ঢাকা
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
নারায়ণগঞ্জে একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ছুরিকাঘাতে কামরুজ্জামান নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা মোড়ের ভিক্টোরিয়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন।
তিনি বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিকাশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার কামরুজ্জামান একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে যান। এসময় আসামি বাবু ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সহকর্মীরা কামরজ্জামানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব বলেন, কামরজ্জামানকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয় বরে জানান এসআই শিহাব।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, যে বাবু ছুরিকাঘাত করেছে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। সে মাদক ব্যবসায়ী। আসামি বাবুর অবস্থান জানতে কামরুজ্জামান সেখানে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের লোক টের পেয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বাবু। কামরুজ্জামান বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত
১৬ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জে গুলিতে ডাকাত নিহত, গ্রামবাসীসহ আহত ৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৫ মামলার আসামি বাবলা চৌধুরী খালাসি ওরফে বাবলা ডাকাত গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গ্রামবাসীসহ আরও অন্তত ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে (২২ অক্টোবর) গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘটনাটি ঘটে। এসময় ১৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে র্যাব-সেনাবাহিনী পরিচয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতি, থানায় মামলা
নিহত বাবলা ডাকাত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বাচ্চু খালাসীর ছেলে।
এদিকে আহত গুলিবিদ্ধ রহিম বাদশাকে ঢামেকে এবং আহত গ্রামবাসী আক্তার হোসেন ও লিটন মিয়াজীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রহিমেরর দ্বিতল ভবনে সংঘর্ষ হয়। গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসলে দুটি ট্রলারে দুই দল ডাকাত পালিয়ে যায়।
এ সময় ভবনটিতে থাকা ৯ ডাকাতকে তালাবদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে তালা ভেঙে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আর পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের মধ্যে ৫ ডাকাতকে উপজেরার হোসেন্দি এলাকা থেকে আটক করা হয়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মেঘনা তীরের মল্লিকের চরে সকালে লুন্ঠিত মালামালের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ (বন্ধুক যুদ্ধ) হয়।
তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে বাবলার প্রাণ যায়। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া দুর্গম মল্লিকের চরকেও আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন নৌডাকাতরা বলে জানান ওসি মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: ডাকাতের কবলে পড়ে করাচিতে ৯ মাসে নিহত শতাধিক
১৭ ঘণ্টা আগে
ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১২
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল দিকে সিরাজদিখানের চরপানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজদিখানে ২ দলের সংঘর্ষে ৯ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২০ জন আহত
আহত জাকির হোসেন (৪২), পিয়ার হোসেন (৩৫) ও সিয়াম হোসেনকে (২৮) গুরুতর অবস্থায় ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিরাজদিখানের চরপানিয়া গ্রামে ফুটবল খেলার বিরোধে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় ৩টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ফুটবল খেলার বিরোধে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা। ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ ১, আটক ৩
৩ দিন আগে
পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর চার লেন সংযোগ সড়কের কাজে ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে
ঢাকা থেকে শরীয়তপুর যাতায়াতের পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর চার লেন সংযোগ সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে।
চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫০ শতাংশ। সড়ক খুঁড়ে ফেলে রাখায় ভোগান্তিতে পড়ছেন এ পথে চলাচলকারীরা।
লাগছে বাড়তি সময়, বেড়েছে জ্বালানি খরচ, নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিলেট, ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকবল তেমন নেই। নামমাত্র কয়েকজন শ্রমিক আর যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে ২৭ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ। বর্তমানে পুরো সড়ক ভাঙাচুরা আর খানাখন্দে ভরা। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। চলাচলে ভোগান্তি আর যানজট তো নিত্যই ঘটছে। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বাড়ে আরও কয়েক গুণ।
রুবিনা বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে আমাদের জেলা সবচেয়ে কাছে। কিন্তু দুর্ভোগটা আমাদেরই সবচেয়ে বেশি। দুই ঘণ্টার জায়গায় চার ঘণ্টা লাগে। অসুস্থ যাত্রীদের বেশি সমস্যা হয়।’
পরিবহন ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিনিয়ত পাল্টাতে হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবহন খাত। মালামাল পরিবহনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে কর্মজীবী মানুষ
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ আহমেদের কর্মকর্তা (সিএনএফও) মুহাম্মদ বকুল বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ এবং বালু সরবরাহের জটিলতার কারণে আমরা সময়মতো কাজ শেষ করতে পারছি না। তবে এখন বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে।’
৪ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে স্বামীর হাতুড়ির আঘাতে স্ত্রী নিহত
মুন্সিগঞ্জে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৫০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আনওয়ার মিঝির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে টঙ্গীবাড়ির কামারখাড়া কবরস্থান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
নিহতের ছেলে মো. ইব্রাহিম সরদার বলেন, মাকে জিম্মাদার করে বাবা একাধিক কিস্তি তোলেন। সেগুলো ঠিকমতো পরিশোধ না করায় মায়ের ওপর বিভিন্ন চাপ আসত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আগেও ঝগড়া হয়েছে।
ইব্রাহিম সরদার আরও বলেন, আজও মা-বাবার কাছে কিস্তি পরিশোধের কথা বলতে গেলে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. প্রান্ত সরকার বলেন, নিহতের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় ২ সিএনজিযাত্রী নিহত, আহত ৩
৪ দিন আগে
নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, হাসপাতালেও হামলা
নরসিংদীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কার্যালয়ের নিচতলায় প্রথম দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে আহত ব্যক্তিরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আরেক দফা হামলার শিকার হন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার জাহিদ হোসেন (২৮), তার কর্মী মিনহাজুর রহমান (২৩), ইয়াসিন আহমেদ (২৯), সানভির আলম নিবির (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৭), জাহিদ বিন রাফি (২২), দুলাল (২৫), রিপন (২২), তৌফিক (২৭), অয়ন (২৯), শিমুল (২০), শিপন (২৫), জীবন (২০) এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া (২৪)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
