রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে গতকাল মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জোন ২-এর উপপরিচালক অতীশ চাকমা, তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নাজিমউদ্দিন সরকার, ঢাকা-২৩ অঞ্চলের গুদাম পরিদর্শক সোহরাব হোসেন ও ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রথমে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। পরে বাকি চার ইউনিটও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর একে একে ২০টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের চেষ্টায় ৫ ঘণ্টা পর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সে সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কড়াইল বস্তির আগুন নেভানোর সীমাবদ্ধতা প্রচুর। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সবগুলো আগুনের কাছাকাছি আসতে পারছে না। এই বিশাল এলাকায় পানির লাইন জোড়া দিয়ে আগুনের কাছে পৌঁছাতে হচ্ছে।’
পানির সংকট রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পানির কোনো সমস্যা নেই। চারপাশে অনেক পানি আছে। কিন্ত প্রক্রিয়া করণ করে সেই পানির ব্যবস্থা করতে সময় লাগছে। নানাবিধ সমস্যার কারণে এখানে ফায়ার সার্ভিসের আসতে ৩৫ মিনিট দেরি হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে আগুনে কতগুলো ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আগুন লাগার কারণ সম্পর্কেও তাৎক্ষণিকভাবে কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।