বাতিল
আমানতের ন্যূনতম সুদের হার বাতিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
আমানতের জন্য আরোপিত ন্যূনতম সুদের হার বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে ব্যাংকগুলো তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুদের হার নির্ধারণ করতে পারবে এবং সে অনুযায়ী আমানত সংগ্রহ করতে পারবে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক সার্কুলারের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে আজ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমানতের ন্যূনতম সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার মুদ্রাস্ফীতির নিচে না রাখার নির্দেশনা দেয়।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক ব্যবস্থার বিকাশ বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি ও সুযোগ নিয়ে আসে: অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন
সে সময় ঋণ বিতরণে সর্বোচ্চ সুদের হার ছিল ৯ শতাংশ। কিন্তু এখন ঋণের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সীমা নেই। চলতি বছরের জুলাই মাসে ঋণের জন্য বাজারভিত্তিক সুদের হার ব্যবস্থা চালু করা হয়।
ফলে, আমানতের উপর ন্যূনতম সুদের হারেরও প্রয়োজন নেই। এ কারণে ২০২১ সালের ৮ আগস্টের নির্দেশনা বাতিল করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকে আমানত কমেছে ২২.৫৬ শতাংশ: বাংলাদেশ ব্যাংক
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৩৩৮ প্রার্থীর আপিল: ইসি
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন ১৫৫ জন প্রার্থী।
১৫৫ জন নতুন আবেদনকারীসহ গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে ইসি আবেদন গ্রহণ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩৮ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
আগামী শুক্র ও শনিবারও আপিল গ্রহণ করবে ইসি।
১৫৫টি আবেদনের মধ্যে সাতটির আপিল গ্রহণ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ৪২টি এবং বুধবার ১৪১টি আপিল পেয়েছে ইসি।
পূর্ণাঙ্গ কমিশন ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিলের শুনানি করবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নওগাঁয় ২ প্রার্থীকে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশের ৩০০টি আসনে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও ৭৩১টি বাতিল করেছেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেশের ৩০০টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মোট ১৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং ৭৩১টি বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাদেশে দাখিলকৃত ২৭১৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে মোট ১৯৮৫টি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৭৩১টি বাতিল করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মাহবুবর রহমান বলেন, ৭৩১টি মনোনয়নপত্রের অধিকাংশই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছে- স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে অমিল, ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
আরও পড়ুন: নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার থেকে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণের জন্য শহরের নির্বাচন ভবনে ১০টি বুথ স্থাপন করেছে।
৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করা হবে।
আপিলগুলো ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা হবে। ইসি দিনে প্রায় ১০০টি আপিল শুনবে এবং নিষ্পত্তি করবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং রিটার্নিং অফিসাররা ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বিতরণ করবেন।
প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে) নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন। যা কোনো বিরতি ছাড়াই ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
মানিকগঞ্জে জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
মানিকগঞ্জে জাতীয় পার্টির (জাপা) সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আক্তার এ সিদ্ধান্ত জানান।
এছাড়া ঋণ খেলাপির দায়ে দুইজন এবং গ্যাস বিল বকেয়ার কারণে একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গণ্য হয়নি।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
ঋণ খেলাপীর দায়ে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে-
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার এস এম আব্দুল মান্নান এবং মানিকগঞ্জ-১ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জহিরুল আলম রুবেলর।
অন্যদিকে, মানিকগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসান সাঈদের মনোনয়ন বাড়ির গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় বাতিল হয়েছে।
এছাড়া, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আফজালের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ২১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাকি ১২ জনের মনোনয়নপত্র বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়েছে।
যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রবিবার সব প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই বৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আক্তার জানান, যাদেরটা বাতিল হয়েছে তারা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন।
ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-১ আসনে ১০জনের মধ্যে ছয়জনের বাতিল হয়েছে।
বৈধ হয়েছে চারজনেরটা। এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন —
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ, জেলা জাসদের সভাপতি ও ঘিওর উপজেলা পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন খান জকি এবং জাকের পার্টির দ্বীন মোহাম্মদ খান।
মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে —
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলী বেপারী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল ও হাসান সাঈদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আফজাল, গণফ্রন্টের মোহাম্মদ শাহজাহান খান ও বিএনএম'র মোনায়েম খান।
সিংগাইর, হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসনে ১৪জনের মধ্যে ১০জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে চারজনেরটা।
এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন —
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, টানা তিনবারের সংসদ সদস্য, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, স্বতন্ত্র প্রার্থী-আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, সিংগাইর উপজেলা পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা মুশফিকুর রহমান খাঁন হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ আসিফ, জাসদের রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, বিএনএম'র এ কে এম ইকবাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এ কে নাহিদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের তানভীন রহমান ও বাংলাদেশ কংগ্রেস'র প্রার্থী জাকির হোসেন।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন—
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার আলম বাবু, স্বতন্ত্র প্রার্থী- স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা, সাটুরিয়া উপজেলা ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৯জন।
এরমধ্যে বাতিল হয়েছে দুইজনেরটা। আর বৈধ হয়েছে ৭ জনেরটা।
এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন —
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, টানা তিনবারের সংসদ সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, এই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম খান কামাল, জাকের পার্টির দ্বীন মোহাম্মদ খান, জাসদের সৈয়দ সারোয়ার আলম চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি'র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, কৃষক-শ্রমিক- জনতা লীগের প্রার্থী এম হাবিব উল্লাহ, বিএনএম'র প্রার্থী খালেক দেওয়ান।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন—
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জহিরুল আলম রুবেল ও বাংলাদেশ কংগ্রেস'র প্রার্থী সাবিনা বেগম।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ঋণ খেলাপির দায়ে নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল
সাংবাদিক লাঞ্ছনা: মোস্তাফিজুরের মনোনয়ন বাতিল দাবি বিএফইউজে-সিইউজের
মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল
ঋণখেলাপি হিসেবে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (বিডিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুজাফর রিপন জানান, তিনি এ আসনের বর্তমান এমপি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তালিকায় তার নাম ঋণ খেলাপি হিসেবে পাওয়া গেছে।
তবে মাহীর পক্ষে গাজী শহীদুল্লাহ ঝিলু বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা।
এদিকে, এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবিরসহ আরও দুইজনের মনোনয়নপত্রও বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়েছে।
এ আসন থেকে মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অন্তরা সেলিমা হুদাসহ ছয়জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মনোনয়ন যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
যাচাই বাছাইয়ে বিভিন্ন ত্রুটি জনিত কারণে জেলার ১১টি আসনে ২৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলার ১১টি আসনে ১০৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। ময়মনসিংহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমেদ খান, ময়মনসিংহ-২ (তারাকান্দা-ফুলপুর) আসনে আবু বকর সিদ্দিক।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ একেএম আব্দুর রফিক, মোশাররফ হোসেন আজাদ।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ, কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, ফয়জুর রহমান।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে রওশনপন্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান আকন্দ, জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিমা বেগম।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি হাবিবুর রহমান খান, বাবুল আহেম্মেদ, আবুল মনসুর ফকির, মুক্তিজোটের প্রার্থী বাদশা দেওয়ান।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কানিজ ফাতেমা, এ কে এম ওয়াহিদুজ্জান ও খিজির হায়াত খান। ময়মনসিংহ-
০ (গফরগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কায়সার আহমেদ ও আবুল হোসেন।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ ওয়াহেদ, সুপ্রিম পার্টি এবিএম জিয়া উদ্দিন বাসার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কায়কোবাদ আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র (জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি) হাজী আব্দুর রহমান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
দিনাজপুরের ছয়টি আসনে দাখিল করা ৩৪ জনের বাছাইয়ে তথ্যে গড়মিলের কারণে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
মনোনয়নপত্র বাতিলের মধ্যে রয়েছেন—
দিনাজপুর ১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) এ আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হোসাইন বিপু, দিনাজপুর সদর ৩ এ যুবলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদ পারভেজ, দিনাজপুর ৫ (পাবর্তীপুর- ফুলবাড়ী) এ স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হক এবং দিনাজপুর ৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর) এ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ ফিরোজের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তবে বাতিলের বিষয়ে ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিলের বিষয়ে আপত্তি জানাতে পারবেন প্রার্থীরা।
রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রার্থী এবং প্রতিনিধির উপস্হিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন রিটানিং অফিসার।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের সর্বশেষ সময় অতিক্রমের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথমদিনে খুলনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় অবরোধের প্রথম দিনে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি, নগরীতে স্বাভাবিক
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনকারী ভোটারদের সই জাল করা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকা, হলফনামায় সই না থাকা এবং ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন— খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা, আতিকুর রহমান, রেজভী আলম, এইচ এম রওশন জামির ও মোত্তজা রশিদী দারা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল ও জাতীয় পার্টির শাহীদ আলম।
খুলনা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাজী মোস্তফা কামাল, অহিদুজ্জামান মোড়ল, জি এম মাহবুবুল আলম ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, রবিবার খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। এই তিনটি আসনে ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের বাতিল, একজনের অপেক্ষমাণ এবং ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার খুলনা- ১, ২ ও ৩ নম্বর আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে নকশীকাথাঁ কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু আজ
একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
একাধিক ত্রুটির কারণে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে জমা দেওয়া ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
হলফনামায় সই না করা, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা এবং সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসার ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
এছাড়া, জেলার চারটি আসনে আরও ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিভিন্ন ত্রুটির কারণে বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘প্রতি বছর আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়, তাতে কিছু আসে যায় না।’
এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম
হিরো আলম ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তবে ভোটের মাঝপথে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
বগুড়া-৪ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনে জেলার সাতটি আসনের মধ্যে চারটির মনোনয়নপত্র নির্বাচন করা হয়েছে।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, সোমবার বাকি তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করতে চাইলে আগামী ৫-৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গেছে: হিরো আলম
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিসহ ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আওয়ামী লীগের চার বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
তারা হলেন- চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আখতার, গোলাম রাব্বানী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মীনী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া।
এ ছাড়াও সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মা হচ্ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, বিএনএফ দলের প্রার্থী আল-সাআদ, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জামাল খান দুদু, এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী বশির আহমেদ, জাতীয় পার্টি থেকে শামসুদ্দীন মন্ডল ও বিএনএমের প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবু।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, রাজশাহী-১ আসনে মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
রিটার্নিং অফিসার শামীম আহমেদ জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এক শতাংশ ভোটারের সইসহ তালিকা জমা দিতে হয়। এর মধ্যে চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া তিনটি ভোটারের নমুনা পাওয়া যায়নি। আর একজন ভোটার নয়।
অপরদিকে, শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়ার দেওয়া সইয়ের সাতটি ভোটারের তথ্য পাওয়া যায়নি। গোলাম রাব্বানীর দেওয়া তিনজন ভোটারের ঠিকানা এবং আকখতারুজ্জামান আখতারের নয়জন ভোটোরের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ৩৫ দিন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি: নুসরাত ফারিয়া
'হেই সামালো' দিয়ে শেষ হলো কোক স্টুডিও বাংলা সিজন ১