ফুটবল
হাতুড়ি নিয়ে ফুটবল মাঠে শিক্ষার্থী, ম্যাচ স্থগিত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফুটবল খেলা শুরুর আগে কিছু ছাত্র বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রকাশ্যে হাতুড়ি দেখানোয় খেলা স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে ফুটবল সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে খেলা স্থগিত করার কথা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী।
দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন ৫২তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ফুটবল খেলার সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল। সকাল ১০টায় উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের রিফাইতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, খেলা শুরু হওয়ার আগে কিছু ছাত্র হাতুড়ি নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়ে। তারা প্রকাশ্যে হাতুড়ি দেখানোয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনও খেলা বন্ধের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউল ইসলাম বলেন, ‘খেলার আগে আমাদের এক ছাত্রের কাছে হাতুড়ি পাওয়া গেছে— এটা আমরা স্বীকার করছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, ‘হাতুড়ি আনার অভিযোগ পাওয়ার পর ইউএনও স্যার খেলা স্থগিত ঘোষণা করেন। আলোচনার মাধ্যমে পরে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে খেলা অনুষ্ঠিত হবে।’
এ বিষয়ে ইউএনও আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘খেলা শুরু হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা হাতুড়ি প্রদর্শন করছিল। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আগেই আমরা খেলা স্থগিত করেছি।’
৭৩ দিন আগে
নিকো, লুইসকে না পেয়ে র্যাশফোর্ডকে দলে টানছে বার্সেলোনা
নিকো উইলিয়ামসকে নিয়ে কম নাটক হয়নি। কিন্তু শেষমেষ তাকে না পেয়ে লুইস দিয়াসকে দলে টানতে মরিয়া হয়েছিলেন বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর দেকো। তার মধ্যেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে মার্কাস র্যাশফোর্ডকে দলে ভেড়ানোর খবর চাউর হয়েছে।
ইংলিশ ফুটবলের দলবদল-সংক্রান্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টাইন জানিয়েছেন, এক মৌসুমের জন্য র্যাশফোর্ডকে ধারে পেতে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে প্রস্তাব দিয়েছিল বার্সেলোনা। রুবেন আমোরিমের দলে ব্রাত্য এই উইঙ্গারের জন্য প্রস্তাবটি প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করেছে ইউনাইটেড। আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে, এখন কয়েকটি বিষয় সমাধানে শেষ মুহূর্তের আলোচনা চলছে।
বার্সেলোনায় এলে র্যাশফোর্ডের বেতনের পুরোটাই বহন করবে বার্সেলোনা। সেইসঙ্গে আগামী মৌসুমে যদি তাকে স্থায়ীভাবে কিনে রেখে দিতে চায়, তবে ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর মতো গুনতে হতে পারে ক্লাবটিকে। অন্তত বার্সেলোনার সংবাদ কভার করা ইতালিয়ান সাংবাদিক মাত্তেও মোরেত্তো তেমনই বলেছেন।
এদিকে, ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানোও ‘হেয়ার উই গো’ বলে র্যাশফোর্ড-বার্সা দলবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনাসহ ৫ ইউরোপীয় ক্লাবকে বড় অঙ্কের জরিমানা
রোমানো জানিয়েছেন, আজ রবিবার অথবা আগামীকালই ইংল্যান্ড থেকে কাতালুনিয়ায় পৌঁছাবেন ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এরপর শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আগামী সপ্তাহ, অর্থাৎ সোমবার থেকে যেকোনো দিন তার দলবদলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বার্সেলোনা।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাতালান ক্লাবটির প্রাক-মৌসুম সফরেও সঙ্গী হবেন র্যাশফোর্ড।
এদিকে, আর্থিক জটিলতার কারণে এখনও ১:১ নিয়মে ফিরতে পারেনি বার্সেলোনা। কয়েকদিন আগে এস্পানিওল থেকে দলে ভেড়ানো তরুণ গোলরক্ষক জোয়ান গার্সিয়ারই এখনও লা লিগায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেনি ক্লাবটি। ফলে র্যাশফোর্ডের নিবন্ধনেও সময় লাগবে। তবে বার্সেলোনায় খেলতে সমস্ত অনিশ্চয়তা দূরে ঠেলে প্রস্তাব আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যান তিনি।
এর আগে গত মৌসুমের জানুয়ারির দলবদলের সময়ও বার্সেলোনায় আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন র্যাশফোর্ড। সে সময় নিজের প্রতিনিধিকে দিয়ে ক্লাবটির কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে তখন শেষ পর্যন্ত তাকে দলে টানেনি কাতালানরা।
