আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
মুক্ত সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: আমীর খসরু
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং সাংবাদিকদের মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে পেশা চর্চায় উৎসাহিত করতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে একটি কমিশন গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট আমলে সাংবাদিকতা এবং বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে সাংবাদিকতাকে রীতিমতো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাংবাদিকতার কোনো পরিবেশ রাখেনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্বাধীন সাংবাদিকতায় সোচ্চার। আগামীতে কমিশন গঠন করে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।’
গত ১৫ বছরের প্রসঙ্গ টেনে খসরু অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক বাংলাদেশে টিকতে না পেরে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। অনেকে আবার সাংবাদিকতা পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, যেখানে সাংবাদিকতা বলে কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অন্তর্বর্তী বাজেট দেওয়া: আমীর খসরু
‘আমি নিজেই দুই-চারজন সাংবাদিককে বিদেশে যেতে সাহায্য করেছি। দেশে থেকে তারা টিকতে পারছিল না।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও সংসদের মধ্যে যেমন আলাদা সীমারেখা থাকা উচিত, একইভাবে একটি মিডিয়া হাউসে ম্যানেজমেন্ট এবং সাংবাদিকতার মধ্যেও সীমারেখা থাকা প্রয়োজন।’
‘হাসিনা সরকারের আমলে যেমনি বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন এবং সংসদের মধ্যকার ড্র লাইন তুলে দিয়ে দেশকে অকার্যকর করা হয়েছে, একইভাবে ম্যানেজমেন্ট আর সাংবাদিকদের মধ্যকার ড্র লাইন তুলে দিয়ে সাংবাদিকতা ধ্বংস করা হয়েছে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
খসরু বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র নয়, অর্থনৈতিক গণতন্ত্র এবং মতপ্রকাশের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত না হলে গণতান্ত্রিক পদযাত্রা ব্যাহত হয়। পাঁচ আগস্টের পর একজন কার্টুনিস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি কার্টুন আঁকেন। অন্য কেউ হলে হয়তো প্রতিক্রিয়া দেখাতেন, সমালোচনা করতেন। কিন্তু তারেক রহমান নিজেই সেই কার্টুন শেয়ার দিয়ে কার্টুনিস্টের প্রশংসা করেছেন। এটাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।’
সাংবাদিকদের যে আদর্শই থাকুক না কেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘অবজেকটিভ’ থাকার পরামর্শ দেন খসরু।
১০৩ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অন্তর্বর্তী বাজেট দেওয়া: আমীর খসরু
জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বাজেট অব্যাহত রাখার প্রয়োজন ছিল না বলে মত দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট দেওয়া।
অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বাজেট চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট দেওয়া উচিত ছিল।’
কথা বলার সুযোগ অব্যাহত থাকলে আপনা–আপনিই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি। আমীর খসরু বলেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন বুঝতে না পারলে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি টিকতে পারবে না।
পাশাপাশি, সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকেও সবাইকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি। বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বক্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র মানে অন্যজনের কথা শুনে সহ্য করা, তার মতকে সম্মান দেওয়া।
‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে সংস্কার অসম্ভব। বিপ্লবোত্তর যে দেশ দ্রুত নির্বাচন করেছে, তারা ভালো করেছে; যারা দীর্ঘ সময় নিয়েছে, সেখানে অন্তঃকোন্দল বেড়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে। এটা একটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব যেখান থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, সেখান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, ঐকমত্যের প্রচেষ্টা একটি ভালো উদ্যোগ। আলাদা দর্শন থাকবে, কিন্তু সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে—এটা বাকশালের আদর্শ। চাপিয়ে দেওয়া কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না। অর্থনৈতিক উন্নতি করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
এই সরকারের সময় বিনিয়োগ আসেনি মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই। বিনিয়োগে বাংলাদেশ অনেক নিচে। সিরিয়াস ডিরেগুলেশন ও সিরিয়াল লিবারেলিজম ছাড়া দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যাবে না।
‘সরকারের অনেক দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হবে। ট্রেড বডিগুলোর হাতে অনেক কার্যক্রম তুলে দিয়ে সরকারকে নির্ভার হতে হবে। ফিজিক্যাল কন্ট্রাক্ট না কমালে দুর্নীতি কমানো যাবে না। দেশে যত নিয়ন্ত্রণ (রেগুলেশন) থাকবে, তত দুর্নীতি বাড়বে। অর্থনীতিকে গণতান্ত্রিক করতে হবে, সবার অংশগ্রহণ লাগবে,’ যোগ করেন তিনি।
