ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪
ময়মনসিংহে ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাদিয়া (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় নিহত সাদিয়ার ৫ বছরের শিশু সন্তান, স্বজন ও সিএনজিচালকসহ ৪ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-গফরগাঁও সড়কের সুতিয়াখালী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
সাদিয়া গফরগাঁও উপজেলার লামকাইন এলাকার আনোয়ারুল হকের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া সিএনজিতে করে ময়মনসিংহে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সিএনজিতে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সাদিয়ার মৃত্যু হয়। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। আহতরা চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ২৪
১ দিন আগে
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরে শ্রীবরদীতে বসতঘরের বৈদ্যুতিক মিটারের সঙ্গে তারের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এরশাদ মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের বকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ মিয়া (৩০) ওই গ্রামের আব্দুর রহমান ওরফে বড়গেল্লার ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টায় এরশাদ মিয়া তার বসতঘরের বিদ্যুৎ মিটারের সঙ্গে তারের সংযোগ দিতে গিয়ে ছেঁড়া তারের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পর্শে গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাইফুল্লাহ অমিও জৌতি বলেন, ‘এরশাদ আলীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছেন।’
নিহত এরশাদ মিয়ার মা বুলবুলি বেগম জানান, এরশাদের স্ত্রী ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। কৃষিকাজ করে তাদের সংসার চালাতেন। এখন তাদের সংসারে আয় করার মতো আর কেউ রইলো না।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ম (ওসি) আনোয়ার জাহিদ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুলায় সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানির মৃত্যু
৬ দিন আগে
এইচএসসিতে ঈর্ষণীয় ফলাফল শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবুজের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শেরপুরের সবুজ মিয়া এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ দশমিক ৩৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসির ফলাফলে জানা যায়, শ্রীবরদী সরকারি কলেজ থেকে ‘এ’ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সবুজ।
এদিকে সবুজ মিয়ার এই ফলাফলে শিক্ষকরাসহ সহপাঠীরা আনন্দিত হলেও সন্তান ও ভাই হারানোর শোকে পরিবারে চলছে বিষাদের কান্না।
আরও পড়ুন: বিয়ের একদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী হারালেন নববধূ
সবুজের মা সমেজা বেগম বলেন, আমার ছেলে ভালো রেজাল্ট করেছে ঠিকই। কিন্তু এ রেজাল্ট আমাদের কোনো কাজে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার করা হোক। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
শ্রীবরদীর খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়নের রূপারপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে ছিলেন সবুজ। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবুজ দ্বিতীয়। বোনের বিয়ের পর বাবা প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। এরপর পরিবারের দায়িত্ব নেন সবুজ। পড়ালেখার পাশাপাশি দোকানে কাজ করতেন এবং পরিবার চালানোর পাশাপাশি নিজের আয়ে পড়াশোনা করতেন।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষায় বসেছিলেন সবুজ। পরীক্ষা চলাকালেই দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে ৪ আগস্ট শেরপুর জেলা শহরে গুলিতে নিহত হন তিনি।
শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান বলেন, সবুজ মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ছয় সদস্যের সংসারের খরচ বহন করে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে এই রেজাল্ট করা কম কথা নয়। তার এই রেজাল্টে আমরা শিক্ষকরাসহ তার সহপাঠীরাও আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, শুধু তার পরিবার সন্তান ও ভাই হারানোর শোকে এ আনন্দ নিতে পারছে না। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। শোকাহত অসহায় পরিবারের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
উল্লেখ্য, সবুজ মিয়া হত্যার ঘটনায় তার ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি ছানুয়ার হোসেন ছানু, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সাবেক পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের চার শতাধিক নেতাকে আসামমি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ৪৪
১ সপ্তাহ আগে
ভীমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর এবার ছেলের মৃত্যু
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভীমরুলের কামড়ে বাবা আবুল কাশেম ও মেয়ে লাবিবা আক্তারের মৃত্যুর পর এবার ছেলে সিফাত উল্লাহও মারা গেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ বছর বয়সি সিফাতের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ভিমরুলের কামড়ে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু
এর আগে শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে আবুল কাশেম (৫৫) মারা যান। মেয়ে লাবিবার (৮) মৃত্যু হয় দুপুর ৩টার দিকে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ধোবাউড়ায় বন্যা হওয়ায় শনিবার দুপুরে দুধনই বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম মেয়ে লাবিবা ও ছেলে সিফাতকে নিয়ে নৌকা দিয়ে বাঁশ ঝাড়ের নিচ দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় বাঁশঝাড়ে বাসা বাঁধা তাদের ওপর আক্রমণ করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার আবুল কাশেম ও তার দুই সন্তানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
১ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহে ভিমরুলের কামড়ে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের দুধনই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
নিহতরা হলেন- দুধনই বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম (৫৫) এবং তার মেয়ে লাবিবা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার আবুল কাশেম ৮ বছর বয়সি মেয়ে লাবিবা ও ৫ বছরের ছেলে সিফাত উল্লাহকে নিয়ে বাঁশঝাড়ে কঞ্চি কাটতে যান। এসময় বাঁশঝাড়ে বাসা বাঁধা ভীমরুল তাদের ওপর আক্রমণ করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয় এবং সিফাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে দুই জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত আটক
১ সপ্তাহ আগে
মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সাংবাদিক স্বপন ভদ্রকে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সাংবাদিক স্বপন ভদ্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে শহরতলীর শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়া এলাকায় তার বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে জমির বিরোধে বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এলাকায় মাদক বেচাকেনা এবং মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত স্বপন ভদ্র (৫৫) তারাকান্দা উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের জগেশ চন্দ্র ভদ্রের ছেলে। তারাকান্দা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন তিনি।
তিনি আগে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, স্বপন ভদ্র বাড়ির সামনে চেয়ারে বসে সংবাদপত্র পড়ছিলেন। এসময় দুবৃর্ত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৭
১ সপ্তাহ আগে
জামালপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার
জামালপুর শহরের দেওয়ানগঞ্জ বাইপাস মোড় এলাকার সেপটিক ট্যাংক থেকে চাঁন মিয়া (৬৫) নামে এক নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় নির্মাণাধীন এক ভবনের নিচতলার সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের লাশ উদ্ধার
চাঁন মিয়া জামালপুরের কেন্দুয়া গওহেরপাড়ার ছাবেদ আলীর ছেলে এবং বাইপাস মোড় দোকান মালিক সমিতির অধীনে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে সেপটিক ট্যাংকে নৈশপ্রহরী চাঁন মিয়ার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। তারা জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দিলে দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কেউ জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ সপ্তাহ আগে
শেরপুরে বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, উজানে উন্নতি হলেও অবনতি নিম্নাঞ্চলে
শেরপুরে বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, উজানে উন্নতি হলেও অবনতি নিম্নাঞ্চলে
বন্যাকবলিত শেরপুর জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- উরফা ইউনিয়নের কুড়াকান্দা গ্রামের মুক্তার হোসেন (৫০), গণপদ্দি ইউনিয়নের গজারিয়া কিংকরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৬০) ও নকলা উপজেলার জালালপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া (৩৫)।
এনিয়ে পাহাড়ি ঢলে গত ৪ দিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জনে। পাহাড়ি ঢলে এখনও প্রায় শতাধিক গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলেও, নকলা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বন্যার পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি জানান, বটকুচি ও নালিতাবাড়ী বাজার পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ ও ১৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জল পরিমাপক পয়েন্ট না থাকলেও পাহাড়ি মহারাশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানিপ্রবাহও স্বাভাবিক হয়েছে।
পাহাড়ে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে নদ-নদীর পানি আরও কমবে এবং দু-একদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে পূর্বাভাস দেন এই প্রকৌশলী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, বন্যার কারণে জেলার ২৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের পাঁচটি উপজেলায় ৪৬ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমির রোপা আমন আবাদ, ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমির সবজি আবাদ, বস্তায় চাষ করা ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৪ বস্তা আদা সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে জেলায় অন্তত ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৩০ জন কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
জেলার বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সোনবাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি, পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট ইয়ুথ ভলান্টিয়ার, বেসরকাারি স্বেচ্ছাসেবীরা পানিবন্দিদের উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অসহায় বন্যার্তদের মাঝে সরকারিভাবে ত্রাণসামগ্রী, শুকনা খাবার ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে চাল-ডাল, তেল, আলু, মুড়ি, মোমবাতি, দিয়াশলাইসহ ১২ হাজার ব্যাগ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার ব্যাগ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিপদাপন্নদের উদ্ধার করে নিরাপদে রাখাসহ ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি জানান, বন্যার্তদের প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। পানি পুরোপুরিভাবে নামার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পুণর্বাসন সহায়তাও করা হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহে পানিবন্দি ৫০ হাজার পরিবার
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ১৫ ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা ঘাট, শত শত একর কৃষি জমি ও মাছের খামার।
হালুয়াঘাটের পানি নামতে শুরু করলেও ১২টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তারা ঠাঁই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৫০ হাজারের বেশি
সরকারিভাবে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পানিবন্দিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর আমন ধানের খেত এবং ৮ হাজার হেক্টর ফসলের খেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া আরও নষ্ট হয়েছে ৭০ হেক্টর সবজির খেত।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, ঘরে পানি ওঠায় বেশিরভাগ পরিবারে রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করছি। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছি গরু ছাগলকে নিয়ে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
ধোবাউড়ার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পানি চলে আসায় কোনো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় ৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক ত্রাণ সামগ্রীও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি, তলিয়ে গেছে ফসলের খেত
২ সপ্তাহ আগে
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; আরও ৮ ইউনিয়ন প্লাবিত
টানা বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।
এদিকে, পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর শনিবার সন্ধ্যায় নন্নীর কুতুবাকুড়া এলাকায় ধানক্ষেত থেকে হাতেম ও আলমগীর নামে আরও দুই সহোদরের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
এনিয়ে পাহাড়ি ঢলে নালিতাবাড়ীতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৩ জন।
নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের পর এবার ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নকলা ও শেরপুর সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল।
বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ। ঢলের পানির পাশাপাশি টানা বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: ৩ জনের মৃত্যু, উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী
রবিবার (৬ অক্টোবর) ভোগাই নদীর পানি নাকুগাঁও পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিম্নাঞ্চলে পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়ে যাওয়ায় নালিতাবাড়ী-নকলা সড়ক তলিয়ে গেছে। ওই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা গেলেও শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজীরখামার সড়কে ঢলের কারণে শনিবার থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
নালিতাবাড়ী-শেরপুর ভায়া তিনানী সড়কটির রানীগাঁও এলাকায় ঢলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় একদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। রবিবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভাঙা অংশে বালির বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে যোগাযোগ চালুর চেষ্টা করছে।
এদিকে, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে উজানের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামতে থাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শত শত ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। এসব ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান এবং এক হাজার হেক্টর জমির সবজি পানির নিচে তালিয়ে গেছে।
পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান বলেন, সোমবারের মধ্যে সব নদ-নদীর পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, বন্যাকবলিতদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৬ হাজার ব্যাগ খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবীরাও বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে। পানিবন্দিদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা
২ সপ্তাহ আগে