সাংবাদিকতা
একটি সাংবাদিক ফোরামের জন্যই ১৫ লাখ টাকা, প্রশ্নের মুখে বিএসইসি
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে একটি নির্দিষ্ট ফোরামের সাংবাদিকদের জন্য ১৫ লাখ টাকার ‘বিএসইসি ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড ফেলোশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করেছে।
তবে সর্বজনীন সুবিধা না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট ফোরামের সাংবাদিকদের এ সুযোগ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (১৬ জুন) কমিশন জানায়, পুঁজিবাজারের ওপর স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য এবং গবেষণামূলক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে এই অ্যাওয়ার্ডস-ফেলোশিপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের ১৬ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত অ্যাওয়ার্ডস এবং ফেলোশিপের জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে বিএসইসি।
এই প্রোগ্রামের এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে তিন ক্যাটাগরিতে (প্রিন্ট, অনলাইন, ইলেকট্রনিক) তিনজন সাংবাদিককে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট সাত লাখ ৫০ হাজার টাকার নগদ অর্থ ও একটি ক্রেস্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএসইসি।
এছাড়া ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিজম ফেলোশিপের আওতায় পাঁচ লাখ টাকা ও দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের পৃথক দুটি ফেলোশিপের ঘোষণা দিয়েছে কমিশন।
কমিশন জানায়, এ উদ্যোগের মাধ্যমে বিএসইসি পুঁজিবাজার বিষয়ক সাংবাদিকতায় দায়িত্বশীলতা, নৈতিকতা ও সততাকে উৎসাহিত করতে চায়, যা দেশের পুঁজিবাজার ও সর্বোপরি অর্থনীতির গতিশীলতাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।
এই ফেলোশিপ সাংবাদিকদের বৈশ্বিক আর্থিক বাজার সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধির সুযোগ প্রদান করবে, তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং নৈতিক সাংবাদিকতার মানদণ্ড নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলে জানায় কমিশন।
তবে বিএসইসির অ্যাওয়ার্ডস ও ফেলোশিপের যোগ্যতায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একটি সাংবাদিক ফোরামের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, শুধু যারা সেই ফোরামের নিয়মিত সদস্য তারাই আবেদন করতে পারবেন।আরও পড়ুন: সরকার পুঁজিবাজার উন্নয়নে আন্তরিক: বিএসইসি চেয়ারম্যান
একটি নির্দিষ্ট ফোরামের সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের সুযোগ দেওয়ায় বিএসইসির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। ফোরামের বাইরের সাংবাদিকরা বলছেন, এ ধরণের সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক এবং নীতিবিরুদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসির ডেপুটি চিফ রিপোর্টার মোস্তফা মাহবুব বলেন, ‘যদি নির্দিষ্ট সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে যৌথভাবে কমিশন এ আয়োজন করে থাকে, তাহলে দোষের কিছু নেই। কিন্তু যদি কমিশন নিজে থেকে উদ্যোগ নেয় তাহলে এটি সঠিক নয়।’
যদিও কমিশনের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথ সমন্বয়ের কোনো কথা উল্লেখ নেই এবং পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, কমিশনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে কমিশন বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এ অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মাহবুব বলেন, ‘যদি একটি নির্দিষ্ট ফোরামের জন্য এ সুবিধা হয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচ করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার কোনো মানে হয় না। আবার ফেলোশিপের যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট ফোরামের সদস্য নাম্বার থাকার বাধ্যবাধকতার মধ্যেও সাংঘর্ষিকতা আছে।’
বিএসইসির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, তিন বছর ধরে পুঁজিবাজার নিয়ে রিপোর্টিং করছে সরকারের এমন নিবন্ধিত ও বাংলাদেশি মালিকানাধীন সংবাদপত্র বা অনলাইন সংবাদমাধ্যম বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ফেলোশিপের সুবিধা শুধু ফোরামের সদস্যদের মধ্য থেকেই দেওয়া হবে।
কিন্তু অ্যাওয়ার্ডস এবং ফেলোশিপের জন্য নেই কোনো আলাদা আবেদন প্রক্রিয়া, আবেদন করতে গেলে লাগছে ফোরামটির সদস্য নম্বর।
এ প্রসঙ্গে আরেক বেসরকারি চ্যানেল সময় মিডিয়া লিমিটেডের বিজনেস ডেস্ক কোওর্ডিনেটর কামরুল সবুজ বলেন, ‘এ ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যে অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ নির্দিষ্ট কিছু সাংবাদিকদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো দূরভিসন্ধিমূলক।’
অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপের পুরো ব্যাপারটি নিয়ে ফোরামের বেশ কয়েকজন সদস্যও বিব্রত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফোরামের সদস্য এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ‘যদি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ পুঁজিবাজার রিপোর্টিং-এর জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় এবং ফেলোশিপের উদ্দেশ্য যদি থাকে পুঁজিবাজার বিষয়ে সাংবাদিকদের আরও দক্ষ করা, তাহলে ফোরামের মধ্যে সীমাবদ্ধ না করে এ সুযোগ সর্বজনীন করা উচিত ছিল কমিশনের।’
পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি কমিশন। বিএসইসির মুখপাত্র এবং পরিচালক আবুল কালাম বলেন, ‘এভাবেই নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং সেই নীতিমালার আলোকেই অ্যাওয়ার্ড-ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে ভালো চোখে দেখছেন না পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক পদের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাংবাদিকদের অ্যাওয়ার্ড-ফেলোশিপের নামে উৎকোচ দেওয়ার চেষ্টা করছেন কমিশন। শিবলী কমিশন পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু তাদের সময়ও এরকম অসামঞ্জস্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, যা বর্তমান কমিশন নিয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের এক সদস্য জানান, ‘বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী নেগেটিভ ক্যাম্পেইন করে আসছে। হয়তো সেই গোষ্ঠীটিকে আটকাতেই আরেক গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছেন তিনি।’
তবে এসব না করে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের উত্তর মিডিয়ার সামনে নিজেরই দেয়া উচিত বলে মনে করেন টাস্কফোর্সের এ সদস্য।
১৭১ দিন আগে
সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে: তথ্য উপদেষ্টা
সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশের প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। কোনো কোনো ধারা সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এরপর প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।
রবিবার (৪ মে) ধানমন্ডির এমআইডিএএস সেন্টারে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে 'ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ: রিফর্ম রোডম্যাড ফর প্রেস ফ্রিডম'-শীর্ষক সেমিনারে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, সুইডিশ দূতাবাস ও ইউনেস্কো যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সমন্বয়ে একটি জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা করার পক্ষে মত দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এই তিন প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করলে নবগঠিত প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও এ ধরনের উদাহরণ আছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির স্বায়ত্তশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে স্বায়ত্তশাসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, বিজ্ঞাপন হার বৃদ্ধি ও প্রচারসংখ্যা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই টাস্কফোর্স বিজ্ঞাপন হার বৃদ্ধি ও প্রচারসংখ্যা পুনর্নির্ধারণসহ সংবাদপত্রের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে।
গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময়ে গণমাধ্যমের কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। গণমাধ্যমে কীভাবে রাজনীতিকীকরণ হয়েছে, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান কীভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আচরণ করেছে, সাংবাদিকরা কতটুকু চাপে ছিলেন, কোন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান কী নীতিমালা অবলম্বন করেছে—এসব বিষয় জানতে চায় দেশের জনগণ।
উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য সরকার বেশ বিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কোনো স্বাধীনতা শর্তহীন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে জনগণের নিকট জবাবদিহি করা উচিত।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: গুজব-অপতথ্য মোকাবিলায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার
সেমিনারে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেও ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়নি। গণমাধ্যমে সব ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়া গণমাধ্যমের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন স্কেলের সুপারিশ করেছে, যা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মূল বেতনের সমান হবে। তিনি স্থায়ী গণমাধ্যম কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা একীভূতকরণের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কারণে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ উন্নতি করেছে। গণমাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত না হলে ভবিষ্যতে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের হয়তো অবনতি হবে। তিনি সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা জোরদারকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভায়েসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী মতামত দেন।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
২১৪ দিন আগে
সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতাবিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা আইনের পাশাপাশি সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতাবিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন। কোনো সাংবাদিক দায়িত্বশীল ও পেশাদার না হলে তিনি আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন না।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা'-শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময় অনেক সাংবাদিক ভয়ে নয়, বরং লোভে পড়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তারা সাংবাদিকতার চেয়ে শেখ পরিবারের ভাবমূর্তি রক্ষায় অনেক বেশি তৎপর ছিলেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের দালালি করে অনেক সাংবাদিক বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
