������������������������
বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশেরভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত। আজকে সৌদি আরব ভিসা দিয়ে দিচ্ছে সহজেই। তারা আলোচনা করছে ভিসা ছাড়া কীভাবে পর্যটকদের বিনোদন দেওয়া যায়। এরা (সৌদি আরব) আমাদের চেয়ে অনেক রক্ষণশীল। আমরা অনেক এগিয়েছি স্বাধীনতার পরে। তাই এ বিষয়ে আমাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।
সেমিনারে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা আছে। আমাদের এখন দরকার বিদেশ পর্যটক আকর্ষন করা। আমাদের নতুন নতুন হোটেল হচ্ছে। এজন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দরকার। ভিসার ক্ষেত্রে আমাদের উদার হওয়ার দরকার।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে নেগেটিভ বিষয়গুলো গণমাধ্যমে সচেতন হতে হবে। যেন দেশ ভুক্তভোগী না হয়। মাস্টারপ্ল্যান প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
দেশে পর্যটকের অভাব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যটকের কোনো অভাব নাই। ধারণক্ষমতারও বেশি। এখন আমাদের দরকার বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করা।
তিনি বলেন, আমরাও অনুভব করি, আমাদের বিদেশি পর্যটক দরকার। আমাদের পর্যটন করপোরেশনের যে মোটেলগুলা ৫০ বছর আগে করা, আপনি চিন্তা করেন কতটুকু রুচিশীল এই সময়ে। কিন্তু, আমরা পরিচালনাও করেছি, সরকারকে কোটি, কোটি টাকা ট্যাক্স দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
পর্যটনের বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেক হোল্ডার বিবেচনা নিতে হবে
বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার ও বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেকহোল্ডার হিসেবে বিবেচনা করে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও পর্যটন বিকাশে যথাযথ অংশীদারত্বের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সেক্টরে নীতি নির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, গণমাধ্যম কর্মীদের ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে আহ্বান করেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও বাংলাদেশের পর্যটন এবং এভিয়েশন খাতের বিকাশে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মিডিয়ার গঠনমূলক ভূমিকা ছাড়া কোন দেশের পর্যটন বিকাশসম্ভব নয়। এর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পর্যায়ে থেকে গণমাধ্যমকে পর্যটনের স্টেকহোল্ডার হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমরা দেশ ব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পর্যটন এমন একটি বিষয়ে যা প্রচার করতে হয়, আর এজন্য মিডিয়ার ভূমিকা প্রয়োজন। আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মিডিয়ার সাথে গ্যাপ কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।
পর্যটন সচিব বলেন, আমরা সেন্ট মার্টিনকে প্লাস্টিক ফ্রি করবো। এজন্য মিডিয়া ভূমিকা প্রয়োজন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের পর্যটনের অনেক উপদান আছে। সরকারের নানা উদ্যোগ আছে, মিডিয়াও এগিয়ে আসছে। আমাদের আশে পাশের দেশ পর্যটনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ট্যুরিজম সেক্টর সেরকম প্রমোট হয়নি। আমাদের আরও করনীয় আছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, মালদ্বীপের কোনো কর্মকর্তা যখন অন্য দেশে যান তাদের একটা এজেন্ডা থাকবেই, সেটা হলো ট্যুরিজম। আমাদেরও এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে।
প্যাসেফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশনের (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি মেলায় অংশ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ নেপাল ও শ্রীলংকার মতো দেশ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট শিবলুল আজম কোরায়েশি বলেন, মিডিয়ার প্রচারের ফলে পর্যটনের নতুন নতুন গন্তব্য মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। শ্রীলংকা দেউলিয়া হলেও পর্যটনের প্রচারে পিছিয়ে নেই।
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার আরও বেগবান করতে হবে। প্রমোশনের অভাবে বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যের প্রচার হচ্ছে না। আমাদের পর্যটনার সম্ভবনা মিডিয়ার মাধ্যমে আরও বেশি প্রচার করতে হবে।
বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমাদের মিডিয়া পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমাদের দেশে নেগেটিভ নিউজ বেশি পছন্দ করে, একারণে কিছু খারাপ খবর বেশি আসে। আমাদের মিডিয়াকে পর্যটনের বিষয়ে আরও আন্তরিক হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের পর ফেরত নেওয়া যাবে পাসপোর্ট
র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের অভাবে এ বছর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্জন করতে পারেনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিটি ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালেয়র (বাকৃবি) ২২টি গবেষণা ও উদ্ভাবন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ অবস্থা মূলত বিগত বছরগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিক ফল।র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান পেতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পিএইচডি প্রোগামে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সম্মানজনক বৃত্তির ব্যবস্থা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সহযোগিতা বৃদ্ধি, সাইটেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলে দেওয়ার দাবি জানান।আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো ছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী মেধাবী ও তরুণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ পাচ্ছেন না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি পে-স্কেলে প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া, বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে তিনি নবীন শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য, গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং সেখানে ডিগ্রি শেষে থেকে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।
উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যাওয়ার কারণ প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পর্যাপ্ত সাইটেশন না করা। যথাযথ সাইটেশন করা হলে বাকৃবি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা এবং স্নাতকদের বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাদের ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্ৰহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া, সিটি ব্যাংকের সহায়তায় ২২টি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড় এলাকার মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর ও সিটি ব্যাংকের কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ গণি।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলমান বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন বাউরেসের সহযোগী অধ্যাপক চয়ন গোস্বামী।
আরও পড়ুন: ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তি জারি
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
রবি’র এলিট গ্রাহকদের জন্য ‘জাওয়ান’ এর বিশেষ প্রদর্শনী
রবি তার লয়ালিটি প্রোগ্রাম এলিট এর বিশেষ গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতার অঙ্গীকার হিসাবে বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘জাওয়ান’ এর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
রবির এলিট গ্রাহকরা বলিউড কাঁপানো ‘জাওয়ান’ সিনেমাটি ঢাকার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে দুটি এবং মিরপুরে স্টার সিনেপ্লেক্সে একটিসহ তিনটি বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপভোগ করেন। এছাড়া চট্টগ্রামে দুটি এবং রাজশাহীতেও একটি বিশেষ শো’র আয়োজন করা হয়েছে।
সুযোগটি রবি'র সকল ডায়মন্ড, প্লাটিনাম এবং নির্বাচিত এলিট গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
দক্ষিণ ভারতের পরিচালক অ্যাটলি কুমার পরিচালিত-‘জাওয়ান’সিনেমায় শাহরুখের বিপরীতে রয়েছেন দক্ষিণের তারকা নয়নতারা। অল্প কিছু দৃশ্যে রয়েছে শাহরুখের ‘পাঠান’–এর নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। দক্ষিণি সুপারস্টার বিজয় সেতুপতি ও অতিথি চরিত্রে রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
আরও পড়ুন: অনেকেই বলবেন নেত্রী সিনেমার গল্প 'জাওয়ান' থেকে নেওয়া: বর্ষা
বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এখন‘জওয়ান’ সিনেমাটি। বিশ্বজুড়ে ৭ সেপ্টেম্বর হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পায় সিনেমাটি। প্রথমবারের মতো ভারতের কোনো সিনেমা একই দিনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ায় উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে শাহরুখভক্তদের মধ্যে।
রবি'র হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেট কমিউনিকেশন, শামীম উজ জামান বলেন, ‘এই ইভেন্টের লক্ষ্য আমাদের গ্রাহকদের সাথে রবি'র সম্পর্ক জোরদার করা এবং আমাদের লয়ালটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। রবি আগামী দিনে আরও স্ক্রিনিং এবং এক্সক্লুসিভ ইভেন্ট হোস্ট করার পরিকল্পনা করেছে।’
রবি এলিট গ্রাহকদের জন্য সবসময় বিশেষ কিছু করার জন্য সচেষ্ট। রবি নিজেকে এমন একটি কোম্পানি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যা গ্রাহকের জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: জাওয়ান: বাদশাহ তার ‘মুকুট’ নিয়ে ফিরল
বাংলাদেশেও আজ মুক্তি পাচ্ছে 'জাওয়ান'
জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতাই নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে: মন্ত্রী
জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতাই নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজীকরণ প্রসঙ্গে বলেছেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নানাস্তরে জনগণের জন্য নানা ধরনের সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেবা প্রাপ্তি জনগণের অধিকার। সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কখনো কখনো জনগণ নানা রকম ভোগান্তির শিকার হয়। আমরা বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়নের কথা শুনি কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনা গেলে নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তি সহজ ও ভোগন্তিমুক্ত হয়।
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালনের অংশ হিসেবে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-এ স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন নিয়ে এক ছায়া সংসদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি বিতর্ক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। ‘স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করছে’- শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে নানা রকমের শাসনব্যবস্থা ছিল একসময়। কখনো রাজ ব্যবস্থা, কখনো জমিদার ব্যবস্থা কিংবা জোর করে দখলদারিত্বের মাধ্যমে পৃথিবী শাসিত হয়েছে। তবে বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা পার হয়ে আধুনিক বিশ্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ রায় দিয়েছে কারণ শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কোন দেশ ও জাতির উন্নয়ন দ্রুততর হয়।
ছায়া সংসদের সরকারি দল ও বিরোধীদলের বিতার্কিকদের যুক্তি তর্ক অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শুনে মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে এখানে নানা মত ও পথের মানুষ থাকবে। যুক্তির জয়ের মাধ্যমেই গণতন্ত্র তার পথ খুঁজে নেয়।তিনি উভয় পক্ষের বিতার্কিকদের সুন্দর যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলে, এ ধরনের চমৎকার একটি বিতর্কের পরিবেশে উপস্থিত হতে পেরে আমার নিজেরও খুব ভালো লেগেছে। আমি মনে করি উপস্থিত এই শিক্ষার্থীরাই একদিন যুক্তি নির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে পর্দার আড়ালে কোন রাজনৈতিক সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো আলোচনায় একটি বিষয়বস্তু বা ট্রামস অব রেফারেন্স নির্দিষ্ট করতে হয়। বাংলাদেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ভুলে যায়নি। সঠিক বিষয়বস্তু ঠিক করা গেলে তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে তবে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে নিজেদের বিশাল জনসংখ্যা থাকলেও, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকা এর বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যে তারা (রোহিঙ্গারা) তাদের নাগরিক, তাদের তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।’
