিসংঘের সাবেক উন্নয়ন গবেষণা প্রধান ড. নজরুল ইসলাম। কর্মশালা পরিচালনা করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
আরও পড়ুন: সুপেয় পানি নিশ্চিতে এনজিও’র সঙ্গে কাজ করবে সরকার: সাবের হোসেন
লালকুঠির সামনে নদীর অববাহিকা দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ
ঐতিহাসিক লালকুঠি তথা নর্থব্রুক হলের সামনের নদীর অববাহিকা দখলমুক্ত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে লালকুঠিতে চলমান সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাকে এই নির্দেশনা দেন মেয়র।
তিনি বলেন, আমি নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। উনাদের কিছু খরচ আছে। কিন্তু আমরা বলেছি, উনাদের খরচটা আমরা বহন করব। আসলে উদ্যোগের বিষয়ে উনারা যদি উদ্যমী হন, তাহলে আমরা কাল থেকেই কাজ শুরু করতে পারব।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
মেয়র আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন, নদীর অববাহিকা দখল অবস্থায় আছে। আমরা আগে থেকেই বলেছি, তাদের এখানে যে সকল অবকাঠামো, পন্টুন ও লঞ্চঘাট আছে সেগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য। এছাড়াও আমাদের সামনের এই রাস্তাটা দখল করে সেখানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই আপনাদের মাধ্যমে আমি আবারও বলব, অবিলম্বে এই জায়গাটা খালি করে দিতে।
তিনি বলেন, এ স্থাপনার দুই সীমানার কোণা থেকে ৪৫ ডিগ্রিতে নদীর সীমানা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি। সেটা হলে নদী থেকে সুন্দরভাবে স্থাপনাটা দেখা যাবে। রাতে প্রজ্জ্বলিত থাকবে। সবাই ঢাকাকে উপভোগ করবে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পুরোনো আদলেই এটি সংস্কার করা হচ্ছে জানিয়ে তাপস বলেন, লালকুঠি আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। যেটা লর্ড ব্রুকের সময় ১৮৭৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি মূলত টাউন হল ছিল।
মেয়র বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তখন উনাকে বাংলাদেশে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেটা এই ভবনেই দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং আমরা সেভাবেই গুরুত্ব দিয়ে লালকুঠিকে পূর্ণভাবেই আমরা সংস্কার করছি। এটি অত্যন্ত দুরুহ। আমরা এই স্থাপনার পুরোনো ছবি দেখে সেই নকশা অনুযায়ী এটাকে সংস্কার করছি।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ আয়োজন করা হবে: মেয়র তাপস
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
মোবাইলে কথা বলার সময় ফেরি থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ বৃদ্ধ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চলন্ত ফেরি থেকে নদীতে পড়ে ফজলুল হক নামে একজন নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে ফেরি থেকে পানগুছি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।
নিখোঁজ ফজলুল হক (৭০) পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার চর খোলপটুয়া গ্রামের জেন্নাত আলী শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের ৮ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা তার ছেলে সেলিম শেখ বলেন, আমরা বিয়েতে বরযাত্রী যাওয়ার পথে ফেরি পারাপারের সময় বাবা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অসতর্কতাবশত নদীতে পড়ে যান।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস মোরেলগঞ্জ স্টেশন কর্মকর্তা প্রবীর দেবনাথ বলেন, ঘটনার পরপরই নিখোঁজ বৃদ্ধের সন্ধানে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে শনিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে বৃদ্ধ নিখোঁজ
ঢাকার খাল-বিল ও নদীগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকার সব খাল এবং বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী যত দ্রুত সম্ভব পুনরুদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) তিনি তার কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর নাব্য রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক সভায় এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে ঢাকা ও আশপাশের নদী ও খাল পুনরুদ্ধারের জন্য সাতটি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।
এগুলো হলো- গাজীপুর, গড়চটবাড়ী, সাভার, পূর্বাচল, কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ ও কামরাঙ্গীরচর।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের সময় পরিবেশের বিষয় মাথায় রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী এই সাতটি চিহ্নিত হটস্পটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই হটস্পট কৌশল বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
বৈঠকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
এর আগে বৈঠকে শেখ হাসিনা নদী দূষণ বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদ-নদীগুলো বাংলাদেশের জন্য রক্ত সঞ্চালনের জন্য শরীরের শিরার মতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের টিকে থাকাও এই নদীর ওপর নির্ভরশীল।
