জাতীয়-পার্টি
জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে চলমান তদন্তের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউএনবিকে তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং দলের ভেতরে ‘পদ বাণিজ্যের’ মাধ্যমে কাদের অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন— এমন অভিযোগে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এ দম্পতির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের বিনিময়ে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছিল। এর মূল সুবিধাভোগী ছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না হওয়ায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে সংসদ সদস্য হন শেরীফা কাদের।
আরও পড়ুন: জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন যা পরবর্তীতে বিদেশে পাচার করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে এতে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা পদ বাণিজ্যের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন অভিযোগ, কাদের ভিন্ন ভিন্ন নামে সিঙ্গাপুর, লন্ডন ও সিডনিতে অর্থপাচার করেছেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, জিএম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। এছাড়া তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট ও ঢাকায় জমি এবং ফ্ল্যাট অন্তর্ভুক্ত।
১৯৯৬ সাল থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া কাদের বর্তমানে সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
৯১ দিন আগে
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর-আগুন
ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের একদল লোক হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায়,জাতীয় পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলের জাতীয় পার্টির অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পড়ুন: নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
গণঅধিকার পরিষদ দাবি করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
নুর এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
৯৬ দিন আগে
জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
লালমনিরহাট সদর আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় ঘটনার প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর এ মামলা করেন খলিলুর রহমান নামের ওই পোলিং এজেন্ট।
মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিএম কাদের, তাঁর স্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদের, দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জাহিদ হাসানসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী পোলিং এজেন্ট খলিলুর রহমান লালমনিরহাট পৌরসভার সাধুটারী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা এলিয়েন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেছারিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রের বিএনপির পোলিং এজেন্ট থাকার সময় তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, খলিলুর রহমান ভোটের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে যান জাতীয় পার্টি নেতারা। তারা বলেন, ভোটকেন্দ্রে গেলে ‘লাশ হয়ে ফিরতে হবে’। এরপরও খলিলুর রহমান দায়িত্ব পালনের জন্য ভোটকেন্দ্রে যান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিএম কাদের ও শেরিফা কাদেরের নির্দেশে কয়েকজন তাকে কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর ও গালিগালাজ করেন।
এজাহারে বলা হয়, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। স্বৈরশাসকদের ভয়ে কোথাও মামলা করার সাহস হয়নি। এ কারণে মামলা করতে এত বিলম্ব হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী বলেন, বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে মারধর, সাধারণ জখম পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টা, হুকুমদানের অভিযোগে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
১৮৫ দিন আগে
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা এলিয়েন: জিএম কাদের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব করছে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘এটি কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। (আসন্ন) নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারাই প্রয়োজন মতো সংস্কার করবেন। এখন যারা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন, তারা তো এলিয়েন। তারা অন্য গ্রহ থেকে এসেছেন।’
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে জিএম কাদের ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই দেশের মঙ্গল হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। গ্রহণযোগ্যতা না পেলে দেশে বিনিয়োগ হবে না, কর্মসংস্থান হবে না, শুধু বেকারত্ব বাড়বে। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলেও কেউ এখানে বিনিয়োগ করবে না।’
‘দেশের কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। যারা আলুর দাম কম দেখে খুশি হচ্ছেন, তারা কৃষকের কান্না দেখেননি। এখন রেমিট্যান্স আসছে, রেমিটেন্সের ওপর একটা দেশ চলতে পারে না। দেশের মানুষের হাতে টাকা নেই, সরকারের হাতেও টাকা নেই। মানুষের ব্যবসা নেই, ট্যাক্স দেবে কে? মানুষ ট্যাক্স দিতে পারছে না, তাই সরকার মালামালও আমদানি করতে পারছে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কিন শুল্কনীতিতে (দেশের) রপ্তানি খাতের অবস্থা কেমন হবে, আমরা জানি না। আইএমএফ টাকা দেবে কিনা তাও পরিষ্কার নয়। এ অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলে রাস্তায় রাস্তায় লুটতরাজ চলবে। আপনি বেতন দিতে না পারলে পুলিশ অথবা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের কথা শুনবে কেন?’
