ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় পুলিশের উপপরিদর্শক নিহত
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মো. রুস্তম আলী নামে পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কের সত্রাসিয়া নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত উপপরিদর্শক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্চ গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। তার তিন ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। তিনি মুক্তাগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল পথচারীর
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, শনিবার বিকালে উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের মনতলা এলাকা থেকে নির্ধারিত কর্তব্য (ওয়ারেন্ট তামিল) পালন শেষে মোটরসাইকেলে থানায় ফিরছিলেন এএসআই রুস্তম আলী। পথে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কে সত্রাসিয়া নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পানির ড্রামভর্তি ট্রাক সামনে থেকে মোটরসাইকেরটিকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রোস্তম গত বছরের ১৬ মার্চ এএসআই হিসেবে মুক্তাগাছা থানায় যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় প্রাইভেটকারের ৪ যাত্রী নিহত
১ দিন আগে
শেরপুরে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ১০
শেরপুরে বনভোজনের বাসে থাকা এক নারীকে ইভটিজিং করায় যুবককে মারধরের জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ চলে শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত। এতে প্রায় দেড় ঘণ্টা শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন— কান্দাশেরীরচরের হোসেন আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (৩০), লাল মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া (২৫), ইয়াসিন আলীর ছেলে আব্দুল আলিমসহ (২৬) অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, যানজটে আটকে থাকা বনভোজনের বাসে বসে থাকা এক মেয়েকে ইভটিজিং করেন কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক। পরে কান্দাশেরীরচর গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে ওই ইভটিজিংকারী যুবককে মারধর করেন। এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে দলবেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ সময় কুসুমহাটি বাজারে আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও পলাশ টেলিকম নামে একটি মোবাইলের দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এরপর শনিবার সকাল ৭টা থেকে কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দুপক্ষ কুসুমহাটি বাজারে শেরপুর-জামালপুর সড়কের দুপাশে অবস্থান নেওয়া শুরু করলে আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বেলা ১১টা থেকে দুপক্ষের মধ্যে কয়েকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫০
এ সময় আবারও শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
শেরপুর সেনাক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিয়ান ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। একইসঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৪টা) কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১ দিন আগে
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাসা ভাঙচুর ও আগুন
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাসা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময়ে তার বাসার সামনে একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সাধারণ ছাত্র-জনতা জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ সময়ে তার বাসা ভাঙচুর করে মালামাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে বাসার সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এরআগে সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ অফিস বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সামনে যাতে পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
৩ দিন আগে
বৃত্তি পেল বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ৩৬ শিক্ষার্থী
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ৩৬ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। প্রতি শিক্ষার্থী ছয় মাসের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা বৃত্তি হিসেবে পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষদীয় মেডিসিন কনফারেন্স হলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান।
আরও পড়ুন: ৫ শতাধিক গবেষকের অংশগ্রহণে বাকৃবিতে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. নাজিম আহমাদ ও ইন্টার অ্যাগ্রো বিডি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. একেএম খসরুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘অনুষদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগটি সত্যি প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন ভালো কাজে কখনও কার্পন্য করবে না। ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে সব অনুষদ থেকেই এমন আয়োজন করা হবে বলে আশা করি।’
আরও পড়ুন: নানা অভিযোগে ডিন অফিসে তালা দিলেন বাকৃবির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা
৫ দিন আগে
শেরপুরে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত, আহত ৫
শেরপুরে গরুচোর সন্দেহে স্থানীদের গণপিটুনিতে মুসলিম উদ্দিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেরপুরে নকলা উপজেলার দক্ষিণ নকলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুসলিম উদ্দিন ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া এলাকার মৃত মইজ উদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন- ঝিনাইগাতী গোমড়া এলাকার আমির হোসেন, আজি রহমান, রাজু মিয়া, আয়নাল হক ও মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে দক্ষিণ নকলা এলাকায় রবিবার রাতে ওই ছয়জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা গরুচোর বলে চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয় কয়েকশ’ লোক জড়ো হয়ে তাদেরকে গণপিটুনি দেন। এ সময় তারা গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: নাটোরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
খবর পেয়ে নকলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মুসলিম উদ্দিন মারা যান। অন্যদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল করিম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৬ দিন আগে