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত কোভিড-১৯ এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের এই বোঝা প্রায় একাই বহন করতে হবে। কিন্তু তারপরও, আমরা তাদের সব ধরনের সাহায্য করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা চাই তারা তাদের দেশে ফিরে যাক। কারণ এখনও শিশুরা জন্মগ্রহণ করছে এবং বড় হচ্ছে। তারা এই ক্যাম্পে বেড়ে ওঠার জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পায় না। শুধু তাই নয়, তাদের অনেকেই মাদক ব্যবসা, অস্ত্র পাচার ও মানব পাচারের মতো বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের একটি ভবিষ্যত আছে। তাই যত তাড়াতাড়ি তারা তাদের দেশে ফিরে যেতে পারবে, তারা আরও ভালো জীবনযাপন করতে পারবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি, তাই আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি এবং আমরা তাদের জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে তারা মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, আপনাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, বিদেশে খালেদার চিকিৎসা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সেখানে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের যৌথ বাহিনী সেখানে টহল দিচ্ছে, পুলিশ, সেনাবাহিনী, অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সীমান্তরক্ষী সবাই সেখানে সক্রিয় রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরের উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছি। সেখানে যারা বসবাস করছেন তারা অনেক ভালো আছেন। সেখানে তারা তেমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন না। তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, জীবিকার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে, স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র সবই আছে।’
প্রধানমন্ত্রী এখন লন্ডনে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ১১টা ০৭ মিনিটে (লন্ডন সময়) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে: নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
ফ্লাইটটি ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে (ওয়াশিংটন সময়)লন্ডনের উদ্দেশে ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারের অর্জন নিয়ে ১১৩৭ ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগদানের পর ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হোটেল তাজের (বাসভবন) সামনে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য (ইউকে) শাখা।
কার্যালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, হোটেলে পৌঁছালে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ শরীফ এবং সৈয়দ শাজিদুর রহমান ফারুক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ার উজ জামান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, এমপি, আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন, হরমুজ আলী, নঈম উদ্দিন রিয়াজ, মারুফ চৌধুরী, আব্দুল আহাদ চৌধুরী খালেদা কোরেশী, শাহীন আক্তার প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৪২৫
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮৯ জনে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও দুই হাজার ৪২৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫১ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭৯৩
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯ হাজার ৯৫৯ জন রোগী। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৭৯ জন ঢাকায় এবং ৬ হাজার ৫৮০ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নে ১৫০০ মিলিয়ন ডলার দিলো জাপান
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। যেখানে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ৬৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। জাপান প্রকল্পটির জন্য আরও ১৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এ লক্ষ্যে ৪৪তম জাপানি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ প্যাকেজের (২য় ব্যাচ) অধীনে মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৭ম ধাপের জন্য নোট বিনিময় ও 'ঋণ চুক্তি' সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান বাংলাদেশের পক্ষে ‘এক্সচেঞ্জ অব নোট’ এবং ‘লোন এগ্রিমেন্টে’ সই করেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ‘এক্সচেঞ্জ অব নোটস’ সই করেছেন এবং জাপানের পক্ষে ‘ঋণ চুক্তি’ সই করেছেন জাইকা বাংলাদেশ অফিস, ঢাকা-এর প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরের ইআরডি’র এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে চুক্তি সই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই জাপানি ওডিএ ঋণের অধীনে, জাপান সরকার প্রকল্পের জন্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (জেপিওয়াই) বা প্রায় ১৫০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।
এই ঋণের সুদের হার হবে নির্মাণের জন্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ, পরামর্শ পরিষেবার জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ, একটি ফ্রন্ট-এন্ড ফি (এককালীন) শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং ৩০ বছরের ঋণ পরিশোধের সময়কাল, যার মধ্যে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানের নিরাপত্তা সহায়তা প্রাপ্ত প্রথম ৪ দেশে থাকছে বাংলাদেশ
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০মেগাওয়াটx ২ ইউনিট) আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা-চালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এবং স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতির জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে জিওবি ৬ হাজার ৪০৬ হাজার ১৬ কোটি টাকা, জাইকা ৪৩ হাজার ৯২১ দশমিক ০৩ কোটি টাকা এবং সিপিজিসিবিএল ১ হাজার ৫২৭ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত সহায়তা দিয়ে আসছে।