‘শান্তির জন্যই অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে এবটি বৈধ সরকার আনতে হবে। পুলিশ কিছুটা বিএনপি, কিছুটা জামায়াতের কথা শুনে হা-হুঁতাশ করছে। এমন বাস্তবতায় নির্বাচন দিলে সবাই পিটিয়ে পাটিয়ে নির্বাচন করবে। এমন নির্বাচন বৈধতা পাবে না। সকল সমস্যা সামধানের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে। সরকারকে বৈধ করতেই সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ‘সরকার একটি দল গঠন করেছে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সংস্কার চালাচ্ছে। যেনতেনভাবে নির্বাচনে তাদের পাস করাবেন, তা কি হাসিনার নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে? শেখ হাসিনা সবকিছু হাতে নিয়েও থাকতে পারল না, আপনারা কত দিন থাকতে পারবেন? যাদের নির্বাচন থেকে বাদ দেবেন, তারা ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ গড়তে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে হবে। সবাই মিলে আধপেট খেয়ে হলেও দেশ গড়তে হবে। আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম, বর্তমান সরকার জাতিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে, যেন দেশের অর্ধেক লোক বাদ দিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারে।’
আরও পড়ুন: আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের
‘ফ্যাসিবাদ থেকে যারা শিক্ষা নিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদ হয়েছেন, আপনাদেরও পতন হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা মারতে আসবে, পুলিশ তাদের সহায়তা করবে। তারপরও প্রতিবাদ করতেই হবে। নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ লোক প্রতিবাদ করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।
২২৮ দিন আগে
জাতীয় পার্টির শনিবারের সমাবেশ স্থগিত
কাকরাইলে ডিএমপির সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করায় কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি।
শুক্রবার(১ নভেম্বর) রাতে জাপা প্রধানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ শনিবার কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এর আগে শুক্রবার সকালে জাপা চেয়াম্যান জানান, হামলার পরও আগামীকাল পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ পরিকল্পনা অনুযায়ী হবে। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করে ডিএমপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠিসোঁটা হাতে একদল ব্যক্তি মূল ফটক দিয়ে জাপা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং এরপর ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের
৩৯৮ দিন আগে
আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের
দেশের চলমান সংকটের মধ্যে সাম্প্রতিক হামলার পরও তার দল আন্দোলন ও নির্ধারিত কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিএম কাদের এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক হামলার জবাবে জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা মরতে এসেছি, আমরা মরতে চাই, কত মারবে তোমরা আমরা দেখতে চাই।
সহিংস ঘটনা সত্ত্বেও আগামীকাল পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ঘোষণা অনুযায়ী হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে: জিএম কাদের
জিএম কাদের আরও বলেন, আল্লাহ আমাদের প্রটেকশন দিচ্ছেন বলে এখনো বেঁচে আছি, অন্য কারও প্রটেকশনে নয়। বিচারের জন্য যদি আল্লাহর সাহায্যের দিকে চেয়ে থাকতে হয়, তাহলে দেশ কীভাবে চলবে। আমরা একদিনের গণতন্ত্র চাই না। সব সময়ের গণতন্ত্র চাই। আমরা চাই সরকার হবে- ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’।
তিনি বলেন, আমরা দেশের জনগণের পাশে ছিলাম, সবসময় থাকব। আমার পরবর্তী প্রজন্ম এলেও জাতীয় পার্টি জনগণের পাশে থাকবে এবং একইভাবে এগিয়ে যাবে। হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দাও জানান তিনি।
জিএম কাদের বলেন, আমাদের দুই তারিখের কর্মসূচি চলবে। আমাদের কর্মসূচি ও আন্দোলন সবই চলবে নিয়মতান্ত্রিক এবং অহিংসভাবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশটা এখন ভালো অবস্থায় নেই। শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বিভক্তি করেছিলেন এখন একইভাবে বিভক্তি করা হচ্ছে। এখন হাজার হাজার মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উনারা যা বলে তা-ই সঠিক, বাকি সবাই ভুল। উনারা এখন বিচারকার্যেও গিয়ে বাধা দেয়। উনাদের ইচ্ছা হলো আমাদের অফিস ভেঙে দিয়ে গেল। কারও যদি ভুল হয় সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার অনেক উপায় আছে, তাই বলে তাকে ধ্বংস করে দেবেন, এটা কেমন হবে।
জিএম কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা সবসময় সমর্থন জানিয়েছি। তাদের পক্ষে সে সময় অনেক কথা বলেছি, বিবৃতি দিয়েছি। যে কারণে আমার অনেক ক্ষতিও হতে পারতো। কিন্তু এসব কিছুর পরোয়া আমরা করিনি। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