বিগত বছরগুলোতে নদী দূষণ, দখল ও নাব্য পুনরুদ্ধারে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর তারা সব সময় নদী রক্ষা ও নাব্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নিচু সেতু নৌ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘...সেই সেতুগুলো মানুষের জন্য উপকারী হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের সময় নৌযান চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ কারণেই আমরা নদীগুলো ড্রেজিং শুরু করার পর নৌ চলাচলের সমস্যা দেখা দেয় এবং এই সেতুগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের সময় পরিবেশের বিষয় মাথায় রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের সময় পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি মাথায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে শহরগুলোর জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানির প্রবাহের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।’
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ রোধ ও নাব্য রক্ষায় প্রণীত মাস্টার প্ল্যানের আলোকে জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তসংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক যে অতীতে দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি পরিকল্পিতভাবে গ্রহণ করা হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা অস্ত্র হাতে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা দেশের সার্বিকভাবে সমন্বিত ও পরিকল্পিত উন্নয়নে মনোযোগ দেয়নি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন খেলাফত রাব্বানী ও নেজামে ইসলামের নেতারা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফলে, পরিবেশগত বিষয়গুলোয় অবহেলা করা হয়েছে এবং নদীগুলো দখল হয়ে যায়।’
তিনি উল্লেখ করেন, ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের লক্ষ্য ছিল নদীরক্ষা, নাব্য ফিরিয়ে আনা এবং সেগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা।
তিনি বলেন, ‘নদী শাসনের নামে বাঁধ নির্মাণ একটি স্বাভাবিক বিষয় ছিল, যা উর্বর ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।’
শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, প্রথম মেয়াদে তার সরকার নদী খনন শুরু করে এবং জমির উর্বরতা পুনরুদ্ধারে পলি ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নাব্য বজায় রাখতে এবং ভাঙন রোধে নদী খনন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
নদীর তীরে নির্মিত শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য নদীতে ফেলা হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘নালার সমস্ত বর্জ্যও নদীতে ফেলা হয়। বর্জ্য পরিশোধনের কোনো পরিকল্পনা নেই। ফলে, দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দূষণের কারণে বুড়িগঙ্গা নদীতে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়, যা খুবই বেদনাদায়ক।
তিনি বলেন, ‘আমরা যাই করি না কেন, আমাদের প্রথমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি রাজধানীর চারপাশের নদীগুলো রক্ষায় শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (শোধনাগার) স্থাপনের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। বন্যার সঙ্গেই আমাদের বাঁচতে হবে। এটা আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে। বন্যার পানির সঙ্গে আসা পলি আমাদের দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদী শাসনের ক্ষেত্রে এর গভীরতা বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্ষাকালে আসা পানি সংরক্ষণের জন্য আমাদের অবশ্যই নদীর তীরে একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে বৃদ্ধ নিখোঁজ
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে গোসল করতে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার মেঘনা নদীর পাড়ে গোসল নেমে তিনি নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ আব্দুর রাজ্জাক চাঁদপুর লঞ্চঘাটের পাশে জেলা শহরের উত্তর শ্রীরামদী এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, তার সঙ্গের অন্যরা নদী থেকে উঠে গেলেও তিনি নিখোঁজ থেকে যান। তিনি স্থানীয় মসজিদের স্টাফ ছিলেন এবং বাবুর্চির কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা
চাঁদপুর সদর নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, এ সংবাদ লেখা পরযন্ত তিনি নিখোঁজই রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নৌ-পুলিশ টিম, ফায়ার রেসকিউ টিম, ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে ঘটনাস্থল ও আশপাশে নদী এলাকায় খুঁজতে নামে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, সবার ধারণা তিনি নদীতে ডুবে মারা গেছেন। শনিবার আবার তাকে খুঁজতে ডুবুরিরা নদীতে নামবেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় নিখোঁজ জেলের লাশ একদিন পর উদ্ধার
মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও এক শিশু পানিতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউপির কাজিপাড়া এলাকায় মহানন্দা নদীর নতুনপাড়া ঘাট এলাকায় ঘটে। মৃত শিশু মাহমুদুল্লাহ (৯) কাজিপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও নিখোঁজ সিফাত (১৩) একই এলাকার হানিফের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে দুজনে মিলে সিমেন্টের বস্তা ধুয়ার জন্য নদীতে গিয়েছিলো। কাজ শেষে দপুর ১টার দিকে গোসল করার সময় মাহমুদুল্লাহ ও সিফাত নদীর পানিতে ডুবে যায়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা মহমুদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করলেও সিফাত এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মহানন্দা নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার