সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আহমদিয়া(কাদিয়ানি) সম্প্রদায়কে ‘অমুসলিম’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে ৫ মার্চ একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম।
জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেখানে ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। এদেশে কাদিয়ানী (আহমাদিয়া) সম্প্রদায় ইসলামের বিরুদ্ধে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ইসলামপ্রেমী জনগণ এটা কখনোই মেনে নেবে না। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সরকারের উচিত জনগণের মতামতের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাদিয়ানি সংকট স্থায়ীভাবে সমাধান করা এবং কাদিয়ানিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।’
শুক্রবার, একটি আহমদিয়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল পঞ্চগড়ের আহমদনগর এলাকার দিকে অগ্রসর হয়। খবরে বলা হয়, পুলিশ চৌরঙ্গী মোড়ে মিছিলটি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে লোকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিছিল বের করার সময় জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং পুলিশ সদস্যসহ বহু লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে সহিংসতা কভার করা কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন। পঞ্চগড় শহরের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সহিংসতার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক।
বিক্ষুব্ধ জনতা আহমেদনগরে অবস্থিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ২০টি বাড়িও লুট করে।
দ্য ডেইলি স্টারে আজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় জেলার আহমদিয়া সম্প্রদায় আরও হামলার আশঙ্কায় দিনযাপন করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রদায়ের অনেক সদস্য, বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
এদিকে, শুক্রবারের সহিংসতার পর থেকে, বাশেরকেল্লার যাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট থেকে - ‘জামায়াতের মুখপত্র’ হিসাবে পরিচিত - হ্যাশট্যাগে ‘পুলিশের বর্বরতা’ এবং ‘কাদিয়ানি (আহমাদিয়া) বয়কট করুন’ সহ একাধিক টুইট পোস্ট করা হয়েছে।
সম্প্রদায়ের সদস্যরা এটিকে আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে একটি ‘ঘৃণাত্মক প্রচারণা’ বলে অভিহিত করছেন।