কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীর ওপর ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই পাড়ের অন্তত আট গ্রামের মানুষ। প্রায় এক মাস ধরে কেউ এক বুক পানি মাড়িয়ে, কেউবা সাঁতরে নদী পার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু, নারী ও শিক্ষার্থীরা। এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে ভাঙা সাঁকোটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ীর বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীর নবিউলের ঘাট বা আমিন মেম্বারের ঘাট এলাকায় ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটির দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট দীর্ঘ অংশ ভেঙে পড়েছে। ফলে দুপাড়ের বাসিন্দাদের কেউ কেউ এক বুক পানি পাড়ি দিয়ে হেঁটে পার হচ্ছেন, অনেককে আবার সাঁতরিয়েও নদী পারাপার হতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বারোমাসিয়া নদীটি তারা পাড়ি দিয়ে আসছিলেন ছোট ছোট ডিঙি ও মাঝারি নৌকা দিয়ে। সেই সময় থেকে করিমের, নবিউলের এবং সর্বশেষ আমিন মেম্বারের ঘাট ইজারাদারের মাধ্যমে পারাপার হতো দুপাড়ের মানুষ। পরবর্তীতে নদীর আকার ছোট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ধরে ওই সাঁকোটিই ছিল তাদের পারাপারের একমাত্র উপায়।
তবে বর্ষাকালে নদীর স্রোতের কথা মাথায় রেখে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই সাঁকোটির মেরামত করা হয়ে থাকে। এ বছরও সেই প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু মাসখানেক আগে তীব্র স্রোতের কারণে সাঁকোর নিচে জমে থাকা কচুরিপানার চাপে সেটি ভেঙে পড়ে।
তারপর থেকে চরম বিপাকে পড়েছেন নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী, চরগোরকমন্ডল, ঝাঁউকুটি, পশ্চিম ফুলমতি ও নাওডাঙ্গা; শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের হকবাজার এবং পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাহাট ইউনিয়নের চরখারুয়া ও খারুয়াসহ ৮ গ্রামের হাজারো মানুষ।
আরও পড়ুন: পুকুরে যেতে কৃষকের সর্বনাশ করে রাস্তা বানালেন মেম্বার