এরপর মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য ধারে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলায় যান তিনি। সেখানে ঘরোয়া ও ইউরোপা লিগে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রাখেন র্যাশফোর্ড। সেইসঙ্গে ১৭ ম্যাচে ১০ গোলে অবদান রাখেন (৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট)।
তবে এপ্রিল মাসে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় আগেভাগেই তার মৌসুম শেষ হয়ে যায়। শেষ চার ম্যাচে ভিলানদের হয়ে খেলতে পারেননি তিনি। এমনকি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জন্য অ্যান্ডোরা ও সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য থমাস টুখেলের ঘোষিত স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি তার।
ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ আয়ের খেলোয়াড়দের একজন র্যাশফোর্ড। তার সাপ্তাহিক বেতন ৩ লাখ ৮০ হাজার ইউরোরও বেশি। এই বেতনের তিন-চতুর্থাংশ পরিশোধ করে ভিলা। এর পাশাপাশি পারফরম্যান্সভিত্তিক বোনাসও দিয়েছে ক্লাবটি।
এ বছরের শুরুতে বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেছিলেন, তিনি লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার পাশাপাশি উইংয়ে আরও খেলোয়াড় চান। বিকল্প না থাকায় মৌসুমের শেষভাগে এসে খানিকটা ভুগতেও হয়েছে দলটিকে।
আরও পড়ুন: নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার
এরপর মৌসুম শেষ হলে আথলেতিক বিলবাউয়ের তরুণ প্রতিভা নিকো উইলিয়ামসের প্রসঙ্গটি আরও একবার সামনে আসে। কিন্তু শুরুতে বার্সেলোনা সাফ জানিয়ে দেয়, নিকোর জন্য অপেক্ষা করে গত বছরই ছেড়ে গেছে বার্সেলোনার ট্রেন।
তবে নিজেই এবার প্রতিনিধিকে দিয়ে বার্সায় খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন নিকো। সেইসঙ্গে ব্লাউগ্রানা জার্সি পরতে প্রয়োজনে গতবার বার্সেলোনার প্রস্তাবিত বেতনের চেয়েও কম নিতে রাজি বলে জানান তিনি। এমনকি বায়ার্ন মিউনিখ তাকে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি বেতনের প্রস্তাব দিলেও বার্সেলোনায় খেলার আগ্রহ থেকে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
বাঁ উইংয়ে তার শক্তি ও তীব্র আগ্রহ বিবেচনায় আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে নড়েচড়ে বসে বার্সা কর্তৃপক্ষ। নিকোর রিলিজ ক্লসের ৬০ মিলিয়ন ইউরো জোগাড়ও শুরু করে তারা। শেষ পর্যন্ত যখন বিলবাউয়ের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে, তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নেন তিনি।
পরে অবশ্য জানা যায়, বিলবাউকে ট্রান্সফারের অর্থ পরিশোধ করলেও নিজের নিবন্ধনের বিষয়টি নিয়ে লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন নিকো। কিন্তু বার্সেলোনা তা দিতে অস্বীকৃতি জানালেও তিনি মৌসুমের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে খেলবেন বলে মৌখিক নিশ্চয়তা দিয়েছিল। তবে তাতে আশ্বস্ত হতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, নিজের বড় ভাই ইনিয়াকি উইলিয়ামস এবং ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে বারবার নতুন চুক্তিতে সই করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল।
নিকোর সঙ্গে হওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতার পর নিজের প্রথম পছন্দ লিভারপুলের কলম্বিয়ান তারকা লুইস দিয়াসের দিকে দৃষ্টি দেন দেকো। তার জন্য উঠেপড়ে লাগে বায়ার্নও। কিন্তু দুই ক্লাবের প্রাথমিক প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করে লিভারপুল। এরপর কয়েক দফায় বায়ার্ন অর্থের পরিমাণ বাড়ালেও তাতে এখনও রাজি হয়নি ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এই অবস্থা এবং নিজেদের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দিয়াসের দিক থেকে মুখ ফেরায় বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ম্লান করে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও জিতল বার্সেলোনা
শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে নাকি ৬০ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। তবে স্বাভাবিকভাবেই ৯০ মিলিয়ন ইউরো চাওয়া লিভারপুলের কাছে সেটি পাত্তা পায়নি। তাই দীর্ঘদিন ধরে নিজের স্বপ্নের ক্লাবে খেলতে চাওয়া ইংলিশ প্রতিভাকেই দলে ভেড়াচ্ছে বার্সেলোনা।
এই চুক্তি কার্যকর করায় বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিকের ভূমিকা ছিল বলে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। জার্মান এই কোচের অধীনে একেকটি দানবে পরিণত হয়েছে দলটির তরুণ ফুটবলাররা। আনসু ফাতি ছাড়া বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন।
