অন্যান্য
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন দায়ের করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম।
বুধবার আপিল বিভাগে এ রিভিউ আবেদন দায়ের করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল পুনরুজ্জীবিত
গত ১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনটি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়া গত আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার পৃথক রিভিউ আবেদন দায়ের করেন।
১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।
২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত। রায়ে বলা হয়, এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
আদালত তার রায়ে বলেন, আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই আবেদনটি গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধনী) আইন ১৯৯৬ এই নির্দেশের পর থেকে অবৈধ ও সংবিধান বহির্ভূত ঘোষণা করা হলো। তবে আইনসম্মত না হলেও (প্রয়োজনের কারণে আইনসম্মত এবং জনগণের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন- সুপ্রাচীনকাল ধরে চলে আসা নীতিমালার ভিত্তিতে) দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করা ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায়ই হতে পারে।
এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতিদের মধ্য থেকে অথবা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে একজনকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিধানটি বাতিল করার পূর্ণ স্বাধীনতাও সংসদের থাকবে। একইসঙ্গে ২০০৫ সালে এ প্রসঙ্গে দায়ের করা লিভ টু আপিলটিও খারিজ করা হয়। আপিল বিভাগের এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াত নেতার মৃত্যুর অভিযোগ
৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনা ও বিবৃতির পর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে গোপনে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় হাসনাত অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্থান-পতন সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ দেশের ওপর আধিপত্য পুনরুদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠছে।
তিনি রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের একটি বিবৃতির কথা উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দেশ ছেড়ে পালানোর আগে শেখ হাসিনা কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি।
রাজনৈতিক পুনর্বাসনের নামে আওয়ামী লীগ যে ফিরে আসার কৌশল নিচ্ছে, এটাকে হাসনাত তারই লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।
হাসনাত বলেন, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আমরা দেখেছি, যেখানে তারা পুনর্গঠনের ভিত্তি তৈরি করছে বলে মনে হচ্ছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন অংশ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এসব ঘটনাকে সংযুক্ত করলে বোঝা যায়, তারা ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার দ্রুত পলায়নই তার পদত্যাগের প্রমাণ: বিএনপি
দলের পুনর্বাসনে প্রশাসনিক ও বিচারিক প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’
এর মোকাবিলায় সমন্বয়কারী জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দলের পুনরুত্থান ঠেকাতে নাগরিকদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
অতীতের রাজনৈতিক জোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমরা মজলুমে হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছি, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে, যা আওয়ামী লীগের জন্য ফিরে আসার ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি করেছে।’
হাসনাত রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ঊর্ধ্বে উঠে দলের পুনর্বাসন প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'রাজপথে আমাদের উপস্থিতি বজায় রাখতে হবে এবং বাংলাদেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগকে সমূলে উৎখাত করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের জবাবে হাসনাত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, ‘হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে; জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি অবৈধ সরকারকে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের প্রশ্নই ওঠে না।’আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন রাষ্ট্রপতি: আইন উপদেষ্টা
১ দিন আগে
মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: জামায়াত আমির
জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তারা জাতির ঘাড়ে এখনও বসে আছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরও নির্যাতিত হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
বিগত সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী দিনে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে নারীদের সবোর্চ্চ সম্মানের সঙ্গে সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনো নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। যেখানে সবাই মিলেমিশে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, যারা একদিন গর্ব করে বলতেন এ দেশে জালিম কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। দেশ থেকে জালিমদের বিতারিত করতে হবে। অথচ আজ তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
তিনি বলেন, বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।
জামায়াতের প্রধান বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষ স্বৈরাচার সরকার দ্বারা নির্যাতিত। তবে দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে নির্যাতিত ও মজলুম দল। এই দলের নেতাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে জুলুম করে গুম, খুন করা হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানা পাঁয়তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা গণআন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রতীক কেড়ে নেয়। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমিক আলেম-ওলামাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
৫ দিন আগে
আওয়ামী লীগের প্রণীত ‘কালা কানুন’ দিয়েই তাদের বিচার হোক: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা কোনো জুলুম ও অবিচার কারও ওপর চাই না। তারা দীর্ঘদিন যেসকল কালাকানুন করেছিলেন, তাই দিয়ে তাদের বিচার হোক।
তিনি বলেন, ‘তারা যেন তাদের সঠিক পাওনাটা পান। তাদেরকে যেন পাওনা থেকে বঞ্চিত করা না হয়। যার যেটা পাওনা সেইটাই যেন পান।’
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের রুকন(সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতা, গণতন্ত্রকে এবং জনগণের ইচ্ছা ও আশা-আকাঙক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল। ঐদিনই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল।
তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্ত ছাড়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মজলুম ছিলেন। আর মজুলুমদের সামনের কাতারে ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত প্রধান বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ আবার আপন পথ ফিরে পেয়েছে।
তিনি বলেন, সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। বহু শিশু এই দৃশ্য দেখার পর একনাগারে অনেকদিন রাতে ঘুমাতে পারেনি, চিৎকার দিয়ে উঠেছিল। কিন্তু মজলুমরা তার বিচার পায়নি।
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
জামায়াতের আমির বলেন, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে সাজানো-পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। এখন তাদের নাম সাহস করে কেউ নেয় না। তাদের দল (আওয়ামী লীগ) যারা করে তারাও সেই নাম নিতে চায় না। আমরা মজলুম জনগণ তাদের নাম নেব কেন?