আমি এখন বলছি, ‘জাতীয় পার্টি একটি জনগণের রাজনৈতিক দল। হয়তো সারাদেশে আমাদের অবস্থান কিছুটা কম আছে, তবুও আমরা টিকে আছি। চাপে গর্তে ঢুকে গেলেও বারবার জাতীয় পার্টি উঠে দাঁড়ায়, এটাই অনেকের সহ্য হয় না। যে কারণে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। জাতীয় পার্টি সবসময় জনবান্ধব দল ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে।’
তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবকে যতই অপবাদ দেওয়া হোক না, কেন জনগণ তার পাশে ছিল। অনেকে বলে এরশাদ সাহেবকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নামানো হয়েছে, এটা একদমই ভুল কথা। উনি জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়েছেন। তবে একানব্বই থেকে উনার (এরশাদ) এবং জাতীয় পার্টির ওপর নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
জিএম কাদের আরও বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো সময় দলীয়করণ করেনি। জাতীয় পার্টি সবসময় বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তবে একটি গোষ্ঠী জাতীয় পার্টির নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, সবাই বলে আমরা নাকি আওয়ামী লীগের দোসর। কিন্তু কীভাবে দোসর হলাম। আমরা শেখ হাসিনার কোনো ধরনের জনবিরোধী কাজের সঙ্গে ছিলাম না। আমরা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের জনবিরোধী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আওয়ামী লীগের দলীয়করণের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলেন ১৫ বছর অবৈধ শাসনামল ছিল। তবে আমরা বলি সেটি ছিল ১০ বছর, ২০১৪-২০২৪ পর্যন্ত সরকারকে আমরা অবৈধ শাসনামল হিসেবে দেখছি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত শাসন আমলকে অবৈধ বলা ঠিক নয়, তবে খারাপ শাসনামল বলতে পারেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সব দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তখন কি সব দল শেখ হাসিনার সরকারকে বৈধতা দেয়নি। এটা কি একা জাতীয় পার্টি দিয়েছিল।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, যখন নির্বাচনে যেতে চাই না, তখন জোর করা হয়। কিন্তু যখন যেতে চাই, তখন বাধা আসে। জাতীয় পার্টি একটি রাজনৈতিক দল, আমাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার, যে কোনো দলের সঙ্গে আমরা যেতে পারি। ‘কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি এখন কেমন যেন হয়ে গেছে। আমরা মনে করেছিলাম ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু এখন দেখছি দিন দিন তা বেড়েই চলছে। জনগণের ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেওয়া হবে না, এটা কোন ধরনের দেশ।’
জিএম কাদের বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে অনেক ভালো মন্ত্রী ছিল। তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হতো। যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। জামায়াতেরও অনেক ভালো নেতা মন্ত্রী ছিল। তাদের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল করিম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের।
আরও পড়ুন: যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জিএম কাদের
৩৯৮ দিন আগে
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠি হাতে একদল ব্যক্তি মূল ফটক দিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং এরপর ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তাদের কাছে ফোন আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে: জিএম কাদের
৩৯৯ দিন আগে
যে কোনো মূল্যে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে: জিএম কাদের
পার্বত্য জেলাগুলোতে সাম্প্রতিক অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যেকোনো মূল্যে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সোমবার বিকালে জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টি ও জাতীয় হকার্স পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সবুজ পাহাড়ে রক্তের দাগ দেখতে চাই না। আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা ঐক্য ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে আমরা বিপন্ন হতে দিতে পারি না।’
তিনি সব পক্ষকে ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান এবং পাহাড়ি, বাঙালি ও প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজহারুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সভায় সঞ্চালনা করেন জাতীয় হকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ নিজাম।
এ সময় জাতীয় পার্টির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মনিরুল ইসলাম মিলন।
এছাড়াও জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টি ও জাতীয় হকার্স পার্টির অনেক নেতা-সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
৪৩৭ দিন আগে
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন।
৪৮৬ দিন আগে
শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিতে পূর্ণ সমর্থন জাতীয় পার্টির
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবির প্রতি জাতীয় পার্টির পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব দেলোর জালালী সোমবার বিকেলে ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ঢাকা পদযাত্রার কর্মসূচিতে জাতীয় পার্টি তাদের সমর্থন দিয়েছে।
৪৮৬ দিন আগে