বরিশাল
হাফ ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে বরিশালে ‘অর্ধশতাধিক’ বাস ভাঙচুর
বরিশালে হাফ ভাড়া না নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাস টার্মিনালে হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক বাস ভাঙার অভিযোগ উঠেছে ব্রজমোহন (বিএম) কলেছের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এ সময় পাল্টাপাল্টি হামলায় দুপক্ষের ৪০-৫০ জন আহত হওয়ার দাবি উঠেছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনালে এই ঘটনা শুরু হয়। রাত সোয়া ৮টায় এইদ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলা-ভাঙচুর চলছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম।
বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষার্থীরা বাস টার্মিনালে গেলে পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় তাদের ২৫ জন আহত হন।
তবে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোনোরকম হামলার ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে।
১৯ দিন আগে
ভোলায় উচ্ছেদ অভিযানে হামলা, পৌরসভার ৩ গাড়িতে আগুন
ভোলা শহরের প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পৌরসভার তিনটি ময়লা ও মালামাল পরিবহনের গাড়ি (ট্রাক) পুড়ে যায়।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে পৌরসভার কর্মীরা নতুন বাজার চত্বরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের পাশে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে গাড়িতে মালামাল তুলছিলেন। এ সময় বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা বাধা দিলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের কর্মী আনাসার-ভিডিপি আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে পৌরসভার তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি আগুন দেওয়া গাড়ির কাছে কাউকে যেতে দেয়নি।
এদিকে, স্থানীয়দের সহায়তায় ও পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার আগেই গাড়িগুলোর বডি ও ইঞ্জিনসহ অনেকাংশ পুড়ে যায়।
এ ব্যাপারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা পৌরসভার প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নতুন বাজারে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করার সময় বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের কাজ চলছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তের আশ্বাস দেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাছনাইন পারভেজ বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে আগে থেকে পুলিশ চাওয়া হয়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪০ দিন আগে
ভোলায় বাড়িতে ঢুকে মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে হত্যা
ভোলায় নিজ বাড়িতে ঢুকে মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (৪৫) নামে এক মসজিদের খতিব ও মাদরাসা শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে শহরের চরনোয়াবাদে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মাওলানা আমিনুল হক নামের ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকেভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
নিহত মাওলানা আমিনুল হক নোমানী ওই এলাকার মাওলানা এনামুল হকের ছেলে। তিনি ভোলা সদর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম চরনাবাদ জামে মসজিদ থেকে এশার নামাজ শেষ করে বাড়িতে যান আমিনুল হক। এ সময় তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানদের কেউই বাড়িতে ছিল না। রাত সোয়া ৯টার দিকে আমিনুল হককে তার নিজ ঘরের মধ্যে কুপিয়ে জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ সময় তার চিৎকার শুনে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আমিনুল হককে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মাথা, গলা, ঘাড়, বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখমের আঘাত ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আমিনুল হকের বাড়ির ড্রয়িং রুমে সোফার সামনে মেঝেতে রক্ত পড়ে আছে। একটি ওয়েব ক্যামসহ কম্পিউটার অন করা অবস্থায় রয়েছে। টেবিলের ওপর তার কম্পিউটারের সামনে একটি ঘড়ি। অপর টেবিলে তার টুপি পড়ে আছে। তবে তাকে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে তাৎক্ষণিক ভোলা সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতারা ও এলাকাবাসী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশের একাধিক টিম কার্যক্রম শুরু করেছে।
৮৯ দিন আগে
বরগুনায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় আওয়ামীপন্থী ১২ আইনজীবী কারাগারে
বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বরগুনা আইনজীবী সমিতির আওয়াপন্থী ১২ আইউনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুর রহমানের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
আসামিরা হলেন- মাহবুবুল বারী আসলাম, মজিবুর রহমান, এম মজিবুল হক কিসলু, হুমায়ুন কবির, হুমায়ুন কবির পল্টু, সাইমুল ইসলাম রাব্বি, জুনায়েদ জুয়েল, আমিনুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন মোল্লা, ইমরান হোসেন, আব্দুর রহমান জুয়েল।
