ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকাল পৌনে ৫টায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বলে এক বার্তায় জানানো হয়েছে।
সাম্য হত্যা মামলায় রবিবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা ডিবি। তাদের মধ্যে তিনজনকে পরদিন রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। ওই তিনজন হলেন—সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিন।
পুলিশ জানিয়েছে, সুজন সরকার নামে আরেক আসামিকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে। আর রিপন নামে গ্রেপ্তার আরেকজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত মোট আট আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, ১৩ মে রাতেই তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিককে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলনের বার্তায় ডিবির হাতে আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
নতুন করে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, সাম্য হত্যায় সব মিলিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথমে তিনজন এবং পরে ডিবির হাতে আটজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়।
এদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) সকালে উপাচার্য ভবনে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা: ঢাবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রতিবেদনটি উপাচার্যের হাতে জমা দেন। এ সময় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ‘উপাচার্য স্যার আজ (সোমবার) প্রতিবেদনটি রিসিভ করেছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’