লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর ইউনিয়নে সতী নদীতে বাঁশ এবং ড্রাম দিয়ে ৫০ ফুট দীর্ঘ ভাসমান সেতু নির্মাণ করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন শালমারা ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম আলী (৪৫)।

ইব্রাহিম আলীর এই উদ্যোগের কারণে শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ হাজার গ্রামবাসী এখন সেতুটি ব্যবহার করে নদী পার হতে পারছে।

আরও পড়ুন: খুলনায় ‘অপরিকল্পিত’ শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মরে যাচ্ছে শত শত গাছ

প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম আলী বলেন, নদীর ওপর কংক্রিটের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পরও যখন কেউ মেরামতের জন্য এগিয়ে আসেনি, তখন আমি শিক্ষার্থীসহ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য স্থানীয় দু-চারজন লোকের সহায়তায় নিজেই একটি ভাসমান বাঁশের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই। আর এই সেতু নির্মাণে ২০টি ড্রাম এবং শতাধিক বাঁশ ব্যবহার করেছি।

নওদাবাস দাখিল মাদরাসার সুপার মো. রুহুল আমিন বলেন, সেতুতে লাখেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। সতী নদীর ওপর কংক্রিটের সেতুটি এক বছর ধরে ভেঙে পড়ায় নদীর দুই পাড়ের গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কলেজ শিক্ষার্থী সজল বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর  স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতো। 

আরও পড়ুন: গণপরিবহন বন্ধ, খুলনাবাসী নগর পরিবহন ফেরার অপেক্ষায়

স্থানীয় বাসিন্দা মো আব্দুর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এক বুক পানি পেরিয়ে অনেক কষ্ট আর দুর্ভোগে নদী পারাপারা হয়েছি। ভাসমান সেতু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। এখন শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত এবং সহজে স্কুলে যেতে পারে।

আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা মো.আব্দুল আলীম বলেন, প্রায় মৃত সতী নদীর পানির স্তর বর্ষাকালে বৃদ্ধি পায়। এখানে একটি ব্রিজ ছিল যা উপজেলা বাস্তবায়ন অফিস করেছিল কিন্তু এক বছর আগে সেটি ভেঙে যায়।

সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে নতুন কংক্রিটের সেতু নির্মাণের দাবিও জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: জনবল সংকটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা বন্ধ

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আহমেদ জানান, সতি নদীর ওপর আগে একটি ব্রিজ ছিল সেটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকার মানুষ কষ্টে পারাপার করছেন। ইতোমধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।