ফলে ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে নিজের হারানো ফর্ম ফিরে পাবেন, সঙ্গে স্বপ্নের ক্লাবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে থেকে যাবেন বহু বছর—র্যাশফোর্ডের পাশাপাশি এই প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন বার্সেলোনার কোটি সমর্থক।
১৩৮ দিন আগে
ইন্টারকে বিধ্বস্ত করে অবশেষে ইউরোপ সেরার মুকুট পরল পিএসজি
কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে একের পর এক মহাতারকা দলে ভিড়িয়ে কত চেষ্টাই না করে এসেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু কেউই ক্লাবটির স্বপ্নপূরণের সারথী হতে পারেননি। তবে অবশেষে হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার মতো এক জাদুকরী কোচের অধীনে অধরা ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ হলো পিএসজির।
শনিবার রাত জেগে যারা খেলা দেখেছেন, তার নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, কী বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, অবশেষে ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫৫ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে প্যারিসের দলটি।
আনহেল দি মারিয়া, এদিনসন কাভানি, নেইমার, এমবাপ্পে, মেসি—কেউই দলটিকে যা এনে দিতে পারেননি, তারুণ্যনির্ভর এক দল গড়ে অসাধারণ কৌশল আর দলীয় পারফরম্যান্সে সেই বাজিমাত করলেন কোচ লুইস এনরিকে। আর এমনভাবেই জিতেছেন, যা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
শনিবার (৩১ মে) রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে সিমিওনে ইনজাগির ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে এনরিকের পিএসজি।
এত বড় ব্যবধানের জয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কেউ কখনও পায়নি। এর আগে চার গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জেতার রেকর্ড আছে চারটি। ১৯৬০ সালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ ৭-৩ গোলে, ১৯৭৪ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখ ৪-০ গোলে, ১৯৮৯ সালে এফসিএসবির বিপক্ষে এসি মিলান ৪-০ গোলে এবং ১৯৯৪ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে আবারও এসি মিলান ৪-০ গোলে জিতেছিল। তবে সেসব টপকে রেকর্ডটি এবার নিজেদের করে নিয়েছে পিএসজি।
বেশ কিছুটা নিষ্প্রভ ইন্টার মিলানকে এদিন ম্যাচের শুরুর ২০ মিনিটেই দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩, ৭৩ ও ৮৬তম মিনিটে বাকি তিনটি গোল হলে উৎসবে মাতে প্যারিস আর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দলটির সমর্থকরা।
স্বপ্নের ফাইনাল জয়ের রাতে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন চলতি মৌসুমে পিএসজির জার্সিতে আলো ছড়ানো উসমান দেম্বেলে। আর দুই গোল ও একটি অ্যাসিস্টসহ মোট তিনটি গোলে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়েছেন প্যারিসের দলটির ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার দেজিরে দুয়ে। এ ছাড়াও আশরাফ হাকিমি, কিভিচা কেভারাস্টখেলিয়া ও শেষ দিকে নামা আরেক তরুণ সেনি মায়ুলু করেছেন একটি করে গোল।
১৮৭ দিন আগে
পুকুরে ফুটবল তুলতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুকুরে পড়ে যাওয়া ফুটবল তুলতে গিয়ে দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। নিহতরা হলেন বেহাকৈর নয়াপাড়া এলাকার হাবিবুর (৮) ও একই এলাকার জুনায়েদ (৬)।
বুধবার (২৮ মে) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বেহাকৈর নয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, খেলাধুলার সময় তাদের ফুটবল পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে পড়ে যায়। ফুটবল তুলতে গিয়ে তারা পুকুরে নেমে যায় এবং ডুবে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে কাঁচপুর মর্ডান হাসপাতাল নিয়ে যান।
অবস্থার অবনতি দেখে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর মদনপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
শিমরাইল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাদের কাছে এ ধরনের কোনো খবর দেওয়া হয়নি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
১৯১ দিন আগে
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার
কাগজে-কলমে রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপাস্বপ্ন টিকে থাকলেও প্রায় অসম্ভব সমীকরণ মেলাতে হতো দলটির; নিজেদের অবশিষ্ট তিন ম্যাচ জয় এবং বার্সেলোনার তিনটি ম্যাচই হারতে হতো। এ ক্ষেত্রে রিয়াল প্রথম ম্যাচটি জিতলেও নিজেদের ম্যাচ জিতে সব হিসাব চুকিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এতে করে ২৮তম লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
এক মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধারে তিন ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল বার্সেলোনার। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
কাতালুনিয়া ডার্বিতে এদিন পূর্ণ শক্তি নিয়েই নেমেছিল বার্সেলোনা। অপরদিকে, ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেওয়া এস্পানিওল কোচের কণ্ঠে বার্সাকেও হারানোর প্রত্যয় ঝরেছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধ অবশ্য ঠিকঠাক খেলে লামিন-রাফিনিয়াদের আটকে রাখে এস্পানিওল। তবে বিরতির পর আর দলটিকে রুখতে পারেনি তারা। ৫৩তম মিনিটে লামিনের বাঁ পায়ের কারিকুরিতে পরাস্ত হয় দলটির রক্ষণভাগ। নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট আগে বার্সেলোনার এই বিস্ময়বালককে অযথা ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিকদের ডিফেন্ডার লেয়ান্দ্রো কাবরেরা। পরে যোগ করা সাত মিনিটের পঞ্চম মিনিটে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করার গোলটি করেন দুর্দান্ত ফেরমিন লোপেস।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে ২৭ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হয়েছে ৮৫। আর সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৭৮। ফলে দুই ম্যাচে রিয়াল পূর্ণ ছয় পয়েন্ট এবং বার্সেলোনা দুটিই হারলেও তাদের ধরা সম্ভব হবে না গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
এদিকে, হেরে অবনমনের শঙ্কা বেড়েছে এস্পানিওলের। টেবিলের ১৬তম স্থানে থাকলেও অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট দূরে আছে দলটি। ফলে পরের দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিততেই হবে মানোলো গন্সালেসের শিষ্যদের।
২০২২-২৩ মৌসুমেও এস্পানিওলের এই মাঠ থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বার্সেলোনা। সেবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে জিতে শিরোপা উদযাপন করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয় দলটিকে। এবারও বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা যাতে মাঠে উদযাপন করতে না পারে, সে লক্ষ্যে শেষের বাঁশি বাজতেই মাঠের পানির স্প্রেগুলো চালু করে দেওয়া হয়। আর হান্সি ফ্লিকও ছিলেন সতর্ক। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিষ্যদের ড্রেসিং রুমে ডেকে নেন তিনি।
২০৩ দিন আগে
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ম্লান করে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও জিতল বার্সেলোনা
রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-২, ৫-২ ও ৩-২ গোলে তিনটি ম্যাচ হারিয়ে আগেই দুটি শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এবার ৪-৩ গোলে হারিয়ে মৌসুমের সবগুলো এল ক্লাসিকো জিতে নিল কাতালান জায়ান্টরা। সেইসঙ্গে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের বন্দরে প্রায় নোঙর করেই ফেলেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ক্যাম্প ন্যুতে রবিবার লা লিগার দ্বিতীয় ও মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরুতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ৪-৩ গোলে হেরে গেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
এই জয়ে লিগের আর মাত্র তিন ম্যাচ বাকি থাকতে দুইয়ে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা। ৩৫ ম্যাচে ২৬ জয় ও চার ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
লিগ শিরোপা জয়ের জন্য কাতালানদের আর দরকার দুই পয়েন্ট। আগামী বৃহস্পতিবার রাতে কাতালুনিয়া ডার্বিতে এস্পানিওলের মাঠে খেলতে যাবে ফ্লিকের দল। টেবিলের চতুর্দশ স্থানে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলবে তারা।
এদিন রিয়াল মাদ্রিদের তিন গোলের তিনটিই করেছেন এমবাপ্পে। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে একমাত্র ৮ বা তার বেশি রেটিংয়ের পারফরম্যান্স দিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি (৮.৮)। বার্সেলোনার দলীয় পারফরম্যান্সের সামনে বৃথা গেছে তার হ্যাটট্রিক।
অবশ্য দল না জিতলেও ব্যক্তিগত একাধিক অর্জন হয়েছে এই ফরাসি তারকার। রিয়ালের জার্সিতে প্রথম মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ৩৮টি গোল করে ফেলেছেন এমবাপ্পে, অভিষেক মৌসুমে যা রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড গড়তে গিয়ে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইভান জামোরানোর ৩৭ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন এমবাপ্পে। এমনকি হাতে আরও তিনটি ম্যাচ থাকায় এই রিকর্ডটি তিনি আরও উচ্চতায় তুলতে পারেন।
এছাড়া লা লিগায় ২৫ গোল নিয়ে ম্যাচ শুরু করা এমবাপ্পের লিগে গোল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮টিতে। চলতি মৌসুমের পিচিচি ট্রফিরে দৌড়ে বার্সেলোনার রবের্ট লেভানডোভস্কিকে (২৬) পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতেই এদিন রক্ষণের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, আর তা থেকে সফরকারীদের এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে বক্সের ঢোকার আগে কুবারসিকে পরাস্ত করে এগিয়ে যান এমবাপ্পে, এরপর স্টান্সনি এগিয়ে গিয়ে এমবাপ্পের পা থেকে ঝাঁপিয়ে বল কাড়তে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন। এরপর ভিএআর রিভিউ শেষে ষষ্ঠ মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে রিয়ালকে লিড এনে দেন এই ফরাসি তারকা।
চতুর্দশ মিনিটে বার্সার হাইলাইন ডিফেন্স ভেঙে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার। গোল খেয়ে অবশ্য মাঝমাঠ থেকে লামিনকে ফাউল করে বল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল বার্সেলোনা, তবে রিভিউতে তাদের সে আবেদন জোর পায়নি।
এর পাঁচ মিনিট পর এরিক গার্সিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। এ সময় বক্সের মধ্যে আসা ক্রসে প্রথমে মাথা দিয়ে বল গোলপোস্টের মাঝ বরাবর পাঠান ফেররান, তাতে সফল হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন এরিক।
এরপর ৩২তম মিনিটে লামিন ইয়ামাল ও ৩৪তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোল প্রথমোর্ধেই রিয়ালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য এমবাপ্পের আরও এক গোলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল দলটি। তবে তা ম্যাচ জিতে লিগে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
একেবারে শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন ফেরমিন লোপেস। তবে অফসাইডে গোলটি কাটা পড়লে ৪-৩ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
এর মাধ্যমে গত সপ্তাহে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বার্সেলোনার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ মিলেছে। সেইসঙ্গে লা লিগা জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
২০৮ দিন আগে
আবারও হেরে আর্সেনালের বিদায়, ইন্টার-পিএসজি ফাইনাল
ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। এই ম্যাচে তাই শুধু জিতলেই হতো না, অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। তবে জেতা তো দূর, উল্টো আরও একবার হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গানারদের। আর দুই লেগের সেমিফাইনালের দুটিই জিতে ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
বুধবার রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। এর ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১ এ।
প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করা উসমান দেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে এদিন একাদশ সাজান পিএসজি বস লুইস এনরিকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনেও স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে আর্সেনাল। কিন্তু ২৭তম মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি, তবে ভিতিনিয়ার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ধরে রাখেন আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। এর তিন মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়ান আচরাফ হাকিমি।
৭৬তম মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে একটি গোল পরিশোধ করেন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা। তার কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এরপর আর কোনোপাশেই গোল হয়নি।
আরও পড়ুন: সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা। এর মাধ্যমে পাঁচ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল লে পারিসিয়েনরা। ২০২০ সালে ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে পিএসজি। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে হৃদয় ভাঙে তাদের।
পিএসজির এবারের প্রতিপক্ষ আগের রাতে বার্সেলোনাকে বিদায় করা ইন্টার মিলান। এবারের আসরের ফাইনালের ভেন্যু আবার আলিয়ান্স আরেনা। বায়ার্নের মাঠ থেকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে পিএসজি তাদের দুঃখ ঘোচাতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে।
আগামী ৩১ মে ইউরোপ-সেরার এই লড়াইয়ের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গতবারের ইতালি ও ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নরা।
২১১ দিন আগে
সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। অবিশ্বাস্য লড়াই, নাটকীয় পালাবদল আর চরম এক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিল ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনা। দিনশেষে এক দল জয়োল্লাস করে ফাইনালে উঠলেও অন্য দলও তাই মাঠ ছেড়েছে মাথা উঁচু করেই।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে সিমোনে ইনজাগির দল।