তিনি বলেন, তাদেরকে তারা নিজেরা নিষিদ্ধ করার ইতিহাস আছে। তারা যখন বাকশাল কায়েম করে তখন তাদের দলসহ সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। আর এবার আল্লাহর সাহায্য নিয়ে জনগণ তাদের দলকে নিষিদ্ধ করেছে।
ডা. শফিকুর বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দাপটের সাথে তারা দেশ শাসন করেছেন। ক্ষমতায় আসার মাত্র ২ মাসের মাথায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর গায়ে তারা আঘাত করে ৫৭ জন চৌকস ও দেশপ্রেমিক, প্রতিশ্রুতিশীল সেনা কর্মকর্তাকে বেদনাদায়কভাবে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার ঘটনায় তদন্তের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল, তা জনগণকে ধোকা দেওয়ার জন্য। নেপথ্যের নায়কদেরকে, হুকুমদাতাদেরকে, দৃষ্কৃতিকারীদেরকে আড়াল করার জন্য।
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক-নায়িকারা তাদের অপরাধের পাওনা এখনো পায়নি। এ পাওনা তাদেরকে পেতে হবে।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল খুনিদের বিচার করতে হবে। তবে
অগ্রাধিকারভিত্তিতে আগে সাম্প্রতিক গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। তাদের বিচার এজন্য করতে হবে- শহীদদের তাজা রক্ত এখনো ভাসছে। আহতরা কাতরাচ্ছে। সাক্ষী মজুদ। আলামত জীবন্ত ও স্পষ্ট। যত দ্রুত সম্ভব ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে ওদেরকে সঠিক পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার অরাজনৈতিক একটি সংগঠন হেফাযতের ওপর ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। তা ছিল আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটি ছিল আরেকটি গণহত্যা। কতজনকে হত্যা করা হয়েছে তা আজও জাতি জানতে পারেনি।
আরও পড়ুন: যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
জামায়াত আমির বলেন, সাড়ে ১৫ বছর তারা গর্ব ও অহংকারের সাথে দেশ শাসন করেছেন। দম্ভ ও দাপটে তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করেনি। সমস্ত মানবতাকে নিয়ে দফায় দফায় উপহাস করেছে। আল্লাহ সাময়িক কিছু পরিণতি তাদেরকে দিয়েছেন মাত্র।
তিনি বলেন, তারা অপকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে আরেকটি রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছে আনসারলীগ, বিচারলীগ ও নানারকম দাবি দাওয়ার লীগ নামে।
জামায়াত আমির বলেন, তারা অনেকে দাড়ি ও টুপি পড়ছেন (আর্টিফিসিয়াল কিনা জানি না)। একদিকে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধোকা দিচ্ছে ও বিশ্ববাসীকে মেসেজ দেওয়া যে, আমরা যতদিন ছিলাম ততদিন চরমপন্থার উত্থান হতে দেইনি। আমরা নাই এখন বাংলাদেশে চরমপন্থা আছে।
তিনি বলেন, সবচাইতে যারা চরমপন্থী তারাই যারা তাদের সন্তানদের হাতে হাতুরি তুলে দিয়েছিল এবং মাথায় হেলমেট পড়িয়েছিল। তাদের চাইতে বড় চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী বাংলাদেশে আর জন্মায়নি।
জামায়াত প্রধান বলেন, তারাই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। আমরা করিনি। তাদের শাসনামল পুরোটাই ছিল চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের। জামায়াত সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে বলেও জানান দলটির প্রধান ডা. শফিকুর।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা কোনো সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নিয়ে কোনো প্রতিশোধ নেবো না। তারা যেমনটি আইন হাতে তুলে নিয়ে মানুষকে দুঃখ-কষ্ট দিয়েছেন, মানুষের ওপর জুলুম করেছেন, আমরা সেটা করবো না। কিন্তু ন্যায়বিচার পেতে আমরা বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে জুলুমের প্রতিকার চাইব। আমরা সেই প্রতিকারটিই চাচ্ছি। গণঅভ্যত্থানের পর মজলুম দল হিসেবে প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার ছিল জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের। কিন্তু ৫৪ হাজার বর্গমাইলের দেশের কোথাও একটিও প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি।নেতাকর্মীদের প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, 'আমরা ভবিষ্যতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই। তাই আমাদের সীমাহীন ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
১ সপ্তাহ আগে
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়: জামায়াতের আমীর
জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ক্রেডিট কোনো দলের নয়, এর ক্রেডিট শুধু ছাত্র-জনতার। ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন মেধাবী সেনা অফিসারের ত্যাগ দিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ৫ আগস্ট হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমীর।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দেশে যে সাময়িক পরিবর্তন এসেছে তাকে স্থায়ী রূপ দিতে সৎলোকের শাসন ও আল্লাহর আইন প্রয়োজন। যেখানে দল-মতের উর্ধ্বে সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে। আমরা কাজের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রকৃত ভালোবাসা অর্জন করতে চাই।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ভেদাভেদ চাই না। এমন সমাজ তৈরি করতে হবে যেখানে মসজিদের মতো মন্দিরেও পাহারার প্রয়োজন হবে না।’
কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের রুখে দিতে আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াতের আমীর বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডবে মানুষ হত্যার উল্লাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। সেই বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আবার পথে ফিরেছে। আমাদের ছাত্র ও যুবসমাজ সেই অসাধ্য সাধন করেছে। যে জাতির দেড় বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধরা রাজপথে নামতে পারেন সেই জাতিকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি মজলুমের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারা আমাদের শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি দিয়ে শহীদ করেছে। আজ তারা ইতিহাসের মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মহানগরীর কয়েক হাজার কর্মীর সমাগম হয়। বেলা ৩টার আগেই কুশিয়ারা কনভেনশন হলের ভেতর লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা উত্তরের আমীর হাফিজ আনওয়ার হোসাইন খান ও জেলা দক্ষিণের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান।
১ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামের পূজামণ্ডপে ইসলামী গানের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার শিবিরের
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আকাশের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, '১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জে এম সেন হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব চলাকালে সংঘটিত এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা চালানো শুরু হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও স্পষ্ট করে বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি তানজীর হোসেন জুয়েল 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য' প্রচারের তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: ছাত্ররাজনীতির যৌক্তিক সংস্কার চাইলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল
১ সপ্তাহ আগে
রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
রাষ্ট্র সংস্কারে মোট ৪১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে অন্যতম বিচার বিভাগ সংস্কার, ইভিএম বাতিল, পুলিশি আইন সংস্কার ও সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের সময়সীমা ৬২ বছর করা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতেই ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা জীবন দিয়েছে আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আওয়ামী লীগ দেশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য প্রশাসন, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করেছিল। হাজার হাজার মামলা দায়ের করে জুলুমের রাজনীতি কায়েম করেছিল।
বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা কারার প্রস্তাব দিয়ে তাহের বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন সংস্কার করতে হবে। দেওয়ানি মামলা ৫ বছর ও ফৌজদারি মামলা ৩ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এখন এটি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে।
পুলিশের আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে।
জামায়াত নেতা এসময় সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে। চাকরিতে বয়স সময়সীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ ও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর, আর অবসরের বয়স হবে ৬২ বছর।’
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
এ সময় সরকারি চাকরিতে প্রশ্নফাঁস বা দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছে, তাদের নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দুদককে শক্তিশালী করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থা করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পরপর দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন প্রস্তাবনা দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ব্যবহারে ভাগভাগি থাকতে হবে।
এ সময় শিক্ষা ও দেশের বিনোদন সেক্টর নিয়েও সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, সকল শ্রেণিতে হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয় যুক্ত করতে হবে। নাটক, সিনেমা ও কন্টেন্ট অশ্লীলমুক্ত করতে হবে।
চীন, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। পররাষ্ট্র বিষয়ে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক রাখতে হবে বলেও জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রস্তাব দেন। এতে হজ্জ ও ওমরার খরচ কমানোর জন্য কার্যকরী উদ্যেগ নেওয়ার কথাও বলা হয়।
অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণহত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের, আর একটা নির্বাচনের। তবে সময় যেনো অতি দীর্ঘ না হয়, আবার অতি সংক্ষিপ্ত না হয়। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণকে কোনো ব্যক্তিকে না, দলকে ভোট দিতে হবে।
আরও পড়ুন: যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
১ সপ্তাহ আগে
জাতীয় ঐক্যের ডাক জামায়াত আমিরের