ওডিএ প্রতিশ্রুতি এখন পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
জাপানি ঋণ ও অনুদান বিদ্যুৎ, সড়ক, সেতু, টেলিযোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবেশ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদির মতো বিস্তৃত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাপানি সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: দেশের বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ৪৪তম ওডিএ ইয়েন ঋণচুক্তি সই
ভিসা নীতি নিয়ে এডিটরস কাউন্সিলের উদ্বেগ, ব্যাখ্যা দিলেন রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসা নীতিমালা প্রয়োগের বিষয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্পাদক পরিষদের এক চিঠির জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং 'সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের মত প্রকাশের অধিকার' রক্ষায় তার সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনো সরকারের সমালোচনামূলক মতামত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আমরা আমাদের নীতির যে কোনও বিষয়ে জনসাধারণের স্বার্থের প্রতিফলনকে স্বাগত জানাই।’
সম্প্রতি চ্যানেল টুয়েন্টিফোরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিমালার আওতায় গণমাধ্যমও আসতে পারে বলে রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে এডিটরস কাউন্সিল, বাংলাদেশের সভাপতি মাহফুজ আনামের চিঠির জবাবে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বেসরকারি টিভি চ্যানেল২৪ -এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিটার হাস বলেন, ‘আমরা নীতিটি যে কারো বিরুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি। তারা হোক সরকারপন্থী, বিরোধী দলে থাকুক না কেন, বা তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যই হোক না কেন, এমনকি তারা বিচার বিভাগে থাকুক বা গণমাধ্যমে থাকুক।’
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
চলতি বছরের ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে এবং ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করে যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর পিটার হাসকে লেখা চিঠিতে মাহফুজ আনাম বলেন, গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উপরোক্ত মন্তব্যে বিষয়ে তার মনে এবং সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের মনে কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ায় তিনি চিঠি লিখছেন।
ই-মেইলে আনাম লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে কী, এই মন্তব্য আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে, আমাদের অনুরোধ থাকবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার।’
তিনি বলেন, যেহেতু মার্কিন সরকার এবং রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে সবসময় স্বাধীন ও স্বাধীন গণমাধ্যমের অবিচল সমর্থক, তাই এই মন্তব্য তাদের বিচলিত করেছে।
ভিসা বিধিনিষেধ ‘তাদের কর্ম ছাড়া অন্য কিছুর উপর ভিত্তি করে নয়,’ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে আনাম বলেন, গণমাধ্যমের ‘কাজ’ লেখা বা সম্প্রচার করা। তিনি জানতে চেয়েছেন যে একজন সাংবাদিক যা লেখেন বা সম্প্রচার করেন তার উপর ভিত্তি করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা হবে কিনা।
যদি তাই হয়, তাহলে এটা কি 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা' এবং 'সংবাদপত্রের স্বাধীনতা'র আওতায় পড়ে না?গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে এটি কীভাবে ব্যবহার করা হবে? কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে?’- চিঠিতে জানতে চেয়েছেন আনাম।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস
আনাম আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য সবসময় অনুপ্রেরণা ও অনুকরণের উৎস হিসেবে কাজ করেছে। সেক্ষেত্রে ভিসা নীতি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলে প্রথম সংশোধনীর মূল্যবোধ কীভাবে প্রতিফলিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জবাবে পিটার হাস লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে এবং তাদের জন্য মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের।
হাস বলেন, 'গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেককে নিজ নিজ ভূমিকা পালনের সুযোগ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের বক্তব্য স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস আরও বলেন, এর মধ্যে যারা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রকাশ থেকে বিরত রাখতে পদক্ষেপ নেয় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইডিইবি) ভবনে আইডিইবির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের দুই দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। কিন্তু তার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত করে বাড়িতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তার সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ভাই তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করলেও কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এর পরে, আমরা যদি কিছু করতে চাই তবে আমাদের আইন অনুসরণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা রাস্তায় চারটি দেশের মিশনে বিশেষ নিরাপত্তা দিচ্ছিলাম। তাদের (মার্কিন) দূতাবাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। মার্কিন দূতাবাসে সর্বাধিক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই চার দেশের রাষ্ট্রদূতরা যখন বাইরে যেতেন, আমরা কিছু মন্ত্রীদের মতো তাদের গাড়ির সামনে ও পেছনে পুলিশি নিরাপত্তা দিতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা সেবার জন্য পুলিশের পরিবর্তে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট নিয়োগ করেছি। তারা (আনসার) যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম ও উচ্চমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।’
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল