মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সৌদি প্রবাসী সৈকত মাহমুদ ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয়। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সৈকত মাহমুদ উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে কাদের বেপারীর সঙ্গে সৈকত মাহমুদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৈকত মাহমুদ গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতালে, পরে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহত সৈকত মাহমুদের বড় ভাই জহিরুল হক জহির বলেন, আমার ভাই মাত্র ২০দিন আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে বাড়ি আসে। কাদের বেপারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ট্রাকচাপায় প্রবাসী যুবকের মৃত্যু
চিত্রকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল হুদা বাবুল বলেন, তাদের উভয় পক্ষের বাড়ি একই গ্রামে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা নিহতের বড় ভাই জহিরুল হক জহির বাদী হয়ে রবিবার রাতে কাদের বেপারীকে ১ নম্বর আসামি করে আরও পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।