সাংবাদিকদের আদর্শিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদের মধ্যে থাকার ফলে অনেক সাংবাদিকের মাঝে এক ধরনের সেলফ-সেন্সরশিপ কাজ করছে। এই অবস্থা দ্রুত পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
সমাজে গণমাধ্যমের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অনেক সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অসত্য সংবাদ প্রকাশের ফলে অনেকের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যমে বিদ্যমান সংকট সমাধানে সরকার কাজ করছে। রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া গণমাধ্যমের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি গণমাধ্যমে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সরকার দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ করেনি: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আল মামুন। মূল প্রবন্ধে তিনি বিগত সরকারের আমলে গণমাধ্যমের অপেশাদার আচরণের চিত্র তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেন। তারা গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২১৯ দিন আগে
সাংবাদিকতার বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াই করা: কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা। তাই সত্য নিয়ে কাজ করলে ঝুঁকি থাকে বেশি। এদিক বিবেচনায় সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকবেই। ভয়কে জয় করাই সাংবাদিকের কাজ। সজাগ ও সচেতন থাকলে সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা হারিয়ে যাবে না। সাংবাদিকতার ডিকশনারি থেকে সততা ও পেশাদারিত্ব শব্দ দুটি কখনই বিলীন হতে দেয়া যাবে না। অসৎ আর হলুদ সাংবাদিকতার মর্যাদাকে ম্লান করে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) খুলনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব বলেন। এসময় বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, এইচ এম আলানুদ্দিন, রাশিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক রানা, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি আনিসুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক হিমালয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, সাংবাদিকের অন্যতম কাজ বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যের আরাধনা। এ জন্য সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন যে প্রতিবেদকের যোগাযোগ যত ভালো, তার প্রতিবেদন তত উন্নততর এবং বস্তুনিষ্ঠ হয় এবং দর্শক, পাঠক ও শ্রোতার নিকট ততটা গুরুত্ববহন করে। অনুমান নির্ভর লিখা সাংবাদিকতা নয়; সাংবাদিক হতে হবে পুরো সত্য, আংশিক নয়।।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। অপর তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে- আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ। বোঝাই যাচ্ছে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও অবস্থান কোথায়। জনস্বার্থ অভিমুখী মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পূর্ণতা পায় না। সরকার ও প্রশাসনের অসঙ্গতি ধরিয়ে দেওয়াসহ জনগণের সংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসেবে গণমাধ্যমকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশে সেটি খুব একটা হচ্ছে না। বিশেষ করে পতিত সরকার এদেশের সাংবাদিকতার সর্বনাশ করে গেছে। একধরণের দলদাস সাংবাদিক তৈরি করে তাদের দিয়ে অসত্য লিখিয়ে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের যে আস্থা ছিল তা নষ্ট করে ফেলেছে। সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের পাহারাদার। গণমাধ্যমই সঠিক পথ বাতলে দেয় যাতে সরকার, প্রশাসন ও জনগণ সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। গণমাধ্যম সরকার, প্রশাসন ও জনগণের প্রতিপক্ষ নয়; তবে জনস্বার্থে নজরদারী করবে। কাজেই বলিষ্ট ও শক্তিশালী গণমাধ্যম ছাড়া জনস্বার্থের রাষ্ট্রব্যবস্থা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে না। রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেলেও চতুর্থ স্তম্ভ শক্ত থাকলে রাষ্ট্রকে গণমুখী রাখা যায়। আর চতুর্থ স্তম্ভ নড়বড়ে হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়।
সন্ধ্যায় তিনি খুলনা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। ইফতার মাহফিলে খুলনা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, রিয়ার এডমিরাল শাহিন রহমান,ডিআইজি রেজাউল হক, বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭৫ দিন আগে
পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত “জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসে মাদক রোধবিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যেসব সাংবাদিক কাজ করে যাচ্ছেন, তারা যদি কোনো প্রভাবশালী মহল দ্বারা আক্রান্ত হন, সরকার সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব, অন্যদিকে পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপচেষ্টা সরকার বরদাস্ত করবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ রক্ষা করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপকমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরির্বতন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী।