এদিন আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ইন্টারের শক্তিধর খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রগতির ফুটবল আর বার্সেলোনার মেধাবী তরুণদের পায়ের কারিকুরিতে পুরো ম্যাচজুড়েই ফুটবলের সত্যিকারের নির্যাস উপভোগ করার সুযোগ হয় দর্শকদের।
তবে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-৩ গোলে ড্র করে আসা ইন্টার নিজেদের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ২১তম মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস এবং বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে পেনাল্টি থেকে হাকান চালানোলু দ্বিতীয় গোল করলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেই ড্রেসিংরুমে যায় স্বাগতিকরা।
তবে বিরতির পর পরপর দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সেলোনা। ৫৪তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার চকিতে করা গোল এবং তার ছয় মিনিট পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দানি অলমো।
এরপর ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনাকে একটি পেনাল্টি দিয়েও রিভিউ করে তা বাতিল করে দেন রেফারি। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে তৃতীয় গোলটি করে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়ার ওই গোলে বার্সেলোনা যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তার মধ্যেই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রান্সেসকো আচেরবির গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধেই ৯৯তম মিনিটে আরও একটি গোল করে স্বাগতিকদের ফের লিড এনে দেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি। এরপর থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত দলটির ওপর আক্রমণের বুলডুজার চালায় বার্সেলোনা। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তার কয়েকটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে ও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং অসাধারণ নৈপুণ্যে আরও কয়েকটি ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান জমার। ফলে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
এর ফলে ছয় বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেও বিদায় নিতে হলো কাতালান জায়ান্টদের। এর সঙ্গে দলটির কোয়াড্রাপল জয়ের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল।
বুধবার অপর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে নামবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল। ফলে ফাইনালের টিকিট কাটতে প্রতিপক্ষের মাঠে বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির।
২১২ দিন আগে
সেল্তার বিপক্ষে রদ্রিগোকেও পাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদ
লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ ও উয়েফা সুপার কাপ—গত মৌসুমে চারটি শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদ এবার দুঃস্বপ্নের এক মৌসুম কাটাচ্ছে। সব হাতছাড়া হয়ে এখন পর্যন্ত কেবল লা লিগার শিরোপার দৌড়েই টিকে আছে দলটি। তবে মৌসুমের শেষে এসে চোটে জেরবার হয়ে সেই আশাও ফিকে হয়ে যেতে বসেছে তাদের।
লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের আর পাঁচ ম্যাচ খেলা বাকি। এর মাঝে গতরাতে নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে সাত পয়েন্টে। ফলে নিজেদের বাকি ম্যাচগুলোতে হারা তো দূর, পয়েন্ট খোয়ালেই শিরোপাস্বপ্ন ভেস্তে যেতে পারে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ (রবিবার) সন্ধ্যা ৬টায় সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে মাঠে নামছেন ভিনিসিয়ুস-এমবাপ্পেরা। তবে ভয়ডরহীন ফুটবল উপহার দেওয়া সেল্তার বিপক্ষে স্কোয়াডে খুব বেশি গভীরতা পাচ্ছেন না আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটি জিতে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকো ফাইনাল হেরে বার্সেলোনার কাছে কোপা দেল রের শিরোপা হাতছাড়া হয় রিয়ালের। ওই ম্যাচে চোটে পড়েন দলটির লেফটব্যাক ফেরলন্দ মদিঁ। এছাড়া ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আন্টোনিও রুয়েডিগার সময়টি কাজে লাগাতে পায়ে অস্ত্রোপচার করেছেন।
তার আগে থেকেই অবশ্য রিয়ালের স্কোয়াডে অনুপস্থিত ডাভিড আলাবা ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। আর দানি কারভাহাল ও এদের মিলিতাও তো পুরো মৌসুমের জন্যই ছিটকে গেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে এবার রদ্রিগোকে হারালেন আনচেলত্তি। তবে চোট নয়, মূলত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