জানা যায়, জেলা ছাত্রদল সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেনের জাপ্পি’র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের ভাষ্য, খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে সভায় সামনের দিকের কিছু চেয়ারে জাহিদের কর্মীরা বসতে গেলে তাদের বাধা দেন ছিদ্দিকুর। এ নিয়ে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে আহতরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসা নিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান ছিদ্দিকুর রহমানের কর্মীরা। সেখানে অন্তত তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ওই ঘটনায় ১৪ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং অন্তত ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে ভাঙচুরের চেষ্টাও চালানো হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আবারও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করেছেন নাহিদ ও তার কর্মীরা। অথচ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম।’
হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কার্যালয়ে সামান্য বিষয়ে কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। আমাকে আহত করা হয়েছে এমন গুজব ছড়ানোর পর আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভেবেছিলেন আমি হয়তো নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছি। তারা আমাকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। যদি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।’
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
৪ দিন আগে
গজারিয়ায় বজ্রপাতের কৃষাণীর মৃত্যু, স্বামী ও ছেলে আহত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বজ্রপাতে হালিমা বেগম (৫০) নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে স্বামী ও পুত্র।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর দিকে উপজেলার ভবেরচরের শ্রীনগরে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে গুরুতর আহত স্বামী আব্দুল হান্নানকে (৭০) গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার পায়ের একটি অংশ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে ২ জনের মৃত্যু
ছেলে রমজান (৯) সুস্থ আছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ির পাশে জমিতে কাজ করছিলেন স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ৯ বছরের ছেলে। এসময় বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই শরীর ঝলসে গুরুতর আহত হন এবং সঙ্গে থাকা তাদের ছেলে স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কৃষাণী হালিমাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামী আব্দুল হান্নানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু
৪ দিন আগে
ফরিদপুরে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ২৭
ফরিদপুরের মল্লিকপুরে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ২৭ জন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের মল্লিকপুর এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের সরা গ্রামের আবু বক্কর (৫৫), জাবাইল গ্রামের বাবু (৪০), মাগুরার বরই গ্রামের পিকুল।
আরও পড়ুন: সিলেটে সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ২৪
এছাড়া বাসের সুপারভাইজার মো. মহসিন (৩৫) ও হেলপার নাহিদ (১৯)। তাদের বাড়ি শ্যামনগরের চন্ডিপুর ও বাজার গ্রামে।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা আব্দুল্লাপুর থেকে ঝিনাইদহগামী গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের সঙ্গে খাগড়াছড়ি পরিবহন নামে অপর একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ২৭ জন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহমুদুজ্জামান বলেন, ভোরে ৩০ থেকে ৩২ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ২৭ জনকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা ও পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও আহত ১৭ জনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও কেন একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা হয়, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত টিম গঠন করা হবে।
পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, গাড়ি দুটি অধিক গতিতে ছিল, চালকদের চোখেও ছিল ঘুম, আর এ কারণেই হয়তো নিজস্ব লেন চেঞ্জ হয়ে যাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১ সপ্তাহ আগে
স্ত্রী পরিচয়ে নারীকে জোরপূর্বক গর্ভপাতের চেষ্টা, নারী আটক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়ে নারীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা থেকে স্ত্রী পরিচয়ে বাড়িতে আনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) শ্রীনগর পশ্চিম সিংপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত গর্ভপাত করাতে আসা আম্বিয়া নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ
স্থানীয়রা জানায়, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সূত্র ধরে দিপা ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় রিপনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাড়িতে নিয়ে আসে।
আজ দিপার ইচ্ছার বিরুদ্ধে রিপন গর্ভপাত করানোর জন্য ঢাকা থেকে ৪ জনকে আনে। তারা এসে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করে।
এসময় দিপার চিৎকারে তাকে জলাতঙ্ক রোগের চারটি ভ্যাকসিন পুশ করা হয়। এরপর দিপাকে রিপনসহ বাড়ির লোকজন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত ও পায়ের হাড় ভেঙ্গে দেওয়াসহ বর্বর নির্যাতন করে।
পরে স্থানীয়রা এসে দিপাকে উদ্ধার করে এবং গর্ভপাত করাতে আসা আম্বিয়া (৪২) নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ এসে দিপাকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় এবং আম্বিয়াকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ আসার আগেই রিপন পালিয়ে যায়।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাশফি বলেন, নির্যাতনের কারণে দিপা স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছে না।
এছাড়া দিপার হাত পায়ের হাড় ভাঙা এবং তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানান স্বাস্থ্য চিকিৎসক কাশফি।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিন মুন্সী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সেঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক নারী আম্বিয়া থানায় আছে। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের অবসান
১ সপ্তাহ আগে
মানিকগঞ্জে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ শিশুর
মানিকগঞ্জে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে আনহা আক্তার ও স্নেহা আক্তার নামে দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর দিকে সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের কায়রা গ্রামের রাস্তার পাশের ডোবায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের এক দিন পর ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের কাগজিনগর গ্রামের বাবু কাজীর মেয়ে আনহা ও একই ইউনিয়নের খরসাতাই গ্রামের রফিক সরদারের মেয়ে স্নেহা।
নিহতরা স্থানীয় কয়রা মাদরাসাতুল ওহি আল ইসলামী মাদরাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাড়ি ফেরার পথে কয়রা গ্রামের রাস্তার পাশের ডোবায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় স্নেহা ও আনহা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, নিহতদের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আলমডাঙ্গায় পূজা দেখতে বের হওয়া ২ শিশুর লাশ মিলল নদীতে
১ সপ্তাহ আগে