মামলা সূত্র জানায়, দুই বছর আগে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস কার্যালয়ে কেক কেটে শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করেন। পরে সেখান থেকে সবাই একত্রিত হয়ে লোহার রড, জিআই পাইপ, বগি দাসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে বরগুনার বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল সহকারে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। পরে অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন তারা।
মামলার পর ১২ আসামি চলতি বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন নেন এবং ২১ জুলাই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করেন। পরে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২৪ জুলাই তারা আবারও জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেদিন নথি তলব করে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল মোতালেব মিয়া ও মো. হাবিবুর রহমান আকন বলেন, ‘আমরা আবারও জামিনের জন্য আবেদন করব। আসামিরা প্রত্যেকেই কোর্টে নিয়মিত কর্মরত, পালানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া, মামলাটি দুই বছর আগের ঘটনা নিয়ে করা হয়েছে এবং অনেক আসামি আওয়ামী লীগের সদস্যও নন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মো. নুরুল আমীন বলেন, ২০২৩ সালে ১৭ মার্চ বরগুনা জেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও শহীদ জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনার মামলায় ১২ জন আইনজীবী আসামি ছিল। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের পদধারী।
৯৩ দিন আগে
ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় মো. সাইফুল্লাহ আরিফ নামে (৩০) এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে সদর উপজেলার কালিবাড়ী রোড এলাকার নববী মসজিদ-সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার পুলিশ।
নিহত আরিফ ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং স্থানীয় সাবেক শিক্ষক মো. বশির উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
একমাত্র ছেলের এমন হত্যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা, ছেলেকে হারিয়ে প্রায় পাগল তারা।
আরিফের বাবা জানান, গতকাল (শুক্রবার) রাতের খাবার শেষে মাকে পানি খাইয়ে ১২টার দিকে আরিফ তার রুমে ঘুমাতে যান। শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় গেইট খুলে বাইরে বের হলে বাড়ির সামনের রাস্তায় আরিফের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
স্থানীয় ও স্বজনদের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা আরিফকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: সাভার ও আশুলিয়ায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
এরপর ভোলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, কারা বা কী কারণে আরিফকে হত্যা করেছে তা তাদের জানা নেই। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন নিহতের পরিবার।
ভোলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
৯৬ দিন আগে
শেরপুরে শাপলা তুলতে গিয়ে বিলে ডুবে দুই শিশু নিহত
শেরপুর সদর উপজেলায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে বিলের পানিতে ডুবে ফাহিমা আক্তার নুন (৯) ও জেমি (৮) নামে দুই শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার গাজিরখামার ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকার বলেশ্বর বিল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফাহিমা আক্তার নুন চকপাড়া এলাকার মাসেক আলীর মেয়ে এবং জেমি একই এলাকার জয়নুদ্দিনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
নিহতের স্বজনরা জানান, গতকাল (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে ফাহিমা ও জেমি বাড়ির পাশের বলেশ্বর বিলে শাপলা তুলতে যায়। এরপর তারা আর ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির পর একপর্যায়ে বিকেলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, শাপলা তুলতে তুলতে তারা বিলের মাঝখানের গর্তে পড়ে যায়। সেখানে পানি বেশি থাকায় ডুবে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
৯৭ দিন আগে
ভোলার দৌলতখানে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পানিতে ডুবে ফাতেমা ও জোবায়দা নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা খালাতো বোন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) চরখলিফা ইউনিয়নের দিদারউল্লাহ গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের হজু পাটোয়ারী বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকেলে তারা নিখোঁজ হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফাতেমা (৬) দিদারউল্লাহ গ্রামের মো. শাকিলের মেয়ে এবং জোবায়দা (৪) মো. হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে শিশু দুটি বাড়ির আঙিনায় খেলাধুলা করছিল। সবার অগোচরে তারা বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করলেও খোঁজ পায়নি পরিবার। এরপর গ্রামে মাইকে প্রচারও করা হয়।
অবশেষে দীর্ঘ ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর রাত ১০ টার দিকে জোবায়দাকে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে ফাতেমাকেও পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ বোনকেই মৃত ঘোষণা করেন।ে