ময়মনসিংহে অটোভ্যান ছিনতাইয়ে শিশুহত্যা, ৬ দিন পর লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর মাটিচাপা দেওয়া শিশু রিফাতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলার জয়রামপুর এলাকা থেকে মিরাজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বড়গ্রাম ইউনিয়নের নরকোনা মধ্যপাড়া গ্রামের একটি সরিষা খেতের মাঝখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রিফাত উপজেলার কাতলসার গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে ও কাতলসার শহিদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, রিফাত গত ২৭ জানুয়ারি ভ্যানগাড়ি নিয়ে বের হয়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন তার খোঁজ না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বড় ভাই আরিফ বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় প্রাথমিক অভিযোগ করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরাজ নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে নরকোনা গ্রামের একটি সরিষা খেতের মাঝখান থেকে মাটি খুড়ে রিফাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আ.লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৮
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিরাজ জানান, রিফাতকে গলাকেটে হত্যা করে অটোভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে সরিষা খেতে গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। একজনকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে পিবিআইসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতেল পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
৬ দিন আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) ছাত্রদল ও শিবির কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, মমেকে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান খান জানান, এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দল শিক্ষার্থীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাইমুল করিম লুইন বলেন, শুভেচ্ছা জানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবির বাধা দিয়ে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
অভিযোগ অস্বীকার করে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খালিদ জানান, এ ঘটনায় শিবিরের কোনো কর্মী জড়িত নন। এখানে ছাত্রদলের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
১ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহে মোটরসাইকেল উল্টে দুই তরুণের প্রাণহানি
ময়মনসিংহে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর উল্টে গেলে ইয়াসিন ও মেহেদী নামে দুই তরুণের প্রাণহানি ঘটেছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দিগারকান্দা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নগরীর মাসকান্দা এলাকার ইয়াসিন আবির (১৯) ও পুরোহিত পাড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২০)।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় নারীসহ নিহত ২, আহত ২
ময়মনসিংহ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নূর মোহাম্মদ জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দিগারকান্দা নামক স্থানে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে দুই বন্ধু আহত হয়।
তিনি জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা মারা গেছেন বলে চিকিৎসক নিশ্চিত হয়েছেন।
১ সপ্তাহ আগে
জামালপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত, আহত ১
জামালপুরে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জামালপুর-ঢাকা মহাসড়কের সরিষাবাড়ী উপজেলার করগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলা নারায়ণপুরের আব্দুর রাজ্জাক, একই উপজেলার আদর্শ বটতলা গ্রামের নুরজাহাঙ্গীর আল, জামালপুর গেটপাড়ার আব্দুর করিম আলাল, সরিষাবাড়ি উপজেলার নলদাইরের এনাম ফকির ও ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীর উপজেলার আরিফুল ইসলাম। আহত আমজাদ ফকিরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াত নেতার মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, পাঁচজন যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাটি জামালপুর-ঢাকা মহাসড়কের সরিষাবাড়ী উপজেলার করগ্রাম পৌঁছালে একটি ট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই চার যাত্রী নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের লাশ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘাতক ট্রাকের চালক পালিয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
ছেড়ে আসা ট্রেন রেখে পালালেন চালক, অবরুদ্ধ স্টেশন সুপার
যাত্রী নিয়ে মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে রেখে পালিয়েছেন চালক। এতে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল না করায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ (লোকোমাস্টার, গার্ড, টিটিই)।
কর্মবিরতির মধ্যে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে ছেড়ে আসে ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন। পরে ট্রেন রেখে চালক পালিয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে স্টেশন সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কামাল উদ্দিন জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে ট্রেনটি মোহনগঞ্জ ছেড়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে সাড়ে ১১টার দিকে পৌঁছালেও ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছে না। পরে ট্রেনটি রেখে চালক পালিয়ে যান, তাই সব যাত্রীরা স্টেশন সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খুব বিপাকের মধ্যে পড়েছি।
আরেক যাত্রী আনিসুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা যাবে না ভালো কথা, তাহলে মোহনগঞ্জ থেকে কেন ছাড়ল? কেন টিকিটের টাকাও পাচ্ছি না? তাই স্টেশন সুপারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছি। সমাধান না দেওয়া পর্যন্ত তাকে ছাড়া হবে না।’
ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খান বলেন, ‘যাত্রীরা আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন, আমি কোনো উপায় খোঁজে পাচ্ছি না। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখছি কি করা যায়। চালকের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারছি না। তিনি আমাকে ফাঁসিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।’
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তাদের বিকল্প পথে ঢাকায় পাঠানোর আলোচনা হচ্ছে। ট্রেনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী রয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে