ভারতের স্থল শুল্ককেন্দ্রের (এলসিএস) মাধ্যমে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যাহত হতে পারে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভারতের স্থল শুল্ককেন্দ্রের (এলসিএস) মাধ্যমে বন্দর কিংবা বিমানবন্দরে কন্টেইনার কিংবা আবদ্ধ-ট্রাকে করে বাংলাদেশের রফতানি পণ্য তৃতীয় কোনো দেশে ট্রান্সশিপমেন্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।
যেসব রফতানি কার্গো এরইমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে, বিদ্যমান প্রক্রিয়াগুলো অবলম্বন করে সেগুলো বেরিয়ে যেতে পারবে। তবে এখন থেকে ভারতীয় বন্দর কিংবা বিমানবন্দরে এমন কোনো বাংলাদেশি রফতানি পণ্য ঢুকতে পারবে না।
এরআগে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি সহজ করতে ২০২০ সালের ২৯ জুন এক আদেশে বাংলাদেশকে এই অনুমোদন দিয়েছিল ভারত সরকার।
যদিও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধায় এগিয়ে থাকতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন ভারতীয় তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারকরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত তৈরি পোশাক, পাদুকা, রত্ন ও গহনাসহ ভারতীয় রফতানিখাতকগুলোর জন্য সহায়ক হবে। ভারতীয় বস্ত্রখাতের একটি বড় প্রতিযোগী হচ্ছে বাংলাদেশ।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের (এফআইইও) মহাপরিচালক অজয় সাহাই বলেন, ‘এখন থেকে আমাদের কার্গোর জন্য বিমানে অনেক জায়গা পাওয়া যাবে। এরআগে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপম্যান্ট সুবিধার কারণে কম জায়গা পাওয়ার অভিযোগ করেন আমাদের রফতানিকারকরা।’
বাংলাদেশের পণ্য নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির সময় ভারতের ভূখণ্ড পাড়ি দিতে হয়। সেক্ষেত্রে একটি দেশের পণ্যবাহী যানবাহন প্রতিবেশী দেশের সীমান্তবর্তী বন্দরে গিয়ে মালামাল সেই দেশের যানবাহনে তুলে দিয়ে আসবে। ট্রান্সশিপমেন্ট স্থল বন্দর দিয়েও করা যায় এবং এতে অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায়।