বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এমন সংবর্ধনা দেওয়া হবে, যা অতীতে কোনো নেতা এই দেশে পাননি।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে, আমাদের আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পরে আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন। এটা আমাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণার বিষয়।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা ২৫ তারিখে তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যেটা অতীতে কখনো কোনো নেতা বাংলাদেশে পায়নি। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, ইনশাল্লাহ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এত উদ্বেগের মধ্যে এই সংবাদে অনুপ্রাণিত হয়েছি। একদিকে আমাদের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। অন্যদিকে এক অনিশ্চয়তা, তার মধ্যে আমাদের সেই নিশ্চয়তার (তারেক রহমান) আলো যিনি আমাদের দেখাচ্ছেন, আমাদের যিনি সামনে পথ দেখাচ্ছেন, সেই নেতা আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন ২৫ তারিখে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, জকে বাংলাদেশের মানুষকে ভাবতে হবে, তারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকবে নাকি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির পক্ষে থাকবে। আমি মনে করি, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দুইটা শক্তি আছে। একটা উদার গণতন্ত্রপন্থি শক্তি। আরেকটা পিছিয়ে পড়া শক্তি। যারা ধর্মের নামে দেশকে বিভক্ত করতে চায়, সেই শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যেভাবে উঠেছিল ১৯৭১ সালে। তারা এখন এমনভাব দেখাচ্ছে যে, তারা নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন ফ্যাসিস্ট আবার জাগতে আমরা দিতে পারি না। পিছিয়ে পড়তে দিতে পারি না। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নুনহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।