আরও পড়ুন: অপতথ্য রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার একটি বৈজ্ঞানিক ও তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
লিয়াকত বলেন, উন্নত বিশ্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতির ১০০ বিলিয়ন ডলারের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠন এখনও কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশের ন্যায্য দাবিগুলো আদায়ে ক্রমাগত তথ্যউপাত্তভিত্তিক নানা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করে যাবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও ডিকাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
৫৭৯ দিন আগে
সাংবাদিকতায় অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়: দীপু মনি
সাংবাদিকতায় অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা বলতে গিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রেস ক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হয় না। কারণ হত্যা ও হত্যাকারীর বিষয়ে অপরাধীর পক্ষ নেওয়া যাবে না। তখন সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা যেন বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখি। অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেব না।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে: দীপু মনি
তিনি আরও বলেন, সত্যের পথ অনেক কষ্টের। সত্য সে যে বড় কঠিন বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যেকোনো পেশার লোকজনের জন্যই সত্যের পথে থাকা খুবই কঠিন।
দীপু মনি বলেন, যুগ পরিবর্তন হচ্ছে, পেশাগত কাজে আমাদের পরিবর্তন আসছে। তাই যারা গণমাধ্যমে কাজ করছেন তাদের প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের দক্ষ করে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিশ্চয়ই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অনুধাবন করেন এবং তা সমাধান করবেন।
দীপু মনি বলেন, সাংবাদিকরা আমার খুবই আপনজন। কারণ বাবার কারণে শৈশব কেটেছে দৈনিক ইত্তেফাকের ছাপাখানায় ছুটাছুটি করে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইত্তেফাকে জড়িত ছিলেন।
আমি যখন চাঁদপুরে এসেছি তখন থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সু-সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সেই সম্পর্ক অটুট রয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন: দীপু মনি
বিএনপি অসহযোগের নামে মানুষ হত্যা করছে: দীপু মনি
৬৪৩ দিন আগে
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে বিএসআরএফ’র আয়োজনে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার এ বিষয়টির সমাধান করবে।
৬৫৮ দিন আগে
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এক প্রেস কর্মকর্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষাবিদদের একটি অংশ বলছে, এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতির বিষয়টিই তুলে ধরেছে এ ঘটনা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করার আগে মুশফিকুল ফজল আনসারি দুটি অনুচ্ছেদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা মনে করেন, ওই পর্যবেক্ষণে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি যেকোনো পেশাদার সাংবাদিকেরই এড়ানো উচিত।
আনসারি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়ও প্রকাশ পেয়েছে। জয়ের জন্য ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাস্তবে বাংলাদেশের নির্বাচনে যেসব দেশ জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
সিনিয়র সাংবাদিকরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা একটি পুরোনো তৎপরতা। এটিকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা বলা যায় না, কারণ তিনি এই প্রশ্নগুলোর জবাবও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- তিনি যে পোর্টালটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, তা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী সমর্থিত প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভ্যানগার্ড হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
জাস্টনিউজ নামে পরিচিত ওই পোর্টালের বিষয়বস্তু মিথ্যা বিবরণের আরেকটি উদাহরণ এটি। অগ্নিসংযোগকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা, ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন ও তারেক রহমানকে তার অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে তারা বিভিণ্ন প্রতিবেদন করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করে।
এর আগেও, আনসারি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তখন শিক্ষাবিদরা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এবং রাজনৈতিক এজেন্ডায় চালিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সেই আনসারিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের মিথ্যা দোষারোপ করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে দাবি করতে দেখা যায়। যা বিরোধীরা তাদের অগ্নিসংযোগের সহিংস কাজ এবং নির্বাচনি প্রচার বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক দাবির ন্যায্যতা দেয়।
নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকদের 'বিরোধীদের পক্ষে' কাজ করানোর উদ্দেশ্যে আনসারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে 'স্বাধীন গণমাধ্যম আউটলেটগুলোকে' 'সরকারপন্থী' হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অধ্যাপক তাবিউর রহমানের মতে, এই কৌশলটি খুবই অশুভ।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার সামনে তিনি সরকারের ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে বের হয়ে লোকটিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে দেখা যায়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না বলে দাবি তাবিউরের।
তাবিউর রহমান বলেন, 'অগ্নিসন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের লম্বা লম্বা দাবি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুযোগলাভের এ ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহার অব্যাহত থাকা উচিত নয়।’
আনসারির অতীতের একের পর এক মিথ্যা বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, 'এ ধরনের প্রচারণাকে সাংবাদিকতার কাজ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়- কেবল কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাতে পারে। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতা একটি ভালো হাতিয়ার।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬৭১ দিন আগে
সাংবাদিকতা এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতি সংকটময় সময় পার করায় সাংবাদিকতা এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা।
তিনি বলেন, ‘জাতির দুঃসময়ে সাংবাদিকতা যখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা, তখন ব্যক্তিগত সততার সঙ্গে পেশাগত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া জরুরি। আমরা সবাই যদি এটা করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা দেশের বর্তমান (রাজনৈতিক) সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।’
শনিবার (৭ অক্টোবর) চলতি বছরের ২২ আগস্ট ৪২ বছর বয়সে মারা যাওয়া দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিবুর রহমান খানের স্মরণে এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) প্রয়াত হাবিবুর রহমান খানের বন্ধু ও সহকর্মীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ফখরুল বলেন, এত অল্প বয়সে হাবিবের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার মতো একজন স্পষ্টভাষী সাংবাদিকের খুব প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ওয়াকওভার’ করে আওয়ামী লীগকে আর সরকার গঠন করতে দেওয়া হবে না: ফখরুল
হাবিবকে একজন 'সাহসী, দেশপ্রেমিক, সৎ ও পেশাদার রিপোর্টার' হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপির এই নেতা সাংবাদিকের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দলের চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, দলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলটির নেতা নাসির উদ্দিন অসীম, বজলুল চৌধুরী আবেদ, তাবিথ আউয়াল, যুবদল নেতা মাহবুব হোসেন ভূঁইয়া, বিএফইউজে সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হাবিবের স্ত্রী ফারজানা মাহমুদ সনি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআরইউর সাবেক যুগ্ম সচিব মঈন উদ্দিন খান ও মঈনুল আহসান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
আ. লীগ ছাড়া বাকি সবাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ফখরুল
৭৮৯ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম: স্পিকার
নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান এক অনন্য উদ্যোগ। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেমিনার কক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
স্পিকার বলেন, দৈনিক সংবাদের আমৃত্যু সম্পাদক বজলুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল সংগঠক। যিনি মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকালে "মুক্তিযুদ্ধ " নামে বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে বজলুর রহমান শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন এবং শত প্রতিকূলতায়ও তার লেখনি স্তব্ধ হয়নি।
তিনি বলেন, তার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অজানা অমূল্য ইতিহাস সারাদেশেই ব্যাপৃত আছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকেরা খুঁজে বের করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত ঝুঁকি রোধে টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে: স্পিকার
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার ২০২২ সালের সেরা প্রতিবেদক হিসেবে ডেইলি স্টার পত্রিকার আমিরুল রাজীব এবং দৈনিক সমকাল পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাজীব নূর যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে যমুনা টেলিভিশনের হাবিব রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানে বিচারক বোর্ডের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে জুরি বোর্ডের সদস্য নওয়াজেশ আলী খান ও এ এস এম সামসুল আরেফীন প্রশংসাবচন পাঠ করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি সারওয়ার আলী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ: স্পিকার
৮০৫ দিন আগে