ঐক্য ও ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়ে জাতিকে রাজনীতি ও ধর্মীয় বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) গাজীপুরের রাজবাড়ী ময়দানে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি একটি জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং ন্যায়ের জন্য যারা লড়াই করেছেন তাদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই।’
তিনি বলেন, ‘দল বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভেদ থাকা উচিত নয়। এখানে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। এই দেশে আমরা সবাই সমান।’
আরও পড়ুন: যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
তিনি বলেন, শহীদদের পরিবারকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিয়ে আচরণ করা উচিত। সরকারের কাছে প্রতিটি পরিবার থেকে কমপক্ষে একজন সদস্যকে সম্মানজনক চাকরি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি আন্দোলনের সময় যারা আহত হয়েছেন তাদের সহযোগিতা করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তারা যাতে অন্যের করুণার উপর নির্ভরশীল না হন তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
শফিকুর বলেন, 'আমরা জাতিকে আর বিভক্ত হতে দেব না। যারা আমাদের বিভক্ত করতে চায় তারাই দেশের শত্রু। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ভিত্তিতে আমাদের বিভক্ত করার আর কোনো সুযোগ থাকবে না।’
রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন বিচার বিভাগের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন বিচারক চাই, যিনি পক্ষপাতহীনভাবে ন্যায়বিচারকে সমুন্নত রাখতে পারবেন। ‘কোনো দুর্বৃত্ত যেন বিচারকের চেয়ারে বসতে না পারে। ন্যায়বিচার হোক আইন ও প্রমাণের ভিত্তিতে।’
তিনি শহিদদের স্বীকৃতি দিতে এবং তাদের গল্পগুলো শিক্ষাগত পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারে। তিনি বলেন, ‘শহীদরা জাতীয় সম্পদ এবং রাষ্ট্রকে অবশ্যই তাদের পরিবারের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে শফিকুর রহমান ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেন, 'আমরা সব বিভেদ দূরে সরিয়ে রেখেছি। এখন আমাদের কর্তব্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে দেশকে গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় জামায়াত কর্মী হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ সপ্তাহ আগে
ছাত্ররাজনীতির যৌক্তিক সংস্কার চাইলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাইনা, আমরা যোক্তিক সংস্কার চাই।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর শিক্ষা পল্লী পার্কের অডিটোরিয়ামে আঞ্চলিক একটি সাথী সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের জোড়ালো আবেদন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রণীত শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে খুব দ্রুত নতুন আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিবির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
তিনি ছাত্রশিবিরের প্রতিটি কর্মীকে পড়াশোনার পাশাপাশি সুন্দর রাষ্ট গঠনে নিজ নিজ স্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
কুষ্টিয়ার শহর শিবিরের সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মসজলিশে সূরা সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম এবং ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মো. সুহাইল।
এছাড়া কুষ্টিয়া জেলা শিবিরের সভাপতি ইমরান হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা, মেহেরপুর জেলা, ঝিনাইদহ জেলা ও শহর শাখার সভাপতিসহ শিবিরের প্রায় দেড় হাজার সাথী সম্মেলনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: একক কৃতিত্ব দাবি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করে: ঢাবি শিবির সেক্রেটারি
৩ সপ্তাহ আগে
গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। কেননা রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের আকাঙ্খাকে ধারণ করে, বাইরের কারও সাহায্য নিয়ে নয়।’
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক সোসাইটিতে খুলনা মহানগর জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
এছাড়াও বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা সদস্য হত্যাসহ দেশের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং এর মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান আমীর। তিনি বলেন, ‘বিচার না হলে আবারও জালিমদের আগমন হতে পারে, তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হতে পারে।’
শিক্ষা সংস্কার কমিশনে আল্লাহকে স্বীকার করেন না এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা সংস্কার কমিশনে কমপক্ষে একজন আলিয়া ও একজন কওমী নেসাবের আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জামায়াতের আমীর আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনামলে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিকই লুটপাট ও জুলুমের বাইরে ছিল না। হাজারো মানুষের, মা-বোনদের, শিশুর কান্নার রোল আল্লাহর আরশে পৌঁছে গেছে। যার ফলেই দেশের ছাত্র-জনতার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।’
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
৩ সপ্তাহ আগে