মুন্দো দেপর্তিভোর খবরে বলা হয়েছে, ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছেন রদ্রিগো। ম্যাচের আগে সতীর্থদের মাঝে যাতে ফ্লু ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি তিনি। এ সময় বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে। আর এ কারণেই তাকে স্কোয়াডে রাখেননি আনচেলত্তি।
শিষ্যদের চোটের কারণে চলতি মৌসুম বারবার একাদশ সাজানো নিয়ে ভুগতে হয়েছে রিয়াল কোচকে। সেল্তার বিপক্ষে আরও একবার সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তাকে।
কেমন হবে একাদশ
এই মুহূর্তে দলটিতে মাত্র তিনজন ডিফেন্ডার সুস্থ ও খেলার উপযোগী রয়েছেন। লুকাস ভাসকেস, রাউল আসেন্সিও ও ফ্রান গার্সিয়ার সঙ্গে তাই আরও একবার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিকে রক্ষণ সামলাতে হবে।
বেলিংহ্যামকে ফলস নাইন পজিশনে রেখে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দল সাজাতে পারেন আনচেলত্তি। মাঝমাঠে ফেদেরিকো ভালভের্দে নিয়মিত মুখ হলেও দানি সেবায়োস ও লুকা মদ্রিচ একটি স্পটের জন্য প্রতিযোগিতা করে থাকেন।
আক্রমণভাগে রদ্রিগোর অনুপস্থিতিতে কপাল খুলতে পারে ব্রাহিম দিয়াসের। আবার সম্প্রতি মাঠে আলো ছড়ানো আর্দা গুলেরকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এছাড়া ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে তো থাকবেনই।
সম্ভাব্য একাদশ: কোর্তোয়া, ভাসকেস, চুয়ামেনি, আসেন্সিও, ফ্রান গার্সিয়া, ভালভের্দে, মদ্রিচ/সেবায়োস, ব্রাহিম দিয়াস/গুলের, বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে।
২১৫ দিন আগে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটি জিতে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
বেঞ্চের ফুটবলারদের ঝালিয়ে নিতে নিয়মিত একাদশের নয়জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়েছিলেন হান্সি ফ্লিক। তবে শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল তার দল। পরে কয়েকটি পরিবর্তন এনে বার্সেলোনাকে ম্যাচটি জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছের তিনি।
শনিবার রাতে লা লিগায় নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নামে রিয়াল ভায়াদোলিদ ও বার্সেলোনা। সবশেষ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলা একাদশের ৯ জনকেই এদিন বিশ্রাম দেন ফ্লিক। ওই একাদশ থেকে মাঠে নামেন কেবল পেদ্রি ও জেরার্দ মার্তিন।
তবে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই গোল করে ঘরের মাঠে সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেয় ইতোমধ্যে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন নিশ্চিত করে ফেলা ভায়াদোলিদ। এরপর প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতেও সক্ষম হয় দলটি।
৩৮তম মিনিটে এই ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষিক্ত দানি রদ্রিগেস চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে খেলতে নামেন লামিন ইয়ামাল। আর তাতে কাতালানদের আক্রমণে ধার বাড়ে। পরে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করার সময় পেদ্রি ও আনসু ফাতিকে বসিয়ে রেখে যথাক্রমে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ও রাফিনিয়াকে মাঠে নামান ফ্লিক।
এরপর সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি সফরকারীরা। ৫৪তম মিনিটেই রাফিনিয়ার গোলে সমতায় ফেরে তারা। এর সাত মিনিট পর ফেরমিন লোপেসের একটি ব্যাঙ্গারে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: অগ্নিঝরা ফাইনাল জিতে কোপা দেল রের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা
পরে অবশ্য আরও কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা মেলেনি দলটির। এছাড়া চোট থেকে সেরে উঠে ২২৪ দিন পর মাঠে নামা বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন পরে আর ভুল না করে বরং তিনটি অসাধারণ সেভ করলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে থাকা বার্সেলোনা নিজেদের পয়েন্ট ৭৯-তে উন্নীত করেছে, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আবারও বাড়িয়ে নিয়েছে সাত পয়েন্টে।
নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে রবিবার। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় সেল্তা ভিগোকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
পরের সপ্তাহে লিগে মৌসুমের দ্বিতীয় ও শেষ এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার মাঠে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। ওই ম্যাচটিই লা লিগার চলতি আসরের ভাগ্য গড়ে দেবে বলে ফুটবল পাড়ায় জোর আলোচনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
২১৫ দিন আগে