১১৬ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত: খসরু
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিগগিরই গণতান্ত্রিক শাসন ফিরেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার। এ সময় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আমির খসরু বলেন, ‘সবার আগে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে, এজন্য সবার একটা স্বস্তি ও সন্তুষ্টি আছে। আশা রয়েছে, দ্রুত নির্বাচনের দিকে গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাবে দেশ।’
তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু অপেক্ষা করছে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর; তাদের কর্মকাণ্ড, আগামী দিনে কী হবে। স্বল্পমেয়াদি দীর্ঘমেয়াদি অনেক সিদ্ধান্ত আছে। যেগুলো একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সবাই স্বস্তিবোধ করে। এসব বিষয় নিয়েই আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সমস্যা ও অধিকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিকদের যে সমস্যা আছে, আপনারা জানেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিন্তু সব সময় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এ সময় বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘বিচার বিভাগের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একমত পোষণ করেছে এবং এর জন্য তারা ফান্ডিং করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে অনুদান-ঋণের বাইরে গিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে তাদের চিন্তা বহুলাংশে মিল আছে। এটিতে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
১৬১ দিন আগে
বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল।
ডিবির একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমীর খসরু মাহমুদের আটকের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন ও কাকরাইল এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার পর রবিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালালেও সেখানে তাদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গুলশানের একটি হোটেল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক
৭৬৩ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নয়, দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না।
তিনি বলেন, ‘তিনি কোনো বিশেষ দেশে যাবেন কি যাবেন না সেটা তার (প্রধানমন্ত্রী) ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ সে দেশে যাবে কি যাবে না সেটাও তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’
রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা তাদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, পেশাগত, পারিবারিক ও শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না।
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান খসরু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০ ঘণ্টার বিমান ভ্রমণে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে তাতে কিছু যায় আসে না।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর এবং অনেক মহাদেশ আছে। সেই মহাদেশের সঙ্গে মহাসাগর হয়ে আমরা যাতায়াত করব আর বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী এবং আরও উন্নত ও চাঙ্গা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে, সরকার নিজের দেশকে গড়ে তুলবে। ‘আমরা কারও মুখাপেক্ষী হবো না, যারা আমাদের ভিসা দেবে না বা যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।’
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।
দলের প্রতিষ্ঠাতার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা আয়োজিত খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে তাতে কিছু আসে যায় না।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে আপনার ছেলেকে দেশে রাখছেন না কেন? আপনার ছেলে মেয়েরা বিদেশে থাকে কেন? কেন আপনি আপনার অন্য কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের পরিবর্তে আপনার ছেলেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেখেছেন?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে শত্রু মনে করে সুষ্ঠু নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো পদক্ষেপ নেবেন না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের মানুষ স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে। তিনি জানেন মানুষ তার দলকে ভোট দেবে না। তাই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান না।’
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
৯১৪ দিন আগে
নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে জনগণের টাকা লুটপাটে স্মার্ট হিসেবে বর্ণনা করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই একটি স্মার্ট বাজেট। বর্তমান সরকারের চেয়ে কোনো সরকারই লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করতে পারে না। বাজেটের সুবিধা নিয়ে বর্তমানের চেয়ে স্মার্টভাবে ব্যাংক ও জনগণের টাকা কেউ লুট করতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী খসরু তার বনানীর বাসায় প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, নতুন বাজেট সরকারকে জনগণের টাকা লুটপাটের বিভিন্ন সিন্ডিকেট চালাতেও সহায়তা করবে। ‘সুতরাং, নিঃসন্দেহে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি খুব স্মার্ট বাজেট।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের স্মার্ট বাজেটের জবাব দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার পৃষ্ঠপোষক-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের নীতি নিয়ে জনগণের অর্থ লুট করার জন্য একটি অর্থনৈতিক মডেল তৈরি করেছে। এই অর্থনৈতিক মডেলের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মানে যারা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য বা সরকারের পৃষ্ঠপোষক; তারা এই বাজেট থেকে উপকৃত হবেন, সাধারণ মানুষ নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল কর চাওয়া, কমিশন ও চাঁদাবাজি নীতির ওপর ভিত্তি করে। ‘তারা (আ.লীগ নেতা) যে কোনো কাজে কর, চাঁদা ও কমিশন নেবে। এটি অর্থনীতি ও বাজেটের ভিত্তি এবং জনগণ এর প্রধান ভুক্তভোগী। সব প্রতিষ্ঠানই লুণ্ঠনের উপযোগী হয়ে উঠেছে। ‘পৃষ্ঠপোষক-ক্লায়েন্ট সম্পর্ক ব্যবস্থা, কর আদায় নীতি এবং শোষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের সমগ্র অর্থনীতিকে চালিত করছে।’
খসরু বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন হলে সরকার সমর্থিত মহল আরও ধনী হবে এবং সাধারণ মানুষ আরও দরিদ্র হবে।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট লুণ্ঠনকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিএনপির আমলে স্থিতিশীল অবস্থানে থাকা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। ‘তাই মানুষ দরিদ্র হচ্ছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান হারাচ্ছে।’
তিনি বলেন, জনগণ যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন সরকার করের জাল বাড়িয়ে তাদের ওপর নতুন করে বোঝা চাপিয়েছে। ‘যারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ধনী হচ্ছেন তারা কর দেন না, কারণ তারা অবৈধভাবে তাদের অর্থ বিদেশে পাচার করে ও দেশে ডলার সংকট তৈরি করে। আর ডলারের ঘাটতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক, অন্যান্য ব্যাংক ও বাহ্যিক উৎস থেকে ঋণ নেওয়ায় গত সাত বছরে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৫২ শতাংশ। এই ঋণ শোধ করতে হবে নতুন প্রজন্মকে।
খসরু বলেন, বাংলাদেশের বিধ্বস্ত অর্থনীতি উদ্ধারে রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। ‘রাজনৈতিক সমাধান মানে বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি বলেন, বাজেট জনগণের চিন্তার প্রতিফলন এবং রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিফলন। ‘একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় থাকায় জনগণের রাজনৈতিক চিন্তা বাজেটে প্রতিফলিত হবে না।’
বিএনপির জে্যষ্ঠ এই নেতা বলেন, এই বাজেট মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে সাহায্য করবে না, কারণ লুটপাট ও অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
৯১৭ দিন আগে
গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি
গণফোরাম ও পিপলস পার্টির একাংশের সঙ্গে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কৌশল ও পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি। শনিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন বিএনপি ও গণফোরাম ও পিপলস পার্টির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চলমান যুগপৎ আন্দোলন কীভাবে জোরদার করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্ভাব্য কর্মসূচি এবং এটিকে সফল করার জন্য আন্দোলনের প্রকৃতি সম্পর্কেও কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: ৫ সিটি নির্বাচনে বিএনপি কোনোভাবেই অংশ নেবে না: ফখরুল
৯৫০ দিন আগে
জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশবাসী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির জনসভায় তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা এই রায় কার্যকর করব, রক্ত ও জীবন বিসর্জন দিয়ে হলেও।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
তিনি বলেন, সরকার রাজধানীতে ‘হরতাল’ জারি করেছে, যখন ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা সমাবেশের দিকে আসা মানুষের ঢেউ ঠেকাতে ‘অস্ত্র নিয়ে’ পিকেটিং করছে, কিন্তু তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেন এবং জনতা সমাবেশস্থলের চারপাশের কয়েক বর্গকিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: অতি উৎসাহী পুলিশ ও আ.লীগ ‘ক্যাডারদের’ তালিকা করতে বললেন বিএনপি নেতা খসরু
পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
১০৯০ দিন আগে
করোনাভাইরাস: চসিক নির্বাচনের প্রচারণা অনলাইনে চালাবে বিএনপি
করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম এড়িয়ে অনলাইনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এ জন্য মঙ্গলবার একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়েছে।
২০৮৮ দিন আগে