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান , এ ঘটনায় দৌলতখান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৯৮ দিন আগে
পারিবারিক বিরোধের জেরে দুই চোখ তুলে নিলেন ভাইয়েরা, ভিডিও ভাইরাল
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আপন দুই ভাই মিলে আরেক ভাইয়ের চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ মর্মান্তিক ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম রিপন ব্যাপারী। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট রিপনের স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে স্বপন ব্যাপারী, রোকন ব্যাপারী, আর্শেদ ব্যাপারীসহ ৮ জনকে আসামি করে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
মামলাটি গ্রহণ করে মুলাদী থানাকে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) দেওয়ার জমা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি নাজিম উদ্দিন পান্না।
এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে রিপনের মেজো ভাই রোকন ব্যাপারী ও ছোটভাই স্বপন ব্যাপারী লোকজন নিয়ে তার দুই চোখ তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: সিরাজদিখানে মুখোশধারী দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন আঙুল দিয়ে রিপন ব্যাপারীর বাম চোখ তোলার চেষ্টা করছে। এ সময় আরও দুজন রিপনের পা ও শরীর চেপে ধরে আছে। ঘটনার সময় এক নারীর হাতে একটি উৎপাটিত চোখ দেখা যায়। একই সময় আরেক নারীকে রিপনের মুখমণ্ডলে মারধর করতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে রিপনের বাবা উপস্থিত ছিলেন, এবং উৎপাটিত চোখ তার হাতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত রিপন ব্যাপারীর ছেলে শাহিন ব্যাপারী বলেন, তার মেজো চাচা রোকন ব্যাপারীর কাছে টাকা ও স্বর্ণালংকার গচ্ছিত রেখেছিলেন তার বাবা (রিপন)। এ ছাড়া জায়গা-জমি নিয়েও কিছু বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ মেটাতে চাচারা তার বাবাকে সংবাদ দিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে ডেকে নেন।
তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার বিকেলে তার বাবা ভাইদের সঙ্গে কথা বলতে বাড়িতে পৌঁছলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিরোধ মেটাতে শনিবার সকালে এলাকায় সালিশ বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু রাতে তার দুই চাচা লোকজন নিয়ে রিপন ব্যাপারীর চোখ তুলে নিয়েছেন।
শাহিন আরও বলেন, ভিডিওতে রিপনের বুকে চেপে যাকে আঙুল দিয়ে বাম চোখ উৎপাটন করতে দেখা গেছে, তিনি রোকন ব্যাপারী। রিপনের পা চেপে ধরা ব্যক্তি স্বপন ব্যাপারী। যার হাতে উৎপাটিত একটি চোখ ছিল তিনি রোকন ব্যাপারীর স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম এবং তার মেয়ে সুবর্ণা আক্তার মারধর করেছেন।
শাহিন জানান, চোখ তুলে নেওয়ার পরে স্থানীয় লোকজন তার বাবাকে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে তাকে ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, বরিশাল আদালত থেকে বাদীর লিখিত আবেদনের অনুলিপি ও বিচারকের আদেশ থানায় পৌঁছানোর পরে বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে মামলা করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের দুটি দল নাজিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
৯৯ দিন আগে
তিন শিক্ষককে বহিষ্কার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো উত্তাল বরিশাল নার্সিং কলেজ
সহপাঠীদের ওপর হামলার অভিযোগে জড়িত তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা কালো কাপড়ে চোখ-মুখ ঢেকে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় অভিযুক্ত তিন শিক্ষক— আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগমকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে; পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ক্লাস রুটিন প্রণয়ন এবং বিদ্যমান প্রহসনমূলক রুটিন বাতিলের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের অংশ হিসেবে চার দিন ধরে তারা ক্লিনিক্যাল ও ল্যাব প্র্যাকটিসসহ সব ধরনের ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আরও পড়ুন: শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০
আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। আমরা হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম।
তারা বলেন, ঘটনার পর দীর্ঘ চার মাস হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আমাদের লাঞ্ছিত করেও যারা ক্যাম্পাসে আছেন তাদের অনতিবিলম্বে বদলি বা অপসারণ করতে হবে।
স্টুডেন্ট নার্সেস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন বরিশাল নার্সিং কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।’
৯৯ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি এবং নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রায় ২৫ দিন ধরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোনো প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যার ফলে তারা মহাসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
১০২ দিন আগে