মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় পুরোনো একটি সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে পাঁচ ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোলড়া গ্রামের শত শত মানুষ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যান অবরোধকারীরা।
অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোলড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের পুরনো একটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে তারাসিমা অ্যাপারেলস ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি কোম্পানি। প্রায় শত বছরের পুরোনো সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে।
এর জেরে সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে ধানকোড়া ইউনিয়নে তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের গেট-সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেয় গ্রামবাসী। এর মধ্যে দুই কোম্পানির প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও অবরোধকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনাও হয়েছে। তবে সুরাহা না হওয়ায় অবরোধ তুলে না নেওয়ার পক্ষে অনড় ছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘দুই কোম্পানির সুবিধার্থে’ সড়কে দেওয়াল, ক্ষোভে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
অবরোধকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের টাকা দিয়ে সড়কে রাতারাতি পাকা দেওয়াল তুলে দেয় কোম্পানিদুটির লোকজন। আজ (বুধবার) অবরোধ করলে কোম্পানির প্রতিনিধিরা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে কয়েক দফায় তাদের সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যতক্ষণ না সড়ক খুলে দেওয়া হবে, ততক্ষণ তারা মহাসড়ক ছাড়বেন না বলে জানান। তবে প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে এবং জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবেশেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।
গোলড়া গ্রামের কয়েকশ বাসিন্দা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকেল সাড়ে ৪টায় অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, বেলা সোয়া ১১টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গোলড়া গ্রামের মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নিলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।